somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের পরিবেশ ও এর উন্নয়ন

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুষ প্রকৃতিকে জয় করার মধ্যেই ঘটিয়েছে প্রকৃতির রূপান্তর। রূপান্তরের ধারায় আবার প্রকৃতির উন্নতি যেমন হতে পারে, তেমনি হতে পারে অবনতিও। প্রকৃতির এরূপ অবনতিতে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে বাধ্য। কারণ মানুষ প্রকৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু এই মানুষই, প্রকৃতিকে জয় করতে গিয়ে ইকোসিস্টেম বা প্রকৃতির রাজ্যের ভারসাম্যকে ব্যাহত করে এবং অনবরতই তা করে। অবশ্য মানুষ তা করে জীবনেরই প্রয়োজনে। তবে জীবনের সেই দাবি মিটাতে গিয়ে মানুষ এখন প্রকৃতিকে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে এসেছে যে, প্রকৃতি যেন তার মানুষ বহন করার ক্ষমতা দ্রুততালে হারিয়ে ফেলছে। কাজেই আজকের মানুষকে তার নিজের বেঁচে থাকার স্বার্থে, পৃথিবীতে টিকে থাকার স্বার্থে প্রকৃতির আরো অবনতি রোধ করার উদ্যোগ নিতে হবে এবং সেইসাথে এরই মধ্যে যেটুকু অবনতি হয়ে গেছে তা পুনরুদ্ধার করতে হবে, ইকোসিস্টেমের বিভিন্ন শক্তির মধ্যে ভারসাম্য অবশ্যই প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এতে ব্যর্থতার পরিণতি মানবজাতির জন্য মারাত্মক। তাতে জীবনযাত্রার বিদ্যমান মানের আরো অবনতি তো ঘটবেই, এমনকি বিশ্বমায়ের কোলে মানুষের অস্তিত্ব রক্ষা করা পর্যন্ত মহাহুমকির সম্মুখীন হতে পারে। পরিবেশ-বিবেচনা-বর্জিত উন্নয়নের এটা হচ্ছে নিয়তি এবং এখন পর্যন্ত এ প্রবণতাই প্রবল।
পরিবেশ সম্পর্কিত একাত্মতা: পরিবেশ সম্পর্কে উদ্বেগ সভ্যতার সূচনা থেকেই লক্ষ্য করা যায়। সুপ্রাচীনকাল থেকে মহামনীষী ছাড়াও প্রকৃতিপ্রেমিক শিল্পী, সাহিত্যিক ও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব প্রকৃতির জয়গান করেছেন, প্রকৃতির সৌন্দর্য ও মাহাত্ম্য বর্ণনা করেছেন এবং প্রকৃতিপ্রেমের অন্তহীন আলেখ্য তুলে ধরেছেন। তবে প্রকৃতিকে পরিবেশের সাথে একাত্ম করে দেখার চেতনা সাম্প্রতিককালের ব্যাপার। এটা সূচিত হয়েছে যখন বিশ্বে মাত্রাতিরিক্ত হারে জনসংখ্যা বেড়ে গিয়ে পরিবেশের অবনতি অবধারিত করে তুলেছে এবং যখন মানুষ প্রকৃতির সম্পদভান্ডারের প্রকাশ্য ও গোপন দুর্গে হানা দিয়ে বসেছে। আবার, ধারণোপযোগী ও অর্থবহ উন্নয়নের পূর্বশর্ত হিসাবে পরিবেশকে বিচার-বিবেচনায় আনা শুরু হয় বলতে গেলে ’৬০-এর দশক থেকেথযখন প্রযুক্তিগত বিপুল উদ্ভাবন পরিবেশের যথেষ্ট অনিষ্ট সাধনের সাথে সম্পর্কযুক্ত সংকটের বহুবিধ নেতিবাচক গ্রন্থি আকস্মিকভাবে উন্মোচিত করে দেয়।
পরিবেশের উপর প্রভাব: ওজোনস্তরের কথা বলা যায়। এটা এখন বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে ওজোনস্তরের ক্ষতি সাধিত হয়েছে, গ্রিনহাউস প্রভাব বায়ুমন্ডলের উষ্ণতা বাড়িয়েছে এবং আরো বাড়িয়ে চলেছে। এসিড রেইন বা রাসায়নিক বৃষ্টিপাত বনের জন্য হুমকিস্বরূপ হয়ে তেজস্ক্রিয় ভস্মজনিত মহামারীর আশঙ্কা দিনকে-দিন ঘনীভূত করে তুলছে। বলাই বাহুল্য, এ আশঙ্কার রয়েছে অন্তঃস্থলে লুকায়িত প্রযুক্তি। ফলে উন্নত রাষ্ট্রগোষ্ঠীসহ অন্যান্য দিক দিয়ে প্রাচুর্যপূর্ণ সমাজগুলিতেও পানি, বায়ু আর শব্দের দূষণ জীবনকে শোচনীয় করে তুলেছে। এর বিপরীতে উন্নয়নশীল দেশগুলির জনাকীর্ণ নগরী ও মহানগরীগুলিতে বানের মতো বস্তি-এলাকার সম্প্রসারণ উন্নয়নের প্রতি পরিহাস হিসাবে বিরাজ করছে।
জাতিসংঘের নির্দেশনা: এই প্রেক্ষাপটে বিশ্ব পরিবেশ ও উন্নয়ন কমিশনের সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশ হচ্ছে :
‘‘ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সব দেশে পরিবেশ ও উন্নয়নের মধ্যে সহমর্মিতা একান্ত অপরিহার্য। টেকসই উন্নয়নের পথ অনুসরণ করতে প্রতিটি দেশের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতির পরিবর্তন সাধনও একান্ত বাঞ্ছনীয়।’’
লক্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে এই যে, উন্নয়ন ও পরিবেশের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার বিষয়ে বিশ্বজোড়া সরকার ও জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে। অনেকেই এই প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণেও তৎপর হয়েছেন। আমাদের বাংলাদেশে বলতে গেলে সবেমাত্র উন্নয়নপ্রক্রিয়া শুধু হয়েছে। এতে আমাদের বিশেষ সুবিধার দিক হচ্ছে : অন্যদের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেয়ার সুযোগ আমাদের জন্য অবারিত। বিশ্বের বহু দেশের মতো আমাদের দেশেও পরিবেশ সংরক্ষণের সপক্ষে আইনকানুনও রয়েছে। কয়েকবছর আগে সরকার ‘পরিবেশ মন্ত্রণালয়’ গঠন করে এ-ব্যাপারে আরও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে। তবে আজকের দিনের প্রেক্ষিতে সেসব আইন নিছক আদর্শবাক্য-আশ্রিত ও অপর্যাপ্ত এবং তার বাস্তবায়নও সম্যক অনুপস্থিত। সুতরাং প্রয়োজন সার্বিক পরিমন্ডলে পরিবেশ সংরক্ষণের সময়োপযোগী আরো ব্যাপকভিত্তিক ও বাধ্যতামূলক আইন ও বিধিবিধান। একটি জনাকীর্ণ দেশ হিসাবে বাংলাদেশের জন্য এর কোনো বিকল্প নেই। আজকের প্রয়োজন হচ্ছে সঠিক সময়ের আলোকে সময়োপযোগী আইনথযা সুষ্ঠু ও সামঞ্জস্যপূর্ণ পরিবেশে সুষম উন্নয়নকে নিশ্চিত করে তুলবে।
পরিবেশ দুযোর্গের প্রেক্ষাপট: উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণের সাথে সম্পৃক্ত প্রসঙ্গগুলি সীমিত পরিসরে উন্মোচন করা হলে লক্ষ্য করা যায় যে, মানুষের কারিগরি মেধা ও সম্মিলিত ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর মানবিক অগ্রগতি বরাবর নির্ভর করেছে। উন্নয়ন হাসিল ও উন্নত পরিবেশ রূপায়ণে মানুষের এই মেধা অনেক ক্ষেত্রে আইনানুগভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। বায়ু ও পানির দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং বস্তু ও জ্বালানি ব্যবহারে দক্ষতা বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলিতে এর প্রমাণ মেলে। বহু দেশ বিস্ময়কর উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি জনসংখ্যা বৃদ্ধির রাশ টানতে সক্ষম হয়েছে। ওষুধের মতো কোনো-কোনো প্রাযুক্তিক অগ্রগতিতে বিশ্বের প্রায় সব দেশ ভাগীদার হতে পেরেছে অথবা সুবিধাগুলি ভাগাভাগি করে নেয়ার ব্যাপকতর সুযোগ লাভ করেছে।
পরিবেশ সংরক্ষণ: পরিবেশ সংরক্ষণ এবং উন্নয়নপ্রবাহ টিকিয়ে রাখার ব্যর্থতা বিশ্বের বহু দেশের ব্যাপক জনগোষ্ঠীর বর্তমান ও ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত ও ঝুঁকিপূর্ণ করেও তুলেছে। পরিবেশ এবং উন্নয়নজনিত হুমকি একটি থেকে অন্যটি আবার স্বতন্ত্র নয় বরং অবিচ্ছেদ্যভাবে একাত্ম। একটি অবনতিশীল প্রাকৃতিক ভিতের ওপর উন্নয়ন টিকে থাকতে পারে না। পরিবেশের অবনতির খেসারত যদি উন্নয়নের মূল্যমানকে পিছন ফেলে দেয় তখন উন্নয়নের সাথেও কোনো লাভ বা সুবিধা যুক্ত থাকে না। কেননা, উন্নয়নের মূল্যমান ও মানবিক সুবিধা কার্যকারণ ও প্রভাব প্রতিক্রিয়ার এক জটিল পদ্ধতিতে আবদ্ধ। এজন্য এর সমাধানও বিচ্ছিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়াস বা খন্ডিত নীতিমালার গন্ডিতে সাধন করা সম্ভব নয়।
পরিবেশ উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ:পরিবেশ উন্নয়নে যুতসই বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সরকার 'ক্লাইমেট ডিপেস্নামেসি' শুরু করেছে। চলতি শতকের সবচেয়ে আলোচিত এ ইসু্য সামনে তুলে ধরে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তুলেছে বাংলাদেশ। ক্লাইমেট ডিপেস্নামেসির কারণে উন্নত বিশ্বের পরিবেশ দূষণ কর্মকা-ে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ৰতিগ্রসত্ম দেশ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল বিশ্বের নেতৃত্বের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। কোপেনহেগেন সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা এজেন্ডাভুক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশ এ নেতৃত্বের অবস্থান নিশ্চিত করে। সরকার দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রৰা এবং পরিবেশ উন্নয়নে আনত্মর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনের আর্থিক সমর্থনও নিশ্চিত করেছে। ইতোমধ্যে আনত্মর্জাতিক অর্থে প্রায় ১২শ' কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ প্রসঙ্গে বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে বাংলাদেশ। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় এ মুহূর্তে বাংলাদেশ 'ক্লাইমেট ডিপেস্নামেসি' শুরম্ন করেছে, যার ফল কোপেনহেগেন সম্মেলনে পাওয়া গেছে। সরকারের ব্যাপক সমালোচনার পরও পরিবেশ উন্নয়নে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরির জন্য সরকার বাপাকে এবার জাতীয় পরিবেশ উন্নয়ন পদক দেয়ার সিদ্ধানত্ম নিয়েছে। পরিবেশ রৰায় বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কর্মকা-ের মধ্যে পলিথিন ব্যবহার বন্ধ, বহুতল ভবন নির্মাণ, নদী দখল, বন দখলসহ পরিবেশের বিভিন্ন দিক নিয়ে সরকার বিসত্মারিত কর্মসূচী গ্রহণ করেছে; জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আইনী ব্যবস্থাপনাও জোরদার করা হয়েছে। ঢাকার নাগরিক জীবনে পরিবেশগত সমস্যার বিষয়টি বর্তমান সরকার বিশেষ গুরম্নত্বের সঙ্গে নিয়েছে। পরিবেশ দূষণের বিষয়ে সরকার মৌলিক সমস্যা হিসেবে নির্ধারণ করেছে_ পানি দূষণ, বায়ু দূষণ, মাটি দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পাহাড় কাটা, বনভূমি উজাড়, শব্দদূষণ এবং জীববৈচিত্র্য বিনষ্ট।
জীববৈচিত্র্য রৰা পরিকল্পনা : সরকার জীববৈচিত্র্য সংরৰণ বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১০ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এ লৰ্যে দেশের প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকাসমূহ (ইসিএ) চিহ্নিতকরণ, প্রতিবেশ সঙ্কটাপন্ন এলাকা ঘোষণা এবং উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। সঙ্কটাপন্ন ঘোষিত এলাকাসমূহের মধ্যে রয়েছে কঙ্বাজার-টেকনাফ, সোনাদিয়া, সেন্টমার্টিন, হালালুকি হাওড়, সুন্দরবন, মারজাত বাঁওড়, টাঙ্গুয়ার, হাওড়, গুলশান লেক এবং বুড়িগঙ্গা, শীতলৰ্যা, তুরাগ ও বালু নদী। চারটি পরিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকার জীববৈচিত্র্য সংরৰণ ও উন্নয়নের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা তৈরি বাসত্মবায়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। পূর্বাচল প্রকল্পে পস্নট বরাদ্দের ব্যাপারে কেবল বন ধ্বংস ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস রোধ করতে প্রধানমন্ত্রী সমসত্ম ফাইলপত্র তলব করেছেন। ইতোমধ্যে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য, পরিবেশ অধিদফতরের বক্তব্য এবং সংশিস্নষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপৰের বক্তব্য গ্রহণ করে বিষয়টি পুনর্বিবেচনায় নিয়েছেন।
জলবায়ূ পরিবর্তনের ক্ষতিপূরণ: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবজনিত ৰতিপূরণ আদায়ের লৰ্যে আনত্মর্জাতিক নেগোসিয়েশনে অংশগ্রহণ এবং ক্লাইমেট চেঞ্জ রিসাইকেল ফান্ড গঠন করে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারপ্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সরকারের নিজস্ব তহবিলে ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড গঠন এবং ৭শ' কোটি টাকা ইতোমধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনের লৰ্যে সিডিএম প্রকল্প তৈরি এবং ৮টি প্রকল্প ইতোমধ্যে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। জলবায়ু উন্নয়নের লৰ্যে গৃহীত প্রকল্পসমূহের মধ্যে রয়েছে নির্মল বায়ু ও টেকসই পরিবেশ, কোস্টাল এ্যান্ড ওয়েটল্যান্ড বায়োডাইভার্সিটি ম্যানেজমেন্ট এ্যাট কঙ্বাজার এ্যান্ড হাকালুকি হাওড়, বাংলাদেশ ইনভায়রনমেন্টাল ইনস্টিটিউশনাল স্ট্রেনদেনিং প্রজেক্ট ইত্যাদি। এমন ৮ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এডিবিভুক্ত জলবায়ু বিষয়ক ১২টি প্রকল্পের কার্যক্রম বাসত্মবায়ন অগ্রগতি শতকরা ৬৪ দশমিক ১৬ ভাগ।

ক্লাইমেট চেঞ্জ কনভেনশন ও কিয়োটা প্রটোকল এঙ্সে এবং তদানুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থায় ক্লাইমেট চেঞ্জ বিষয়ক ১২টি সেল গঠন এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন করায় গত অর্থবছরে পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ বেড়েছে পঞ্চাশ ভাগ। বিষয়টি পরিবেশগত সচেতনতার সাৰ্য বহন করছে। গত অর্থবছরে ১৪ হাজার ১শ' ৪৩টি ছাড়পত্র প্রদান করা হয়। গত অর্থবছরে পরিবেশগত ছাড়পত্র নবায়ন করা হয়েছে ৮ হাজার ২শ' ৮৯টি।
পরিবেশ রক্ষায় সরকারের ভূমিকা: বন ও পরিবেশ রৰার স্বার্থে সরকার গত ১৫ জুলাই এক গণবিজ্ঞপ্তিতে হাইব্রিড হফম্যান কিলন, জিগজ্যাগ কিলন ও ভার্টিক্যাল শ্যাফট কিলন এবং অন্যান্য পরীৰিত প্রযুক্তিতে ইট তৈরির নির্দেশ দিয়েছে। সরকার চলতি অর্থবছরে ৩ কোটি ৮০ লাখ চারা বিনামূল্যে বিতরণের জন্য চারটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। গত বছর সরকার ১শ' ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৪ হাজার পরিবারকে চারা দিয়েছে এবং সরকারী বরাদ্দকৃত অর্থ কিসত্মিতে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালা তৈরি ও শিল্প দূষণ রোধ বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় 'থ্রি আর' (রিডিউজ, রিইউজ, রিসাইকেল) ব্যবস্থার প্রচলন করা হচ্ছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালার খসড়া তৈরি করা হয়েছে। জাহাজ ভাঙ্গার বিষাক্ত বজর্্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালা তৈরির খসড়া করা হয়েছে। মেডিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০০৮ সংশোধন করা হচ্ছে। সকল শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সিডিএম প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। গত অর্থবছরে সরকার বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে দূষণ কর্মকা- রোধে মোট ৩ হাজার ৫শ' ৪৪টি নোটিস দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে পরিবেশন দূষণ রোধে ধার্যকৃত জরিমানার পরিমাণ ২শ' ৫৪ কোটি ৮৭ লাখ ২০ হাজার ৯শ' ২৮ টাকা।
বায়ু ও শব্দদূষণ এবং পলিথিন নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম গত অর্থবছরে সরকার বায়ুদূষণে মোট ২৩ দিন অভিযান পরিচালনা করেছে। এতে জরিপকৃত যানবাহনের সংখ্যা ছিল ৩শ' ৪৪টি। আদায়কৃত জরিমানার পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের শব্দের মাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা-২০০৬ প্রণয়ন ও কার্যকর প্রয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পলিথিন শপিং ব্যাগ উদ্ধারে গত অর্থবছরে সরকার মোট ১শ' ৭০টি অভিযান পরিচালনা করেছে। জব্দকৃত পলিথিনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ২৫ কেজি এবং জরিমানা আদায় করা হয় ৩১ লাখ ৮০ হাজার ১০ টাকা।
পরিবেশ রক্ষায় জনগণের সচেতনতা:পরিবেশ উন্নয়নের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পরিবেশ রৰা এবং উন্নয়নে বাংলাদেশ আলোড়ন তুলেছে। একইভাবে বাংলাদেশে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। বন রৰণে বনরৰীর পরিবর্তে স্থানীয় পর্যায়ের দায়িত্বশীল নাগরিকদের নিয়ে কমিটি গঠন করে তাদের ওপর বন রৰার ভার দিতে হবে। এতে ভাল ফল পাওয়া যায়। একই সঙ্গে তিনি বলেন, পরিবেশ উন্নয়নে সরকার যে কোন ধরনের সমালোচনা ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করবে এবং তাৎৰণিক পদৰেপ নেবে। তবে সমালোচনাগুলো ভিত্তিহীন হলে চলবে না। তিনি বলেন, পরিবেশ উন্নয়নে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সরকারের সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করে। তবে তারা পরিবেশ উন্নয়নে জনসচেতনতা তৈরি করছে। তাই এবার জাতীয় পরিবেশ উন্নয়ন পদক বাপাকে দেয়ার সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়েছে।
এলাকাভিত্তিক পরিবেশ উন্নয়ন প্রতিযোগিতা: বাংলাদেশে প্রতি বছর কমপক্ষে একবার আসা হয়। অনেকদিন হলো পরিবেশটা দেখে মন খারাপ হয়ে যায়। প্রবাসে পরিবেশ দুষনের বিরুদ্ধে কড়া আইন আছে এবং আইন যথাযথ প্রয়োগ করা হয়। এতে করে শাস্তির ভয়ে অথবা নিজের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মানুষ রাস্তাঘাটে ময়লা ফেলা থেকে বিরত থাকে। আর এতে পাওয়া যায় সুন্দর এক পরিবেশ। আমাদের বাংলাদেশে আইন থাকলেও মুল্যায়ন যথার্ত নয়। তাই একটা আইডিয়া মাথায় এলো। আপনাদের সহযোগিতা পেলে কার্যকরি হতে পারে। আমি এলাকাভিত্তিক পরিবেশ উন্নয়ন প্রতিযোগিতার কথা বলছি। ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় এলাকা নিয়ে এবং এলাকার তরুন সমাজকে নিয়ে এই কাজটা শুরু করা যায়। প্রতিমাসে র্যানডম ইন্সপেক্সান হবে। যেই এলাকা সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন হবে, এলাকা কমিটি টাকা পুরস্কার পাবে। এই ফান্ড তারা পরিবেশ উন্নয়নের কাজে অথবা অন্য যেকোনভাবে ব্যায় করতে পারে। এলাকা ওব দা মান্থ এওয়ার্ড প্রতিমাসে তিনটি করে দেয়া যেতে পারে। সঠিক বিচারের জন্য আমাদের ক্যানডিট মনিটর থাকবে। এলাকার ছবি পাঠাবে। এবার আপনাদের মতামত চাই।
পরিবেশ ব্যবস্থাপনা এবং উন্নয়নে জেন্ডার সংক্রান্ত ঘোষণা: বাংলাদেশে স্বাধীনতা অর্জনের পর পরিবেশ সম্পর্কে ভাবনার সূত্রপাত হয় বেশ তাড়াতাড়ি। মূলত, ১৯৭২ সালে স্টকহোম কনভেনশনে বিশ্ব পরিবেশের অবক্ষয় ও মানুষসহ প্রাণীকুলের ওপর এর বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগের বাস্তবতায় পরিবেশ দূষণ রোধে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে পদক্ষেপ গ্রহণের পর থেকে শুরু হয় পরিবেশ বিষয়ে ভাবনা ও গবেষণা। আমাদের দেশের সরকার দেশের পরিবেশ রক্ষায় ১৯৭২ সালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের অধীনে মাত্র ২৭ জনবলের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। ১৯৮৯ সালে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীনে অধিদফতর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৭২ সালের ঘোষণার অন্যতম প্রধান বিষয় ছিল ২১ শতকের পরিবেশ ও উন্নয়ন। নারীর সঙ্গে পরিবেশ, পরিবেশের সঙ্গে উন্নয়ন, উন্নয়নের ভিত্তি জেন্ডারবান্ধব পরিবেশ—এ সবই একটির সঙ্গে অন্যটির সম্পর্কযুক্ত অর্থাত্ একটি অন্যটির পরিপূরক। একটি কথা বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে, নারী শুধু পুরুষের মতো ভোক্তা হিসেবে তার অবস্থানকে সুদৃঢ় করেনি বরং প্রকৃতিকে রক্ষা ও প্রাকৃতিক সম্পদের সৃষ্টিকর্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে। নারীর সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তাই জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে কনভেনশন সম্পর্কে আলোচনা করা একান্ত অপরিহার্য। ব্রাজিলের রিও সম্মেলনে স্বাক্ষরিত জাতিসংঘ পরিবেশ পরিবর্তন রূপরেখা কনভেনশন (UNFCC: United Nations Framework Convention on Climate Change) আমাদের দেশের জন্য সবচেয়ে দরকারি। জাতিসংঘের পরিবেশ ও উন্নয়নবিষয়ক সম্মেলন হয় যার প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘সুদূরপ্রসারী টেকসই সমতাভিত্তিক উন্নয়নের জন্য নারীর অংশগ্রহণ।’ ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে ১৯৯২ সালে যে ঘোষণা প্রদান করা হয় (Declaration of the UN Conference on Environmant and Development) তার ২০ নম্বর নীতি (Principle) প্রণিধানযোগ্য। ২০ নং নীতিতে উল্লেখ রয়েছে পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় এবং উন্নয়নে নারীর গুরুত্বপূর্ণ ও দরকারি ভূমিকা বিদ্যমান। সুদূরপ্রসারী উন্নয়নের জন্য নারী সমাজের ব্যাপক অংশগ্রহণ অপরিহার্য। সুতরাং একথা পরিপূর্ণভাবে সত্য যে, টেকসই উন্নয়নে নারীদের পূর্ণ অংশগ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। ১৯৯৫ সালে জাতিসংঘের উদ্যোগে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হয় চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলন। এ সম্মেলনে ‘নারী ও পরিবেশ’ হলো ১২টি প্লাটফর্ম ফর অ্যাকশনের মধ্যে একটি। এখানে পরিষ্কার ভাষায় উল্লেখ রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিপর্যয় প্রত্যেককে প্রভাবান্বিত করলেও নারীদের জীবনকে অধিক হারে স্পর্শ করে যা তাদের জীবনব্যাপী বহন করতে হয়। প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় টেকসই ও পরিবেশগত উপযুক্ত ভোগ ও উত্পাদনের ধরন বিকাশের ক্ষেত্রে নারীদের রয়েছে মৌলিক ভূমিকা।
আন্তজার্তিক এজেন্ডা: পরিবেশ ও উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত জাতিসংঘ সম্মেলন এবং জনসংখ্যা ও উন্নয়নবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এ বিষয়টি স্বীকৃতি পেয়েছে। পাশাপাশি বলে রাখা ভালো ২১ সংখ্যক এজেন্ডায় এর সরাসরি প্রতিফলন রয়েছে। মানুষের ধারাবাহিক পরিবেশ বিপর্যয় ও দূষণের আগ্রাসনে এ ধরণীর সার্বিক প্রতিবেশ ব্যবস্থা ধ্বংসের মুখোমুখি ও বিপর্যয়ের শেষ প্রান্তে গিয়ে ঠেকেছে। এ জাতীয় বিপর্যয়ের ফলে নারী উত্পাদনশীল জগত্ থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। প্রাকৃতিক পরিবেশের ভয়াবহ অবক্ষয়, মরুকরণ, জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্যের ধ্বংস ও পরিবেশের ভারসাম্যহীনতার দায়ভার, নারীর খাদ্য, জ্বালানি ও বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহে নারী মজুরিবিহীন কাজে অধিক সময় ধরে জড়িত, যা নারীদের আয়মূলক কাজ থেকে ছিটকে পড়তে সহায়তা করে। আমাদের দেশের জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে বাংলাদেশের পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে সব মানুষ বিশেষ করে নারীরা বিশেষভাবে অরক্ষিত ও বঞ্চনার শিকার। গ্রামপ্রধান বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক নারী কৃষি কাজের সঙ্গে বিশেষ করে সবজি বাগান ও ফল-ফুল উত্পাদনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। বাসা-বাড়িতে ও কৃষি জমির কর্মক্ষেত্রে পরিবেশ ঝুঁকি নারীর স্বাস্থ্যের ওপর ভয়াবহ রকমের নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। খারাপ প্রভাবের কথা বলছি, কারণ আমরা সবাই জানি ভিন্ন ভিন্ন বেশকিছু রাসায়নিক দ্রব্যের বিষক্রিয়ার প্রতি নারীর নাজুকতা খানিকটা বেশি। আগেই বলেছি, আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের দ্বারা নারী ভবিষ্যত্ প্রজন্মকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি ভবিষ্যত্ প্রজন্মের জীবনের মান ও টিকে থাকার সামর্থ্যের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক চাকাকে গতিশীল ও চলমান করার ক্ষেত্রে অপরিহার্য ভূমিকা রাখে যা জেন্ডার সমতা ও ন্যায্য বিচারকে তরান্বিত করে। তবে উদ্বেগের সঙ্গে বলতে হয়, বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাসম্পন্ন পেশাদার ব্যবস্থাপক হিসেবে যথা পানি বিশেষজ্ঞ, কৃষিবিদ, পরিবেশবিদ, আইনজীবী ও বন বিশেষজ্ঞ হিসেবে নারীদের খুব সামান্যই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
পরিবেশগত কাজে অংশগ্রহণে নারী: নারী একটি নির্দিষ্ট অবদান রাখতে পারে অন্তত টেকসই ভোগের বিষয়ে সিদ্ধান্তগুলোকে প্রভাবিত করার লক্ষ্যে। একটি সুস্থ পরিবেশের জন্য দরকার ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি যে, দৃষ্টিভঙ্গির প্রায় সব ক্ষেত্রে নারীর ব্যাপক অংশগ্রহণ একান্ত প্রয়োজন। পরিবেশগত সিদ্ধান্তের সব স্তরে নারীদেরকে সরাসরি জড়িত করার জন্য ১৯৯৫ সালের বেইজিং চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলনে বেশকিছু কৌশলগত লক্ষ্য উল্লেখ করা হয়েছে যাদের মধ্যে অন্যতম হলো ১. পরিবেশগত সিদ্ধান্তে অংশগ্রহণের জন্য নারীদের দক্ষতা ও যোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য সুযোগের সমতা সৃষ্টি করা একান্ত অপরিহার্য; ২. পরিবেশ উন্নয়ন সংক্রান্ত রিও ঘোষণায় গৃহীত পদক্ষেপগুলো বিবেচনায় এনে পরিবারের অভ্যন্তরে ও বাড়ির বাইরে কর্মক্ষেত্রে সব ধরনের পরিবেশগত ঝুঁকি এড়িয়ে নারীর জীবনকে সহজ করতে উদ্যোগী হতে হবে; ৩. রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে পরিবেশগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রত্যেক স্থানে নারীর পরিপূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে; ৪. জাতিসংঘের সব সংগঠনের কাজে এবং টেকসই উন্নয়নবিষয়ক কমিশনের প্রায় সব কার্যক্রমে জেন্ডার প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে অন্যথায় নারী হুমকির মুখে পতিত হতে বাধ্য; ৫. টেকসই নারী উন্নয়নের নীতি ও কর্মসূচিতে জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করতে হলে সর্বাগ্রে দরকার পরিবেশ বিপর্যয় ও তার ফলে নারীর ওপর সৃষ্ট প্রতিক্রিয়া রোধে প্রত্যেককে উত্সাহিত করা; ৬. গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি ও দেশের অভ্যন্তরের কিংবা বাইরে বেসরকারি সংগঠনগুলো ব্যাপক ভিত্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে; ৭. প্রচুর গবেষণার মাধ্যমে বের করতে হবে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে নারীরা কত বেশি নাজুক কিংবা অরক্ষিত। পাশাপাশি জেন্ডার সচেতন গবেষণার ফলাফলগুলো মৌলিক নীতিমালার সঙ্গে একীভূত করা, যাতে করে একটি উন্নত পৃথিবী তৈরি করা সম্ভব হয় যা নারীর জন্যও উপযোগী; ৮. সত্যিকারের পরিবর্তনের জন্য পরিবর্তিত এ বাস্তবতায় টেকসই উন্নয়নে নারীর পূর্ণ অংশগ্রহণের পথে সব ধরনের সমস্যা দূর করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদেরকে আসতে দিতে হবে। পাশাপাশি সম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণের অধিকার দিতে হবে এবং সে লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নীতিমালা উন্নয়ন ঘটাতে হবে; ৯. বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের নারীর জন্য দরকার কারিগরি সহযোগিতার পদক্ষেপ গ্রহণ করা; ১০. নারীর অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণের ব্যাপারে কাজে লাগানো যেতে পারে।

দুযোর্গ মোকাবিলায় স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা:বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির শীর্ষ স্থানীয় দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। এর প্রভাবও পড়তে শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যায় দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত। পরিবেশ বিপর্যয় প্রতিরোধ কার্যক্রমের পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবিলায় স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে কয়েকটি পরিবেশ উন্নয়ন সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত পরিবেশ সুরক্ষাবিষয়ক এক গোলটেবিল আলোচনায় পরিবেশ বিশেজ্ঞরা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক জাতীয় দলের সমন্বয়ক ড. কাজী খলীকুজ্জমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ। অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মিহির কান্তি মজুমদার, কনসার্ন ওয়ার্ল্ভ্র ওয়াইডের বাংলাদেশের পরিচালক ড. এ কে এম মুসা, পানি ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত প্রমুখ।
বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে রসায়নবিদদের প্রতি শিল্পমন্ত্রীর আহ্বান: পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করে একটি বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ায় রসায়নবিদদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া। শুক্রবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনদিনব্যাপী ৩৩তম বাংলাদেশ কেমিক্যাল কংগ্রেসের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে রসায়ন বিভাগ ও বাংলাদেশ রসায়ন সমিতির যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে। কেমিস্ট্রি ফর ফ্রেন্ডলি এনভায়রনমেন্ট এ শ্লোগানকে সামনে রেখে শুরু হওয়া এ সম্মেলনে দেশের সাতশ রসায়নবিদ অংশ নিচ্ছেন।
উদ্বোধনী ভাষণে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিগত শতকের বিজ্ঞানচর্চা প্রাণীকুল ও মানবজাতির জীবন আমূল পাল্টে দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে রসায়নবিদরা প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছেন। বাংলাদেশের কৃষি ক্ষেত্রে শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক ও জৈব সার উৎপাদনে রসায়নবিদরা নতুন নতুন ধারণার সন্নিবেশ করতে পারেন। এ কংগ্রেসের মাধ্যমে রসায়ন গবেষণা নতুন মাত্রা পাবে এবং মানবকল্যাণে রসায়ন আরও ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন দিলীপ বড়ুয়া।
কংগ্রেসের প্রধান পৃষ্ঠপোষক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির বলেন, বিগত দশকে বিশ্ব জলবায়ূ পরিবর্তন, অব্যাহতভাবে বায়ূ ও পানি দূষণ মানুষের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। উপাচার্য আশা প্রকাশ করেন এ সম্মেলন থেকে শিল্পবর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পানি দূষণ, বায়ূ দুষণ থেকে বিভিন্ন কৌশল আবিস্কৃত হবে।
বাংলাদেশ রসায়ন সমিতির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মোঃ মুহিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জসীম উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক তপন কুমার সাহা প্রমূখ।
সম্মেলনে রসায়নে বিশেষ অবদানের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার বিশিষ্ট রসায়নবিদ অধ্যাপক জাং ইল জিন এবং রসায়ন সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেওয়া হয়। কংগ্রেসে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট পরিবেশ বিজ্ঞানী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ সফিউলাহ। সম্মেলনে পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার এবং রসায়নের নতুন উদ্ভাবন সম্পর্কে দেশ-বিদেশের আমন্ত্রিত রসায়নবিদরা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
বাংলাদেশনিউজ২৪x৭.কম/এসআরএস/এসএ
জেন্ডারবান্ধব পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন: নারীর সঙ্গে পরিবেশ, পরিবেশের সঙ্গে উন্নয়ন, জেন্ডারবান্ধব পরিবেশ, এসবই একটি অন্যটির পরিপূরক। নারী শুধু পুরুষের মতো ভোক্তা হিসেবে তার অবস্থানকে সুদৃঢ় করেনি বরং প্রকৃতিকে রা ও প্রাকৃতিক সম্পদের সৃষ্টিকর্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে। নারীর সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন আঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। ব্রাজিলের রিও সম্মেলনে স্বারিত জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন রূপরেখা কনভেনশন-এর আলোকে আমাদের দেশের জন্য রাষ্ট্রীয় নীতিমালা তৈরি করা প্রয়োজন।

পরিবেশের উপর তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব: তামাকের ক্ষতিকর প্রভাবের বিষয়ে আলোচনা করলেই আমরা স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক ক্ষতিটাকে বেশী প্রাধান্য দিয়ে থাকি। কিন্তু তামাক শুধুমাত্র স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক ক্ষতিই করছে না পরিবেশগত দিক থেকেও এটি মারাত্বক ক্ষতিকর। তামাক প্রক্রিয়াজাত করনে ক্রমাগত আবাদযোগ্য জমির অপব্যবহার, বনাঞ্চল ধ্বংশ ইত্যাদি জীব বৈচিত্র্যের অস্তিত্বকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থেই পরিবেশগত ক্ষতি বিবেচনা করে এ সমস্যা সমাধানে তামাক নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের দেশে চাষ যোগ্য জমির পরিমান সীমিত। অথচ অপ্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যহানীকর তামাক উৎপাদনের জন্য বেছে নেওয়া হচ্ছে খাদ্য উৎপাদনের জমি। জমির পাশাপাশি উৎপাদিত তামাক শুকানোর জন্য বন ধবংস করে গাছ কেটে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এক সমীক্ষায় দেখা যায়, প্রতিবছর তামাক উৎপাদনের কারনে ২ লক্ষ হেক্টর বন ধবংস হচ্ছে। তামাক শুকানোর জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমান কাঠ। এ কাঠ সংগ্রহ করা হয় গাছ কেটে। বিপুল পরিমান গাছ কাটার ফলে চট্টগ্রামের পাহাড়ী এলাকায় বনাঞ্চল ধবংশ হচ্ছে। এক একর জমিতে যে পরিমান তামাক উৎপন্ন হয় এটি শুকানোর জন্য প্রয়োজন প্রায় ৬ টন কাঠ। এভাবে তামাক শুকানোর কাজে বন ধবংশ এবং কাঠ পোড়ানোর কারণে উৎপন্ন ধোয়ার কারণে মারাত্বক হুমকির সম্মুখীন মুখে পড়ছে জীববৈচিত্র্য। বন কেটে উজাড় করার ফলে নষ্ট হচ্ছে মাটির ধারন ক্ষমতা ফলে আমাদের ভূমি ধসের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
তামাক শুকানোর কাজে গাছ কেটে পরিবেশ ধ্বংশ করা হচ্ছে এর বিরূপ প্রভাব পানির উপরও পড়ছে। তামাক চাষে প্রয়োজন হয় প্রচুর পরিমান পানির। তাই পার্বত্য এলাকায় তামাক কোম্পানীগুলো চাষের জন্য বেছে নেয় নদীর ঢালের কাছের জমিগুলোকে। পাহাড়ী এলাকায় নদীগুলোই ঐ এলাকার মানুষের অন্যতম পানির উৎস। তামাক চাষে প্রচুর পরিমাণে কীটনাশক এবং রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারের ফলে তা স্থানীয় পানির প্রবাহকে দূষিত করে। গৃহস্থালীর কাজে দূষিত পানি ব্যবহার করার ফলে তারা বিভিন্ন ধরনের জটিল স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে এবং দেখা দিচ্ছে সুপেয় পানির অভাব। পানি দূষিত হওয়ার ফলে শুধুমাত্র মানব জাতিই নয় পানির নিচে বসবাসরত জীব বৈচিত্রও হুমকীর সম্মুখীন হচ্ছে।
তাছাড়া জমির উর্বরতা বৃদ্ধি এবং পোকামাকড়ের আক্রমন থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে তামাক চাষের জমিতে ব্যবহার করা হয় প্রচুর পরিমাণ সার ও কীটনাশক। এসকল সার ও কিটনাশক জমি থেকে গড়িয়ে নদীর পানিতে গিয়ে মেশে। আবার তামাক শুকানোর পর পোড়া গাছ, খড় বা কুড়া পোড়ানোর ছাই নদী বা পুকুরে ফেলে দেয়া হয়। ফলে পুকুরের জলজ প্রাণী বিশেষ করে মাছ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এদের প্রজনন ক্ষমতা। বর্তমানে আমাদের অনেক প্রজাতীর দেশীয় মাছ, জলজ প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং আরো কিছু মাছ এবং জলজ প্রাণী বিপন্ন হওয়ার পথে।
সাগরতলে কোরাল কাহিনী: সাগর তলার দুনিয়ায় কত কিছুই ঘটছে। হাজার জাতের উদ্ভিদ, হাজার জাতের প্রাণী আছে সাগরে। সাগরের পরিবেশও বৈচিত্র্যময়। এসব নিয়ে সাগরের বুকে ঘটছে নানা পরিবর্তন। সাগর তলার সৌন্দর্যের কোনো তুলনা হয় না। এ সৌন্দর্যের জন্য কোরালের নাম সবার আগে আসবে। কোরাল এক ধরনের অমেরুদণ্ডি প্রাণী। সিলন্টারাটা পূর্বভুক্ত। কোরাল সমাজবদ্ধ জীব। সারাজীবন যারা একসঙ্গে বসবাস করে, মরণেও তারা একসঙ্গে। মৃত কোরালও এক ধরনের পরিবর্তনে অংশ নেয়। মৃত কোরালের দেহ স্তুপাকারে জমা হয়ে নানা আকৃতির কাঠামো তৈরি করে। উদাহরণ হিসেবে কোরাল রিফ, কোরাল ব্যাঙ্কের (বাঁধাকৃতি) নাম উল্লেখ করার মতো। তবে এদের মূল উপাদান অভিন্ন। এরা কার্বোনেট অব লাইম নিয়ে তৈরি। এছাড়া অন্যান্য প্রাণীর অংশ, শৈবালও দেখতে পাওয়া যায়। কোরাল রিফ অথবা কোরাল ব্যাঙ্ক গঠন নির্ভর করে সাগরের পরিবেশের ওপর। বিশেষ করে তাপমাত্রা ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জীবের উপস্থিতির মাত্রার ওপর নির্ভরশীল।
কোরাল রিফ কি? পাথুরে কোরাল দিয়ে কোরাল রিফ তৈরি। কোরাল রিফ সাধারণত ট্রপিক্যাল সাগরে গঠিত। ট্রপিক্যাল সাগরে অগভীর অঞ্চলে এদের উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি। কোরাল রিফ গঠনে আদর্শ তাপমাত্রা (২২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থেকে ২৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড)-এখানে সব সময় বজায় থাকে
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:২২
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মাটির কাছে যেতেই..

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

মাটির কাছে
যেতেই..


ছবি কৃতজ্ঞতাঃ https://pixabay.com/

ঠিক যেন
খা খা রোদ্দুর চারদিকে
চৈত্রের দাবদাহ দাবানলে
জ্বলে জ্বলে অঙ্গার ছাই ভস্ম
গোটা প্রান্তর
বন্ধ স্তব্ধ
পাখিদের আনাগোনাও

স্বপ্নবোনা মন আজ
উদাস মরুভূমি
মরা নদীর মত
স্রোতহীন নিস্তেজ-
আজ আর স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাকা ভাংতি করার মেশিন দরকার

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:১০

চলুন আজকে একটা সমস্যার কথা বলি৷ একটা সময় মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা ছিল৷ চাইলেই টাকা ভাংতি পাওয়া যেতো৷ এখন কেউ টাকা ভাংতি দিতে চায়না৷ কারো হাতে অনেক খুচরা টাকা দেখছেন৷ তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেলা ব‌য়ে যায়

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩০


সূর্যটা বল‌ছে সকাল
অথছ আমার সন্ধ্যা
টের পেলামনা ক‌বে কখন
ফু‌টে‌ছে রজনীগন্ধ্যা।

বাতা‌সে ক‌বে মি‌লি‌য়ে গে‌ছে
গোলাপ গোলাপ গন্ধ
ছু‌টে‌ছি কেবল ছু‌টে‌ছি কোথায়?
পথ হা‌রি‌য়ে অন্ধ।

সূর্যটা কাল উঠ‌বে আবার
আবা‌রো হ‌বে সকাল
পাকা চু‌ল ধবল সকলি
দেখ‌ছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পর্ণআসক্ত সেকুলার ঢাবি অধ্যাপকের কি আর হিজাব পছন্দ হবে!

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৭



ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তায় অনুষ্ঠিত একটা প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশি নারীদের একটা রোবোটিক্স টিম। এই খবর শেয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপিকা। সেখানে কমেন্ট করে বসেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:১৪


কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়
আমার বাবা-কাকারা সর্বমোট সাত ভাই, আর ফুফু দুইজন। সবমিলিয়ে নয়জন। একজন নাকি জন্মের পর মারা গিয়েছেন। এ কথা বলাই বাহুল্য যে, আমার পিতামহ কামেল লোক ছিলেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×