somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

২১ কাঁদে নিরবে

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


-সালাম, আমরা সেদিন মরে গিয়ে বেঁচে গিয়েছি, কি বল ?
.ঠিকই বলেছ, বরকত । বেঁচে থাকলে এদের এসব ভন্ডমী সহ্য করতে হত ।
-কিন্তু সহ্য করতে পারতে কি ? না কি আবার অস্ত্র হাতে নিয়ে এর সমুচিত জবাব দিতে?
.কি জানি । হয়তো তাই ই করতাম। না হয় এসব সাধারণ কর্মীদের মত আমরাও কিছুই বুঝতে পারতাম না। আবেগে আত্মহারা হয়ে এদের মত স্রোতে গা ভাসিয়ে দিতাম।
-পরিমিত পরিমাণ বখরা পেলে এদের মত তুমিও কি খুশী থাকতে ?
.বিভ্রান্তিকর প্রশ্ন । জীবিত থাকলে যে কি করতাম, তাই তো বুঝতে পারছি না। তবে তখন যাদের সাথে কাজ করেছি, তাদের স্বভাব চরিত্র এরকম থাকলে মনে হয় না আমরা স্বতন্ত্রভাবে কিছু ভাববার অবকাশ পেতাম।
-আমারও তাই মনে হয়। কিন্তু আমাদের নেতারাও যে এরকম ছদ্মবেশধারী ছিল না, তারই বা কি গ্যারান্টি আছে? এই যে দেখ, সাধারণ কর্মীরা নেতাদের আবেগময় ভাষনে কেমন বিমোহিত হয়ে আছে। এরা তো এদেরকে মাসুম, ফেরেস্তার মত মনে করছে।
.হু । আসলে সব রেকর্ডতো একজনই জানেন। আমরা বেঁচে থাকতে কি এরকম রেকর্ড থাকার বিষয় কখনো জানতাম ? মরেই না জানতে পারলাম ।
-ঠিকই বলেছ। এপারের এ জীবনের কথা মুরুব্বীরা বলতেন। বিশ্বাস করতে কষ্ট হত । আবার একাকী বসে যখন ভাবতাম, তখন এটুকু চিন্তা হত, সবই কি তাহলে ভুল কথা ? মরেই না জানতে পারলাম, জীবন ভর কত ভুল করেছি।
.আমি কেবলই ভাবি, যারা মানুষকে ভালবাসার কথা বলে এত বড় নেতা হন, যারা এত এত লেখা পড়া করে নানা ধরনের জ্ঞান অর্জন করেছেন, তারা কেন এভাবে ভন্ডামী করে ?
-স্বভাব দোষ, বুঝলে ? এ হচ্ছে স্বভাবের দোষ। মানুষ মাত্রই তার নিজের চরিত্রের নগদ চাহিদার কাছে পরাভূত। মানুষ যদি তার নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা অন্তত করতে পারত, তাহলে বোধহয় তার চেয়ে বড় কল্যাণকর আর কিছুই হত না। সেই মানুষই আসল নেতা হতে পারত ।
.দারুন বলেছ বরকত । আচ্ছা, শুনেছ ? এসব ভন্ডরা নাকি আমাদেরকে শহীদ উপাধিতে ভুষিত করেছে ?
-হ্যা, শুনেছি। ওরা নাকি আমাদের রূহের মাগফেরাতের জন্য শহীদ মিনার বানিয়েছে। সেখানে রাত বারটা এক মিনিটে যখন ঘড়ির কাটা একুশ তারিখে আছড়ে পড়ে তখন তারা খুব ভক্তিভরে ভুরি ভুরি ফুলের তোড়া দিয়ে মিনারের পাদদেশ ছেয়ে দেয়।
.চল, দেখে আসি ওদের কান্ড ।
চল, যাই ।
-এটার নাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। এই, আমাদের নেতা না ? উনার নির্দেশেইতো আমরা -----
.হ্যা, তাই তো ।
-আস্সালামু-আলাইকুম লীডার । আমাদের চিনতে পারছেন ? এ কি ! আপনি কাঁদছেন ?
*তোমরা কারা ?
.আমি সালাম
-আমি বরকত ।
*কোন সালাম, বরকত ?
-বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে মিছিলে গুলিতে----
(ডুকরে কেঁদে) ওদের বুকে জড়িয়ে ধরলেন।
.চিনতে পেরেছেন, লীডার ?
*ওরে, তোরা এখানে এসেছিস কেন ? পালা । এসব তোরা সহ্য করতে পারবি না। আমি গত ষাট বছর ধরে দেখে আসছি। কতবার ভেবেছি, নতুন কোন জেনারেশন বুঝি আবেগ বিবর্জিত হয়ে আসল কাজটা করার জন্য কর্মসূচী নিয়ে আসবে। অনেক আশা নিয়ে প্রতি বছর আমি আসি। কিন্তু অনেক জ্বালা বুকে নিয়ে ফিরে যাই। ঐ একই ফাইল, একই কর্মসূচী। একই নেকামো, ভান, ভনিতা, ভন্ডামী । কেবল কর্মসূচী প্রণেতাদের নিজ নিজ অবস্থান পরিস্কার করা, নিজেকে জাহির করা, নিজের নিজত্বকে উত্তমরূপে উপস্থাপন করে বাহবা কুড়ানো, নিজের স্বার্থ শতভাগ হাতিয়ে নেয়ার কৌশল - ইত্যাদি, ইত্যাদি । সে নানা রকম ফন্দি ফিকিরের মহরত, মহড়া । ওরা আমাদের বুকের রক্তকে পুঁজি করে ওদেরই নিজস্ব নিয়মের ফিতেয় বন্দী করেছে -নানা রকম কর্মসূচীর নামে। এখন এটাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মানে উন্নীত করেছে। বিষয় একটাই । এ আপডেটকে বলা চলে আপন স্বার্থের আšতর্জাতিকীকরণ ।
-আমরাও দেখছি কয়েক বছর হল । আপনি ঠিকই বলেছেন। আপনার সাথে আমরাও একমত লীডার।
* দেখেছ ? এসব মোনাফেকী দেখে তোমাদের কেমন লাগে ?
.কি আর বলব, লীডার। মনে হয় ভন্ডগুলোর ঘাড় মটকে দেই।
* হ্যা, আমারও তাই মনে হয় । কিন্তু বিধাতা সে ক্ষমতা আমাদের দেন নি ।

দেখ, এ রাতে আবেগ আর উচ্ছাস নিয়ে কিছু লোক যার যার দলের ব্যানার আর ফুল নিয়ে উন্মুক্ত পদে এসেছেন। মিনারের পাদদেশে বিভিন্ন চ্যানেলের ক্যামেরার আলোয় ঝলসে উঠেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশ । অসংখ্য মিথ্যাবাদী , স্বেচ্ছাচারী , আবেগপ্রবণ মানুষের ঢল নেমেছে। কিছু অবুঝ মানুষ এসেছেন। কেন এসেছেন, তা তারা নিজেরাই জানে না। কিছু ছেলে মেয়ে এসছে বাবা মায়ের কোলে চড়ে। মাসুম বাচ্চারা জানে না, কেন এখানে এসেছে ? কিছু তরুন-তরুনীরা এসেছে। হাতে হাত ধরে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেধে দেয়া বেষ্টনীর মধ্যে তারা আছেন। এখনো বারটা বাজতে কিছু সময় রয়েছে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নির্বাহী কর্তৃক নিয়ম রক্ষার ’নিয়ম’ পালনের পর বেষ্টনির বাধন খুলে দেয়া হবে। এটুকু সময় বৃথা ব্যয় করতে চাচ্ছেন না কোন কোন তরুন তরুনী। তারা অনেক দিন অপেক্ষা করে থাকেন এই রাতটার জন্য । এ রাতের অছিলায় তারা তাদের জীবনের কিছু আশা আকাংখার হিসেব নিকেশ চুকে নিতে সক্ষম হয়। কেউবা সফল হতে পারেন, কেউবা কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরেন। কেউবা স্বপ্নের বাস্তবায়ন হওয়ায় নিজেদেরকে ধন্য মনে করেন। কেউবা হতাশায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। এরকম কয়েকটা জাতীয় দিবস এদের জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেউবা বাদাম চিবিয়ে সময়টা পার করছেন। ফুল হাতে দাঁড়িয়ে নিয়ম রক্ষার নাটকের মহড়ার অপক্ষোয় আছেন অনেকেই।
এখন রাত বারটা এক মিনিট । রাষ্ট্র নায়ক এসছেন ছকে বাঁধা নিয়মের ’নিয়ম’ রক্ষার বহর নিয়ে । একই কর্মসূচী। একই বাণী। একই বার্তা। শুধু কপি আর পেষ্ট মাত্র । হিপোক্র্যাসীর মাত্রা কত ভয়াবহ, দেখেছ ? কিন্তু এ সবই যে রেকর্ড করা হচ্ছে, এরাও যে একদিন আমাদের কাতারে এসে এদেরই কৃতকর্ম লাইভ দেখতে পাবে, সে ব্যাপারে কোন হুস নেই এদের ।
-আচ্ছা, লীডার । আমরা একটু ওদিকটাতে যাই ।
*এস ।
.বরকত, দেখ, ঐ ঝোপের আড়ালে আধো আলো আধো ছায়ায় একটা ছেলে আর একটা মেয়ে বসে আছে। দেখতে পাচ্ছ?
-হ্যা । আলোর মত পরিস্কার দেখতে পাচ্ছি।
-চল, শুনি, ওরা কিভাবে আমাদের রূহের মাগফেরাত কামণা করছে ।
এবারের একুশ তোমার আর আমার জীবনের শেষ একুশ হোক । দেখ, আগে যা হাবার হয়েছে। তুমিও বোঝনি। আমিও বুঝতাম না। এখন আমরা যথেষ্ট মেচিওর্ড। এখন সংসার করার বয়স তোমারও হয়েছে, আমারতো বটেই। বাবা আমার জন্য পাত্রী নির্বাচন করেছেন। আমিও মত দিয়েছি। কেন বুঝতে পারছ না, তুমি আমার সাথে নিজেকে যেভাবে বিলিয়ে দিয়েছ, এভাবে আরো কতজনকে বিলিয়ে দিয়েছিলে, তার কি কোন রেকর্ড আমি জানি? না, কি তার কোন হিসেব আমি রেখেছি ? আমারও যে তোমার মত এরকম আরো কতজন বান্ধবীর চাহিদা মেটাতে হয়েছে, সে খবরও তো তুমি কোনদিন রাখনি , জানতেও চাওনি। তাই এই কি ভাল নয়, আমরা উভয়েই অতীত ভুলে যাই ? আমরা তখনকার অবস্থানে যেমন ছিলাম, সেটা আমাদের উভয়ের সময়ের চাহিদা ছিল। সে প্রয়োজন তোমারও ছিল, আমারও ছিল। এখন সেসব মনে রেখে লাভ কি ? মনে কর সে জীবনটা ছিল থিওরিটিক্যাল। গেঁও মুর্খের মত কথা বল না। দুনিয়া এখন অনেক ফাস্ট । সেখানে তুমি, আমি কেউই পিছিয়ে থাকতে পারি না। প্লীজ, বি প্রাকটিক্যাল । আমিও নতুন জীবন, মানে প্রাকটিক্যাল লাইফে যাচ্ছি, তুমিও চলে যাও। সেটাইতো বুদ্ধিমানের কাজ, তাই না ?
--বাহ ! থিসিস জমা দেবার পর বেশ বড় দার্শনিক হয়ে গেছ দেখছি । কিন্তু আমার পেটে যে তোমার থিওরিটিক্যালটা প্রাকটিক্যাল হতে চলেছে, তার কি হবে ?
- আবার সেই গেঁও সেন্টিমেন্ট ? ওটা আমার, না কার , সেটার আমি কি জানি ? কেন আমাকেই তার দায় নিতে বলছ ?
--মানে ?
-মানে, এতক্ষণ কি বললাম ? ওটা যে আমার, তার কি প্রমাণ আছে তোমার কাছে ?
(একটা চড় মেরে ) ইতর । অসভ্য । এত জঘন্ন , তুমি ?
চড় খেয়ে শুধু একটু খানি মিষ্টি হাসি দিয়ে বলল,
তুমি আসলে খুব বোকা। বর্তমান দুনিয়া থেকে হাজার বছর পিছিয়ে আছ তুমি। তোমাকে আরো ফাষ্ট হতে হবে, ম্যাডাম, না হলে তুমি আরো পিছিয়েই থাকবে ।
নিজের কান বন্ধ করে আর একটা কথাও বলল না মেয়েটা। এক পা, এক পা করে ওর কাছ থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে। কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে মিলিয়ে গেল অন্ধকারে।
******************
একুশে সারাদিনের অনেক কর্মসূচীর একটা মঞ্চের কাছে এল বরকত আর সালাম।
.বরকত, দেখ, সেই লীডার না ? কাল যাকে টেলিফোনে কথা বলতে শুনেছিলাম ?
হু, মনে করে দেখি-
-হ্যা, হ্যা, যা বলছি, সেটাই ফাইনাল। দশ ট্রাকই আমার চাই। দুত্তরি তোর দ্যাশের খেতা পুড়ি । এই দ্যাশ আমারে কি দিছে ? আমি যাগো জন্যি জান কোরবান করলাম, তারা আমারে কি করছিল, তোর মনে নাই ? এ জাতের ভাগ্যে এটাই লেখা আছে ? এরা যেমন কুকুর, এদের জন্য ঠিক তেমন মুগুর দরকার ।
কিন্তু, টুকু, বিল্লাল এদের----
- খরচ করে ফেলে দে গাংগে। ভাল করে পেট ফেড়ে পাথর ঢুকিয়ে তবে ফেলিশ । খুব সাবধানে।
নিজেগো দলের লোকরে, এভাবে ?----
-কোন শালাই নিজেগো না। এ জগতে যার যার তার তার । কেউ কারো না।
ধরা পড়লে কি করব ?
-ধরা পড়বি না। সব চেকপোষ্টে আমার লোক আছে। গাড়ির নম্বর দেয়া আছে। নিশ্চিন্তে কাজ করে যা। মনে রাখবি, সরকারী কোন লোকই আমাদের পথের কাটা না। আমাদের কাটা আমাদের নিজেদের ঘরেই থাকে। চোখ- কান খোলা রেখে সাবধানে কাজ করলেই সেটা থেকে মুক্ত থাকা যায়। বর্ডারে পৌছে আমাকে কল দিবি।
আচ্ছা, বস ।
-হ্যা । মনে পড়েছে ।
এখন সেই নেতার অসাধারণ ভাষনে বিমোহিত পুরো অডিয়্যান্স ।
কিছুক্ষণ ভাষণ শোনার পর -
.ছি ! ছি ! ছি ! কী নর্লিজ্জ মিথ্যাচার, দেখেছ ? এরা আমাদের স্মৃতীকে ধরে রাখবার জন্যই না কি এসব শহীদ মিনার বানিয়েছে। ভাবতে পার, এ কত বড় হিপোক্র্যাসী ?
-ঠিকই বলেছ। তবে আমি এদের কেবল নির্লজ্জই বলব না, এরা চরম নির্বোধও বটে। এরা জানেই না যে, মরে গিয়ে ওরাও আমাদের মত এভাবে ওদের পরবর্তী প্রজন্মের কীর্তি-কলাপ চেয়ে চেয়ে দেখবে আর আহাজারী করবে ।
.কাল সে যা করেছে তা যে হাই প্রোফাইলে রেকর্ড করা আছে, এ মুর্খ তা জানেই না। অথচ দেখ, এখন সে কি বলছে, আর কি না করছে। এসব কি সহ্য করা যায় ? আচ্ছা, তুমিই বল, এদের কি এসব মিথ্যাচার করতে এতটুকু হৃদয় কাঁপে না ?
-ওদের দেহের সাথে হৃদয় থাকলে তো কাঁপবে ? ওটা তো কবেই পচে ওদের মাংসের সাথে মিশে গেছে ।
.হু ! মনে হচ্ছে ষ্টেজে যেয়ে ওর ঘাড়টা মটকে ধরে সবার সামনে ওর মুখোস খুলে দেই । বিধাতা আমাদের এত ক্ষমতা দিয়েছেন, শুধু এই ক্ষমতাটুকু কেন যে দিলেন না , তা বুঝে আসে না।
-আমিও তাই ভাবছি, জান ? আচ্ছা, এদেশের মানুষতো আগের চেয়ে এখন অনেক বেশী শিক্ষিত, সচেতন হয়েছে বলে দাবী করে। তো , এরা এদের এসব ভন্ডমী কেন বুঝতে পারে না ? আচ্ছা, আমরা আর একবার আপীল করলে কমেন হয় ?
.কিসের জন্য ?
-এদের ঘাড় মটকে দেবার বিশেষ ক্ষমতাটা একটুখানি বিকেন্দ্রীকরণ করে দেবার জন্য। তাহলে অনেক নিরীহ মানুষ এদের প্রবঞ্চণা থেকে রেহাই পায় ।
.তা কোনদিন হবে না বাছা । চুপচাপ দেখ, এরা কি করছে আমাদের নাম ভাংগিয়ে ? কাল যেমন জনগনের আমানত খেয়ানত করার কৌশল দেখে সহ্য করেছিলে, আজও তাই করতে হবে। এ ছাড়া আমাদের আর কি করার আছে, বল ?
কিছুক্ষণ পরে একটা খাটিয়ায় করে একটা লাশ নিয়ে ষ্টেজের খুব কাছে নিয়ে এল কয়েকজন যুবক।
নেতার ভাষণ থামিয়ে দিয়ে এক যুবক ষ্টেজে উঠে মাইকে বলছেন। এখনকার অনুষ্ঠান এখানেই শেষ করতে হচ্ছে। অধিকাংশ মানুষ এসবের কোন অর্থ অনুসন্ধান ব্যতিরেকেই সভান্থল ত্যাগ করলেন। যেন খাটের লাশ একটা নিয়মমাফিক কিছু। কিছু রইলেন কৌতুহলী মানুষ। নেতাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে যুবকটা লাশের পাশে নিয়ে গেলেন।
স্যার, লাশটার হাতে আপনার ছেলের ছবিটা খুব শক্ত করে ধরা ছিল ।
নেতার চোখটা ছানাবড়া হয়ে গেল ।
***************
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

EU বাংলাদেশ, আফ্রিকা ও আরবদের সাহায্য করার চেষ্টা করে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১০ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৩



EU বাংলাদেশকে বিবিধভাবে সাহায্য করে আসছে স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরু থেকে; বিশেষ করে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গুলোকে সচল করার জন্য সহযোগীতা করতে চায়। আমাদের দেশে ও আফ্রিকায় ভালো যা ঘটছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে কোকের আতারোট শিল্প অঞ্চলের কারখানা: ফিলিস্তিনি স্টেইটহুড, স্বনিয়ন্ত্রণ অধিকারকে অসমম্মান করে।

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১০ ই জুন, ২০২৪ রাত ১১:১৭

কোকা-কোলার পূর্ব জেরুজালেমের আতারোট শিল্প অঞ্চলের কারখানাটিকে ঘিরে শুরু থেকেই তীব্র বিতর্ক আছে। এই এলাকাটি আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অধিকৃত এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিপক্ক প্রেম: মানসিক শান্তি

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ১১ ই জুন, ২০২৪ রাত ২:৩০






জীবনের নির্দিষ্ট একটি সময়ে পৌঁছানোর পর, মানুষ যখন পরিপক্ক হয়ে ওঠে, তখন প্রেমের মাপকাঠি বদলে যায়। তখন আর কেউ প্রেমে পড়ার জন্য শুধু সৌন্দর্য, উচ্ছ্বলতা, কিংবা সুগঠিত দেহ খোঁজে না।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রবীন্দ্রনাথের শেষ কটা দিন কেমন কেটেছিল?

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১১ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১০:১১




১৯৪১ সালে জীবনের শেষ দিনগুলোয় অসুখে ভুগছিলেন কবি। সারা জীবন চিকিৎসকের কাঁচি থেকে নিজেকে বাঁচিয়েছেন, এবার বুঝি আর তা সম্ভব নয়। হোমিওপ্যাথি, অ্যালোপ্যাথি চলছেই। কিন্তু কিছুতেই কিছু... ...বাকিটুকু পড়ুন

অশুদ্ধ বেনজীরের ‘শুদ্ধাচার’ পুরস্কারের কী হবে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১১ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:১৭


যুক্তরাষ্ট্র যখন মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বেনজীর আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, এর সাড়ে ছয় মাস পর সরকার তাঁকে মহিমান্বিত করেছে ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার’ দিয়ে। সেই হিসেবে বেনজীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×