বেড়াতে গিয়েছিলাম কয়েকদিনের ছুটিতে।
ওই জায়গার "সাধারণ" খবর শুনলাম - বাবা তার আট বছরের মেয়েকে রেপ করেছে। শোনার দিনই কয়েকদিন পর ছিল, এক সপ্তাহ পরে তো আরও পুরানো খবর!
কথা সেটা না। এই নির্মম কাজ একজন বাবা কীভাবে করতে পারে? সে কি তার ওয়াইফের প্রেগ্ন্যান্সি নিউজে হ্যাপি ছিল না? সেজন্য এমন করে তার শোধ নিলো নাকি এখন জবাবদিহি করবে যে না সামলাতে পারলাম না হঠাৎ করেই হয়ে গেল। হঠাৎ করেই বা হবে কেন? নাকি প্ল্যান করেই রেখেছিল বাচ্চার জন্মের পর নিজের মেয়েকে বাজিয়ে দেখার!
তার ও তার স্ত্রীর ভালোবাসায় যখন একটি ভ্রুন তৈরি হল তার কি শিহরন হয়নি এই ভেবে যে একটি নতুন প্রান আসছে যে তার নিজের, তার নিজের একটা অংশ! যে আসছে সে একটা ভালোবাসার পুটুলী, সে কি খুশি ছিল না?
বাবু হবে এই আনন্দে কি সে মশগুল হয়নি? স্ত্রীর যত্ন করেনি? তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়নি? একবারও কি স্ত্রীর মুখের দিকে তৃপ্ত হয়ে তাকায়নি?
মেয়ের জন্মের পর সে মনমরা ছিল? কাছের মানুষদের সে মিষ্টিমুখ করায়নি? বাবুকে একবারও কোলে নেয়নি? বাবুর দাদীকে একবারও বলেনি "মা ওকে আমার কোলে দাও"...?
আট বছরের মেয়ে, আটটি জন্মদিন। জানিনা সে কোন শ্রেণীর লোক, জন্মদিন পালনের সামর্থ্য আছে / ছিল কিনা, কে জানে তারিখটা মনে রাখার সামর্থ্যই ছিল কিনা! তবুও বছর ঘুরলে কি সে মেয়েকে নিয়ে স্বপ্ন দেখত না? কখনো কি মেয়ের ছোট্ট হাতে ধরে নিয়ে বেড়ায়নি? তাকে কি স্কুলে নিয়ে যায়নি? কখনো খেলনা কিনে দেয়নি, মেলায় নিয়ে যায়নি?
কখনই কি স্বপ্ন দ্যাখেনি মেয়ে একদিন অনেক বড় হবে, বাবার নাম করবে, তারপর একদিন টুকটুকে বউ সাজবে, বাবাকে জড়িয়ে ধরে আনন্দ আর বিদায়ের কান্না কাঁদবে?
জানিনা সে কি ভেবেছিল।
ওই পাষন্ড বাবার অপবিত্র চিন্তায় কী ছিল আমার জানতে ইচ্ছা করে।
সব কিছু নাকি মঙ্গলের জন্য হয়! আট বছরের মেয়ে যার এখন ফ্রক পড়ে স্কুলে যাওয়ার কথা, নিজের বাবার দ্বারা রেপড হয়ে তার কী মঙ্গলটা হয়???!!
তারচে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি এখনই কেয়ামত দিয়ে দাও, Angel গুলো স্বর্গ আলো করে রাখবে, পৃথিবীতে এসে এতো কষ্ট পাওয়ার দরকার নাই।