somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বই পড়ার চেয়ে প্রার্থনা সহজ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

স্বরস্বতী প্রার্থনাতেই যদি বিদ্যা পাওয়া যায় তবে কষ্টকরে বই পড়তে যাবে কেন?স্কুলের মাঠে স্বরস্বতী পূজা হচ্ছে।রঙ্গিন আলোয় আলোকিত চার দিক। ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিটা গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের আলোর সাথে লাইব্রেরির নিজস্ব আলো দিনের মতো করে দিচ্ছে। আজ পূজা থাকায় কেউ বই লেনদেন করতে আসছেনা।লাইব্রেরির পাশ দিয়েই পূজার পূণ্যার্থিরা দেবী দর্শনে যাওয়া আশা করছে।

ছুটির দিন থাকায় বেশির ভাগ মানুষই পরিবার নিয়ে বেরিয়েছে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা বাবা মায়ের হাত ধরে পূজা দেখছে।কিশোর কিশোরি, যুবক যুবতীরাও সুন্দর করে সেজে দলবল নিয়ে ঘুড়ছে।কেউ কেউ লাইব্রেরিটার দিকে তাকাচ্ছে কিন্তু কেউ দাঁড়াচ্ছেনা। স্বরস্বতীকে দেখার চেয়ে লাইব্রেরি দেখা বেশি গুরুত্বপূর্ন হতে পারে না।

প্রার্থনা করেই সহজে যা পাওয়া যায় তার জন্য কষ্ট কেন করতে যাবে? বিদ্যার জন্য দেবি দর্শন তাই গুরুত্বপূর্ণ। আমি অন্তত এক হাজার মানুষকে লাইব্রেরির পাশ দিয়ে যেতে আসতে দেখলাম। হাটা চলা , আনন্দ উল্লাস সবই দেখলাম। বিদ্যার জন্য মানুষ এত আগ্রহী আগে জানতাম না। যে দেশের মানুষ বিদ্যার জন্য রাত জেগে লাইন দিয়ে মন্দির থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুড়ে বেড়ায় সে দেশের মানুষ কি করে অশিক্ষিত থাকে? এই বিদ্যার দেশের মানুষ কেন এত দুর্নিতি পরায়ন হয়?

কোথায় পড়েছিলাম। বিদ্যার্জনের কোন সহজ পথ নেই। কথাটা বাস্তব সম্মত হলেও ধর্ম সম্মত নয়। বিশেষ করে হিন্দু ধর্মের। বিদ্যার দেবী যদি কাউকে বর দেয়। সে বিদ্যা পাবে। না দিলে পাবে না?

বিজ্ঞানের উন্নতি করার সাথে সাথে আর ঈশ্বরের আশায় বসে থাকেনা। ঈশ্বর বৃষ্টি না দিলে সেচের ব্যবস্থা করে। বিজ্ঞান মানুষকে ক্রমশ ঈশ্বের উপর নির্ভরশীলতা থেকে মুক্তি দিয়ে যাচ্ছে।বজ্রপাথ থেকে বাঁচতে প্রার্থনার চেয়ে বজ্রনিরুদক দন্ড বেশি কার্যকর।বিজ্ঞানের উপর আস্থা অনেক বেড়েছে।

মানুষ ভাল করেই জানে বিদ্যার জন্য বই পড়াই সবচেয়ে কার্যকরি পথ। সাধারণত কোন বিষয় জানতে চাইলে বই এর আশ্রয় নেই। বই-ই আমাদের একমাত্র বন্ধু যার কাছ থেকে অকৃপণ ভাবে বিদ্যা পেতে পারি। এটা ধার্মিকরাও জানে। তারা বিদ্যাদেবির পায়ের কাছে বই রেখে আসে বইকে সহজ করে দেবার জন্য।

আমি আজ এক পিচ্চির কাছে জানতে চাইলাম সে কি বর চেয়েছে। পিচ্চি অনেক ক্ষন মনে করার চেষ্ট করে ব্যর্থ হলো। তার মা তাকে কি বলতে বলেছিলেন কোন ভাবেই মনে করতে পারেনি।

আমি অনেককেই দেখেছি দেবীর পায়ের কাছে বই দিয়ে আসতে। যাতে বই গুলো সহজ হয়ে যায়। আমাদের কিছু অনার্স পড়ুয়া বন্ধরাও এই কাজ করে। আমি একজনের কাছে জানতে চইলাম। এতে কি কাজ হয়? সে বল্ল সবাই করে। তাহলে এক কাজ কর। বিজ্ঞানের (ইংরেজী ভাষার) বই গুলো দিয়ে আয় আর দেবীকে বাংলা করে দিতে বল। বাংলা করলে অনেক সহজে বুঝা যাবে।
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×