somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জোহা দিবস স্মরণে : “কোন ছাত্রের গায়ে গুলি লাগার আগে আমার গায়ে যেন গুলি লাগে"

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইতিহাসে যিনি আতœত্যাগের মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তিনি হলেন ড. শামসুজ্জোহা। এই ব্যক্তির দৃঢ়চেতা মনোভাব শিার্থীদের প্রেরণা যুগাতে পারে, পারে সাহসী করে তুলতে । আজ থেকে ৪২ বছর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিার্থীদের জীবন রা করতে বিলিয়ে দিয়েছিলেন নিজের জীবন। আজ সেই দিন, ১৮ ফেব্র“য়ারি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক দিবস। তবে জাতীয়ভাবে শিক দিবস হিসেবে পালনের দাবি দীর্ঘদিনের হলেও আজ পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন পদপে গ্রহন করা হয়নি।

১৯৬৯ সালের কথা। সে বছরের ১৮ ফেব্র“য়ারি পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর গুলিতে নির্মমভাবে শহীদ হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টর ও রসায়ন বিভাগের শিক ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জোহা। দিনটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক-শিক্ষার্থী , কর্মকর্তা-কর্মচারী তথা সকল বাংলাদেশীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। শহীদ ড. শামসুজ্জোহার শাহাদতের ৪২ বছর পার হয়েছে, কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার তাকে ভুলতে পারেনি। শহীদ ড. শামসুজ্জোহাই হচ্ছেন হানাদারদের হাতে নিহত প্রথম বাংলাদেশী বুদ্ধিজীবি। মূলতঃ ড. জোহার মৃত্যুর ফলেই তৎকালীন পূর্ব পকিস্থানে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন চরম আকার ধারণ করে।

যা ঘটেছিল সেদিন
১৯৬৯ সালের গন-অভ্যুত্থানের সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কর্মসূচীর ঘোষণায় পাক-বাহিনী পূর্ব-পাকিস্তানে ১৪৪ ধারা জারী করে। কিন্তু ১৮ ফেব্র“য়ারী সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ ধারা উপো করে মেইন গেটের সামনের মহাসড়কে পাকিস্তানী স্বৈরাশাসনের বিরুদ্ধে বিােভ মিছিল করে। খবর পেয়ে প্রক্টর ড. জোহা মেইন গেইটে ছুটে যান। প্রক্টর হিসেবে তিনি ছাত্রদের শান্ত করার এবং ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। ছাত্ররা পিছু হঠতে না চাইলে পাক বাহিনীর ক্যাপ্টেন হাদী ছাত্রদের গুলি করার নির্দেশ দেয়। তখন জোহা পাক বাহিনীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘কোন ছাত্রের গায়ে গুলি লাগার আগে আমার গায়ে যেন গুলি লাগে’। ড. জোহা ডন্ট ফায়ার! ডন্ট ফায়ার! বলে চিৎকার করতে থাকেন। তিনি ছাত্রদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দেন। কিন্তু প্রক্টরের আশ্বাসে কোন কর্ণপাত না করে বেলা ১১টার সময় ক্যাপ্টেন হাদী তার পিস্তল বের করে ড. জোহাকে ল্য করে গুলি করে। সেদিন ড. জোহার বুকের তাজা রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল মতিহারের নিষ্পাপ সবুজ চত্ত্বর। হাসপাতালে নেয়ার পথে ড. জোহা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

ড. জোহার স্মৃতিকে চির অম্লাান করে রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মেইন গেটে ড. জোহার গুলিবিদ্ধ হওয়ার স্থানটিতে নির্মান করা হয়েছে জোহা স্মৃতি ফলক এবং মেইন গেইট দিয়ে প্রবেশ করলে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থিত শহীদ জোহার মাজার। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমনকারী যে কোন দর্শনার্থী এই দুটি স্মৃতি চিহ্ন দেখে শহীদ জোহার আত্মত্যাগের স্মৃতিকে স্মরণ করলে তাদের দু'চোখ সজল হয়ে উঠে।

ড. জোহার সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ
অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী ড. শামসুজ্জোহা ১৯৩৪ সালে পশ্চিম বঙ্গের বাঁকুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিন ভাই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। বাঁকুড়া জেলা স্কুলে তিনি লেখাপড়া শুরু করেন এবং ১৯৪৮ সালে এই স্কুল হতে তিনি প্রথম বিভাগে মেট্রিক পরীায় উত্তীর্ণ হন। পরে বাঁকুড়া ক্রিশ্চিয়ান কলেজ থেকে প্রথম শ্রেণীতে ইন্টারমিডিয়েট পরীায় উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি হন। ১৯৫০ সালের পর ড. জোহার পরিবার স্থায়ীভাবে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন। ১৯৫৩ সালে ড. জোহা দ্বিতীয় শ্রেণীতে সম্মান ডিগ্রী লাভ করে। ১৯৫৪ সালে তিনি প্রথম শ্রেণীতে এমএসসি ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি পাকিস্তান অর্ডিন্যান্স কারখানায় সহকারী কারখানা পরিচালক পদে শিানবীশ হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৫৬ সালে বিষ্ফোরক দ্রব্যের উপর প্রশিণ লাভের জন্য তিনি ইংল্যান্ডে যান। সেখানে তিনি ইমপেরিয়াল কলেজ ও লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এআরসিএস ও বিএস স্পেসিয়াল ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৬১ সালের ২৩ ফেব্র“য়ারী তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। বিদেশ থেকে পিএইচডি ও ডিআইসি ডিগ্রী নিয়ে পুনরায় তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসেন। ড. জোহা মৃত্যুর সময় রেখে যান স্ত্রী নিলুফা জোহা এক কন্যা সন্তান। বর্তমানে জোহার কন্যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী অর্জন করে আমেরিকায় অবস্থান করছেন। ড. জোহার শাহাদাতের কিছুদিন পর স্ত্রী পুনরায় বিয়ে করেন। তিনিও আমেরিকায় অবস্থান করছেন।

ড. জোহা একজন কৃতি ক্রিকেটার ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া অঙ্গনের সাথে তার সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত গভীর। ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি শাহ মখদুম হলের আবাসিক শিকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৮ সালের ১৫ এপ্রিল তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের দায়িত্ব দেয়া হয়। ড. জোহা বিভিন্ন গবেষণা কর্মের সাথেও জাড়িত ছিলেন। দেশী ও বিদেশী বিভিন্ন জার্নালে তার বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ছাত্র হলের নামকরন করা হয়েছে ড. জোহার নামানুসারে এবং প্রতি বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি রাবিতে শিক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপ প্রতিবছর শুধু পালন করে শিক্ষক দিবস হিসেবে। জোহা যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়তে চেয়েছিলেন তার মোটেই বাস্তবায়ন হয়নি বলে অনেকে মনে করেন। জাতীয় পর্যায়েও এই দিবসটি উদযাপন করা হয় না। অথচ ড. জোহার মৃত্যুর ফলেই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থানে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন চরম আকার ধারণ করে এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতার ধারা উন্মুক্ত হয়। ড. জোহার স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য পাঠ্যপুস্তকে তার আত্মদানের কাহিনী অন্তভূর্ক্ত করা এবং জাতীয় ভাবে দিবসটি উদযাপন করা এখন সময়ের দাবি। এছাড়া ড. জোহার নামে বিশ্ববিদ্যলয় প্রশাসন ভবনের সামনে জোহার মাজার থেকে জুবেরী ভবন পর্যন্ত সড়কটির নামকরণের দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন মহল।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইতিহাসে যিনি আতœত্যাগের মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তিনি হলেন ড. শামসুজ্জোহা। এই ব্যক্তির দৃঢ়চেতা মনোভাব শিার্থীদের প্রেরণা যুগাতে পারে, পারে সাহসী করে তুলতে । আজ থেকে ৪২ বছর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিার্থীদের জীবন রা করতে বিলিয়ে দিয়েছিলেন নিজের জীবন। আজ সেই দিন, ১৮ ফেব্র“য়ারি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক দিবস। তবে জাতীয়ভাবে শিক দিবস হিসেবে পালনের দাবি দীর্ঘদিনের হলেও আজ পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন পদপে গ্রহন করা হয়নি।

১৯৬৯ সালের কথা। সে বছরের ১৮ ফেব্র“য়ারি পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর গুলিতে নির্মমভাবে শহীদ হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টর ও রসায়ন বিভাগের শিক ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জোহা। দিনটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক-শিক্ষার্থী , কর্মকর্তা-কর্মচারী তথা সকল বাংলাদেশীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। শহীদ ড. শামসুজ্জোহার শাহাদতের ৪২ বছর পার হয়েছে, কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার তাকে ভুলতে পারেনি। শহীদ ড. শামসুজ্জোহাই হচ্ছেন হানাদারদের হাতে নিহত প্রথম বাংলাদেশী বুদ্ধিজীবি। মূলতঃ ড. জোহার মৃত্যুর ফলেই তৎকালীন পূর্ব পকিস্থানে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন চরম আকার ধারণ করে।

যা ঘটেছিল সেদিন
১৯৬৯ সালের গন-অভ্যুত্থানের সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কর্মসূচীর ঘোষণায় পাক-বাহিনী পূর্ব-পাকিস্তানে ১৪৪ ধারা জারী করে। কিন্তু ১৮ ফেব্র“য়ারী সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ ধারা উপো করে মেইন গেটের সামনের মহাসড়কে পাকিস্তানী স্বৈরাশাসনের বিরুদ্ধে বিােভ মিছিল করে। খবর পেয়ে প্রক্টর ড. জোহা মেইন গেইটে ছুটে যান। প্রক্টর হিসেবে তিনি ছাত্রদের শান্ত করার এবং ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। ছাত্ররা পিছু হঠতে না চাইলে পাক বাহিনীর ক্যাপ্টেন হাদী ছাত্রদের গুলি করার নির্দেশ দেয়। তখন জোহা পাক বাহিনীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘কোন ছাত্রের গায়ে গুলি লাগার আগে আমার গায়ে যেন গুলি লাগে’। ড. জোহা ডন্ট ফায়ার! ডন্ট ফায়ার! বলে চিৎকার করতে থাকেন। তিনি ছাত্রদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দেন। কিন্তু প্রক্টরের আশ্বাসে কোন কর্ণপাত না করে বেলা ১১টার সময় ক্যাপ্টেন হাদী তার পিস্তল বের করে ড. জোহাকে ল্য করে গুলি করে। সেদিন ড. জোহার বুকের তাজা রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল মতিহারের নিষ্পাপ সবুজ চত্ত্বর। হাসপাতালে নেয়ার পথে ড. জোহা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

ড. জোহার স্মৃতিকে চির অম্লাান করে রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মেইন গেটে ড. জোহার গুলিবিদ্ধ হওয়ার স্থানটিতে নির্মান করা হয়েছে জোহা স্মৃতি ফলক এবং মেইন গেইট দিয়ে প্রবেশ করলে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থিত শহীদ জোহার মাজার। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমনকারী যে কোন দর্শনার্থী এই দুটি স্মৃতি চিহ্ন দেখে শহীদ জোহার আত্মত্যাগের স্মৃতিকে স্মরণ করলে তাদের দু'চোখ সজল হয়ে উঠে।

ড. জোহার সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ
অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী ড. শামসুজ্জোহা ১৯৩৪ সালে পশ্চিম বঙ্গের বাঁকুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিন ভাই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। বাঁকুড়া জেলা স্কুলে তিনি লেখাপড়া শুরু করেন এবং ১৯৪৮ সালে এই স্কুল হতে তিনি প্রথম বিভাগে মেট্রিক পরীায় উত্তীর্ণ হন। পরে বাঁকুড়া ক্রিশ্চিয়ান কলেজ থেকে প্রথম শ্রেণীতে ইন্টারমিডিয়েট পরীায় উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি হন। ১৯৫০ সালের পর ড. জোহার পরিবার স্থায়ীভাবে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন। ১৯৫৩ সালে ড. জোহা দ্বিতীয় শ্রেণীতে সম্মান ডিগ্রী লাভ করে। ১৯৫৪ সালে তিনি প্রথম শ্রেণীতে এমএসসি ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি পাকিস্তান অর্ডিন্যান্স কারখানায় সহকারী কারখানা পরিচালক পদে শিানবীশ হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৫৬ সালে বিষ্ফোরক দ্রব্যের উপর প্রশিণ লাভের জন্য তিনি ইংল্যান্ডে যান। সেখানে তিনি ইমপেরিয়াল কলেজ ও লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এআরসিএস ও বিএস স্পেসিয়াল ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৬১ সালের ২৩ ফেব্র“য়ারী তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। বিদেশ থেকে পিএইচডি ও ডিআইসি ডিগ্রী নিয়ে পুনরায় তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসেন। ড. জোহা মৃত্যুর সময় রেখে যান স্ত্রী নিলুফা জোহা এক কন্যা সন্তান। বর্তমানে জোহার কন্যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী অর্জন করে আমেরিকায় অবস্থান করছেন। ড. জোহার শাহাদাতের কিছুদিন পর স্ত্রী পুনরায় বিয়ে করেন। তিনিও আমেরিকায় অবস্থান করছেন।

ড. জোহা একজন কৃতি ক্রিকেটার ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া অঙ্গনের সাথে তার সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত গভীর। ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি শাহ মখদুম হলের আবাসিক শিকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৮ সালের ১৫ এপ্রিল তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের দায়িত্ব দেয়া হয়। ড. জোহা বিভিন্ন গবেষণা কর্মের সাথেও জাড়িত ছিলেন। দেশী ও বিদেশী বিভিন্ন জার্নালে তার বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ছাত্র হলের নামকরন করা হয়েছে ড. জোহার নামানুসারে এবং প্রতি বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি রাবিতে শিক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপ প্রতিবছর শুধু পালন করে শিক্ষক দিবস হিসেবে। জোহা যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়তে চেয়েছিলেন তার মোটেই বাস্তবায়ন হয়নি বলে অনেকে মনে করেন। জাতীয় পর্যায়েও এই দিবসটি উদযাপন করা হয় না। অথচ ড. জোহার মৃত্যুর ফলেই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থানে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন চরম আকার ধারণ করে এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতার ধারা উন্মুক্ত হয়। ড. জোহার স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য পাঠ্যপুস্তকে তার আত্মদানের কাহিনী অন্তভূর্ক্ত করা এবং জাতীয় ভাবে দিবসটি উদযাপন করা এখন সময়ের দাবি। এছাড়া ড. জোহার নামে বিশ্ববিদ্যলয় প্রশাসন ভবনের সামনে জোহার মাজার থেকে জুবেরী ভবন পর্যন্ত সড়কটির নামকরণের দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন মহল।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৬
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×