somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

৭+৭=১৪ টা গোলাপ

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুষ বলে ১৪-ই ফেব্রুয়ারী ভালবাসা দিবস । ছোটবেলায় আমি ভেবে পাইতামনা ভালবাসা কি তাহলে একদিনই আমার জন্য ? তোমার জন্য ? পৃথিবীর সবার জন্য ? একটু বড় হবার পর বুঝলাম এটা আসলে একটা স্বীকৃতি । আধুনিক দুনিয়ার বিলাসিতা ! ভাই যারা কাপল প্লিজ আমাকে গালি দিবেননা । আমি বড়ই নিরীহ কিন্তু এটা ঠিক আমার দোকলা থাকলে আমিও কেউ এই কথা বললে শুধু গালি না পারলে চোদ্দগুষ্টি উদ্ধার করতাম । যাইহোক ছোটবেলায় স্কুলের দিনগুলোতে অনেক রঙিন স্বপ্ন দেখতাম , দেখতাম প্রতিদিন একটা সুন্দর, সুপুরুষ ছেলে একগুচ্ছ টকটকে লাল গোলাপ হাতে স্কুলগেটে দাঁড়িয়ে আছে , তারপর পাশাপাশি হেটে আমাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবে রাস্তায় যতক্ষণ না আমি বাসায় গিয়ে ড্রেস পালটিয়ে ছাঁদে গিয়ে তাকে টাটা না দি । আমার বান্ধবীরা বলত প্রতিদিন যদি তোকে এতগুলি গোলাপ দিতে হয় ঐ ছেলের তো বাগানের মালী হওয়া লাগবে । সবাই হাসতাম আমরা কিন্তু মনে মনে সবাই আসলে এমনই একটি স্বপ্ন দেখতাম হয়ত । হয়ত কেন বলছি কারণ এই তালিকায় অতি মেধাবীরা নাই । তাদের এসব ফালতু! স্বপ্ন দেখার সময় ছিলনা । অবাক সেই স্বপ্নের দুনিয়ার আকাশে ভাসতে ভাসতে স্কুল পেরিয়ে কলেজজীবনে প্রবেশ করলাম ততদিনে পার করেছি স্বপ্নের লেভেল । কলেজ জীবনের স্বপ্নটা ছিল একটু উন্নত । তখন দেখতাম হায় প্রতিদিন সকাল ৫.৩০এর ফিজিক্‌স কোচিং আমি ৩ দিনের জাগায় ৭ দিনই করতে রাজি যদি বিশেষ! কেউ প্রতিদিন বাসার সামনে থেকে আমাকে নিয়ে দিয়ে আসত , তারপর স্যার এর ৪ চোখের আড়ালে আমাদের ৮ চোখের চোরাদৃষ্টিতে ফিজিক্‌স থেকে কেমিস্ট্রির দুনিয়ায় বিচরণ ! ও বলে নেই আগে আমার সবসময় চশমা পরা ছেলে পছন্দ ছিল । মহিলা কলেজে পড়ার সুবাদে কলেজে একদিন কি দুইদিন যেতে পারলেই অনেক গিয়েছি মনে করতাম । কি করব আমার কি দোষ ! বয়সটাই ছিল ওরকম , উড়ু উড়ু ছিলাম । তবে মনের ভিতর হাজার গোলাপ ফুল ফুটলেও বাইরে তার কোন প্রকাশ ছিলনা আমার । বড়ই আঁতেলমার্কা চেহারা বানিয়ে ঘুরতাম । আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে এই তালিকায় আমি একা না । এখনো এই বয়সী মেয়েরা এরকমই । কলেজ জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকলাম তখন মনে হোল এবার বুঝি স্বপ্নের ভেলা মাটিতে ভেঙে পড়লো । কত ভয় অজানা শঙ্কা কি হয় না হয় । এই স্টেজ টা নাকি অনেক ক্রিটিকাল ! ভাইরে আমি বুঝিনা তাল যখন মাথায় পড়ে তখন কি বয়স , পরিস্থিতি , সময় দেখে পড়ে ? জনগণের কাছে এই প্রশ্ন নাইবা করলাম । যাইহোক তাল আমার মাথায় আজো পড়েনি ! :পি । এটাকে সৌভাগ্য না দুর্ভাগ্য না মাঝামাঝিভাগ্য বলব বুঝতেছিনা । যারা কাপল তারা হয়ত বলবেন দুর্ভাগ্য , দিল্লীকা লাড্ডু খাওনাই তো বুঝবাকি ! আর যারা আমার মত তারা হয়ত বলবেন অনেক পুণ্য করেছ বাপু তাই এই ঝামেলায় পড়নি ! যে যাই বলুক আমি কিন্তু এবার একটু অন্যরকম ধারণা পোষণ করতেছি মনে মনে ! কেনজানি মনে হইতেছে এবার আমি ভালভাবেই ফেঁসে যাব ! লোল ….. :পি । কিসে যে ফাঁসব আল্লাহ্‌ই জানে । রুটিনে দেখতেছি 9 a.m-5 p.m ক্লাস , ল্যাব । বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের শেষ বছর এটি , শুরুর দিকে ভাবতাম এবার বুঝি শিকে ছিঁড়বে , পাশাপাশি হাটার চস্মিস , গোলাপফুলধারি সুদর্শনটাকে এবার নিশ্চয় পেয়ে যাব ! আফসোস এখনো আমার স্বপ্নের ভেলা আকাশেই রয়ে গেল !!!! যাইহোক আমার যা হয় হোক ভালবাসায় সুভাষিত সকল ভালবাসার পথিকদের জন্য আমার পক্ষ থেকে ১৪ টি টকটকে লাল গোলাপের শুভেচ্ছা । দুজন মিলে ৭ টা করে ভাগ করে নিবেন কিন্তু !! :পি

উদাসী মেয়ে
ফেসবুক থেকে দেখার লিঙ্‌ক

Click This Link
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পথ হারিয়ে-খুঁজে ফিরি

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৩


মনটা ভালো নেই। কার সাথে কথা বলবো বুঝে পাচ্ছি না। বন্ধু সার্কেল কেও বিদেশে আবার কেও বা চাকুরির সুবাদে অনেক দুরে। ছাত্র থাকা কালে মন খারাপ বা সমস্যায় পড়লে... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রজাতির শেষ জীবিত প্রাণ !

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫১



বিবিসির একটা খবর চোখে এল সেদিন । উত্তরাঞ্চলীয় সাদা গন্ডার প্রজাতির শেষ পুরুষ গন্ডারটি মারা গেছে । তার নাম ছিল সুদান । মৃত্যুর সময় তার বয়স ৪৫। বিবিসির সংবাদটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মধ্যে সে একজন ।।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯



আপনারা কতজন Umma Kulsum Popi চেনেন, আমি ঠিক জানি না। আমার পর্যবেক্ষণ মতে, বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের একজন হলেন উনি। যদি বলি দেশের সেরা পাঁচজন কনটেন্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিস অস্বীকার করে রাসূলের (সা.) আনুগত্য সম্ভব

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×