somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পেয়ারা বেগম , সখিনা আর ভয়াল PPH

০৮ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই যে শহুরে মানব , কয়েকদিন আগেই খুব ঘটা করে পান্তা ইলিশ খেয়ে বাংগালিয়ানা নবায়ন করেছেন , এখন একটা প্রশ্ন করি তাহলে । অরিজিনাল বাঙ্গালী মানে ওই কিষাণ কিষাণীরা এখন খুব ব্যস্ত ,বলতে পারবেন কি নিয়ে ব্যস্ত তারা ?




উমম , আমাকেই কি বলে দিতে হবে ?

আচ্ছা বলেই দিই , তারা এখন বরো ধান কাটা নিয়ে দারুণ ব্যস্ত ।

ধানের সাথে হাসপাতালের একটা যোগ আছে । কিছু এলাকার কৃষকরা ধান তোলা হয়ে গেলে অবসর পায় । তাতে করে কি , মারামারি করে । হিংস্রতাই ওদের বিনোদন । হারে-রেরেরে বলে বলে এই গ্রাম ওই গ্রামের সাথে যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে । কঠিন মারামারি । হাসপাতাল ভরে যায় দুই গ্রামের ইনজুরির রোগী দিয়ে । ডাক্তার রা এই গ্রামের লোকদের ফাটা মাথা সেলাই দিতে থাকে আবার ওই গ্রামের লোকদের ও ভাঙ্গা হাত পায়ে প্লাস্টার করতে থাকে ।

টগবগ করে ফুটতে থাকা রক্তের এই গ্রামের অশিক্ষিত লোকগুলোর সাথে কাজ করা এক ভয়ংকর ব্যাপার । এই একগুঁয়ে ,শুকনা পটকা লোকগুলোর ডাক্তার হলে সকাল বেলায় দোয়া দরুদ পড়ে বের হতে হয় । কারণ অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় আসার পর মারা গেলে এরা ডাক্তারের অবহেলা বলে ঝাঁপিয়ে পড়ে ।

এতো গেল , ধান তোলার পর অবসরে ওরা কি করে ।ঠিক ধান তোলার সময় গ্রামের কৃষক ফ্যামিলি থাকে মহা ব্যস্ত । ধান মাড়াই ,বাছাই , ধান শুকানো , ধান সিদ্ধ করা , চাল করে নিয়ে আসা , খড়ের গাদা দেয়া এসব নিয়ে এত ব্যস্ত থাকে যে কেউ মরে গেলেও ডাক্তারের কাছে আনতে চায়না ।


এমন মৌসুমে স্ট্রেচারে শুয়ে শুয়ে যখন অবস ইমার্জেন্সীতে প্রবেশ করেছে , তখন ধরেই নিতে হবে রোগীর ভয়াবহ কিছু হয়েছে । গুরুতর অসুস্থ রোগীর আত্মীয় স্বজন যদি বুঝদার হয় , তাদেরকে সাথে নিয়ে হিমালয়ের সমান বিপদও পাড়ি দেয়া যায় । আর যদি না হয় , তাহলে যে পরিস্থিতি হয় , তা দেখে বলতে ইচ্ছে করে মাইরালা আম্রে মাইরালা টাইপের অর্থহীন কথা বার্তা ।

মাগরিবের পর পর কোলাহল ময় হয়ে উঠল হাসপাতাল ।রোগীর সাথে দুনিয়ার লোকজন । রোগীর নাম জানার আগেই আমি জানতে পারলাম , এখানে এত লোকের মধ্যে একজনের নাম সখিনা , আরেকজনের নাম বাবুল্যার বাপ । একটু দূর থেকে দেখা গেল রুগী বলছে ,
ও সখিনা ,আমারে পানি দে । সখিনা , তরে কই না আমারে পানি দিতি ।
ও বাবুল্যার বাপ , আলমারির মধ্যে মোয়া আছে ।মোয়া আর পানি দেন ।
রোগী ক্রমাগত এই কথা বলে চলেছে ।

এত লোক ভিড় করে থাকলে রোগী দেখব কিভাবে ? রোগীর কাছ পর্যন্ত যেতে তো হবে ।সখিনা কিছুতেই রোগীর কাছ কাছ ছাড়া হতে চাচ্ছেনা । তারা বুঝে গেছে রোগীর এখন শেষ অবস্থা । সে পানি ও পানি পানি করছে । মোটামুটি কারবালার মত পরিস্থিতি । হাসপাতালে পানির অভাব নাই । কিন্তু সে রোগীকে গরম পানি দিতে চাচ্ছে ।
এক্কানা গরম পানির ব্যবস্থা করি দেন না ।
ইগো এক্কানা গরম পানির ব্যবস্থা করেন ।
বাবুল্যার বাপ ও ভিড় বাড়িয়ে রেখেছে । সেও রোগী মরার সময় পাশে থাকতে চায় ।
কোন ভাবেই রোগীর লোকজনকে সরানো যাচ্ছে না । ডাক্তারের কাছে তারা এসেছে বটে তার আসরে গিয়ে ডাক্তার কে রোগী দেখার সুযোগ করে দিতে তারা মোটেই আগ্রহী নয় ।
এই রোগীর নাম পেয়ারা বেগম । বয়স ৩০ । রোগীর ফজরের সময় ডেলিভারি হয়েছে । আর এখন মাগ্রীব । এটা ছিল তার পাঁচ নম্বর বাচ্চা । তার পর এই যায় যায় অবস্থা ।

রোগীর গায়ের বর্ণ ফ্যাকাশে রক্তহীন কাগজের মত সাদা । পেপার হোয়াইট ।
অত্যন্ত দ্রুত গতির পালস হালকা ভাবে বুঝা যাচ্ছে । ব্লাড প্রেশার এত ফল করেছে যে রেকর্ড করা যাচ্ছেনা । পুরো শরীর ঠাণ্ডা শীতল একটু ঘর্মাক্ত ।

১৩ -১৪ ঘণ্টা আগে ডেলিভারি হয়েছে তাহলে নিশ্চিত ভাবে তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে , বা যতটুকুই হয়েছে রোগীর শরীর তা নিতে পারছেনা । রোগী শকে আছে ।

আর ভাবা লাগেনা , এই রোগী ডেলিভারির পরের এক জীবন সংহারক সমস্যায় পড়েছে এটা হল P.P. H ( post partum haemorrhage ) . বাংলাদেশের মায়েরা সন্তান জন্মদিতে গিয়ে এই সমস্যাতে ই বেশীর ভাগ মারা যায় । মাতৃমৃত্যুর বিশাল অংশ দখল করে আছে প্রসব পরবর্তী রক্ত ক্ষরণ ।


অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ অনেক কারণেই হতে পারে ।
যেমন ফুল না পড়া ,
বা ফুলের অংশ জরায়ুতে থেকে যাওয়া ,
অথবা জরায়ু মুখ ছিঁড়ে যাওয়া ।
সবচেয়ে কমন সমস্যা যেটা হয় , সেটা হল ইউটেরাইন এটোনিসিটি ।


ক্লিনিক্যাল একজামিনেশন করে যেটা বুঝা গেল , এই জরায়ু ডেলিভারির পরে ভাল মত কন্ট্রাক্ট করেনি । ঢিলেঢালা হয়ে ছিল । আর সেখান ঠেকে প্রচুর পরিমাণে রক্ত ক্ষরণ হয়ে জরায়ুতে জমা হয়ে যাচ্ছে । ফুলের কিছুটা অংশ থেকে যেতে পারে জরায়ুতে । যেটা তখন জরায়ুকে পুরপুরি ভাবে কন্ট্রাক্ট করতে দেয়নি । আরও রক্ত ক্ষরণ হয়েছে । ভিতরে রক্ত জমে জমে ইউটেরাস এখন পাথরের মত শক্ত হয়ে আছে । এত রক্ত ক্ষরণ পেয়ারা বেগম নিতে পারেনি । তার পালস , ব্লাডপ্রেসার চেঞ্জ হয়ে সে শকে চলে গেছে ।



খুব খারাপ রোগী , সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয় , এ রোগীকে আজরাইলের কাছ থেকে ফিরিয়ে আনতে ।
তাড়াতাড়ি লার্জ বোর ক্যানুলা ২ টি চালু করতে হবে ,
দুই লিটার আইভি ফ্লুইড চালু করতে হবে ।
অক্সিজেন চালু করতে হবে ।
ক্যাথেটার করতে হবে ।
একই গ্রুপের ব্লাড চালু করতে হবে ।
সেইসাথে তার রক্তক্ষরণের কারণ দূর করতে হবে ।




। পেয়ারা বেগমের শরীরে রক্তশুন্যতা সামাল দেয়ার কম্পেন্সেটরি মেকানিজম গুলো শুরু হয়ে গেছে । তার ই ফলশ্রুতিতে শরীরের পেরিফেরাল রক্তনালীগুলো এমন সংকুচিত হয়েছে যে শিরা গুলো দেখা যাচ্ছে না । তাড়াতাড়ি আই ভি চ্যানেল ওপেন করে ভলিউম রিপ্লেস করে ভাসকুলার বেড কে ঠিক রাখাই সবচেয়ে জরুরী ।
কিন্তু চ্যানেল করার জন্য ভেইন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা । তখন আপনার মনে হবে দিয়ে চামড়া কেটে ভেইন খুঁজে বের করতে জানাটা কতটা জরুরী । সব ভেইন ডুবে গেলেও গলার কাছে জুগুলার ভেইন টা ডুববেনা । গলার মধ্যে সুঁই ঢুকিয়ে সেন্ট্রাল ভেনাস লাইন করতে পারা অনেক সময় জীবন রক্ষা কারি ।

অতি কষ্টে একটা চ্যানেল করা গেল ।

রোগী বলল , বাবুল্ল্যার বাপ মোয়া খাব ।
সমস্যা কি , এত কিছু থাকতে রোগী মোয়া খেতে চাইছে কেন । এরকম শকে থাকা রোগী সাধারণত নিস্তেজ হয়ে পড়ে থাকে । তাদের কথা বলার শক্তিও থাকেনা ।

শরীর সব কাজ চালানোর মত প্রয়োজনীয় রক্ত নাই । ভাইটাল অর্গানে ব্রেইন , কিডনিতে রক্ত সরবরাহ করছে হার্ট । সেটা পর্যাপ্ত হচ্ছে না । ব্রেইনে রক্ত প্রবাহ কিছুটা কম বলেই রোগী মেন্টাল কনফিউশনে আছে । সুতরাং সে যেঁ এখনো কথা বলছে ব্যাপার তা ভাল কিছু না । এই বিপদে সে মোয়া খাব , মোয়া খাব বলে প্রলাপ বকছে ।

আমাকে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করা অতীব জরুরী । যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একই গ্রুপের রক্ত দিতে হবে ।

কমপক্ষে ২ ব্যাগ এখুনি চাই । কয়েক সিসি রক্ত নেয়ার সময় সখিনা আগলে ধরল ,
আমাগো রুগীর রক্ত কিয়ের লাই নেন । হাসপাতাল সম্পর্কে মানুষের ধারণা হল এখানে রোগীর রক্ত বিক্রি করে দেয়া হয় ।
গ্রুপ জানা হয়ে গেলে বুঝদার রোগী হলে নিমিষেই রক্ত জোগাড় হয়ে যায় । অবশ্য হাসপাতালে সবসময় রেগুলার ডোনারদের ফোন নম্বর থাকে ।
কিন্তু আজ কপাল খারাপ । রক্ত দেয়ার মত কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না । বি পজিটিভ । কমন রক্ত । কিন্তু এই কমন গ্রুপেরও আকাল পড়ে গেল ।

সখিনা ঘোষণা দিল , তারা কেউ রক্ত দিবেনা ।

না আমরা রক্ত দিমু না । সে গেলে মারা যাক । একজনের জন্য আমরা সবাই মরতে পারবনা ।
আমরা গরীব , আমাদের কারো গায়েই রক্ত নাই ।
আপনারা রক্ত কিনেন । আপনারাই রক্ত দিয়ে দেন আমরা টাকা দিয়ে দিমু ।
>> আগে তো তোমরা এত জন আছ , তোমরা গ্রুপ পরীক্ষা কর । তোমরা ব্লাড দাও ।

এরাও রক্ত দিবে না । ডোনার দের ও পাওয়া যাচ্ছে না ।
আহারে , বেশ হতাশাজনক পরিস্থিতি ।

ডাঃ পারভীন , আপনি অনেকটা সময় সেইফ ব্লাড ডোনেশনের পথিকৃৎ ভলান্টেরী অর্গানাইজেশন সন্ধানী করেছেন , অনেক মানুষকে রক্তদানে মোটিভেট করে অনেক ব্যাগ রক্ত কালেক সন করেছেন । অনেক রোগী বেঁচে গেছে তাতে । আজ এই অশিক্ষিত এই কয়েকটি মানুষের কাছে আপনার মোটিভেশনের যাবতীয় সূত্র ব্যর্থ হয়ে গেছে । আপনি রক্তের অভাবে রোগীটাকে মরতে দেখবেন ।
হুম , ব্যাপারটা যথেষ্ট হতাশার আর বেদনার ।তার হিমোগ্লোবিন ৩ । হিমোগ্লোবিন ৩ নিয়ে রোগী কতক্ষণ বেঁচে থাকবে ।
কিছুপরেই রক্তের অভাবে রোগী ইরিভার্সিবল শকে চলে যাবে । রক্তের অভাবে শরীরের সব অর্গান কাজ করা বন্ধ করে দিবে । কোন চিকিৎসাই তখন কাজে আসবেনা ।
সখিনা হল পেয়ারার বোন , তার ভাই ও আছে উপস্থিত । ভাইবোনের সাথে গ্রুপ অবশ্যই মিলত । আর বি পজিটিভ তো খুবই কমন একটা ব্লাড গ্রুপ । রোগীর লোকজন চোখের সামনে রুগীর প্রতি মায়া তুলে নিচ্ছে । তারা তার মরে যাওয়াটা মেনে নিয়েছে । এই দীর্ঘ জীবনে ভালবাসার পরাজয় অনেকবার দেখা হয়েছে । সত্যি কথা যেটা , এসব দেখা খুব ক্লান্তিকর ।


রোগী এখনো প্রাণের অস্তিত্ব ঘোষণা করল ওরে বাবুল্যার বাপ , পানি দেন ।
রোগীর শেষ দশা । মোয়া আর পানি খাওয়ার হাহাকার নিয়ে মরে যেতে দেয়া যায় না ।
দাও সখিনা , পানি দাও ।
সখিনা আবার ও গরম পানি , ঠাণ্ডা পানির ক্যাচালটা লাগিয়ে দিল । সদ্য ডেলিভারি হওয়া রোগীকে নাকি গরম পানি খেতে দিতে হয় । গরম পানি ম্যানেজ হয়েছে ।

আমাদের তো বিভিন্ন ডোনার কে ফোন দেয়া হয়ে গেছে । কিন্তু তারা আসার আগেই ইমার্গেন্সি ভাবে রক্ত চালু করতে হবে । তোমাদের কাছ থেকে রক্ত উদ্ধারের শেষ চেষ্টা কাজে লাগাতে হবে । সুশীল ভদ্দরনোক রক্তচোষা ট্যাগ যেহেতু দিয়েই দিয়েছে , দেখি এই নামের বরকতে কিছু করা যায় কিনা । না , সেটা লিখব না । কারণ সেটা কি উপায় জানলে আপনার ভাল লাগবেনা । কিন্তু অমানুষীয় পদ্ধতি ও মাঝে মাঝে কাজ দেয় ।

আরও কিছুক্ষণ পরে ড্রপ বাই ড্রপ রক্ত পেয়ারার হৃদপিণ্ডে পৌঁছে যেতে লাগল ।


কে রক্ত দিল ?
হিহিহি , সখিনা ।
পড়বি তো পড় মালীর ঘাড়েই । এত মানুষের মধ্যে সখিনার রক্তই একমাত্র গ্রুপের সাথে মিলল । বেচারা সখিনা রক্ত দেয়ার পর ভয়ে মাথা ঘুরে পড়ে গেল কিন্তু সখিনার রক্তই আবার প্রাণের জোয়ার আনল । আমরা ইঊটেরাস থেকে কেজি দেড়েক ক্লট ( জমাট বেঁধে যাওয়া রক্ত) রিমোভ করলাম । জরায়ু কন্ট্রাকশনের জন্য ঔষধ পত্র এমন ভাবে এডজাস্ট করা হল , যেন একটু ও বাড়তি রক্ত বেরিয়ে না যায় ।
আর ব্লাড পাওয়া গেল । নতুন করে ব্লাড যাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ হল । রোগী কি যাত্রা বেঁচে গেল .

PPH , খুব বিপদজনক সমস্যা । অনেক সময় জরায়ু পর্যন্ত ফেলে দিতে হয় । শক ইরিভার্সিবল হয়ে গেলে কোন ট্রিটমেন্ট কাজ করে না ।
মাঝরাত পর্যন্ত এইসব ঝামেলা পোহানোর পর আবার সকাল বেলা সিস্টারের ফোন । পেয়ারা বেগম ব্যথার কথা বলতেছে । >আচ্ছা , শুধু ব্যথাই বলছে । আর কিছু বলছে নাতো? আচ্ছা শুন ,পেয়ারা বেগম বাবুল্যার বাপের কাছে মোয়া খেতে চাচ্ছে নাতো ?

>>না । বাবুল্যার বাপ সারারাত রোগীর হাত ধরে বসে ছিল । তারে সরানোই গেলনা ।

সকালে দেখি সখিনা রোগীর পায়ের কাছে বসে আছে । আমি জানিনা কখন স্নেহের হাতটা সখিনার মাথায় চলে গেল । পরিস্থিতির চাপে পড়ে হোক না কেন সখিনার দেয়া রক্তেই পেয়ারার জীবন ,

>> তোমার দেয়া রক্তে তোমার বোনের জীবন বেঁচেছে । বাকি জীবন যদি ভাল হয়ে চল , এই রক্ত দান ই তোমাকে বেহেস্তে নিয়ে যেতে পারে ।
এই বিষয়ে পবিত্র কুরান শরীফে আছে , যে ব্যক্তি কারো জীবণ বাঁচাল সে যেন সমগ্র মানবজাতির জীবন বাঁচাল ।
>> আপা ছোট ছোট ৫ টা বাচ্চা , এরমধ্যে ১ টার বয়স ১ দিন । কি হইত আজ এগুলির মা মরে গেলে । এই রক্তই আখেরাতে দাঁড়াইবো । বলল আরেক আত্মীয়া
সবাই মিলে সখিনার এই সাহসিকতার মূল্যায়ন এত স্নেহের কথায় সখিনার চোখ হতে একফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ে গেল ।


পেয়ারা বেগমের মোয়া খেতে চাওয়ার কোন কথাই এখন মনে নাই । সে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছে । বাসায় থাকলে মরেই যেত ।সময় মত রক্ত না পেলেও মরে যেত ।

বাবুল্ল্যার বাপ তার বউ এর পোস্ট খালি হলে কতদিন মনে রাখত পেয়ারা বেগমকে কি জানি কিন্তু

অনেকদিন আগে এক মহিলা এরকম সন্তান জন্মদিতে গিয়ে এই ভয়াল PPH এ মারা গিয়েছিলেন । তাঁর স্বামীর প্রিয় জন হারানোর অশ্রু নিয়ে যমুনা আজো বয়ে যায় । সেই সমাধি ঘিরে লাভ বার্ড আজো করুণ গান গায় । প্রিয়তমার সমাধিতে খুব সুন্দর মহল তৈরি করেন । যা পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের একটি নিদর্শন । তাজমহল । গাইনী এন্ড অবসের ডাক্তার রা তাজমহল কে প্রেমের না PPH এর প্রতীক বলে ।






সমাপ্ত


উৎসর্গ - যারা স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেন , তারা আসলে জীবন দান করেন ।

অট - মন ভাল নেই । অতটা মানুষ নই যাতে করে খুঁজে পাব অযস্র যুক্তি নিজের দেশের মানুষের রক্তে নিজেরাই হোলি খেলার। বিষন্ন বিষন্ন আর বিষন্ন মন ,মে এর এই বৃষ্টি ভেজা দিন রাতএর মত ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৯
২৬টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×