somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বইমেলা: মুরগী লেখক ও শিয়াল প্রকাশকদের গল্প শাখাওয়াৎ নয়ন, অতিথি লেখক বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বইমেলা: মুরগী লেখক ও শিয়াল প্রকাশকদের গল্প
শাখাওয়াৎ নয়ন, অতিথি লেখক
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আর মাত্র উনত্রিশ দিন পরেই বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বইমেলা। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জানুয়ারি মাসেই বই মেলার পদধ্বনি পাওয়া যাচ্ছে। লেখক, প্রকাশক, সম্পাদক, প্রচ্ছদ শিল্পী, প্রুফ রিডার, টাইপিস্ট, বাঁধাই কারিগর এবং মেলার অভিভাবক বাংলা একাডেমীসহ সবাই যারপরনাই ব্যস্ত। নতুন লেখকরা প্রকাশকদের দ্বারে দ্বারে এবং প্রকাশকরা নামী-দামী লেখকদের দ্বারে ঘুরছে। বাংলা বাজার, আজিজ সুপারমার্কেট এবং কাঁটাবনের কনকর্ড এম্পোরিয়াম এখন মুখর। প্রবাসী লেখকরা অনলাইনে, ফোনলাইনে যোগাযোগে ব্যস্ত। গত বছর বইমেলায় চার হাজারেরও বেশি নতুন বই এসেছিল। কোটি কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করে সহজেই অনুমান করা যায়, এবারও নিশ্চয়ই আরও বেশি বই প্রকাশিত হবে এবং আরও বেশি টাকার বই বিক্রি হবে।

প্রকাশিত বইয়ের ধরন থেকে জানা যায়, সবচেয়ে বেশি প্রকাশিত হয় উপন্যাস তারপরই কাব্যগ্রন্থ। পত্রিকা মাধ্যমে জানি, নতুনদের কাব্যগ্রন্থ প্রকাশে প্রকাশকদের আগ্রহ কম। কথা সাহিত্য, শিশু-কিশোর সাহিত্য এবং রান্না-বান্নার বই প্রকাশে আগ্রহ অধিক। অনুবাদ সাহিত্যেও কারও কারও আগ্রহ দেখা যায়। প্রকাশকরা যেহেতু প্রকাশনা জগতের বড় ভাই, তাই তাদের ইশারায়ই প্রকাশনার ধারা নির্ধারিত হচ্ছে। বাংলাদেশের আর সব কিছুর মতোই লেখালেখির জগৎটাও অপেশাদারভাবেই চলছে।

নতুন লেখকদের মধ্যে ভালো-মন্দ সব ধরনের লেখকই থাকে। কিন্তু সম্পাদক, প্রকাশকদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য, অবহেলা সহ্য করতে হয়নি এমন লেখক পাওয়া বিরল। এক সময় প্রকাশকদের পেছনে ঘুরতে ঘুরতে নতুন লেখকদের জুতার তলা ক্ষয় হয়ে যেত। কিন্তু আজকাল ভিন্ন চিত্রের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। নামী-দামী প্রকাশকসহ অনেক নতুন প্রকাশক নতুন লেখকদের খোঁজেন। এদের কর্মকাণ্ড শিয়ালের মুরগী ধরার মতো। নতুন লেখকদের এরা ‘মুরগী’ বলে অভিহিত করেন। নতুন লেখকদের সাথে এরা আদম ব্যবসায়ীদের মতো স্বপ্ন দেখিয়ে কথা বলে। লেখক যদি প্রবাসী হয় তাহলে তো কথাই নেই। প্রবাসী লেখকরা এসব শিয়াল প্রকাশকদের কাছে খুব পছন্দ। এরা ধরা পড়ে সহজে। টাকা-পয়সাও আছে। প্রথম কথায়ই বদÑ ‘আরে ভাই বাংলাদেশের সেরা প্রচ্ছদ দেব, ৮০ গ্রাম বসুন্ধরা কাগজ, গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড বাঁধাই, ছাপা হবে ঝকঝকে। পাণ্ডলিপি সাথে এনেছেন? আপনি বই চান কবে? কত কপি ছাপাবো? ২০০ না ৫০০? সেলিব্রেটি হয়ে গেলে তোÑ তখন আমাদের চিনবেনই না। হা হা...ভাইকে চা দে...। পান্ডুলিপি যা-ই হোক, এমনকি একটা পৃষ্ঠাও না পড়ে শুধুমাত্র নেড়ে চেড়েই বলেÑ ‘আপনার লেখা তো ভাইÑ হুমায়ূন আহমদের মতো... ইত্যাদি।’

লেখকরা স্বপ্নবিলাসী হয়। নতুন লেখকরা আরও এককাঠি সরেস...ততক্ষণে স্বপ্নের জগতে উড়তে থাকেন। সেই স্বপ্নে ঝাকি লাগে তখন, যখন আস্তে করে এক ফাঁকে বলেÑ ‘২০০ কপি ছাপাতে হাজার পঁচিশের মধ্যেই হয়ে যাবে... তা ছাড়া আপনার কাছ থেকে তো আর বেশি নিতে পারি না...।’ যাদের লেখার জোর কম তারা খুব একটা ঝাঁকি বোধ করেন না। যারা নিজের লেখা মানসম্মত মনে করেন, তাদের অহংবোধে লাগে। ভাবতে থাকেনÑ ‘আমার লেখার মান এত খারাপ? টাকা দিয়ে ছাপাতে হবে? তারা একটু বেশিই হোঁচট খান। কৌশলে প্রশ্ন করেন, ‘ভাই এই বইটি যিনি বাঁধাই করবেন, যিনি বানান সংশোধন করবেনÑ তিনিও টাকা পাবেন। অথচ আমি এত কষ্ট করে এত দিন সময় দিয়ে লিখলাম...উল্টো আমাকেই আবার টাকা দিতে হবে?’ এ ধরনের প্রশ্নের জন্য শিয়াল প্রকাশকরা প্রস্তুত হয়েই থাকেন। এক গাল হাসি দিয়ে বলবেনÑ ‘অমুক কবি, তমুক লেখক মায়ের হাতের বালা, গলার হার, কানের দুল বিক্রি করে তার প্রথম বই প্রকাশ করেছিলেন। এখন দেখেন তার অবস্থা...হি হি...।’

লেখক এক রকম দ্বিধায় পড়ে যান। স্বপ্ন-বাস্তবের অম্ল-মধুর খেলায় বেশিরভাগ লেখকই এসব শিয়াল প্রকাশকদের হাতে ধরা পড়েন।

শিয়াল প্রকাশকদের কেউ কেউ একেবারে পকেট প্রকাশক। একটা যুৎসই নাম দিয়ে সুন্দর মনোগ্রাম সংবলিত চঙচঙা বিজনেস কার্ড ছাপিয়ে পকেটে রাখেন। এদের কোনো ছাপাখানা, শো-রুম কিংবা বিক্রয়ের নেটওয়ার্ক নেই। বইমেলায় স্টল বরাদ্দ পান না। অপেক্ষাকৃত সস্তায় এরা বই প্রকাশের অফার দিয়ে থাকেন। কারও কারও শোরুম আছে। বইমেলাতে স্টলও পায়। এরা নিজেদের ভালো প্রকাশক হিসাবে দাবী করেন। তারা টাকার বিনিময়ে বই প্রকাশ করেন ঠিকই কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বইমেলার স্টলে কিংবা তাদের শোরুমে ঐসব বই পাওয়া যায় না। শিয়াল প্রকাশকরা বাই-ব্যাক পদ্ধতিতেও (লেখককে বলা হয় ৭০-৮০% দামে আপনার বই আপনি কিনে নেবেন) বই প্রকাশের জন্য লেখককে রাজী করায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে যতগুলো বই ছাপাবার কথা ততগুলো অথবা তার চেয়ে কম বই ছাপিয়ে লেখকের কাছ থেকে মৌখিক চুক্তি অনুযায়ী পুরো টাকা নেওয়া হয়। যে ধরনের আঙ্গিক বা মানের কথা বলে টাকা নেওয়া হয় তার ধারে কাছে কিছু দেখা যায় না। যা-তা মানের বাঁধাই, বানান ভুলের রেকর্ড সৃষ্টি করা হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বই প্রকাশের পর দিনই বইমেলায় বইটি পাওয়া যায় না। লেখক জিজ্ঞেস করলে বলেÑ ‘সোল্ড আউট অথবা স্টলে জায়গা নেই?’ শিয়াল প্রকাশকদের আবার এক ধরনের প্রতিনিধি আছে। তারা কেউ কেউ কোনো না কোনো লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদক, কোনো না কোনো পত্রিকার সাংবাদিক। তারা প্রকাশকদের দু-তিনটি মুরগী ধরে দিতে পারলেই নিজের বইটি প্রকাশের ব্যবস্থা হয়ে যায়। কোনো কোনো সাংবাদিক অবশ্য প্রকাশককে বুক রিভিউয়ের তকমা দিয়েও নিজের বস্তা পচা লেখা বই আকারে প্রকাশের ব্যবস্থা করেন।

অনেক লেখকের ক্ষেত্রে এই সব ফাঁদে পড়েÑ প্রথম বইয়ের প্রথম বেদনা হয়। বাই-ব্যাক পদ্ধতির শিকার লেখকেরা (নিজের বই নিজে কিনে) নিকটাত্মীয় এবং বন্ধু-বান্ধবদের দাওয়াত দিয়ে ভুঁরিভোজ করিয়ে এক গাল হাসিসহ বিনামূল্যে দিয়ে থাকেন। এমনিতেই বিনামূল্যে প্রাপ্ত কোনো কিছু মূল্যবান হয় না, তার ওপরে নিকটতমকে সহজে কেউ গুরুত্ব দিতে চায় না। তাই ঐসব লোক অন্যদের বই পড়লেও নিকটাত্মীয়ের অথবা বন্ধুর বইটি কোনো দিন খুলে দেখে না।

এই সব নানাবিধ কর্মকাণ্ডের মধ্যে প্রশ্ন হচ্ছেÑ ‘এদের মধ্যে কী কোনো ভালো লেখক নেই?’ নিশ্চয়ই আছে। আরেকটি বড় প্রশ্ন হচ্ছেÑ যে সব লেখা মানসম্মত নয়, তা বই হিসাবে প্রকাশের ক্ষেত্রে কোনো বাছবিচার নেই কেন? শুধুমাত্র টাকার জন্য এ কেমন অসুস্থ খেলা? নিজের নাম ছাপার অক্ষরে দেখতে চাওয়ার রোগ অনেকেরই থাকে। নির্বাচনের সময় এ ধরনের লোক প্রচুর দেখা যায়। এই একই ভাইরাসে আক্রান্ত আধা-লেখকরাই প্রকাশকদের শিয়াল হতে পথ দেখিয়েছে। এমন কথা কেউ বললে, পুরোপুরি অস্বীকারও করা যাবে না। তাই বইমেলা চলাকালে প্রায় প্রতি বছরই গণ্যমান্য লেখকেরা দীর্ঘশ্বাসমূলক কিছু বিবৃতি দিয়ে থাকেন। তম্মধ্যে, ‘মানসম্মত বইয়ের খুব অভাব। বাজারি লেখায় ভরা।’ খুব ভালো কথা। এত বড় বইয়ের বাজার! সেখানে ভালো বই নেই কেন? বাংলাদেশে বই প্রকাশনা মৌসুমী ফসল চাষাবাদের মত হয়ে গেল কেন? শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি মাস নির্ভর কেন? এই ব্যবস্থা অথবা অবস্থার পরিবর্তন দরকার। মানুষ তো শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি মাসেই বই পড়ে না, সারা বছরই পড়ে। সুতরাং সারা বছরই একটা সঙ্গত হারে বই প্রকাশিত হওয়া উচিৎ। শুধুমাত্র একটা বিশেষ সময়ে বই প্রকাশের কারণে একটা ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়েছে। যারা এই ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়োজিত তাদের জন্য সৃষ্টি হয়েছে মৌসুমী ব্যস্ততা এবং বেকারত্ব। বছরের আট/নয় মাস তাদের তেমন কোনো কাজ থাকে না।

অন্যদিকে, স্বল্প সময়ে অধিক উৎপাদন করতে গিয়ে লেখকরা বইয়ের গুণগত মান ঠিক রাখতে পারছেন না। আবার আঙ্গিক দিক থেকে বাঁধাই ও বানান বিভ্রাটের মত সাধারণ সমস্যাও অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে।

আরেকটি বিষয় হচ্ছে, একবার যে লেখক জনপ্রিয় হয়েছেন, তিনি যত খারাপই লিখুন না কেন তার বই প্রকাশ করতে প্রকাশকরা মরিয়া হয়ে উঠেন। পাঠকরাও চোখ বন্ধ করে ঐ লেখকের বই কিনেন। যদিও পাঠকদের কোনো দোষ দেওয়া যায় না। কারণ তারা ভালো-মন্দ জানতে পারেন না। বাংলাদেশে বইয়ের সমালোচনার ক্ষেত্রে সততা এবং পেশাদারিত্ব নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একে অপরের পিঠ চুলকো-চুলকি। সিন্ডিকেট ধরনের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। এসব প্রতিরোধ কল্পে, খারাপ বই প্রকাশের সাথে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানটির সুনাম দুর্নাম জড়িত হওয়া দরকার। যদিও ইতিমধ্যে ভালো প্রকাশনার জন্য পুরস্কার দেয়ার রীতি চালু হয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র পুরস্কারই যথেষ্ট নয়। এ বিষয়টির প্রতি লেখক, সাংবাদিকদের আরও বেশি মনোযোগী হওয়া উচিৎ। তাহলে পাঠকরা ভালো বই বেছে নিতে পারবেন। ভালো লেখক আরও বেশি মূল্যায়িত হবেন। অন্যান্য দেশে ভালো বইয়ের ক্ষেত্রে পরিচিত-অপরিচিত, প্রতিষ্ঠিত-অপ্রতিষ্ঠিত কোনো কিছুই মুখ্য নয়। একটা ভালো বইয়ের খবর প্রকাশের আগেই মিডিয়াতে আসে। পাঠকরা অগ্রিম অর্ডার দিয়ে বই কিনে। আমাদের দেশে কবে আসবে সেই দিন?

উপরের অংশ বড় ভাই শাখাওয়াত নয়নের লেখা
লেখকদের স্বার্থ সংরক্ষণের সংগঠন বাংলাদেশ রাইটার্স গিল্ড, লেখকদের বই প্রকাশ করছে। একটি অন্য ধারার প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান । এবারের বইমেলায় ১২ টি বই প্রকাশ করেছে। আপনিও আসুন, আমাদের সাথে যোগ দিতে।
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×