somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি সোহেল তাজের ভাগ্নে, সরে যা' বলে আলতো হুংকার

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

~~ বাটপার "প্রথম কালো"তে তাজউদ্দিন আহমদের নাতিকে পিটানোর খবর পড়ে আবেগাক্রান্ত বাংলাদেশ ~~
প্রথম আলো আসলেই সেরা, তারা জানে কিভাবে নাটকটা জমাতে হয়। খবর শুরু করেছে এভাবে- "তুই সোহেল তাজের ভাগনে, এমন শিক্ষা দিব যে জীবনেও ভুলবি না—এই কথা বলেই একজন পুলিশ কর্মকর্তা .....।" সাথে আছে হাসপাতালের বেডে মাসুম শিশুটির বাঁকা হয়ে থাকা ছবি।

কি অন্যায়! কি অন্যায়! রুদ্ধশ্বাসে খাড়া হয়ে যাবে পাঠককূল, ঘটে যাবে কয়েকজনের হার্ট এটাক। তাজউদ্দিনের নাতি আর সোহেল তাজের ভাগ্নে বলেই না এমন অত্যাচার!
এরপর প্রথম আলোর রিপোর্ট পড়ে বাংলা ব্লগগুলোতে ঘটলো 'তুলপাড়'।

----------------------------------------------
► এখন আসুন সঠিক ঘটনাটি কি তা জানি-
----------------------------------------------
- ইংলিশ মিডিয়ামের এ-লেভেল পড়ুয়া ১৯ বছরের তরুন যুবক।

- সন্ধ্যায় গুলশানে ক্রমাগত আড্ডা। সাথে অন্যান্য কিছু সেবন।

- সাথে থাকা মেয়েদের কাছে নিজের পৌরুষত্ব দেখানোর চিন্তায় কার রেসিং এর আইডিয়া। তেরো টা গাড়ির দুইটাতে মেয়ে ড্রাইভারও ছিলেন বটে। সাবাস বাংলাদেশ !!!

- ফার্ষ্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস সিনেমা দেখে শেখা ষ্টাইল, এক গাড়িতে এক ড্রাইভার আর এক মেয়ে।

- রেসিং শুরু।

- আড়ং পার হয়ে একটু সামনেই পুলিশ আটকে দিলো।

- সামনের গাড়ি থেকে বললো, তিন নাম্বার গাড়িতে বস আছে, ওনার সাথে কথা বলেন।

- গাড়ি থেকে মাথা বের করে 'আমি সোহেল তাজের ভাগ্নে, সরে যা' বলে আলতো হুংকার।

- পুলিশ অফিসারের ঘাড়ে একটাই মাথা, সে ওয়ারলেসে কথা বললো উপরের সাথে, তারপর বললো 'স্যার, আপনাদেরকে থানায় যেতে হবে'।

- পাশে বসা মেয়ের সামনে অপমানিত বোধ করাতে, বের হয়ে সপাটে এক চড় পুলিশ অফিসারের গালে।

- সাথে থাকা অবাক কনষ্টেবলের লাঠিটা হঠাৎ করে নিয়ে ছুড়ে ফেললো মাসুম ছেলেটা, আরেকটু বাহাদুরি দেখালো, হুহুহু।

- পুলিশ কর্মকর্তা গালে চোপার খেয়ে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারালো, পুলিশ এমনিতেই রাস্তার বাদশা যারে ইচ্ছা তারে যা খুশি করে, সেই পুলিশের গায়ে হাত??

- সে পরে বসের কাছে স্বীকার করেছে সে এটাও মনে করেছিলো যে এর মত গাঞ্জাখোর পোলা সত্যি সত্যি সোহেল তাজের ভাগ্নে হতে পারেনা, হয়তো একটু দূর সম্পর্কের আত্মীয়, যেইরকম রাস্তাঘাটে সবাই রেফারেন্স দেয়। পুলিশদেরকে এইরকম রেফারেন্স প্রতি ঘণ্টায় দশ বারোটা শুনতে হয়। তাই দিসে কয়েকটা লাত্থি।

- তারপর থানায় তার মা লীগ নেত্রী সিমিন হোসেন রিমি গিয়ে নিয়ে আসলো।

- চর্বি মাখনে জমানো পুলা, কয়টা লাথিতেই ভর্তি হইসে ইউনাইটেড হসপিটালে। আর চব্বিশ ঘনটা ধৈরা বিএসএফ এর ল্যাঙটা মাইর খাওয়া হাবিব কোন চিকিৎসা পায় না। জয় বাংলা।

-পরদিন প্রথম আলোয় আবেগাকুল রিপোর্ট, তাজউদ্দিন আহমদের নাতির পায়ের পাতা চেটে পরিস্কার করে দেয়নি পুলিশ।

- দেশের মানুষ উদ্বেগাক্রান্ত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলূণ্ঠিত হলো, যুদ্ধাপরাধিদের বিচার বানচাল করার ষড়যন্ত্রে পুলিশ এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

- গাণ্ডু কোথাকার।

এগুলো সবই উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীর কাছ থেকে সেদিন রাতেই জানা। প্রতিদিন এমন অনেক ঘটনা ঘটছে, তবু মানুষ চোখ বুজে পত্রিকা পড়ে সেটাই বিশ্বাস করে আর লাফাতে থাকে। উনারা মহান, রেসিং দিবেন এটা স্বাভাবিক। তাদের রেসিং এর বিকট শব্দে আমরা ভয় পেলেই আমাদের জীবন স্বার্থক হবে। আমাদের বাচ্চাটা কিংবা রাস্তার পাশের বৃদ্ধা ভিক্ষুকটা গাড়ির নীচে চাপা পরে মরলে স্বার্থক হয়ে সোজা স্স্বর্গে যাবে ।
মূল লিংক: Click This Link
১৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কথাটা খুব দরকারী

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ৩১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪

কথাটা খুব দরকারী
কিনতে গিয়ে তরকারি
লোকটা ছিল সরকারি
বলল থাক দর ভারী।

টাকায় কিনে ডলার
ধরলে চেপে কলার
থাকে কিছু বলার?
স্বর থাকেনা গলার।

ধলা কালা দু'ভাই
ছিল তারা দুবাই
বলল চল ঘানা যাই
চাইলে মন, মানা নাই।

যে কথাটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অতিরিক্ত বা অতি কম দুটোই সন্দেহের কারণ

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০

অনেক দিন গল্প করা হয়না। চলুন আজকে হালকা মেজাজের গল্প করি। সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই৷ জোসেফ স্টালিনের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। তিনি দীর্ঘ ২৯ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতা ছিলেন। বলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮



বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি

লিখেছেন শায়মা, ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫


এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজের পাসওয়ার্ড অন্যকে দিবেন না ;)

লিখেছেন অপু তানভীর, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৭



কথায় আছে যে পাসওয়ার্ড এবং জাঙ্গিয়া অন্যকে দিতে নেই । মানুষ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে প্রেমিক/প্রেমিকা হিসাবে অথবা আজ্ঞাবহ হওয়ার সুবাদে আমরা অন্যকে ব্যবহার করতে দিই বা দিতে বাধ্য হই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×