somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আবু হামিদ মোহাম্মদ ইবনে মোহাম্মদ আল-গাজ্জালি (১০৫৮ - ১১১১) (ফারসি: ابو حامد محمد ابن محمد الغزالی) বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অনেক অঞ্চলেই ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) হিসেবে বেশি পরিচিত, মুসলিম বিশ্বের অন্যতম শিক্ষাবিদ ইমাম আল-গাজ্জালির ১০৫৮ সালে ইরানের খোরাসানের তুশ নগরীতে জন্মগ্রহণ এবং মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর পিতার নামটিও ছিল তাঁর নামের অনুরূপ, মুহাম্মদ। মুহাম্মদের পিতা অর্থাৎ ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)-এর দাদার নাম ছিল আহমদ। তাঁর পিতা মুহাম্মদ তখনকার সময়ে একজন স্বনামধন্য সূতা ব্যাবসায়ী ছিলেন। গাজল অর্থ সূতা, নামকরনের এই সামঞ্জস্যতা তাই তাঁর বংশকে গাজ্জালী নামে পরিচিত করেছে। আবার কারো মতে তিনি হরিণের চক্ষু বিশিষ্ট অপরূপ সুদর্শন ছিলেন, আর গাজাল অর্থ হরিণ, তাই পিতা মাতা তাঁকে শৈশবে আদর করে গাজ্জালী বলে ডাকতেন। উভয় বর্ণনানুসারে তাঁকে গাজ্জালী বা গাজালীও বলা হয়। তিনি সে সময়ে ইরানের শিক্ষা নিয়ে বেশ কিছু কাজ করেন। জ্ঞান অন্বেষণের জন্য তিনি দেশভ্রমণেও বেরিয়েছিলেন। ১১১১ সালে তিনি মারা যান।

আয়ুষ্কাল
ইরানের খোরাসান প্রদেশের অন্তর্গত তুস নগরীতে ১০৫৮ খ্রিস্টাব মোতাবেক ৪৫০ হিজরি সনে হুজ্জাতুল ইসলাম আবু হামেদ মোহাম্মাদ আল-গাজালী (রহ.) জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মোহাম্মাদ আল-গাজ্জালী। গাজ্জাল শব্দের আভিধানিক অর্থ সুতা কাটা । কারও মতে ইমাম গাজ্জালীর বংশের লোকেরা সম্ভবত সুতার ব্যবসা করতেন, তাই তাদের বংশ উপাধি গাজ্জালী নামে পরিচিত। এই মহামনীষী খ্রিস্টাব্দ ১১১১ সনের ডিসেম্বর মাস মোতাবেক ৫০৫ হিজরি সনে নিজ জন্মভূমি তুস নগরীতে সুস্থ অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ইতিহাস থেকে জানা যায়, মৃত্যুর দিন ভোর বেলায় তিনি ফজরের নামাজ আদায় করেন এবং নিজ হাতে কাফনের কাপড় পরিধান করেন এবং শুয়ে পড়েন। এভাবেই এই নশ্বর পৃথীবি থেকে বিদায় নেন এই মহান দার্শনিক। ইরানের অমর কবি ফেরদৌসীর সমাধির পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।

শৈশব, কৈশর ও শিক্ষাদিক্ষা
ছোট বেলায়ই তিনি তার বাবাকে হারান। তার শিক্ষা জীবন ও বাল্যকাল কাটে তুস নগরীতে। ইমাম আল গাজ্জালি (রহ•) তৎকালীন যুগের শ্রেষ্ঠতম ধর্মতত্ত্ববিদ আলেম ইমামুল হারামাইন আল জুয়াইনির কাছে কয়েক বছর অতিবাহিত করেন। পঞ্চম শতকের মধ্যভাগে এমন এক পরিস্থিতিতে ইমাম গাজ্জালী জন্মগ্রহণ করেন যখন পাশ্চাত্য ও গ্রিক দর্শণের বিস্তার লাভ করে ছিল।সে যুগে যে শিক্ষা পার্থিব উন্নতির বাহন হতে পারতো, প্রথমতঃসেই ধরনের শিক্ষা তিনি লাভ করেন। বাজারে যেসব বিদ্যার চাহিদা ছিল, তাতেও তিনি পারদর্শিতা অর্জন করেন। অতঃপর এ বস্তুকে নিয়ে তিনি ঠিক সেখানেই পৌঁছেন সেখানকার জন্যে এটি তৈরি হয়েছিল এবং তৎকালে একজন আলেম যতদূর উন্নতির কল্পনা করতে পারতেন, ততদূর তিনি পৌঁছে যান।

কর্মজীবন
তিনি পরিণত বয়সে ৪৮৪ হিজরিতে বাগদাদ গমন করেন। বাগদাদে তত্কালীন সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ নিযামিয়া মাদ্রাসায় তিনি অধ্যাপনায় যোগ দেন। মুসলিম দর্শন, ফিকাহ, ইলমুল কালাম (ধর্মতত্ত্ব) বিষয়ে তিনি সর্বকালের প্রাতঃস্মরণীয় মনীষীদের একজন। ইমাম গাজ্জালীর আধ্যাত্মিক জ্ঞানের প্রতি ছিল অগাধ তৃষ্ণা। নিযামিয়া মাদ্রাসার অধ্যাপনা তার এই জ্ঞান পিপাসা নিবারণ করতে পারেনি। তাই অল্প সময়ের মধ্যে নিযামিয়া মাদ্রাসার অধ্যাপনা ছেড়ে সৃষ্টি রহস্যের সন্ধানে তিনি পথে বেরিয়ে পড়েন। প্রায় দশ বছর তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল সফর করে অবশেষে আবার তিনি বাগদাদে তিনি তৎকালীন দুনিয়ার বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় বাগদাদের নেজামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রেকটর নিযুক্ত হন। নেজামুল মুলক তুসী মালিক শাহ সালজুকী ও বাগদাদের খলিফার দরবারে যোগ্য আসন লাভ করেন। সমকালীন রাজনীতিতে এত বেশী প্রভাব বিস্তার করেন যে, সালজুকী শাসক ও আব্বাসীয় খলিফার মধ্যে সৃষ্ট মতবিরোধ দুর করার জন্যে তাঁর খেদমত হাসিল করা হতো। পার্থিব উন্নতির এই পর্যায়ে উপনিত হবার পর অকস্মাৎতাঁর জীবনে বিপ্লব আসে। নিজের যুগের তত্ত্বগত নৈতিক ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও তমুদ্দুনিক জীবনধারাকে যত গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন, ততই তাঁর মধ্যে বিদ্রোহের আগুন জ্বলতে থাকে এবং ততই বিবেক তারস্বরে শুরু করে যে, এই পুঁতিগন্ধময় সমুদ্রে সন্তরণ করা তোমার কাজ নয়, তোমার কাজ অন্য কিছু। অবশেষে সমস্ত রাজকীয় মর্যাদা, লাভ , মুনাফা, ও মর্যদাপূর্ণ কার্যসমূহেকে ঘৃণাভাবে দূরে নিক্ষেপ করেন। কেননা এগুলোই তার পায়ে শিকল পরিয়ে দিয়েছিল। অতঃপর ফকির বেশে দেশ পর্যটনে বেরিয়ে পড়েন। বনে-জংগলে ও নির্জন স্থানে বসে নিরিবিলিতে চিন্তায় নিমগ্ন হন। বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মুসলমানদের সংগে মেলামেশা করে তাদের জীবনধারা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন।দীর্ঘকাল মোজাহাদা ও সাধনার মাধ্যমে নিজের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করতে থাকেন। ৩৮ বছর বয়সে বের হয়ে পূর্ণ দশ বছর পর ৪৮বছর বয়সে ফিরে আসেন। ওই দীর্ঘকালীন চিন্তা ও পর্যবেক্ষণের পর তিনি যে কার্য সম্পাদন করেন তা হলো এই যে, বাদশাহদের সংগে সম্পর্কেচ্ছেদ করেন। এবং তাদের মাসোহারা গ্রহণ করা বন্ধ করেন। বিবাদ ও বিদ্বেষ থেকে দূরে থাকার জন্যে শপথ করেন। সারকারী প্রভাবাধীনে পরিচালিত শিক্ষায়তনসমূহে কাজ করতে অসম্মতি জ্ঞাপন করেন এবং তুসে নিজের একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান কায়েম করেন। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি নির্বাচিত ব্যক্তিদের বিশেষ পদ্ধতিতে তালিম দিয়ে তৈরি করতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু সম্ভবতঃ তাঁর এ প্রচেষ্টা কোনো বিরাট বৈপ্লবিক কার্য সম্পাদন করতে সক্ষম হয়নি, কেননা এ পদ্ধতিতে কাজ করার জন্যে তাঁর আয়ু তাঁকে পাঁচ ছয় বছরের বেশী অবকাশ দেয়নি।

সামাজিক জীবন সংস্কারমূলক কাজ:
এক. গ্রিক দর্শন গভীরভাবে অধ্যায়ন করার পর তিনি তার সমালোচানা করেন এবং জবরদস্ত সমালোচানা করেন যে, তার যে শ্রেষ্ঠত্ব ও শক্তিমত্তা মুসলমানদেরকে আচ্ছন্ন করে ফেলেছিল, তা হ্রাসপ্রাপ্ত হয় এবং লোকেরা যে সমস্ত মতবাদকে চরম সত্য বলে মেনে নিয়েছিল , কোরআন ও হাদীসের শিক্ষাসমূহকে যার ফলে ছাঁচে ঢালাই করা ছাড়া দ্বীনের উদ্ধারের আর কোন উপায় পরিদৃষ্ট হচ্ছিল না, তার আসল চেহারা অনেকাংশে জনগণের সম্মুখে উম্মক্ত হয়ে যায়।ইমামের এই সমালোচানার প্রভাব শুধু মুসলমান দেশসমূহেই সীমাদ্ধ থাকেনি বরং ইউরোপে উপনীত হয় এবং সেখানে গ্রিক দর্শনের কর্তৃত্ব খতম করার এবং আধুনিক সমালোচনা ও গবেষণা যুগের দ্বারোদঘাটন করার ব্যাপারে অংশগ্রহণ করে। দুই. ন্যায় শাস্ত্র গভীর জ্ঞান না রাখার কারণে ইসলামের সমর্থকগণ দার্শনিক ও মুতাকাল্লিমদের মোকাবিলায় যেসব ভুল করছিল তিনি সেগুলো সংশোধন করেন। পরবর্তীকালে ইউরোপের পাদ্রিরা যে ভুল করেছিল ইসলামের এই সমর্থকরা ঠিক সেই পর্যায়ে ভূল করে চলছিল। অর্থাৎ ধর্মীয় আকিদা-বিশ্বাসের যুক্তি প্রমাণকে কতক সুস্পষ্ট অযৌক্তিক বিষয়াবলীর ওপর নির্ভরশীল মনে করে অযথা সেগুলোকে মূলনীতি হিসেবে গণ্য করা,অতঃপর ঐ মনগড়া মূলনীতিগুলোকেও ধর্মীয় আকিদা-বিশ্বাসের মধ্যে শামুল করে যারা সেগুলো অস্বীকার করে তাদেরকে কাফের গণ্য করা আর যে সমস্ত দলিল প্রমান অভিজ্ঞতা বা পর্যবেক্ষণের সাহায্যে মনগড়া ঐ নীতিগুলোর গলদ প্রমাণিত হয়, সেগুলোকে ধর্মের জন্যে বিপদস্বরুপ মনে করা। এ জিনিসটিই ইউরোপকে নাস্তিক্যবাদের দিকে ঠেলে দিয়েছে। মুসলিম দেশ সমুহে এ জিনিসটিই বিপুল বিক্রমে কাজ করে যাচ্ছিল এবং জনগণের মধ্যে অবিশ্বাস সৃষ্টি করছিল। কিন্তু ইমাম গাজ্জালী যথাসময়ে এর সংশোধন করেন। তিনি মুসলমানদেরকে জানান যে, অযৌক্তিক বিষয়সমুহের ওপর তোমাদের ধর্মীয় আকিদা-বিশ্বাসের প্রমাণ নির্ভরশীল নয় বরং এর পেছনে উপযুক্ত প্রমাণ আছে। কাজেই ঐ গুলোর ওপর জোর দেয়া অর্থহীন। তিন. তিনি ইসলামের আকিদা-বিশ্বাস ও মুলনীতিসমূহের এমন যুক্তিসম্মত ব্যাখ্যা পেশ করেন যে, তাঁর বিরুদ্ধে কমপক্ষে সে যুগে এবং তার পরবর্তী কয়েক যুগ পর্যন্ত ন্যায়শাস্ত্র ভিত্তিক কোনো কোনো প্রকার আপত্তি উত্থাপিত হতে পারতো না। এই সংগে তিনি শরিয়তের নির্দেশাবলী এবং ইবাদতের গূঢ় রহস্য ও যৌক্তিকতাও বর্ণনা করেন এবং এমন একটি চিত্র পেশ করেন যার ফলে ইসলাম যুক্তি ও বুদ্ধির পরীক্ষার বোঝা বহন করতে পারবে না বলে যে ভুল ধারণা মানুষের মনে স্থানলাভ করেছিল, তা বিদূরিত হয়। চার. তিনি সমকালীন সকল মযহাবী ফেরকা এবং তাদের মতবিরোধ পূর্ণরূপে পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করে ইসলাম ও কুফরের পৃথক পৃথক সীমারেখা নির্ধারণ করেন এবং কোন সীমারেখার মধ্যে মানুষের জন্যে মত প্রকাশ ও ব্যাখ্যা করার স্বাধীনতা আছে, কোন সীমারেখা অতিক্রম করার অর্থ ইসলাম থেকে বের হয়ে যাওয়া ইসলামের আসল আকিদা বিশ্বাস কি কি এবং কোন কোন জিনিসকে অনর্থন ইসলামী আকিদার মধ্যে শামিল করা হয়েছে তা বিবৃত করেন। তাঁর এই পর্যালোচনার ফলে পরস্পর বিবদমান ও পরস্পর কাফের আখ্যাদানকারী ফেরকাসমুগের সুড়ঙ্গের মধ্য হতে অনেক বারুদ বের হয়ে যায় এবং মুসলমানদের দৃষ্টিভংগীতে ব্যাপকতা সৃষ্টি হয়। পাঁচ. তিনি দ্বীনের জ্ঞানকে সঞ্জীবিত ও সতেজ করেন।চেতনাবিহীন ধার্মিকতাকে অর্থহীন গণ্য করেন। অন্ধ অনুসৃতির কঠোর বিরোধাতা করেন। জনগণকে পুনর্বার খোদার কিতান ও রসূলের সুন্নতের উৎস ধারার দিকে আকৃষ্ট করেন। ইজতিহাদের প্রাণশক্তিকে সঞ্জীবিত করার চেষ্টা করেন। এবং নিজের যুগের প্রায় প্রত্যেকটি দলের ভ্রান্তি ও দূর্বলতার সমালোচনা করে তাদেরকে ব্যাপকভাবে সংশোধনের আহবান জানান। ছয়. তিনি পুরাতন জরাজীর্ন শিক্ষা ব্যবস্থার সমালোচনা করেন এবং একটি নয়া শিক্ষা ব্যবস্থার পরিকল্পনা পেশ করেন। সে সময় পর্যন্ত মুসলমানদের মধ্যে যে শিক্ষা ব্যবস্থার প্রচলন ছিল, তার মধ্যে দুই ধরনের ত্রুটি পরিলক্ষিত হচ্ছিল। প্রথমটি হলো এই যে, দ্বীন ও দুনিয়ার শিক্ষাব্যস্থা পৃথক ছিল। এর ফলস্বরূপ দ্বীন ও দুনিয়ার মধ্যে পৃথকীকরণ দেখা দেয়। ইসলাম এটিকে মূলতঃভ্রান্ত মনে করে।দ্বিতীয়টি এই যে, শরিয়তের জ্ঞান হিসাবে এমন অনেক বিষয় পাঠ্য তালিকাভুক্ত ছিল, যা শরিয়তের দৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ন ছিল না। এর ফলে দ্বীন সম্পর্কে জনগনের ধারণা ভ্রান্তিতে পরিপূর্ন হয়ে যায় এবং কতিপয় অপ্রয়োজনীয় বিষয় গুরুত্ব অর্জন করার কারণে ফিরকাগত বিরোধ শুরু হয়। ইমাম গাজ্জালী (র) এই গলদগুলো দূর করে একটি সুসামঞ্জস্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁর সমকালীন লোকেরা তাঁর এই মহান কর্মকাণ্ডের ঘোর বিরোধিতা করে। কিন্তু অবশেষে সকল মুসলিম দেশে এ নীতি স্বীকৃতি লাভ করে এবংপরবর্তীকালে যতগুলো শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় তার সবগুলোই ইমাম নির্ধারিত পথেই প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানকাল পর্যন্ত আরবি মাদ্রাসাসমুহের কারীকুলামে যে সমস্ত ব্ই শামিল আছে, তার প্রাথমিক নকসা ইমাম গজ্জালী (র) তৈরি করেন। সাত. তিনি জনসাধারণের নৈতিক চরিত্র পূর্ণরূপে পর্যালোচনা করেন। উলামা,মাশায়েখ,আমির-ওমরাহ,বাদশাহ ও জনসাধাণের প্রত্যেকের জীবন প্রণালী অধ্যয়নের সুযোগ তিনি পান। নিজে পরিভ্রমণ করে প্রাচ্য জগতের একটি অংশের অবস্থা প্রত্যক্ষ করেন। তাঁর এহইয়া -উল-উলুম কিতাবটিএই অধ্যায়নের ফল।এ কিতাবে তিনি মুসলমানদের প্রত্যেকটি শ্রেণীর নৈতিক অবস্থার সমালোচনা করেন, প্রত্যেকটি দুষ্কৃতির মূল এবং তার মনস্তাত্ত্বিক ও তমুদ্দুনিক কারণসমুহ অনুসন্ধান করেন এবং ইসলামের নির্ভুল ও সত্যিকার নৈতিক মানদণ্ড পেশ করার চেষ্টা করেন। আট. তিনি সমকালীন রাষ্ট্রব্যবস্থারও অবাধ সমালোচনা করেন্ সমকালীন শাসক গোষ্ঠিকেও সরাসরি সংশোধনের দিকে আকৃষ্ট করতে থাকেন এবং এই সংগে জনগণের মধ্যেও জূলুম-নির্যাতনের সম্মুখে স্বেচ্ছায় নত না হয়ে অবাধ সমালোচনা করার প্রেরণা সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা চালাতে থাকেন।এহইয়া-উল-উলুম এর একস্থানে লেখেনঃআমাদের জামানার সুলতানদের সমস্ত বা অধিকাংশ ধন-সম্পদ হারাম। আর একস্থানে লেখেন এই সুলতানদের নিজেদের চেহারা অন্যকে না দেখানো উচিত এবং অন্যদের চেহারা না দেখা উচিত।এদের জুলুমকে ঘৃণা করা এদের অস্তিত্বকে পছন্দ না করা, এদের সংগে কোন প্রকার সম্পর্ক না রাখা এবং এদের সংগে সম্পর্কিত ব্যক্তিদের থেকেও দূরে অবন্থান করা প্রত্যেক ব্যক্তির জন্যে অপরিহার্য। অপর একস্থানে দরবারে প্রচলিত আদব -কায়দা ও বাদশাহ পুজার সমালোচনা করেন বাদশাহ ও আমির -ওমরাহর অনুসৃত সামাজিক রীতিনীতির নিন্দা করেন, এমনকি তাদের দালান কোঠা পোশাক-পরিচ্ছদ গৃহের সাজসরঞ্জাম সব কিছুকেই নাপাক গণ্য করেন। শুধু এখানেই ক্ষান্ত হননি বরং তিনি নিজের যুগের বাদশাহদের নিকট একটি বিস্তারিত পত্র লেখেন। পত্রের মাধ্যমে তাঁকে ইসলাম প্রবর্তিত রাষ্ট্র পদ্ধতির দিকে আহবান জানান , শাসকের দায়িত্ব বুঝান এবং তাঁকে জানান যে, তাঁর দেশে যে জুলুম হচ্ছে তা তিনি নিজেই করেন বা তাঁর অধীনস্থ কর্মচারীরা করেন,সবকিছুর জন্যে তিনিই দায়ী। একবার বাধ্য হয়ে রাজ দরবারে যেতে হয় তখন আলোচনা প্রসংগে বাদশাহর মুখের ওপর বলেনঃ “স্বর্ণ অলংকারের ভারে তোমার ঘোড়ার পিঠ ভাঙেনি তো কি হয়েছে, অনাহারে -অর্ধহারে মুসলমানদের পিঠতো ভেঙে গিয়েছে”। তাঁর শেষ যুগে যে সকল উজির নিযুক্ত হন তাদের প্রায় সবার নিকট তিনি পত্র লেখেন এবং জনগনের দুরবস্থার প্রতি তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জনৈক উজিরকে লেখেনঃ “জুলুম সীমা অতিক্রম করেছে। যেহেতু আমাকে স্বচক্ষে এসব দর্শন করতে হতো তাই নির্লজ্জ ও নির্দয় জালেমদের কীর্তিকলাপ প্রত্যক্ষ না করার জন্যে প্রায় এক বছর থেকে আমি তুসের আবাস উঠিয়ে নিয়েছি”। ইবনে খালদুনের বর্ণনা মতে এতদূর জানা যায় যে, তিনি পৃথিবীর যে কোনো এলাকাতেই হোক না কেন নির্ভেজাল ইসলামী নীতি ও আদর্র্শের ভিত্তিতে একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশা করতেন। কাজেই তাঁর ইংগিতেই দুর প্রতীচ্যে (আফ্রিকায়)তাঁর জনৈক ছাত্র, মুওয়াহিদ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু ইমাম গাজ্জালীর কর্মকাণ্ডে এই রাজনৈতিক রূপ ও রং নেহাতই গৌণ ছিল। রাজনৈতিক বিপ্লব সাধনের জন্যে তিনি কোনো নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন চালাননি এবং রাষ্ট্র ব্যবস্থার ওপর সামান্যতম প্রভাব ও বিস্তার করতে সক্ষম হননি। তাঁর পরবর্তীকালে জাহেলীয়াতের কর্তৃত্বাধীনে মুসলিম জাতিসমূহের অবস্থা উত্তরোত্তর অবনতির দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এমনকি এক শতাব্দির পর তাতারীরা তুফানের ন্যায় মুসলিম দেশসমুহের ওপর দিয়ে ছুটে চলে এবং তাদের সমগ্র তমুদ্দুনকে বিধ্বস্ত করে দেয় । সাফল্য: ইমাম গাজ্জালীর সাফল্য ও শ্রেষ্ঠত্বের পেছনে দুটি কারণ রয়েছে, যথা-
১• গ্রিক দর্শনের সঙ্গে ইসলামের ঘোর মোকাবেলার দিনে তিনিই ছিলেন মুসলমানদের কর্ণধার। আর এ সংগ্রামে ইসলামী ধর্মশাস্ত্র বিজয়ী হয়েছিল।
২• শরিয়ত ও মারেফাতকে পরস্পরের সান্নিধ্যে এনেছিলেন। তিনি সুফিবাদের পরিপূর্ণতা দান করেন। তার গ্রন্থের অসংখ্য বাণী আমাদের মনকে নাড়া দেয়। নিম্নে কয়েকটি উল্লেখ করা হল। যথা- ক• তিনটি বস্তু মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। ‘লোভ, হিংসা ও অহংকার।’ খ• তিনটি অভ্যাস মানুষের জন্য সর্বমুখী কল্যাণ ডেকে আনে। আল্লাহর ইচ্ছার প্রতি সন্তুষ্ট থাকা, বিপদের সময় দু’হাত তুলে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া এবং যে কোন সংকটে ধৈর্য ধারণ করা। গ• মানবজীবনের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হচ্ছে তার ‘মন এবং জবানকে’ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে সমর্থ হওয়া। ঘ• দুই ধরনের লোক কখনও তৃপ্ত হতে পারে না- জ্ঞানের অম্বেষী এবং সম্পদের লোভী। ঙ• আয়নায় নিজের চেহারা দেখ, যদি সুদর্শন হও তবে পাপের কালিমা লেপন করে ওকে কুৎসিত করো না! আর যদি কালো-কুশ্রী হয়ে থাক, তবে ওকে পাপ-পঙ্কিলতা মেখে আরও বীভৎস করে তুলো না। চ• আল্লাহর প্রত্যেকটি ফয়সালাই ন্যায়বিচারের ওপর ভিত্তিশীল। সুতরাং কোন অবস্থাতেই অভিযোগের ভাষা যেন তোমার মুখে উচ্চারিত না হয়। ছ• ক্রোধ মনুষ্যত্বের আলোকশিখা নির্বাপিত করে দেয়। জ• শক্ত কথায় রেশমের মতো নরম অন্তরও পাথরের মতো শক্ত হয়ে যায়। ঝ• সাফল্যের অপর নামই অধ্যবসায়। ইমাম গাজ্জালি (রহ•) ইসলামকে মধ্যযুগীয় অনৈসলামিক দার্শনিক চিন্তাধারার পঙ্গুকারী প্রভাব থেকে মুক্ত করে পবিত্র কোরআন-হাদিসের শিক্ষায় মুসলমানদের ফিরিয়ে আনেন। তাই তার এই অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য তাকে ‘হুজ্জাতুল ইসলাম’ বা ‘ইসলামের রক্ষক’ বলা হয়ে থাকে। প্রকাশনা: ইমাম গাজ্জালি (রহ•) চারশ’র ও অধিক গ্রন্থ রচনা করেন। তার অধিকাংশ বইগুলোতে ধর্মতত্ব, দর্শণ ও সুফিবাদ আলোচনা করেছেন। তার কয়েকটি প্রসিদ্ধ গ্রন্থের নাম উল্লেখ করা হলঃ ১• এহইয়া উলুমুদ্দীন ২• তাহাফাতুল ফালাসিফা ৩• কিমিয়ায়ে সা’আদাত ৪• হাকিকাতুর রুহু ৫• দাকায়েকুল আখবার ৬• আসমাউল হুসনা ৭• ফাতাওয়া ৮. মিশকাতুল আনোয়ার ৯. বিদায়াহ ওয়া হিদায়াহ ১০. আসরার আল মোয়ামেলাতুদ্দিন ১১. মিআর আল ইলম ১২. মুনক্বীয ইত্যাদি।

জীবন দর্শণ
ইমাম আল গাজ্জালি ছিলেন মুসলিম বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দার্শনিক। তার চিন্তাধারাকে মুসলিম ধর্মতত্ত্বের বিবর্তন বলে ধরা হয়। ফালাসিফা বা দার্শনিকদের বিরুদ্ধে তিনি বলেন- দার্শনিক মতবাদ কখনও ধর্মীয় চিন্তার ভিত্তি হতে পারে না। প্রয়োজনীয় সত্য সম্পর্কে শুধু ওহির জ্ঞান পাওয়া সম্ভব। তিনি সমকালীন দার্শনিকদের দর্শন-চিন্তার অপূর্ণতা দেখতে পান এবং তাদের সমালোচনা করেন। তাহাফাতুল ফালাসিফা গ্রন্থে তিনি দার্শনিকদের চিন্তার শূন্যতা প্রমাণ করেন।

শেষ কথা
গাজ্জালী একাধারে মোল্লা ও সুফী হওয়ার সুবাদে তাকে একের ভিতর দুই টাইটেল দেয়াটা ভুল কিছু হবে না। মুসলিম জাহানে হুজ্জাতুল ইসলাম ‘ইমাম’ মুহাম্মদ আবু হামিদ গাজ্জালীর মতো মনীষি আর দ্বিতীয়টি নেই। তিনি ‘দরসে নিজামী’ র রুপকার এবং বিশেষ করে “এহইয়াউল উলুমদ্দিন” ও ‘কিমিয়ায়ে সাদাত’ বই দুইটির লেখক হবার সুবাদে আজো মুসলমানরা তার নাম ভক্তিভরে স্মরন করে থাকে। আমাদের এক ইসলামি ওয়েব সাইটের উদ্ধৃতি-
হযরত ইমাম গাজ্জালী (রহ:) যখন “এহইয়াউল উলুমদ্দিন” গ্রন্হটি লিখেছিলেন তখন এ প্রবাদ বাক্যটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল “পৃথিবীর সমস্ত বই যদি ধ্বংশ হয়ে যায় , একমাত্র “এহইয়াউল উলুমদ্দিন” পৃথিবীকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে” ।
(নোটঃ আমরা বাচ্চাদের সোনা, মণি ইত্যাদি বলি, তাতে তারা না ‘মেটাল’ হয় না ‘অলীক বস্তু’ হয়। মানুষের বাচ্চাদের এরকম বলার কারণে সেটির সমালোচনা এখনো সাহিত্যে চোখে পড়েনি। ইমাম গাজ্জালীর সমালোচনা করার জন্য নামহীন একটি ইসলামি (?) ওয়েব সাইটের উল্লেখ অপ্রয়োজনীয়।)
এখানে আমি প্রধানত দেখাতে চেষ্টা করব “এহইয়াউল উলুমদ্দিন” বই থেকে কিছু জ্ঞানের অংশ। “এহইয়াউল উলুমদ্দিন” বা ‘জ্ঞানের পুনর্জাগরন’ বইটি যত পড়া যাবে, ততই জ্ঞানের পুনর্জাগরন না হয়ে সাধারন জ্ঞানের(Common Sense) অপমৃত্যু ঘটবে বলেই মনে হয়। গাজ্জালী সেই সকল মোল্লা ও সুফীদের একজন , যারা কোরানকে পরিত্যাগ করে কোরান বহির্ভূত জ্ঞানকেই গুরুত্ব দিয়েছেন। তার বই “এহইয়াউল উলুমদ্দিন” বইথেকে এর উদাহরন দেয়ার আগে চলুন তার আর এক অমর কীর্তির ব্যাপারে কিছু আলোচনা করা যাক, পাঠকদের বোঝার সুবিধার্তে।
দারসে নিজামী (রূপকার – ইমাম গাজ্জালী)
নিজামুল মুলক্‌ তুসী (১০১৮-১০৯২ খৃঃ) সুলযুক রাজা মালিক শাহ ও তার পরের রাজা আল্প আরসালান দুজনেরই প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তুসী মুসলমানের ছদ্মবেশে একজন জোরোয়াস্ট্রিয়ান বা অগ্নিউপাসক ছিলেন।(Nihaayat-e-Tareekh-Abbasi, Sheikh al-Hafiz Yousuf Naishapuri). ‌তুসী ১০৬৭ খৃঃ বাগদাদে বিখ্যাত নিজামীয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এটাই তৎকালীন ইসলামী বিশ্বের প্রধান বিদ্যাপীঠ ছিল এবং এর আনেক শাখা বিশ্বের বহু জায়গায় ছড়িয়ে ছিল, যেমন খোরাসান, নিশাপুর, দামাস্কাস, বুখারা এবং আরো অনেক জায়গায়। বাগদাদের বিখ্যাত নিজামীয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ছিলেন ’ইমাম’ মুহাম্মদ আবু হামিদ গাজ্জালী, যিনি টুসীর সাথে নিজামী সিলেবাসের প্রবক্তা। গাজ্জালী খুব কটূভাবে রসূল ও তার সাহাবাদের হেয় করেছেন। যেমন তিনি লিখছেন যে, ২য় খলিফা ওমর রোজা ভাঙ্গতেন ইফতারি অর্থাৎ খাদ্য খেয়ে বা পানীয় পান করে নয়, তিনি রোজা ভাঙ্গতেন ৩ জন দাসীর সাথে সঙ্গমের মাধ্যমে। (নোটঃ রেফারেন্স দিন। সম্ভব হলে যেখানে এই কথাগুলি ইমাম গাজ্জালী বলেছেন, সেই পাতার স্ক্যান কপি দিন অথবা অন্য কোন লিঙ্ক দিন যেটি দিয়ে এই তথ্য ভেরিফাই করা যাবে।) এরকম আরো উজ্জল দৃষ্টান্ত তার “এহইয়াউল উলুমদ্দিন” বইথেকে দেয়ার ইচ্ছা রইল।
১০৬৭ সালে নিজামীয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে হাজার বছর পেরিয়ে গেছে, কিন্তু আজো বিশ্বের প্রায় সকল মাদ্রাসায় গাজ্জালী ও টুসী রুপকৃত সিলেবাস অনুসরন করা হয়ে থাকে। বিশ্ব এখোনো হাজার বছর আগের অবস্থায় দাড়িয়ে আছে, কোন অগ্রগতি নেই!! এই সিলেবাস স্টুপিডিটি ছাড়া আর কিছু নয়, এখানে কোরানের আয়াত সম্পর্কে চিন্তার কোন অবকাশ রাখা হয় নি। নির্বোধ বানিয়ে রাখাই এই সিলেবাসের উদ্দেশ্য।
নিজামুল মুলক্‌ তুসীর ষড়যন্ত্র সম্পর্কে জানতে হলে, একটি উদাহরনই যথেষ্ট – প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনি দুই রাজাকেই উপদেশ দিয়েছিলেন, বহিশত্রুর আক্রমন থেকে রাজ্যকে রক্ষার জন্য কোন প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির দরকার নেই। কারন তার দাবী ছিল, তার ছাত্রদের তসবিহতে ওজীফা পাঠই সকল শত্রু খতম করা ও দুরে রাখার জন্য যথেষ্ট। ফলাফল নিশ্চয় জানেন। বিধর্মী হালাকু খান কতৃক বাগদাদ ধংস।
এমনকি আজকের জমানাতেও ১৬টি ‘উলুম বা বিজ্ঞান’ নামে যে অপবিজ্ঞান আমাদের মাদ্রাসাগুলোতে নিজামীয়া সিলেবাস অনুযায়ী পড়ানো হয়, তা একটি ছাত্রের জীবন থেকে অমূল্য ৮টি বছর ধংস করে ফেলছে। মজার ব্যাপার হলো বেশির ভাগ মোল্লাকে যদি জি্জ্ঞাসা করা যায়, ৮টি বছর ধরে তারা যে ‘দারসে নিজামিয়া’ পড়লো, তার রূপকার কে, তারা বলতে পারবে না।

সংগৃহীত
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:২২
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অপরূপের সাথে হলো দেখা

লিখেছেন রোকসানা লেইস, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৫



আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×