somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কেউ কেউ কেন কখনও বিষন্ন হয়না । সর্বদা প্রাণোচ্ছল থাকেন ।:):DB-);):P

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


জীবনের কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা যেমন- বিয়ে ভেঙে যাওয়া, বেকারত্ব, সফলতার অভাব ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে বেশিরভাগ মানুষই বিষন্ন হয়ে পড়ে। কিন্তু অনেক মানুষ আছেন যারা একেবারেই বিষন্ন হননা। কেন এমন?

একজন ব্যাক্তি যে জীবনের নানা রকম তিক্ত অভিজ্ঞতা গ্রহণ করেও বিষন্ন হয়ন মোটেও মনরোগ বাণিজ্যে এদেরকে বলা হয় প্রাণোচ্ছলতা।

ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী ড. রেবেকা ইলিয়ট এর মতে, আমরা সকলেই এমন একটি জায়গায় অবস্থান করছি যা কিনা ‘সহচরী মানে’ থাকে। এক্ষেত্রে কেউ কেউ থাকেন যারা খুব কম বিষন্ন হোন। তাদের চোখে মুখে মানসিক চাপ কম বোঝা যায়, আবার অনেকের তাও বোঝা যায়না। তাদের মধ্যে মানসিক সমস্যা বাড়তে থাকে ভিতরে ভিতরে। অপর দিকে এমন কেউ কেউ আছেন যারা জীবনের প্রতি পদক্ষেপে নানা সমস্যা মোকাবেলা করে চলেন। সাথে থাকে প্রচন্ড মানসিক চাপ। কিন্তু এতকিছুর পরও তারা থাকেন জীবন সম্পর্কে অত্যন্ত ইতিবাচক ও আশাবাদী। তবে ড. ইলিয়ট আরো মনে করেন, আমাদের অধিকাংশই এই দুই জাতের মাঝামাঝি কোথাও অবস্থান করি।

তাহলে এই প্রাণোচ্ছলতা কি? এটি কিভাবে আসে? এটি কি আমরা আমাদের মাঝে পুষে রাখি না আমরা এর সম্পর্কে শিখে নিয়ে তা করি? এটি কি আমাদের মস্তিষ্কের সাথে কোনভাবে জড়িত?

এসবের উত্তর হচ্ছে, আফসোস! কারণ সবগুলো প্রশ্নই একী রকম। আমরা এর সঠিক উত্তর কেউই জানিনা। এর উত্তর জানা জরুরী। কেননা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বের প্রায় ১২০ লক্ষ মানুষ বিষন্নতায় আক্রান্ত।

ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকিয়াট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. বিল ডিকিন, ড. রেবেকা ইলিয়ট ও তাদের সহকর্মীরা মিলে মস্তিষ্কের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করছেন, প্রাণোচ্ছলতার ধরন আর তার উৎসের কারণ তলিয়ে দেখছেন। তারা মনে করছেন একটি ভালো বোঝাপড়া সহায়তা করতে পারে প্রাণোচ্ছলতা বাড়াতে তাদেরকে যাদের এর কমতি রয়েছে।

তাদের গবেষণার বিষয় ছিলেন একদল মানুষ যারা বিষন্নতায় ভুগেন আর অপর দল যারা বিষন্নতায় ভুগেন না। তারা প্রথমে একদলকে এমব সব ছবি দেখালেন যাতে ছিল আবেগীয় কিছু বিষয়। তাদেরকে সেই ছবিগুলো মনে রাখতে হয়েছিল। কিছুক্ষণ বিরতির পর তাদেরকে একি ছবি আবারো দেখানো হয় অপর দলের সাথে একসাথে। ফলাফলে দেখা গেল যারা প্রাণোচ্ছল তারা আনন্দময় ছবি বেশি চিনতে সক্ষম হয়েছিলেন আর যারা বেশি দুঃখী আর বিষন্ন তারা দুঃখী আর ভয়ার্ত চেহারা চিনতে সক্ষম হয়েছিলেন। যারা বেশি প্রাণোচ্ছল তারা বেশি ইতিবাচক ছবি আর শব্দ চিনতে সক্ষম হয়।

তবে তাদের গবেষণা এখনো সম্পূর্ণ হয়নি।

সূত্র: বিবিসি
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×