হেলায় বা অবহেলায় হারায় কেউ, খুব আপন কেউ যে মমতাময়ী। গভীর মমতায় যে জুড়ে থাকে সারাটা সময়ের শীতকাঁথায়। তার শুন্যতা বুকে বাঁজে। আগুন ফাগুনে যে ফুলগুলো ফুটবার কথা তারাও অভিমানে ঝরে যায় ফুটবার আগে... ....
শুন্য এ বুকে পাখি মোর আয়
ফিরে আয় ফিরে আয়
তোরে না হেরিয়া সকালের ফুল
অকালে ঝরিয়া যায়
শুন্য এ বুকে
তুই নাই বলে ওরে উন্মাদ
পান্ডুরও হলো আকাশের চাঁদ
কেঁদে নদী জল করুণও বিষাদ
ডাকে আয়
ফিরে আয়
শুন্য এ বুকে পাখি মোর আয়
ফিরে আয় ফিরে আয়
গগনে মেলিয়া শত শত কর
খোঁজে তোরে তরু
ওরে সুন্দর
তোর তরে বনে উঠিয়াছে ঝড়
লুটায় লতা ধুলায়
তুই ফিরে এলে চন্চল
আবার ফুঁটিবে বনে ফুলদল
ধুসর আকাশ হইবে সুনীল
তোর চোখের চাওয়ায়
শুন্য এ বুকে পাখি... ...
এত ডাক, আহ্বান, প্রার্থনা তবু কি সে আসে ফিরে? যে যায় সে কি ফেরে আর? যা হারায়, যে দিন চলে যায়, যে নিয়ে যায় ব্যাথা দিয়ে স্মৃতি আর পরিতাপ, অপরাধবোধ সে কি জানে তার পথ চেয়ে কেউ বসে থাকে? বসে থাকে তেপান্তরের মাঠে... ...
তেপান্তরের মাঠে বধু হে
একা বসে থাকি
তুমি যে পথ দিয়ে গেছ চলি
তারি ধুলা মাখি হে
একা বসে থাকি
তেপান্তরের মাঠে... ...
যেমন পা ফেলেছো গিরিপথে
রাঙা পথের ধুলাতে
ওমনি করে আমার বুকে
চরণ দু'টি বুলাতে
আমার খানিক জ্বালা ভুলতাম
ঐ মানিক বুকে রাখি
একা বসে থাকি
... ... বধু হে একা বসে থাকি
আমার খাওয়া-পরায় নাই রুচি আর
ঘুম আসেনা চোখে
ঘুম আসেনা চোখে
আমি বাউরি হয়ে বেড়াই পথে
দেখে হাসে পাড়ার লোকে
আমি তালপুকুরে যেতে নারি
এ কি তোমার মায়া হে
ঐ কালো জলে দেখি
তোমার কালো রুপের ছায়া হে
আমায় কলঙ্কিনি নাম রটিয়ে
তুমি দিলে ফাঁকি
তেপান্তরের মাঠে...
... ... ... ... ... ...
একা বসে থাকি...
ইদানিং শুনছি এই নজরুল সঙীত দু'টি। খুব করে শুনছি... শুনছি আর ভাবছি। ভাবছি... হারানো হোয়ার নিকুন্জ পথে কুড়াই ঝরা ফুল একেলা আমি, যে গেছে হারাই...