সচ্ছলতা
ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং শব্দযুগলের সঙ্গে পরিচয় ছিল। কিন্তু কম্পিউটারের সঙ্গে সখ্য বেশি দিনের নয়। আগ্রহের কারণেই কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ফারাকপুর গ্রামের রাসেল আহম্মেদের ইন্টারনেটে বসে ওয়েব ও গ্রাফিক ডিজাইনের আউটসোর্সিং কাজ করে গত চার মাসে প্রায় দুই হাজার ডলারের বেশি আয় করেছেন। অনলাইনে এ আয় তাঁর দিন দিন আরও বাড়ছে। হাতে বর্তমানে প্রচুর কাজ আসছে। এ জন্য একটি দল করে নিয়েছেন বলে জানালেন।
রাসেলের কম্পিউটার শেখার আগ্রহ ছিল প্রবল। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় ইচ্ছাটা বাস্তবে রূপ দিতে পারেননি। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর ইচ্ছে ও জেদের কারণে মা-বাবা কম্পিউটার শেখাতে বাধ্য হলেন। তিন হাজার টাকা খরচ করে এমএস অফিস শিখেছিলেন স্থানীয় এক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। আগ্রহের কারণে দ্রুতই দক্ষ হয়ে উঠলেন। ওই কেন্দ্রে মাসিক ২০০ টাকা বেতনে চাকরিও পেয়ে যান।
রাসেল প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইন্টারনেটের প্রথম সংস্পর্শে আসি ২০০৫ সালের শেষের দিকে। ভেড়ামারার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে সাক্ষাৎকার দিয়ে উপজেলা ই-সেন্টারে কাজ করার সুযোগ পাই। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিবুল ইসলামের সহযোগিতায় অনলাইনে আয় করার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানতে পারি।’
অভিজ্ঞতা থেকে রাসেল আহম্মেদ বললেন, আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতে হলে প্রয়োজন ধৈর্য। কারণ, প্রথমে কোনো কাজ পাওয়া যায় না। ধৈর্য ধরে কাজ পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। একবার বায়ারের কাছে বলেছিলেন ‘আপনি যদি আমাকে ভালো রেটিং না দেন, তাহলে আমার খুব মন খারাপ হবে।’ উত্তরে বায়ার রেটিং ভালো না দিয়ে বলেছিল, ‘তুমি কাজ করেছ ভালো। রেটিং এমনিতেই ভালো দিতাম, কিন্তু তোমার এসব দুঃখ পাওয়ার কথা প্রমাণ করে, তুমি অপেশাদার।’ সুতরাং আপনাকে সব সময় পেশাদারি মনোভাবের হতে হবে।’ তিনি ভেড়ামারা ডিগ্রি কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও একই উপজেলার কমিউনিটি সেন্টারের (ই-সেবা) উদ্যোক্তা। এই কেন্দ্রে তিনি প্রতিদিন বিকেল চারটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা এলাকার ২০-২৫ জন ছেলেমেয়েকে