তোমার সাথে আমার অদৃষ্টক্রমে আজন্ম সম্পর্কের ব্যবধান,
হয়ত এই পার্থক্য ছিল সৃষ্টির অনাদিকালের চেয়েও পুরাতন
কেবল অনতিক্রমনীয় দূরত্বে দাঁড়িয়ে দুজনের নির্বাক কথোপকথন
সহস্র কৌতহলের মাঝে আজো মোড়কাবৃত এই প্রশ্নের সমাধান ।
এই ব্যবধান সত্বেও থেকে যায় একটা সূক্ষ্ম অবিন্যস্ত সম্পর্ক,
যেই সম্পর্ক্যের ব্যবচ্ছেদ ভুল করেও করেনা কোন বিজ্ঞানী
কোন লেখকও সেই সম্পর্কের স্বীকৃতি দিয়ে লিখেনি কোন কাহিনী
সম্পর্কের নৈতিক অনৈতিকতার টানাপোড়ন নিয়ে হয় শত বিতর্ক ।
জানতে চাও? দেখতে চাও? মাপতে চাও সেই সম্পর্কর দূরত্ব?
খুবই সামান্য । আাবার অনেক ক্ষেত্রেই তা কল্পনাতীত
যেমন চন্দ্র্র্র সূর্য্যের মধ্যকার নিয়মের শেকল, সর্বদাই যা বিপরীত
আকাশ দিগন্তে ছুটে যায়, জেনে সেখানে প্রান্তরের সাথে দূরত্বের সমাপ্তি
সমগ্র পৃথিবী পেরিয়েও দিন শেষে শুধু শূণ্যতাই তার প্রাপ্তি
যদিও প্রতি মুহূর্তে তারা উপলব্ধি করে অন্যের চিরন্তন অস্তিত্ব ।
অথবা কবিতার খাতার প্রত্যেক পৃষ্ঠার অন্যকে জানার চেষ্টা,
পরস্পর পাশাপাশি থেকেও তাদের অজানা কি হল কবিতার শেষটা।
ঠিক সমান্তরাল রেললাইনের মত,যাদের মিলনে দুর্ঘটনা অনিবার্য
প্রকৃতির পূর্বনির্ধারিত নয়তি মেনে তাই হোক কল্পিত স্বর্গরাজ্য ।