somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মাহবু১৫৪
জীবনে সহজেই কোন কিছু পাবার আশা করাটা বোকামী। অনেক ঘাত প্রতিঘাত পার হয়েই আসতে হয় কাংক্ষিত লক্ষে। এই পথ এত সোজা নয়। অনেক ভুল ভ্রান্তি আছে সেই পথ চলায়। হয়তো আরো অনেক কোথিন হবে সামনের পথ টুকু। তারপর ও হার মেনে নেয়ার পক্ষে আমি নই। জয়ী যে আমাকে হতেই হবে।

বাংলা মুভি (টেলিফিল্ম) "কমন জেন্ডার" রিভিউ + লাইভ মুভি B-)B-)

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সেদিন ইউ টিউবে ঘাটাঘাটি করে পেলাম কমন জ়েন্ডার নামে একটি মুভি কিংবা টেলিফিল্ম। সঠিক কবে এই মুভি মুক্তি পেয়েছিল সেটা বলতে পারবো না। একেক ক্লিপে একেক রকম তথ্য পাওয়ায় এই সমস্যা হয়েছে। যাই হোক, এইবার আসি মুভি কিংবা টেলিফিল্ম প্রসঙ্গে। কমন জেন্ডারকে মুভি না বলে টেলিফিল্ম বলাই ভাল। সবমিলিয়ে ৫১ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড দীর্ঘ এই টেলিফিল্ম।

টেলিফিল্মটি ডিরেকশন এবং স্ক্রিপ্ট রাইটিং এ ছিলেন নোমান রবিন। এতে অভিনয় করেছেন কাজ়ি রাজু, তুষার আহমেদ, চিত্রলেখা গুহ, সোহেল খান, ডলি জহুর সহ আরো অনেকে।

টেলিফিল্ম এর পুরো কাহিনি ঘিরেই রয়েছে সমাজে এক কথায় অবহেলিত "হিজরা" গোষ্ঠীকে নিয়ে। টেলিফিল্মের একেবারে শেষে একটি বাণী স্ক্রীণে ভেসে আসে - "নারী ও পুরুষের মাঝে যে মানুষ সেও মানুষ"।

টেলিফিল্মের শুরুতেই একটি ছেলের ছোটবেলা থেকে শুরু করে যুবক বয়স পর্যন্ত তার পরিধেয় কাপড়ের যে দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে তা এককথায় অর্থবহ এক রূপ এনে দিয়েছে। তুষার আহমেদ (বাবলি) ছোট বেলা থেকেই মেয়েদের মত আচরণ করতে থাকে। যেমন মেয়েদের পোষাক পরা, রান্না বারা করা, সাজগোজ করা ইত্যাদি।

যখন তার বাড়ির সবাই তুষারের বড় হওয়ার সাথে সাথে বুঝতে পারে সে হিজরা হয়ে গিয়েছে তখন তারা তাকে ত্যায্য পুত্র করে। কিন্তু তারপর ও পরিবারটির সমস্যা থেকেই যায়। এলাকায় কিংবা বাজারে তার পরিবারটির মুখ দেখানোর মত অবস্থা থাকে না। হিজরা সম্প্রদায় দৈনিক চাদা তুলে তাদের মাসীকে (সোহেল খান) দেয়। এভাবে করেই কাহিনি আগাতে থাকে।

সমাজের রক্তচক্ষু, অবহেলা, বঞ্চনা, গঞ্চনা সহ্য করে তাদের পথ চলতে হয়। এমন কি তাদের জীবনের প্রেম ভালবাসা আসলেও তা টিকে থাকে না। সমাজে তাদের দাম নেই।

মাসীর কাজে গোপনে খবর বিলি করে তারই বিশ্বস্ত এক লোক। কোন এলাকায় কোন শিশু হিজরা পাওয়া গেলে সেই লোক এসে তাকে খবর দিয়ে যায়। বিনিময়ে সে টাকাও পায়। একদিন রাতের অন্ধকারে হিজরারা সবাই মিলে সেই ছেলের কাছে যায় এবং বাবা মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে আসে। মায়ের বুক ফাঁটা কান্নার আওয়াজও সেখানে বাতাসের সাথে মিলিয়ে যায়।

টেলিফিল্মের একেবারে শেষ দৃষ্যে বাবলির (তুষার আহমেদ) মায়ের কথা খুব মনে হয়। তাই সে রাতের আধারে দেখা করতে যায় তার মায়ের সাথে। কিন্তু তার বড় ভাইয়ের মার খায় সে। কোনমতেই সে দেখা করতে পারে নি তার মা (চিত্রলেখা গুহ) সাথে। এই দৃষ্যটি অনেক আবেগতাড়িত করে দেয়।

মায়ের ভালবাসা বঞ্চিত হয়ে রাস্তার পাশে পথ শিশুকে তার মা ভাত খাইয়ে দেয় এই দৃষ্যটি দেখার পর চোখের পানি ধরে রাখা কষ্টকর হচ্ছিল। সেখানে যেয়ে বাবলি (তুষার আহমেদ) সেই পথ শিশুর মা (ডলি জহুর) কে বলে একটু পিছনের গাছের গোড়ায় আসতে। বিনিময়ে সেই মা কে সে ১০০ টাকা ও দেয়।

এই শেষ দৃষ্যটি এতটাই নিখুত ভাবে করা হয়েছে যে তুষার আহমেদ বাহবা পেতেই পারেন।

এক কথায় বলা যায় নোমান রবিন তার কাজের দক্ষতা দেখিয়েছেন এতে।

আসুন তাহলে দেখে নিন টেলিফিল্মটি -




বিঃদ্রঃ হয়ত টেলিফিল্মের রিভিউ ঠিক মত লিখতে পারি নি। তাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন সবাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:১১
১৯টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কোরআন কী পোড়ানো যায়!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৮

আমি বেশ কয়েকজন আরবীভাষী সহপাঠি পেয়েছি । তাদের মধ্যে দু'এক জন আবার নাস্তিক। একজনের সাথে কোরআন নিয়ে কথা হয়েছিল। সে আমাকে জানালো, কোরআনে অনেক ভুল আছে। তাকে বললাম, দেখাও কোথায় কোথায় ভুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেঞ্চুরী’তম

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


লাকী দার ৫০তম জন্মদিনের লাল গোপালের শুভেচ্ছা

দক্ষিণা জানালাটা খুলে গেছে আজ
৫০তম বছর উকি ঝুকি, যাকে বলে
হাফ সেঞ্চুরি-হাফ সেঞ্চুরি;
রোজ বট ছায়া তলে বসে থাকতাম
আর ভিন্ন বাতাসের গন্ধ
নাকের এক স্বাদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরানের প্রেসিডেন্ট কি ইসরায়েলি হামলার শিকার? নাকি এর পিছে অতৃপ্ত আত্মা?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯


ইরানের প্রেসিডেন্ট হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত!?

বাঙালি মুমিনরা যেমন সারাদিন ইহুদিদের গালি দেয়, তাও আবার ইহুদির ফেসবুকে এসেই! ইসরায়েল আর।আমেরিকাকে হুমকি দেয়া ইরানের প্রেসিডেন্টও তেমন ৪৫+ বছরের পুরাতন আমেরিকান হেলিকপ্টারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×