somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাগলের প্রলাপ

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেশটা আমাদের, আপনি চাইলেই আপনার ইচ্ছে মতো দেশ বিরুদ্ধি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। আপনি চাইলেও আমাদের মুখ বন্ধ রাখতে পারেন না।

এসব আমার মনের কথা। আমি এদের মনেই সমাধিস্থ করি প্রতিনিয়ত। আমার ভালবাসা আমার আবেগ, আমার স্বপ্নকে প্রতিনিয়ত এভাবেই মরতে দেই। কিন্তু বলতে পারিনা। আপনার অনেক লাঠি আছে। প্রায় প্রতিদিনই তাই আপনি এগুলো দেশের ভিবিন্ন জায়গায় প্রদর্শন করেন। আমরা দেখে স্তব্দ হয়ে যাই। আমরা দেখে মূক হয়ে যাই।আপনি ভাল করেই জানেন আমাদের বলার মতো কথাই আছে দু একটা, তাও বলতে দিতে চান না। যদি কখনো চেষ্টা করি। তবে লাঠির কর্মক্ষমতা আমাদের সামনে নতুন করে তুলে ধরেন। আমরা রক্ত দেখে আমাদের চোখ বন্ধ করে ফিরে আসি। ফিরে আসি আমাদের মায়ের আঁচলে।

আমি ভাল করেই জানি , সন্দেহাতিত ভাবে জানি, আপনার থাবা থেকে এ আঁচল মুক্ত নয়। এ আঁচলের শক্তি নেই আপনার পুরে যাবার হাত থেকে আমাকে রক্ষা করতে। আমি জানি বলেই মুখ খুলিনা। মুখ খুললেও শব্দ করিনা। আপনি হয়তো জানেন এই অস্ফুট শব্দ আপনাকে বিচলিত করতে পারবেনা। তবু আপনি সাবধান থাকতে চান। আপনি সাবধান থাকেন । বলা তো যায়না একজন একজন করে যদি সবাই এই অস্ফুট শব্দ করতে থাকে তার সম্মিলিত স্বর কেমন শুনাবে? আমি জানি না। আপনি হয়তো জানেন। তাই আমাদের কথা বলার শক্ত কেড়ে নেন।

আমাদের আপনি বুঝিয়ে দেন কি দরকার কথা বলার। আমরাই তো বলছি, আপনাদের জন্যই তো আমরা এত কথা বলি। না হলে আমাদের এত কথা বলার কি কোন দরকার ছিল? এই আপনাদের কথা চিন্তা করে আমরা রাতে ঘুমাতে যাইনা। আপনাদের কথা ভেবে আমরা এত চিৎকার করি।

আমরাও কিন্তু জানি, আপনি কেন এত সব করেন। আমরা কিন্তু জানি আপনি কেন জোর গলায় কথা বলেন? কিন্তু আমরা বলিনা। অথবা বলতে পারিনা। আমাদের ভেতরে এই কথা গুলো জমতে জমতে পহাড় হয়। পর্বত হয়,সাগর হয়, সমুদ্রহয়। সেখানে ঝড় হয় সাইক্লোন হয়,টর্নোডো হয়। আমরা সবই সহ্য করে যাই। আমরা ভেতরে পঁচে যাওয়া মাংস পিন্ড হই। কিন্তু বাইরে দিয়ে ফিট ফাট থাকি। ঠিক থাকি না, আপনারা রাখেন। আপনাদের অনুগ্রহেই তো আমরা বেঁচে আছি। আপনার এই অনুগ্রহের কথা আমরা কখনো ভুলিনা। ভুলতে পারিনা। আপনারা ভুলতে দিতে পারেন না। যদিও কখনো কখনো চেষ্টা করেন।

তবু এটাই সত্য দেশটা আমাদের। আপনি একে পৈত্রিক কিংবা উত্তরাধিকার সম্পত্তি মনে করে লুটতরাজ চালাতে পারেন না। আমরা আছি একটু গুহার ভেতর। গুহার যে ছোট ফাঁকাটা আছে? একমাত্র বেরুবার রাস্তা। খুবই সরু। আপনারা এখন সেই সরু রাস্তাটা আগলে রেখেছেন। একদল লাঠিয়াল নিয়ে সর্বদা প্রস্তুত থাকেন। আমরা কখনো কখনো ফুসে উঠার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এত সরু পথ দিয়ে এতদূর এত জনতা যেতে পারিনি। যে কারনেই হোক আপনারা সুবিধা অবস্থানে আছেন। এই অবস্থানের কারনেই আমরা মনে নেই আপনাদের সমস্ত কথা। তাই আপনাদের কথা মতো আপনাদের বাছাইকৃত প্রার্থিকে আমরা ভোট দেই। আমাদের দিতে হয়। সুবিধা জনক অবস্থানের কারনে আমাদের কাছ থেকে ভুট আদায় করে নেন। আমরা দিতে বাধ্য থাকি।

কিন্তু বলা তো যায়না! এই গুহার অন্য কোন পথ থাকলেও থাকতে পারে? অন্য কোন পথ তৈরি হলেও হতে পারে। কোন কারনে আমরা মুক্ত হয়েওতো যেতে পারি। তখন আপনাদের অবস্থান কোথায় যাবে? একবার ভেবে দেখুন? আপনার চারপাশে অনেক বসন্তই আসছে যাচ্ছে। আজ যারা আপনার বন্ধু আছে কালতো তারা নাও থাকতে পারে তখন কি করবেন?
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×