আবিদ রহমানের লেখা থেকে নেয়া.........
সেনাবাহিনীতে হালে অসন্তোষের একটা সামান্য ঘটনা ঘটেছে জামায়াতী স্নেহধণ্য হিজবুত তাহরীরের প্রত্যক্ষ মদদে। একজন নির্বিষ (অবসরপ্রাপ্ত অর্থে) মেজর ও কের্ণল পদমর্যাদার সাবেক কর্মকর্তা প্রবাসী এক বাংলাদেশির সহযোগিতায় সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলো। কমনসেন্স বলে মোল্লার দৌঁড় মসজিদ অব্দি। এই দুই সাবেক সেনা কর্মকর্তা হয়তো সামান্য কিছুটা গুঞ্জন-অস্হিরতা সৃষ্টি করতে সামর্থ্য হতো কিন্তু রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল, সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধা সহ উচ্চপদস্হ সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা? বিশ্বাস হতে দিলে চায় না।সুশৃংখল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দক্ষতা সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা আছে তারা কেউই এই ‘অলীক ও আষাঢ়ে’ গল্পে নিবেদিত হবেন না। অথচ সেনাবাহিনীর এই অভ্যন্তরীন ঘটনা গুজব-গুঞ্জনের ডাল পালা মেলেছে। কেন, এই প্রশ্নের জবাব কিন্তু সেনাবাহিনীর মধ্যে নেই। এই প্রশ্নের জবাব রাজনৈতিক দলগুলোকেই দিতে হবে। গুজব-গুঞ্জনের জন্ম দিয়েছেন সেনাবাহিনীর সাবেক গৃহবধু তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী ইন ওয়েটিং বেগম জিয়া। চাটগাঁর পলোগ্রাউন্ডের বক্তব্যে তিনি প্রথম দেশবাসীকে জানালেন সেনাবাহিনীতে ‘কিছু একটা ঘটেছে’। বেগম জিয়া সাবেক সেনা গৃহবধু হিসেবে, প্রধানমন্ত্রীত্বের দায়িত্বপালনের সুবাদে জানেন, রাষ্ট্রের কিছু কিছু গোমর গোমরেই রাখতে হয় রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার দেশপ্রেমিক স্বার্থে। বেগম জিয়ার দায়িত্বহীনতায় সেনাবাহিনীকে মুখ খুলতে হয়েছে।