ভয় পেয়ে পালিয়োনা লক্ষ্মণ সেন,
নিজের কাছ থেকে পালাবে কোথায়?
বখতিয়ার খিলজীকে এড়াতে পার,
কিন্তু অদৃষ্টকে এড়াবে কি করে?
১৮ জন ভিনদেশী দেখে তাই
পালিয়োনা লক্ষ্মণ সেন,
দেশ যাবে হার্মাদ আর বর্গীদের দখলে।
ভুরীভোজ-দিবানিদ্রা অনেক হলো,
দুয়ারে তোমার সশস্ত্র অশ্বারোহী,
এবার অসি হাতে তাদের রুখো।
ও কি! ঢাল ফেলে বৈঠা-হাতে পেছন-খিড়কি দিয়ে
নৌ-পথে পালালে কোথায়?
ফিরে এসো, হে গৌড়ের অধিপতি,
হানাদার-বধের কাব্য লেখো।
দলছুট হয়ো না লক্ষ্মণ সেন,
পালহারা মেষ নেকড়ের বড়
প্রিয়; সহজ শিকার।
তোমার এ মেরুদণ্ডহীনতায়, হে বঙ্গ-নরেশ্বর,
বাঙ্গালীর ললাটে ব্যর্থতা’র কালিমা লেপে গেলো,
মুখে গুটি বসন্তের দাগের মত, স্থায়ী ভাবে।
একে দিলো বিভেদের রূপরেখা, যেমন
শহরের বুক-চিরে চলে যায় রেল।
ফিরে এসো হে রাজন মোদের,
দেখো বাঙ্গালীর সূর্য নিভে গেলো
ঐ হাজার বছর তরে।
পালিয়োনা লক্ষ্মণ সেন,
পালালে জীবন হবে প্রমিথিউসের
কলিজার মত শকুনের
সূর্প-নখে বিপর্যস্ত।
১২/০১/২০১২