আজ থেকে প্রায় ষাট বছর আগে, বিশ্বের সমস্ত দেশের পুলিশের আইজি দের সম্মেলন হয়েছিল লন্ডনে। লাঞ্চব্রেকে সবাই যখন ডাইনিং হলে গেলেন লাঞ্চ করতে। পূর্ব ফাকিষ্তানের আইজি সাহেব ডাইনিং হলে ঢুকে দেখেন প্রায় সব টেবিলই ভর্তি। তাকিয়ে দেখেন এক টেবিলে মাত্র দু'জন লোক বসে আছেন। অনুমতি নিয়ে তিনিও বসলেন, পরিচিত হলেন - একজন লন্ডনের আইজি, অন্যজন নিউইয়র্কের।
কথায় কথায় লন্ডনের আইজি সাহেব বললেন, আমার দেশে কোন খুন হলে আমাদের পুলিশ মাত্র ৪৮ ঘন্টা সময়ের মধ্যে ঘটনার রহস্য বের করে খুনিকে গ্রেফতার করতে পরে।
নিউইয়র্কের আইজি সাহেব বললেন, আমার দেশে কোন খুন হলে আমাদের পুলিশ মাত্র ২৪ ঘন্টা সময়ের মধ্যে ঘটনার রহস্য বের করে খুনিকে গ্রেফতার করতে পরে।
তখন পূর্ব ফাকিষ্তানের আইজি সাহেব বললেন, আরে রাখেন এইসব পুরানো আমলের কথাবর্তা আমার দেশে কোন খুন হলে আমাদের পুলিশ ২৪ ঘন্টা আগেই জানে কে, কখন, কোথায়, কাকে, কি কারনে খুন করবে।
হায়রে কোথায় গেল আমাদের সেই পুলিশ?
কলকাতার একটি সাম্প্রতিক ঘটনা, যা নিয়ে মিডিয়ায় ব্যাপক তোলপার চলছে। কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার (ক্রাইম) মিস. দময়ন্তী সেন, যিনি স্রোতের বিপরীতে হেটে (মুর্খমন্ত্রী এবং আইজিপির বক্তব্যের বিপরীতে গিয়ে) বের করে আনলেন ৫ই ফেব্রুয়ারী পার্কষ্ট্রীটে ঘটে যাওয়া একজন এ্যাংলো ইন্ডিয়ান নারী ধর্ষনের প্রকৃত রহস্য, গ্রেফতারও করা হল তাদের প্রযুক্তির সাহয্যে। বের হয়ে এল ধর্ষনকারী কাদের খান, যিনি টালিউডের নায়িকা নুসরাত জাহানের বাগদত্তা স্বামী। যে কাদের খান ধর্ষিতার কাছে নিজের আসল নাম গোপন করে একজন কানাডা প্রবাসীর নাম ব্যবহার করেছিলেন। সেই কানাডা প্রবাসী গত ৪ জানুয়ারী থেকে এখন পর্যন্ত কানাডাতেই আছেন। আর একারনে বিষয়টিকে সরকারের মুখে কালি লেপনের উদ্দেশ্য সাজানো নাটক বলেছিল মুর্খমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জি এবং কলকাতা পুলিশের আইজি।
Click This Link
নুসরাতের বক্তব্য শুনুন, দময়ন্তী সেন ও জাভেদ শামীর এর বক্তব্য শুনুনঃ
Click This Link
আমাদের বাংলাদেশে আজ একজন দময়ন্তী সেন বড়ই জরুরী।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫১