somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হুমায়ুন আহমেদের কি সত্যি সত্যিই ভীমরতি ধরলো নাকি???? X( X( X(

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি মানুষটা হুমায়ুন আহমেদের ভক্তই বলা যায়,যদিও অন্ধভক্ত নই। কিন্তু এখনো এই লোকটাকে বুঝে উঠতে পারলাম না ঠিকমত! আমার রীতিমত এলার্জি রয়েছে ভারতকে নিয়ে,অথচ ইদানিং হুমায়ুনের কয়েকটা লেখা দেখলাম ভারতের প্রতি নরম তোষনমূলক মনোভাবের! এর আগে দেখেছিলাম ভারতীয় সিনেমা প্রদর্শনের পক্ষে সাফাই গাওয়া! অন্তত এই উত্তপ্ত সময় যখন বিএসএফের বাড়াবাড়ি সীমাহীন পর্যায়ে,টিপাইমুখ,ট্রানজিটের নামে যথেচ্ছাচার চলছে, ঠিক সেই সময় হুমায়ুনের নিম্নোক্ত টাইপের লেখাকে কী বলা যায় আমি বুঝতে পারছিনা!! লেখাটাঃ
"ভারত জুজু:
হুমায়ূন আহমেদ
আমরা যখন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তখন টঝওঝ ছিল প্রেসক্লাবের সামনে। যেকোনো উপলক্ষে আমরা মিছিল করে সেখানে যেতাম। 'আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাও' বলে বিকট চিৎকার দিয়ে আনন্দ নিয়ে ফিরে আসতাম। এটা ছিল রুটিন কার্যক্রম। আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদেরএই চিৎকারে কিছু যেত-আসত না। তাতে কী? আমরা তো আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি।
এক সময় দেখি পাশের দেশ ভারত তাদের জায়গা নিয়ে নিল। যত দোষ ভারত ঘোষ অবস্থা। ১৯৬৫ সালে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ বেধে গেল। আমরা অতি-উৎসাহী। নিয়মিতভাবে নিউ মার্কেটেকেউ না কেউ ভারতের স্পাই হিসেবে মার খেয়ে আধমরা হতো। আমরা খুশি ভারতীয় স্পাই তো ধরা পড়ছে। মহান পাকিস্তানের জন্যে আমাদের অন্তর আপ্লুত।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো একবার বললেন, ভারতকে শায়েস্তা করার জন্য প্রয়োজনে ঘাস খেয়ে হলেও পাকিস্তান অ্যাটম বোমা বানাবে। আমরা আনন্দিত চিত্তে ঘাস খাওয়ার প্রস্তুতি নিলাম। ভারত আমাদের চিরশত্রু_এটা ততদিনে মাথায় ঢুকে গেছে, কিংবা ঢুকানো হয়েছে।
১৯৭১ সাল, প্রিয় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শুরু হলো আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ। ভারত আমাদের পাশে এসে দাঁড়াল। তখনো সমস্যা_ভারত কি আর মানবিক কারণে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে? ভারতের মতলব ভালো হওয়ার কোনো কারণ নেই। ভারত চাচ্ছে পাকিস্তান ভেঙে টুকরা টুকরা করতে। যেই মুহূর্তে তারা সফল হবে, পূর্ব পাকিস্তান চলে যাবে তাদের দখলে। আমাদেরকে হিন্দি কথা শিখতে হবে।
ব্যাপার কিন্তু সে রকম ঘটল না। তারপরও ভারতবিরোধী আগুন জ্বালিয়ে রাখা বাংলাদেশের রাজনীতির একটা ধারা হয়ে গেল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিলি্ল গেলেন। কিছু চুক্তি ভারতের সঙ্গে আমাদের হয়েছে। রাজনীতির একটা ধারা গলা ফাটিয়ে চিৎকার শুরু করলেন, বাংলাদেশ শেখ হাসিনা বিক্রি করে দিয়ে এসেছেন। লাভ-ক্ষতি কী হয়েছে আমি জানি না। আমি একটা জিনিসই জানি, বাংলাদেশ বিক্রি হবার না। শেখ হাসিনা কিংবা বেগম খালেদা জিয়া কেউ এই কাজটি করতে পারবেন না। ভারত জুজুর ভয় দেখানোর পুরানো খেলা কেন আমরা এখনো খেলছি?
ক্ষমতাধর যে রাষ্ট্রটি আমাদের পাশে, তার সাহায্যআমাদের ক্ষমতাবান হবার জন্য প্রয়োজন। তারা আমাদের নৌবন্দর ব্যবহারকরবে, করুক। বন্ধুত্বের হাত আমাদের অবশ্যই বাড়াতে হবে। সারাক্ষণ 'ভারত সব নিয়ে নিল' বলে চিৎকার-চেঁচামেচির কিছু নেই। আমরা বার্মার মতো রুদ্ধ রাষ্ট্র হতে চাই না।
বলা হয়ে থাকে, একটি দেশের লেখকরা সেই দেশের আত্দা। এটা অনেক বড় কথা, আমি নিজেতা মনে করি না। অনেক দুষ্ট লেখক আছেন, দেশের আত্দা হবার তাঁদের যোগ্যতা নেই। দেশের সাধারণ একজন মানুষ হিসেবে আমি পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি_বন্ধুত্বেরযে পথে আমরা এগুচ্ছি সেটাই শুদ্ধ পথ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন। কেউ যেন আবার ভেবে না বসেন আওয়ামী লীগের কাছে আমার কোনো দায়বদ্ধতা আছে। কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা নেই। আমি দায়বদ্ধ আমার দেশের কাছে।"
রিসেন্ট দেখছি ব্লগে কিছু ধার্মিক বা ছাগু টাইপের ব্লগাররা হুমায়ুনকে ডিফেন্ড করার জন্য কোমর বাইন্ধা নামছে,এই লেখাটা পড়ার পর তাদের প্রতিক্রিয়া আশা করছি 8-| B-)) B-)) B-))
হুমায়ুনের লেখাটার লিংকঃ Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৩৮
২৭টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মাটির কাছে যেতেই..

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

মাটির কাছে
যেতেই..


ছবি কৃতজ্ঞতাঃ https://pixabay.com/

ঠিক যেন
খা খা রোদ্দুর চারদিকে
চৈত্রের দাবদাহ দাবানলে
জ্বলে জ্বলে অঙ্গার ছাই ভস্ম
গোটা প্রান্তর
বন্ধ স্তব্ধ
পাখিদের আনাগোনাও

স্বপ্নবোনা মন আজ
উদাস মরুভূমি
মরা নদীর মত
স্রোতহীন নিস্তেজ-
আজ আর স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাকা ভাংতি করার মেশিন দরকার

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:১০

চলুন আজকে একটা সমস্যার কথা বলি৷ একটা সময় মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা ছিল৷ চাইলেই টাকা ভাংতি পাওয়া যেতো৷ এখন কেউ টাকা ভাংতি দিতে চায়না৷ কারো হাতে অনেক খুচরা টাকা দেখছেন৷ তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেলা ব‌য়ে যায়

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩০


সূর্যটা বল‌ছে সকাল
অথছ আমার সন্ধ্যা
টের পেলামনা ক‌বে কখন
ফু‌টে‌ছে রজনীগন্ধ্যা।

বাতা‌সে ক‌বে মি‌লি‌য়ে গে‌ছে
গোলাপ গোলাপ গন্ধ
ছু‌টে‌ছি কেবল ছু‌টে‌ছি কোথায়?
পথ হা‌রি‌য়ে অন্ধ।

সূর্যটা কাল উঠ‌বে আবার
আবা‌রো হ‌বে সকাল
পাকা চু‌ল ধবল সকলি
দেখ‌ছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের কি আর হিজাব পছন্দ হবে!

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৭



ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:১৪


কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
আমার বাবা-কাকারা সর্বমোট সাত ভাই, আর ফুফু দুইজন। সবমিলিয়ে নয়জন। একজন নাকি জন্মের পর মারা গিয়েছেন। এ কথা বলাই বাহুল্য যে, আমার পিতামহ কামেল লোক ছিলেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×