আচ্ছা যান, হিসেবের সুবিধার্থে সব ভুলে গেলাম।
সরকার, আওয়ামী লীগ, বি এন পি, জামায়াত, হেফাজত, গণজাগরণ, পুলিশ, র্যা ব, বিজিবি, সেনাবাহিনী, বিএসএফ, জিহাদ, আগুন, কাটাগাছ, পোড়া কোরআন, বায়তুল মোকাররম, ভাঙ্গা লাঠি, মাদ্রাসার কচিমুখ, ককটেল, পাটকেল, হাতবোমা, টিয়ারশেল, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট, সাউন্ডবোমা, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, আমারদেশ, বাঁশেরকেল্লা, ছাগু, সুশীল সব- সঅঅঅব ভুলে গেলাম। সব ভুলে একটা সহজ সমীকরণে আসি।
সাধারণ আমজনতা আমরা। রাজনীতি আর ব্যালট বাক্সের কারসাজি বুঝি কমই। যা একটু বুঝি সেটা হোলো এই যুক্তি আর সমীকরণ।
কিছু মানুষের ভাষ্যমতে হেফাজতে ইসলামের তৌহিদি জনতাকে ১০ মিনিটের অপারেশনে বিতাড়িত করা হয়েছে সমাবেশস্হল থেকে। আর কেউ বলছেন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাতের অন্ধকারে ঝাঁপিয়ে পড়ে হত্যা করেছে দুই হতে তিন হাজার তৌহিদী জনতাকে। এরপর ময়লার গাড়িতে করে লাশ পরিবহন, পানি ছিটিয়ে রক্তের দাগমোচন, বুড়িগঙ্গার জলে লাশ গুম আর লাশেরাও পাথরের মত টুপ করে একেবারে সাথে সাথে জলের নিচে। আচ্ছা সে যাই হোত তাও মানলাম হিসেবের খাতিরে। ব্রাশফায়ার, লাশ, গুমখুন, সিটি কর্পোরেশনের করিৎকর্মা পানির গাড়ি, ফটোশপ ছবি, দরদী কবি সবই বাদ।
নিহতের লিস্ট ভুলে আমরা সমীকরণ মেলাতে আহতের যোগ বিয়োগ করি।
স্বাভাবিক বুদ্ধি ও যুক্তি অনুসারে আহতের সংখ্যা নিশ্চয়ই নিহতের তুলনায় বেশি থাকে। সেক্ষেত্রে নিশ্চয়ই দুই তিন হাজার নিহত হলে স্বাভাবিক ভাবেই হাজার দশেক হবেন আহত। বিভিন্ন সচেতন(!) মহলেও ঠিক সেভাবেই বলা হয়েছে আহত হয়েছেন ২০ হাজার তৌহিদি আলেম। যাক আমাদের হিসেবে অতজনের দরকার নেই। অন্ততঃ হাজার পাঁচেক তো আহত হয়েছেনই। তো আমার প্র্শ্নটা হোলো- বর্তমানে এই আহত হাজার হাজার গুলিবিদ্ধ আলেম কোন হাসপাতালে চিকিৎসারত? তাদের মধ্যে কারা গুরুতর, আর কারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েই ছাড়া পেয়েছেন? কোন হাসপাতালে আত্মীয় স্বজনেরা আহত ব্যক্তিটির গলা জড়িয়ে কাঁদছেন? কোথায় আরো কিছু গুলিবিদ্ধ জিহাদী আলেমকে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেছেন?
কোথায় কি! এইসব কোন সংবাদ নেই কোথাও। নেই কোন ভিডিও ফুটেজ। আরে রাতের অন্ধকারে অপারেশনের ফুটেজ না থাকুক হাসপাতালের ফুটেজ তো থাকতে পারত। আহত কেউ বিবৃতি দিয়ে কি হয়েছিল রাতে ব্যাখ্যা করলেই তো চুকে যায় ল্যাঠা। নাকি সরকার নিহতদের সাথে আহতদেরও গুম করেছে বুড়িগঙ্গায়? ক্যামনে কি!!?
সমীকরণটা প্যাঁচ লাইগা গেল !!!!
।।সা।ত।কা।হ।ন।।