গত কয়েকদিনে কয়েকটি বিভৎস ও অকাল মৃত্যুতে সমস্ত দেশ বেদনায় জর্জরিত আমরা সকলেই মর্মাহত। কিন্তু আমি এখন সেটা নিয়ে কথা বলছি না, আমি কথা বলছি মানুষের ছলনা, ভ্রষ্টতা, আর আদিখ্যেতা নিয়ে।
হুমায়ুন ফরীদি গতকাল মারা গিয়েছেন। ওখানে সুবর্ণা মুস্তফাও এসেছিলেন, তবে অনেক দেরীতে। কেন এসেছিলেন? মায়া কান্না করতে? এসেছিলেন ভাল কথা কিন্তু সাথে করে ওটাকে আনার কি দরকার ছিল? অবশ্য ওটা আমার এই লেখার প্রসঙ্গ নয়।
হায় খ্যাতি, হায় ব্যক্তিত্ব! হায় সুচরিত্রের অপমৃত্যু!
বলবেন কারো ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়ে কথা বলার দরকার কি? না, দরকার ছিলনা ওরা যদি হতো বনের বন্য প্রাণী হতো। যদি তারা মনুষ্যসমাজভুক্ত না হতো।
কারন তিনি নিজগুনে বিখ্যাত, আবার নিজদোষে চরিত্রবিচ্যুত। আর বিখ্যাত বলেই আমার কথা। কারন বিখ্যাত ব্যক্তিরাই হয় সমাজের, জাতির অগ্রপথিক, যাদেরকে অনুসরণ করে অন্যরা শেখে, শিখে বড় হয়।
হ্যাঁ ভাই বোন, দয়াকরে বলবেন কি বিখ্যাত অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তফার নিকট থেকে আমরা কি কি শিখেছি?
প্রভা, চৈতির কথা মনে আছে? তারাও গোপন ভিডিও ক্যামেরায় নিজের চরিত্রকে শান দিয়েছিল। আর সুবর্ণা মুস্তফা নিজের আভিজাত্যকে, নিজের অসীম জনপ্রিয়তাকে জলাঞ্জলি দিয়ে নিজেকে কোথায় নিয়ে এসেছেন।
আমরা হুমায়ুন আহমেদের নিকট থেকে শিখেছি, আবার সুবর্ণা মুস্তফার নিকট থেকে শিখেছি। সবাই খ্যাতির শিখরে ইঠে কেন জানি নিজেদেরকে বিলিয়ে দিয়েছেন চরিত্র হারানোর অসভ্যতায়।
তারপরও তার সব দোষকে ভুলে সব গুণকে গ্রহণ করে বলি, তিন এসেছিলেন হুমায়ুন ফরীদিকে দেখতে, হয়তো মনে মনে বলে ছিলেন, “হে প্রভু আমার মায়া কান্না গ্রহণ করো , খ্যাতির আড়ালে আমার চরিত্রকে ফুল ভেবো না। দেখ আমার আদিখ্যেতায় কারো মৃত্যু খাটো হয় না।”
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১২