somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১০০ বছরে বাংলাদেশ: ফিরে দেখা

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০৭১

[সে লেখার পর..]

তা না পারলে সে অসময়ের অমানুষ আর আমাদের আর পশুদের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
সেইসব অমানুষ ইতিহাস বুঝতনা, 'তালগাছ আমার' ভাবনায় ডুবে থাকতো সারাক্ষণ, সত্য কখনোই তাদের চোখে ঢুকতো না, তাদের নেতা-নেত্রী যা-ই করুক তা-ই ঠিক! একবার রাজধানি ঢাকাকে দু'ভাগ করা হলো সরকারের একগুয়ে সিদ্ধান্তে, সারাদেশ ছ্যাঁ ছ্যাঁ করে উঠলো, বিশেষজ্ঞরা না না করে উঠলেন, সাধারণ মানুষ সরকারের কথা ভেবে দু'বার বেশি থুথু ফেললো (বিরোধি দল-ও না না করেছিল, তবে তা বিরোধিতার খাতিরে, দেশের ভালোর কখা ভেবে না !)।
একবার দেশের একটা নদীর উপর দিয়ে বাঁধ তৈরি করে ভারতের সুবিধা করা হলো, দেশের মানুষ হায় হায় করলো, ছি ছি করলো ।
কিন্তু,সেই সময়ের অমানুষেরা ধিন ধিন তা না করে নাচ জুড়ে দিল, ব্যানার টানালো নেত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে, আহ. দেশটার গুষ্টি মেরে তারা কী ভালো কাজই না করেছেন! আমরা ভাবতাম ওই সব অমানুষ নেতারা যদি ওইসব অমানুষদের বউ বা মেয়েদের সাথে.... করতে চাইতো ওরা বোধহয় হাসতে হাসতে এগিয়ে দিত মেয়েকে বা বউকে বা বোনকে!
বাংলার চিরকালীন দুরবস্থার জন্য মূলত এরা-ই দায়ী..।
ইতিহাসের সাথে আমার বহুবার কথা হয়েছে। বহু কথা হয়েছে। সে-ও আমাকে বলেছে, ''বাঙালির মধ্যে এরকম নির্লজ্জ বেহায়া 'অমানুষের' সংখ্যা বেশি সবসময়েই ছিল। আর এরা-ই তোমাদের দুর্ভাগ্যের কারণ। এদের কারণেই '৭১' তোমাদের কাছে পুরোপুরি 'আপন' হয়ে ওঠেনি, এদের কারণেই ওসব 'ডাকাত' 'চোর' 'ছ্যাঁচড়া' '.........' নেতারা বারবার ক্ষমতায় আসতে পারতো, ওদের কারণেই নেতারা তোমাদেরকে, তোমাদের 'মা' বাংলাকে 'পালা করে' 'ধর্ষণ' করতে পারতো।
যে জাতি যেমন, সে জাতি তেমন নেতা পায়- কথাটা কত সত্য তা তোমাদের দেশ দেখেই বেশি বোঝা যায়। ওসব 'অমানুষ'দের সংখ্যাধিক্যের জন্যই ওরকম নেতা-নেত্রী তোমরা পেতে, বা ওসব অমানুষেরা-ই নির্লজ্জতার আর স্বার্থপরতার আর অমানবিকতার চরম শিখরে পৌঁছে তবে 'যোগ্য নেতা' হতো।
তোমাদের সমস্যা ছিল মূলত: মানসিকতায়। তোমরা কখনোই ভালো মানসিকতার মানুষ ছিলে না। কখনোই তোমরা রাজার জাত ছিলে না। তোমরা ছিলে সমাজের 'আস্তাকুঁড়ের অমানুষ'। প্রগৈতিহাসিক কাল থেকেই তোমাদের বাস নিম্নস্তরে, নিম্নতর অবস্থানে, নিম্নতম রুচি নিয়ে। প্রতিটা যুগসন্ধিকাল-ই তোমাদের এরকম আত্মসম্মানহীনতা আর রুচিহীনতার; আর পা-চাটা মানসিকতা আর ছ্যাঁচড়ামির কথা বলবে। ব্রিটিশ শাসনের আগে-পরে তোমরা বাঙালিরা ছিলে অচ্ছুত, সমাজের গণ্যমান্যদের এঁটোকাটা খেয়ে বেঁচে থাকা অপুরুষ, আর তারও নিচুস্তরের মানসিকতা নিয়ে ম'রে থাকা কা-নারী। [বিশ্বাস হচ্ছেনা? বিখ্যাত বাঙালি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর লেখা 'বাঙালীর জাতীয়তাবাদ' বইটা এর কিছু আভাস তোমাদের দিতে পারবে, পড়ে দেখো]
তোমাদের শ্রেষ্ঠতম মানুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে রায় দিয়েছিলেন তোমরা 'বাঙালি', 'মানুষ' না, সে তো এমনি এমনি না, বড় কষ্টে তিনি বড় সত্য সে কথাটা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বাঙালির ঘরে মাঝে মাঝে মানুষ জন্মায়। অবরে সবরে জন্মানো সেরকম এক বাঙালি হুমায়ুন আজাদ (আমি যাকে তোমাদের সেরা মেধাবীদের একজন বলে মনে করি) বই লিখেছিলেন 'আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম' তা-ও তো বড় কষ্টে লখা।
তোমরা যাঁকে শ্রেষ্ঠ বাঙালি বলে মেনেছ, সেই মহান বাঙালি, মহান মানুষ বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারটাও ভেবে দেখো। তাঁর মুখের কথায় যারা জীবন দিয়ে দিল, স্বাধীন করলো দেশটাকে, তোমাদের প্রিয় মা'কে, সেই সাধারণ জনগণকে কি তিনি নিজেও কিছু দিতে পেরেছিলেন তাঁর সময়ে? মুক্তিযুদ্ধ অবধি বঙ্গবন্ধু আর পরবর্তী বঙ্গবন্ধুর পার্থক্যটা কখনো দেখেছো মন দিয়ে? [বঙ্গবন্ধুর বন্ধুস্থানীয় এ্যান্থনি মাসকারেনহাস এর 'বাংলাদেশ: রক্তের ঋণ' বইটা পড়ে দেখো] দেবতা তুল্য এই অসাধারণ মানুষটাও কেন পারলেন না, তোমাদের চির আরাধ্য বাংলার ছবি আঁকতে? কেন আর কেউ-ও পারলো না, তাঁর আগে বা পরে? কেন?
তাঁর ডাকে যারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিল একাত্তরে, তাদেরই কয়েকজন তাঁর জীবন নিল কেন? কেন বঙ্গবন্ধুকে, বাঙালিকে চরম মূল্য দিতে হলো ৭৫-এ?
কেন পরবর্তী নেতা-নেত্রীরা তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা নিলনা? আমার থেকে শিক্ষা নিলনা? তা হলে তারা শুধরাতো। তাহলে ২০২৭ লাগতো না। তাহলে শুরুতেই স্বাধীন হতে তোমরা, শুরুতেই..
হয়নি ওসব বাঙালিরূপী অবাঙালিদের জন্য। সে সময়ের অমানুষদের জন্য।
তাদের স্বভাব ছিল পা-চাটা, তা সে পায়ে 'মধু' থাক বা 'গু' থাক। মধু থাকলে তো বলতো-ই, গু থাকলেও তা চেটে বলতো, বাহ কী স্বাদ! কখনো বলতো না স্যার, বা ম্যাডাম, আপনার পায়ে গু, আপনার মনে গু, আপনার কথায় গু, আপনার চলনে-বলনে গু.. তা হলে নেতারা নেত্রীরা শুধরোবার চেষ্টা নিশ্চয় করতেন..
ওদের কারণেই, তোমাদের এ দুর্দশা হয়েছিল, না হলে ২০০৭-৮-৯-এ তো.. [চলবে..]
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০৭
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সকলের দায়িত্ব।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৮



এগুলো আমার একান্ত মতামত। এই ব্লগ কাউকে ছোট করার জন্য লেখি নাই। শুধু আমার মনে জমে থাকা দুঃখ প্রকাশ করলাম। এতে আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দায়ী না। এখনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

এখনো নদীপারে ঝড় বয়ে যায় || নতুন গান

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:২০

এ গানের লিরিক আমাকে অনেক যন্ত্রণা দিয়েছে। ২৪ বা ২৫ এপ্রিল ২০২৪-এ সুর ও গানের প্রথম কয়েক লাইন তৈরি হয়ে যায়। এরপর ব্যস্ত হয়ে পড়ি অন্য একটা গান নিয়ে। সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেতনার সময় জামায়াত বদ্ধ ইসলামী আন্দোলন ফরজ নয়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৮



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×