somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিমন্ত্রণ

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একদিন একটি সারস ও একটি শিয়ালের মধ্যে রাস্তায় যেতে যেতে দেখা হলো। এরপর একসঙ্গে পথ চলতে চলতে তাদের মধ্যে একটা বন্ধুত্ব হয়ে গেল। বিদায়ের সময় শিয়াল সারসকে সেদিন তার বাসায় রাতে খাওয়ার নিমন্ত্রণ জানাল। যথাসময়ে সারস শিয়ালের বাড়িতে উপস্থিত হলো। শিয়াল মজা করে সারসের সামনে একটা বিশাল চওড়া থালায় কিছু স্যুপের ব্যবস্থা করল। সারসের তো লম্বা ঠোঁট! এই ঠোঁট দিয়ে তো এমন একটি চওড়া থালার স্যুপ খাওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তবু সে কয়েকবার থালার মধ্যে ঠোকর দিয়ে ব্যর্থ চেষ্টা করল। অন্যদিকে এই থালায় শিয়াল খুব সহজেই স্যুপটুকু চেটে চেটে খেল। শিয়াল বলল, ‘আমি দুঃখিত, বন্ধু। এই স্যুপ আসলে তুমি খেতে পারবে না।’ সারস বুঝতে পারল, শিয়াল তাকে দাওয়াত দিয়ে বোকা বানিয়েছে। সারস বলল, ‘দুঃখিত হওয়ার কিছু নেই, বন্ধু।’ এরপর যাওয়ার সময় সারসও শিয়ালকে একদিন রাতে তার বাড়িতে খাওয়ার নিমন্ত্রণ জানিয়ে গেল।

নির্ধারিত দিনে শিয়ালও নিমন্ত্রণ রক্ষার জন্য সারসের বাড়িতে হাজির হলো। গল্পগুজব শেষ করে খাওয়ার টেবিলে বসে শিয়াল লক্ষ করল, তার জন্য সারস একটা চিকন মুখওয়ালা লম্বা সরু গলার কলসির ব্যবস্থা করেছে, যার ভেতর রাখা খাবার শুধু সারসের পক্ষেই খাওয়া সম্ভব। কারণ, শিয়ালের মুখ ওই কলসির ভেতর ঢুকবে না। শিয়াল তবু কলসির বাইরে কয়েকবার চেটেচুটে খাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করল। সারস তখন শিয়ালকে বলল, ‘বন্ধু, আমি আসলে এর জন্য একটুও দুঃখ প্রকাশ করছি না।’ শিয়াল তখন বুঝতে পারল, সারস সেদিনের প্রতিশোধ নিয়েছে।
ঈশপের শিক্ষা: ইটটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়।
বর্তমান সময়ে আমরা যা শিখলাম: কেউ দাওয়াত দেওয়ার পর যদি এ রকম কিছু ঘটার সম্ভাবনা না-ও থাকে, তবুও দাওয়াতে না যাওয়াই ভালো। শুধু একটা পাল্টা দাওয়াত দিলেই হবে, আফটার অল ফরমালিটি তো রক্ষা হলো!
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

---অভিনন্দন চট্টগ্রামের বাবর আলী পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী---

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫





পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

রোববার বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×