২০০০এর এপ্রিলে তথাকথিত এক বোকাদিবসে জ্বলন্ত সূর্যের দিকে পিঠ রেখে চিহ্নর পথচলার শুরু। তারপর পেরিয়ে গেছে একযুগ। এবার তেরোর কোলে মাথা রেখে তিশরণে সওয়ার সে। প্রথম সংখ্যা থেকেই সময়ের বিরুদ্ধস্রোতে চলার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এবং যুগবর্ষযাপন উৎসবের পর মগজের ঘামে স্নান হয় যাঁদের তাঁদের আগ্রহের সীমানাকে আরও প্রসারিত এবং প্রতিচিন্তার অগ্রযাত্রাকে সমধিক উস্কে দিয়ে এবার তার বাইশতম প্রকাশনা। এসংখ্যার মধ্যদিয়ে বাংলা সাহিত্যে চিহ্নর বিশেষ সংযুক্তি ‘বিস্ময়ের সমুদ্রদর্শন’ শীর্ষক এগারোটি মুক্তগদ্য। সবগুলো লেখাই অসাধারণ। আমাদের চিরচেনা সমুদ্রের কতো দিকই যে অচেনাই রয়ে গেছে তা দেখবার চোখ যাঁদের আছে সেই এগারো লিখিয়ের লেখা পড়লে বোঝা যায়। প্রায় সবগুলো লেখাই আমাদের দোরের সমুদ্রের মাঝেও অরূপ রূপের সন্ধান দেয়। এমন অবাধ সৃজনশীলতা ও ভিন্ন আঙ্গিকের লেখাকে প্রাধান্য দিয়ে কোনো ছোটকাগজ বাংলা ভাষায় এই প্রথম। এছাড়া চিহ্নর এবারের সংখ্যার আরও এক বিশেষ আকর্ষণ কবি আসাদ মান্নানের সাক্ষাৎকার। সাক্ষাৎকারটিতে কবি তাঁর ভেতরের মানুষটিকে যেমন, তেমনি কবিতার অন্দরের নানা বিষয়কেও অবারিত করেছেন অবলীলায়, অভাবিত রূপে। তাছাড়া কবিতা, গল্প, গ্রন্থপাঠ, পত্রিকা আলোচনাসহ আরও বিবিধ বিষয় নিয়ে নিয়মিত আয়োজন তো আছেই। বরাবরের মতো এবারও চিহ্নর পরতে পরতে নতুন লেখকদের দৌরাত্মই বেশি। প্রাজ্ঞজনদের ঋদ্ধতাকে মূল্যায়ন করার পাশাপাশি আগামীর অঙ্কুরসম্ভাবি শব্দশিল্পীদের প্রাণের প্রণোদনাকে প্রশ্রয় দিয়ে চিহ্ন সত্যিকার অর্থেই যথার্থ ছোটকাগজের চরিত্র ধারণ করতে পেরেছে।
এবারের একুশে বইমেলায় চিহ্নর স্টলে প্রথম দিন থেকেই চিহ্নর বর্তমান সংখ্যা পাওয়া যাবে।