somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

* জন্ম : নবী কুলের সর্দার মহানবী হযরত রাসূলুল্লাহ (সঃ) আসহাবে ফীলের বছর অর্থাৎ ৫৭০ খৃষ্টাব্দের ১২ই বরিউল আউয়াল সোমবার সুবেহ সাদেকের সময় জন্মগ্রহণ করেন।
* বংশ : মক্কার সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে জন্ম গ্রহণ করেন।
* পরিচয় : রাসুল(সঃ)-এর সম্মানিত পিতার নাম আবদুল্লাহ্, মাতার নাম আমিনা, এবং দাদার নাম আবদুল মুত্তালিব বিন হাশিম এবং নানার নাম ওহাব বিন আবদে মানাফ।
* বক্ষবিদারণ : রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর পবিত্র বক্ষ মোবারক মোট চারবার বিদীর্ণ করা হয়। প্রথম বার তিন বছর বয়সে দুধভাই আবদুল্লাহর সাথে চারণভূমিতে থাকাবস্থায়। দ্বিতীয়বার, দশবছর বয়সে মরুভূমিতে থাকাবস্থায়, তৃতীয়বার, রামাজান মাসে নবুওয়াতপ্রাপ্তির পূর্বে হেরা গুহায় অবস্থান কালে এবং চতুর্থ বার, মি'রাজের রাতে হাতিমে কা'বায় তাশরীফ গ্রহণের পর।
* সিরিয়া সফর : রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর বয়স যখন ছয় বছর মতান্তরে নয় বছর হয়, তখন চাচার সাথে তিনি প্রথম সিরিয়া সফর করেন। এরপর ২৩ বছর বা ২৪ বছর বয়সে হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর গোলামের (যার নাম ছিল মাইসারা) সাথে দ্বিতীয়বার সিরিয়া সফর করেন।
* বিবাহ্ : হযরত মুহাম্মদ (সঃ) পঁচিশ বছর বয়সে চল্লিশ বছর বয়সী হযরত খাদীজা বিনতে খুওয়াইলিদের সাথে বিবাহ্ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
খাদীজা (রাঃ)-এর সাথে মহানবী (সঃ) নবুওয়াতপূর্ব দীর্ঘ পনের বছরসহ মোট পঁচিশ বছর দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করেন। তাঁর জীবদ্দশায় তিনি আর কোন বিবাহ করেন নি। তাঁর ইন্তেকালের পর তিনি অন্যান্য বিবাহ করেন।
* স্ত্রীগণ : রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর ১১ জন স্ত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর জীবদ্দশায় দুইজন (হযরত খাদীজা (রাঃ) এবং হযরত যইনব বিনতে খুযাইমা (রাঃ)) ইন্তেকাল করেন। বাকী নয় জন রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর ওফাতের সময় জীবিত ছিলেন। তাঁরা হলেন - (১) হযরত আয়েশা (রাঃ), (২) হযরত হাফসা (রাঃ), (৩) হযরত উম্মে সালমা (রাঃ), (৪) হযরত যাইনব বিনতে জাহাশ (রাঃ), (৫) হযরত জুওয়াইরিয়া (রাঃ), (৬) হযরত উম্মে হাবীবা (রাঃ), (৭) হযরত সাওদা বিনতে যাম'আ (রাঃ), (৮) হযরত সাফিয়া (রাঃ), এবং (৯) হযরতর মাইমুনা (রাঃ)।
সন্তানাদি : রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর দুই পুত্র (কাসিম এবং আবদুল্লাহ্ (রাঃ)) এবং চার কন্যা (হযরত যাইনব (রাঃ), হযরত রুকাইয়া (রাঃ), হযরত উম্মে কুলসুম (রাঃ) এবং ফাতিমা (রাঃ))।
* নবুওয়াত লাভ : রাসূলুল্লাহ (সঃ) -এর বয়স যখন ৪০ বছর পূর্ণ হয়, তখন তাঁকে নবুওয়াত প্রদান করা হয়। সে দিন ছিল ১৭ই রমাজান মতাবেক ৬ই আগষ্ট-৬১০ খৃষ্টাব্দ।
* ইসলামের দাওয়াত : নবুওয়াত প্রাপ্তির পর সাসূলুল্লাহ (সঃ) প্রথম তিন বছর গোপনে ইসলাম প্রচার করেন। অতঃপর আল্লাহ তাআলা তাঁকে প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচারের নির্দেশ দেন। তখন থেকে তিনি প্রকাশ্যভাবে ইসলামের দাওয়াত প্রদান করেন।
* তায়িফ সফর : নবুওয়াতের দশম বছর শাওয়ালের ২৬/২৭ তারিখে যাইদ ইবনে হারিছা (রাঃ)-কে সাথে নিয়ে রাসুলুল্লাহ (সঃ) দ্বীনের দাওয়াত দিতে তায়িফ গমণ করেন।
* মি'রাজ : রাসূলুল্লাহ (সঃ) -এর বয়স যখন ৫১ বছর নয় মাস হয়, তখন তাঁকে সশরীরে মর্যাদাপূর্ণ ইসরা ও মি'রাজ ভ্রমণের মাধ্যমে সম্মানিত করা হয়। মি'রাজে রাসূলুল্লাহ (সঃ) প্রথমে কা'বা থেকে বাইতুল মুকাদ্দাসে যান, অতঃপর সেখান থেকে এক এক করে সাত আসমান অতিক্রম করে মহান আল্লাহর আরশে আজীমে তাশরীফ গ্রহণ করেন। এ মি'রাজ সফরে রাসুলুল্লাহ (সঃ) পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে বিধান লাভ করেন। মি'রাজে গিয়ে রাসূলুল্লাহ (সঃ) জান্নাত এবং জাহান্নাম স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেন।
মদীনায় হিজরত : ৪ঠা রবিউল আউয়াল সোমবার রাসূলুল্লাহ (সঃ) হযরত আবু বক্কর (রাঃ) সহ মক্কা থেকে হিজরত শুরু করেন এবং লোকালয় পেরিয়ে ছাওর গুহায় অবস্থান গ্রহণ করেন। অতঃপর তাঁদের সাথে আমের ইবনে ফুহাইয়া এবং আবদুল্লাহ ইবনে উরাইকিতকে নিয়ে মদীনায় হিজরত করেন।
* জিহাদে অংশগ্রহণ : রাসূলুল্লাহ (সঃ) স্বীয় জীবনে সর্বোমোট তেইশটি জিহাদে অংশগ্রহণ করেন। এ সকল জিহাদকে 'গাযওয়া' বলা হয়। তন্মধ্যে মোট নয়টি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। যথা- (১) গাযওয়ায়ে বদর, (২) গাযওয়ায়ে উহুদ, (৩)গাযওয়ায়ে আহযাব, (৪) গাযওয়ায়ে বনী কুরাইযা, (৫) গাযওয়ায়েবনী মুস্তালিক, (৬) গাযওয়ায়ে খাইবার, (৭) গাযওয়ায়ে ফাতহে মক্কা, (৮) গাযওয়ায়ে হুনাইন এবং
(৯) গাযওয়ায়ে তায়িফ।
আর রাসূলুল্লাহ (সঃ) নিজে সশরীরে অংশগ্রহণ না করে অপর কাউকে সিপাহসালার নিযুক্ত করে সাহাবায়ে কেরাম -এর জামা'আতকে যে জিহাদ অভিযানে প্ররণ করেছেন, তাকে 'সারিয়্যা' বলে। এ ধরনের জিহাদের সংখ্যা ৪৩টি।
* ওফাত : রাসূল (সঃ) ৬৩ বছর বয়সে ১১ হিজরীর ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার দুপুরের পর রফীকে আ'লা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ডাকে সাড়া দিয়ে ইহধাম ত্যাগ করে পরপারে গমন করেন । অতঃপর খলীফা নির্বাচনের কাজসমাধা করে ১৪ই রবিউল আউয়াল রাতে হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ)-এর গৃহে (রওযা মুবারকে ) রাসূলুল্লাহ্ (সঃ)-কে সমাহিত করা হয়



তথ্যসুত্র- মহানবী (সঃ)-এর জীবনী।


১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×