somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কয়লা নিয়ে ময়লা কথন...............................

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




রোববার। বাংলাদেশ সরকারের ন্য একটি গুরুত্বপূণ দিন। বিশেষ করে জ্বালানী ও বিদ্যুৎ খাতের জন্য তো অবশ্যই। এইদিন ভারতের রাষ্ট্রায়াত্ত্ব প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার কোম্পানীর সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্টান বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) যৌথ বিনিয়োগ চুক্তি করে।
যৌথ বিনিয়োগের চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে খুলনার বিভাগের বাগেরহাট জেলার অর্ন্তগত রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াটের একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। অদ্ভুত বিষয় হল..................
এই কেন্দ্র স্থাপনের তোড়জোড় করা হলেও এখন পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে অবস্থান গত ছাড়পত্র দেয়া হলেও এখনও পর্যন্ত পরিবেশ ছাড়াপত্র দেয়া হয়নি। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ‘রামপালের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। শুধু অবস্থানগত ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। ইআইএ সম্পন্ন হলে তারপর পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়া হবে। যদি ইআইএ দেখে অধিদপ্তর যথাযথ মনে না করে তবে ছাড়পত্র দেওয়া হবে না।’
অবস্থা এমন দাড়িয়েছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার বিষয়টি হল ‘ঘোড়ার আগে গাড়ি’ যোগাড়ের মত অবস্থা।

কয়লা জোগাড়া-যাগাড় :
এই কেন্দ্রটি বাস্তবায়ন করা বে আমানী করা কয়লা দিয়ে। তবে কোন শে থেকে কয়লা আমদানী করা হবে সে বিষযে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোডের চেয়ারম্যান এ এস এম আলমগীর কবির সাংবাদিকদের জানান, ‘আমরা সম্ভাব্য তিনটি দেশ থেকে কয়লা পাওয়া সম্ভবনা রয়েছে। দেশগুলো হল ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এছাড়া চীনের কথাও বলা হয়েছে। তবে কোথায় েেক আনা হবে তা এখনও নির্ধারন করা হয়নি।”
বিদ্যুতের দাম :
উৎপাদিত বিদ্যুতের মুল্য স¤ক্সর্কে ভারতের বিদ্যুৎ সচিব পি. উমা শঙকর বলেন,আমাদের কেন্দ্রীয় এনার্জি রেগলেটরী বডি ভারতের রাজ্যগুলোর জন্য যে মুল্য বা ট্যারিফ নির্ধারন করে , যে প্রক্রিয়ায় করে সেভাবে এই কেন্দ্রের বিদ্যুতের দাম নির্ধারন করা হবে। তবে পিডিবির চেয়ারম্যান বলেন, তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে এর দাম নির্ধারন করা হয়। এগুলো হল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সরজ্ঞামের মুল্য, আমদানী করা কয়লার দাম কত হবে এবং এই কেন্দ্রটির জন্য মোট বিনিয়োগের ৭০ শতাংশ ঋণ নেয়া হবে, এই ঋণের বিপরীতে সুদ কত হবে এগুলো সব হিসেব করে মুল্য নির্ধারন করা হবে। তিনি বলেন, ঋণের ¡িবষয়ে আমরা বিভিণœ সোর্সের সঙ্গে কথা বলছি। ফলে দাম সম্পর্কে এখনই কিছু বলা যাবে না। তবে কয়লার দাম বিভিন্ন ভাবে নির্ধারন করে দেখা গেছে, এই কেন্দ্রের ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম ৫ টাকা থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত পড়তে পারে। এর আগে ভারতের এনটিিিস এই কেন্দ্রে সম্ভ্যতা যাচাই কালে বিদ্যুতের দাম দুইভাবে প্রস্তাব করেছিল। আর্ন্তজাতিক বাজারে আমদানী করা কয়লা মুল্য যদি টন প্রতি ১০৫ মার্কিন ডলার হলে ইউনিট প্রতি দাম পড়বে ৫ টাকা ৯০ পয়সা। আর কয়লা দাম যদি ১৪৫ মার্কিন ডলার হয়, তাহলে ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম পড়বে ৮ টাকা ৮৫ পয়সা।
পরিবেশকথন :
পরিবেশবাদী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বিশেসজ্ঞরা বলছেন, সরকার যে প্রাথমিক পরিবেশগত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের অনুকূলে অবস্থানগত ছাড়পত্র প্রদান করেছে তাতে প্রকল্প এলাকা যে সুন্দরবনের পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার ৪ কিলোমিটারের মধ্যে এবং তা যে সুন্দরবনের সীমানা থেকে ১০ কিলোমিটার বাফা’র জোনের মধ্যে অবস্থিত তা স্পষ্ট। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, প্রাথমিক পরিবেশগত প্রতিবেদন কিংবা পরিবেশ অধিদফতরের অবস্থানগত ছাড়পত্র কোনোটিতেই সুন্দরবনের পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থার ওপর কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রভাব নিয়ে কোনো রকম আলোকপাত করা হয়নি। উপরন্তু আইন অনুযায়ী শিল্প এলাকা বা শিল্পসমৃদ্ধ এলাকা ছাড়া এ রকম প্রকল্পের ছাড়পত্র দেবার এখতিয়ার পরিবেশ অধিদফতরের নেই। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিপুল পরিমাণ কার্বন এবং ছাইভষ্ম নিঃসরিত হয়ে পারিপার্শ্বিক পরিবেশের মারাত্মক দূষণ ঘটায়। এসব স্থাপনা থেকে নির্গত গ্যাসে ভারি ধাতু, সালফার এবং নাইট্রোজেন অক্স্রাইড মিশ্রিত থাকে, যা বাতাসের সঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্জ্য পানি দ্বারা আশেপাশের জলাশয়ের পানি দূষিত হওয়া একটি অত্যন্ত পরিচিত দৃশ্য। সুন্দরবনের পাশে এমন মারাত্মক দূষণকারী একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে উঠলে তা সুন্দরবনের পরিবেশ ও রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ সমস্ত জীববৈচিত্র্যকে হুমকির মুখে ঠেলে দেবে। পাশাপাশি সুন্দরবনের মাটির গুণগত মান, প্রাণীদের হরমোন জাতীয় সমস্যা, প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস, নদী দূষণ, মাটির উর্বরতা হ্রাস এবং উদ্ভিদের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে। তারা বলেন, ইতিমধ্যে জাতিসংঘের রামসার কনভেনশন’র সচিবালয় থেকে সুন্দরবন সংলগ্ন সরকারের তিনটি প্রকল্পের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। বন অধিদফতর কর্তৃক সুন্দরবনের অভ্যন্তরে এবং বাফা’র জোনে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপিত হলে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ সমস্ত জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে লিখিত অভিমত প্রদান করা হয়। বন বিভাগের এমন অভিমত প্রমাণ করে যে, প্রাথমিক পরিবেশগত প্রতিবেদন প্রণয়নে কিংবা অবস্থানগত ছাড়পত্র প্রদানে সংশ্লিষ্ট অধিদফতরগুলোর মতামত গ্রহণ করা হয়নি। গত ২৭ জানুয়ারি রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরোধীতা করে দেশের ১২ জন বিশিষ্ট নাগরিক বিবৃতি দিয়েছেন।

এই কেন্দ্রের বিরোধীতা করে ১২ বিশিষ্ট নাগরিকের শুক্রবারের বিবৃতি:
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের প্রতি ঝুকিপ–র্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট ১২ জন নাগরিক। শুক্রবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে তারা পরিবেশ-জনিত প্রভাব ও জনমত যাচাই সাপেক্ষে অন্য কোনো সুবিধাজনক স্থান নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, বেলা’র প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বাপা’র মহাসচিব ড. এম এ মতিন, আবু নাসের, ব্লাস্ট’র অবৈতনিক পরিচালক সারা হোসেন, নিজেরা করির সমন্বয়ক খুশি কবীর, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ফারাহ কবির এবং টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলায় ১৩০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ভারতের এনটিপিসির সঙ্গে আগামী ২৯ জানুয়ারি চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে বলে আমরা অবগত হয়েছি। বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়ে সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য রামপাল উপজেলাকে নির্বাচিত করায় আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। রামপালকে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের স্থান নির্বাচিত করায় বিশ্ব ঐতিহ্যের ধারক পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন এবং পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য হুমকির সম্মুখীন হয়েছে।
বিশিষ্ট নাগরিকরা বলেন, সরকার যে প্রাথমিক পরিবেশগত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের অনুকূলে অবস্থানগত ছাড়পত্র প্রদান করেছে তাতে প্রকল্প এলাকা যে সুন্দরবনের পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার ৪ কিলোমিটারের মধ্যে এবং তা যে সুন্দরবনের সীমানা থেকে ১০ কিলোমিটার বাফা’র জোনের মধ্যে অবস্থিত তা স্পষ্ট। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, প্রাথমিক পরিবেশগত প্রতিবেদন কিংবা পরিবেশ অধিদফতরের অবস্থানগত ছাড়পত্র কোনোটিতেই সুন্দরবনের পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থার ওপর কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রভাব নিয়ে কোনো রকম আলোকপাত করা হয়নি। উপরন্তু আইন অনুযায়ী শিল্প এলাকা বা শিল্পসমৃদ্ধ এলাকা ছাড়া এ রকম প্রকল্পের ছাড়পত্র দেবার এখতিয়ার পরিবেশ অধিদফতরের নেই।
তারা বলেন, সকলেই অবগত যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিপুল পরিমাণ কার্বন এবং ছাইভষ্ম নিঃসরিত হয়ে পারিপার্শ্বিক পরিবেশের মারাত্মক দূষণ ঘটায়। এসব স্থাপনা থেকে নির্গত গ্যাসে ভারি ধাতু, সালফার এবং নাইট্রোজেন অক্স্রাইড মিশ্রিত থাকে, যা বাতাসের সঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্জ্য পানি দ্বারা আশেপাশের জলাশয়ের পানি দূষিত হওয়া একটি অত্যন্ত পরিচিত দৃশ্য।
সুন্দরবনের পাশে এমন মারাত্মক দূষণকারী একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে উঠলে তা সুন্দরবনের পরিবেশ ও রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ সমস্ত জীববৈচিত্র্যকে হুমকির মুখে ঠেলে দেবে। পাশাপাশি সুন্দরবনের মাটির গুণগত মান, প্রাণীদের হরমোন জাতীয় সমস্যা, প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস, নদী দূষণ, মাটির উর্বরতা হ্রাস এবং উদ্ভিদের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে।
তারা বলেন, ইতিমধ্যে জাতিসংঘের রামসার কনভেনশন’র সচিবালয় থেকে সুন্দরবন সংলগ্ন সরকারের তিনটি প্রকল্পের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। বন অধিদফতর কর্তৃক সুন্দরবনের অভ্যন্তরে এবং বাফা’র জোনে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপিত হলে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ সমস্ত জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে লিখিত অভিমত প্রদান করা হয়। বন বিভাগের এমন অভিমত প্রমাণ করে যে, প্রাথমিক পরিবেশগত প্রতিবেদন প্রণয়নে কিংবা অবস্থানগত ছাড়পত্র প্রদানে সংশ্লিষ্ট অধিদফতরগুলোর মতামত গ্রহণ করা হয়নি।
তারা বলেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সমগ্র দেশবাসী সুন্দরবনকে বিশ্বের প্রাকৃতিক সপ্তমাশ্চর্য নির্বাচিত করতে ভোট প্রদান করেছেন, সেখানে সরকারের এমন স্ববিরোধী সিদ্ধান্ত কোনো ভাবেই কাম্য এবং গ্রহণযোগ্য নয়। বিশ্ব ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে সুন্দরবন রক্ষায় বাংলাদেশ কেবল যে সাংবিধানিকভাবে নিজ জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তা নয়, বরং আমরা বিশ্বের প্রতিটি নাগরিকের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মাত্র কিছুদিন আগে যেখানে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে নৌ-রুট প্রচলন নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হলো, সেখানে সুন্দরবনের স্পর্শকাতরতা বিবেচনা না করে প্রণীত প্রাথমিক পরিবেশগত প্রতিবেদন এবং প্রদত্ত অবস্থানগত ছাড়পত্রের ভিত্তিতে মারাত্মক দূষণকারী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ জনস্বার্থ বিরোধী।’
আবেদনে বিশিষ্ট নাগরিকরা আরো বলেন,এমতাবস্থায় আমরা সুন্দরবনের স্পর্শকাতরতা বিবেচনা না করে প্রণীত প্রাথমিক পরিবেশগত প্রতিবেদন এবং প্রদত্ত অবস্থানগত ছাড়পত্র বাতিলের দাবি জানাই। একই সঙ্গে আমরা অবিলম্বে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এবং পরিবেশগত প্রভাব ও জনমত যাচাই সাপেক্ষে অন্য কোনো সুবিধাজনক স্থানকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য নির্বাচিত করার দাবি জানাচ্ছি। বাংলাদেশের অন্যতম জাতীয় সম্পদ ও ঐতিহ্য রক্ষায় এ বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সদয় ও আশু হস্তক্ষেপ কামনা করি।




আসুন আমরাও ভাবি....................কি হচ্ছে এবং কি হবে.........................................





০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×