নোনা ধরা দেয়ালটা বড্ড স্যাঁতস্যাঁতে, বহুদিন হাতের স্পর্শ না পাওয়া জানলাটার কপাটে ঘুন ধরে গ্যাছে। আমি খুলতে গিয়েও পারছি না, সাহস পাচ্ছি না; যদি জানালাটাই খুলে আসে! দেয়ালটাও মুছতে গিয়েও থেমে গেলাম, যদি বহুদিনের পুরনো রঙ উঠে আসে!
এই ঘরটায় আমি থাকি বহুদিন ধরে...
আসলে আমি না, এই ঘরের ভেতরটায় থাকে আমার মনের ভেতরটা। ঘুনে ধরে গ্যাছে। হাত দিয়ে ভেতরটা সবে মুছতে শুরু করেছি, অমনি উঠে এলো রক্ত-চামড়া, মানুষের মন বলে কথা; ঘরের স্যাঁতস্যাঁতে দেয়াল বা ঘুনে ধরা জানালার কপাটতো আর না, যে বদলে নেবো!
আমার চোখের সামনে এখন দগদগে লাল-হলুদের খেলা। হাতড়ে খুজে নিলাম একটা কাপড়, আলতো করে সরিয়ে নেবো উঠে আসা চামড়া, মুছে নেবো রক্ত-- উঠে এলো আরও খানিকটা। তীব্র যন্ত্রনায় "মা!" বলে উঠতে গিয়েই দেখি জং ধরে গ্যাছে কণ্ঠনালীতে।
ওদিকে বাইরে থেকে শৈশব আমায় ডাকছে, ভেসে আসছে কৈশোর-তারুণ্য-যেৌবনের কোরাস কণ্ঠের আহবান!!!
আমি সারা ঘরময় হাতড়ে বেড়াচ্ছি। আবছা আলোয় লাল-হলুদ রক্ত-চামড়া ছাড়া কিছুই আর চোখে পড়ছে না।
কেননা, এই ঘরটার কোনো দরজা নেই!
আমি বাইরে বেরুতে চাই !!!