somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইন্ডিয়ান নেড়ি কুকুর আর ওদের দেশীয় দাসদের ভয়ে আমরা ভীত নই।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সীমান্তে পর পর কয়দিন ইন্ডিয়ান কুকুরদের হিংস্র নখরে ক্ষত বিক্ষত হয়েছে বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই ব্লগে এর প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। ব্যাতিক্রম শুধু তারাই যারা ইন্ডিয়ান কুকুরদের এদেশিয় দালাল। আর ব্লগের নারদ মুনিরাও রীতিমত লাপাত্তা। সে বিষয়ে পরে আসছি।

১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বৃটেনে বসবাস করা ব্রিটিশ নাগরিক সৈয়দ আশরাফ সংবিধান ধারা ৬৬কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে শুধু আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক পদটাই বাগাননি। উলটো এমপি হয়ে সবচেয়ে প্রভাবশালি মন্ত্রালয়ের অধিকর্তাও হয়েছেন। একে তো চুরি তার আবার সীনাজুরি। একবার নয়, বহুবারই ভারতের দাসস্ত্বমুলক কথা বলে প্রমান দিয়েছেন যে, বৃটিশ দৈনিক ডেইলি ইকনমিস্ট যে প্রতিবেদন ছেপেছিল, তার পুরোটাই সত্যি। (ভারতের অর্থ ও প্রভাবের কারণে সিলেকশনের নির্বাচনে আঃ লীগ জয়ি হয়েছে)

ওইদিকে আবার প্রাক্তন সাঃ সম্পাদক জলিল সাহেবের মন্তব্য অনুসারে, আশরাফ মিয়া নাকি ভারত বান্ধব ডি জে এফ আইয়ের প্রত্যক্ষ মদদে সংবিধানকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েও দিব্যি তরতাজাই আছেন।

নইলে কোন দেশপ্রেমিক কি বলতে পারে যে বি এস এফ আগেও বাংলাদেশি হত্যা করেছিল, এখনও করছে, ভবিষ্যতেও করবে। ওইদিকে নজর দেবার সময় নেই তাদের। মনে হচ্ছে দুই দেশপ্রেমিকের ঘরে দুই দেশদ্রোহি জারজের জন্ম হয়েছে। একজন দেশপ্রেমিকের নাম বঙ্গবন্ধু আরেকজনের নাম সৈয়দ নজরুল ইসলাম।



অবশ্য পেছন থেকে পেটমোটা ইন্ডিয়ান কুকুরটার হম্বি তম্বি উনাদের যথেষ্ঠ প্রেরণা দিচ্ছে। ঠ্যালা খেলে তিনারাই তো ভরসা।

বাংলাদেশে সাথে যতই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করুক, তাদের এদেশি পালা কুকুরদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেবার প্রতিশ্রুতি তারা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে থাকে।

১৯৭৫ সাল, এর পর ২১শে আগস্টে সেটা খুব ভালো করে দেখা হয়েছে। ২০১০ সালে পিলখানা হত্যাকান্ড ঘটিয়ে যখন হাসিনার সাপের ছুচো গেলার মত দশা, তখন এই পেটমোটাটাই সবচেয়ে আগে ঘেউ ঘেউ করে জানিয়ে দিয়েছিল যে, হাসিনার কিছু হলে ভারতীয় বাহিনী এগিয়ে আসবে। ইদানিং যে ক্যু এর নাটক দেখি, সেখানেও একই হাল।

আবার সীমান্তে হত্যাযজ্ঞ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকিও নাকি দিয়েছে এই ক্যালকেশিয়ান নেড়ি কুকুরটা। এই আস্পর্ধাই বিরুদ্ধে ওর মুখে কি জুতা নিক্ষেপ করা উচিত নয়?

অথচ সিডরের সময় চাল নিয়ে এই কুকুরটাই সবচেয়ে বেশি জালিয়াতি করেছিল। অন্যান্যগুলির কথা না হয় বাদই দিয়ে রাখলাম।

স্বাধীন বাংলাদেশে রাজাকারদের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক পাকিস্থান বা সৌদি আরবকেও এই রকম প্রকাশ্যে এবং নগ্নভাবে গোলাম আযম নিজামিদের সমর্থন করতে দেখিনি। আপনারা কেউ দেখে থাকলে জানাবেন। পোস্টে যোগ করে দিয়ে রাজাকারদের আরো ন্যাংটা করে দেবার সুযোগ পাওয়া যাবে।



এখন আপনারা বিচার করে দেখুন, আওয়ামি লীগ/হাসিনা কোন যুক্তিতে দেশপ্রেমিক বা স্বাধীনতার স্বপক্ষ্যের শক্তি হিসাবে নিজেদের দাবি করতে পারে?

আমাদের দেশে নারী অধিকার, মানবাধিকার ইত্যাদি ব্যানারে বিদেশি সাহায্যপুস্ট বেশ কিছু সংগঠন আছে। যদিও রাজনৈতিক আদর্শে এরা ঘোর বাম। তবে টু পাইস কামানোর ক্ষেত্রে তারা সেই সব আদর্শের ধার ধারেন না।

ইনু-মেনন- এরা কোন পেশায় জড়িত না হলেও, চলেন রাজার হালে। আর একসময় ছাত্র ইউনিয়নের নেতা মোজা বাবু এমন কোন আলাউদ্দিনের চেরাগ পেয়েছেন যে একেবারে টিভি চ্যানেলের মালিক বনে গেলেন?

আসাদুজ্জাম নুর সারাজীবন বাম রাজনীতি করে শেষ মেষ আঃ লীগে যোগ দিয়ে এমনই আশির্বাদপ্রাপ্ত যে, জমিদারের পোলা না হয়েও এখন টিভি চ্যানেলের মালিক।

আর নব্য রাজাকারদের মধ্যে অন্যতম মইত্যা রাজাকার ২ তো ধনকুবের লতিফুরের কোলে চড়ে কবজি রীতিমত ঘি এ ডুবিয়ে রেখেছে। সে আর তার কুসন্তানের চক্রান্তে নিঃস্ব হয়ে এখন মৃত্যু পথযাত্রি মোশারফ হোসেন। যিনি স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্রের রুপকার।


আইন ও সালিস কেন্দ্রের পালের গোদা ওই মহিলাটা তো আরেক কাঠি সরেস। ৮-১০টা খুনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত কেউ র‍্যাবের হাতে অক্কা পেলেই ব্যাস ! মানবাধিকার গেলো বলে চিৎকার করে ফিট হয়ে পড়ে যায় ! আর উপজাতি সন্ত্রাসিদের বিচ্ছিন্নতাবাদে আরো উৎসাহ আর আদিবাসি বানানোর জন্য ঢাকা চট্টগ্রাম করতে করতে মাথার বিশাল টিপটাও ক্ষয় করে ফেলে।

অথচ সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার ব্যাপারে কোন রা নেই। রীতিমত ভালো মানুষ সেজে চুপচাপ গর্তে গিয়ে সেধিয়েছে।

এর মানে দুইটা। এক সীমান্তের মানুষদের মানবাধীকার নেই, অথবা ইন্ডিয়ান কুত্তাদের হাতে মৃত্যুকে তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে মনে করেন না।

এরাই নাকি আবার প্রগতিশীল, অসম্প্রদায়িক মুক্তিযুদ্ধের চেতনার একমাত্র সোল এজেন্ট।

এর মধ্যে অবশ্য আরেকটা শুয়োর আছে। শা; কবির নামের ম্যাট্রিকপাশ সাংবাদিক ঐ সব চেতনার মা বাপ বলে দিনমান ঘেউ ঘেউ করছে বটে ! কিন্ত যখনই দেখা যায় তার ভারতমাতার কুকর্মের কারনে দেশের মানুষ গরম, অমনি দৃশ্যপট থেকে হাওয়া। একেবারে স্পিক টি নট। েই ব্যাটাও কিন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নবাদের একনিস্ট সমর্থক। আর ইন্ডিয়ান হিন্দু সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠির টাকায় লালিত পালিত হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিসদও একে পালন করে থাকে।

বোধ করি তারই প্রমোদশিষ্যরা এখন ব্লগেও সক্রিয়। সেই সব চেতনার সোল এজেন্ট নারদ মুনিদের কত হম্বি তম্বি। বিরিয়ানি বোরহানি কাবাব কোরবানি সব কিছুতে তাদের মত অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞের অভাব নেই।

কিন্তু যেই ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে ব্লগে সাধারণ দেশপ্রেমিক ব্লগারদের একের পর এক প্রতিবাদ শুরু করেছে, অমনি তারা সব ভোজবাজির মত অদৃশ্য হয়ে যায়। ব্লগে তিন বছর থেকেই দেখছি। নতুন কিছু না।

পেমেন্ট হালাল করতে অবশ্য ওই দলের একটা নেড়ি , প্রতিবাদি পোস্টের বিপরীতে একের পর এক ভারতের পক্ষ্যে সাফাই গেয়ে পালটা পোস্ট দিয়েই যাচ্ছে। এখন দেখি চরম আওয়ামি লীগ বিরোধী কর্নেল তাহেরের মৃত্যু নিয়ে ছিচকাদুনি গাইছে।

আরেকটা কুকুর মিউ মিউ সুরে চিরতার পানি গেলার মত করে বলছে, প্রতিবাদ করেন, কিন্তু উগ্র জাতিয়বাদি কিংবা সাম্প্রদায়িক দৃস্টিভঙ্গিতে কিছু করবেন না, ইত্যাদি ইত্যাদি।

আরে ব্যাটা। তুই নিজে কি রে? ইন্ডিয়ান বিজেপির টাকায় চলা অভিজিতের ঘেটুপোলা। কথায় কথায় মুক্তমনা আর ধর্মকারির রেফারেন্স টেনে ইসলাম-আল্লা-নবীজিকে নিয়ে অকথ্য অশ্রাব্য পোস্ট দেয়া কি অসাম্প্রদায়িকতা? নিজের টাকায় ভাত খাওয়ার মুরোদ নাই। তাই কেউ ভদকার উচ্ছিস্ট দিলেই উচ্ছাসের চোটে খালি মদের বোতল হাতে ধরে ছবি তোলাটাই কি প্রগতিশীলতা? তোর ওই অসাম্প্রদায়িকতা আর প্রগতিশীলতার উপরে বাংলাদেশের মানুষ পেশাবও করবে না।

ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অনেক পথ বের করেছেন সাধারণ ব্লগাররা। তাদের দেশপ্রেমের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম। বিশেষ করে এয়ারটেল বয়কট, হিন্দি চ্যানেল বন্ধ, ভারতীয় পণ্যে বর্জন কিংবা ভারতীয় দুতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করাকেই আপাতত সবচেয়ে শক্তিশালি বলে প্রতিয়মান হচ্ছে।

সরকার তো ইন্ডিয়ান পোষা কুকুর। বিরোধী দল প্রতিবেশিকে চটিয়ে ক্ষমতায় যাবার পথে কাটা বিছানোর ঝুকি নিতে চায় না। এমতাবস্থায় সাধারণ মানুষকেই তো এগিয়ে আসতে হবে।

সাধারণ দেশপ্রেমিক ব্লগারদের এই উপলব্ধিকে বাস্তবে পরিণত করতে হবে। যে যার অবস্থান থেকে যেমন সুবিধা পাবেন, সেই মতে ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখুন। গোল্ডফিস মেমরি হলে চলবে না। এই চাপ ব্লগ ও বাস্তবে সমানভাবে অব্যাহত রাখার মধ্যেই ইন্ডিয়ার অন্যায় আচরনের অবসান নিহিত আছে।

এখানে অবশ্য গ্রাম্য রাজনীতির নোংরামি অভ্যস্থ কিছু মানুষ আছে। যারা আপনাদের রাশ টেনে ধরার চেস্টা করবে। তাদের ব্যাপারে খুব সাবধান থাকবেন। কারণ তাদের মিস্টি কথার পেছনে আছে ভয়ংকর কুট কৌশল। যা আপনাদের প্রতিবাদের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:০০
৩২টি মন্তব্য ৩২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সচীবদের সম্পর্কে এখন কিছুটা ধারণা পাচ্ছেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ২০ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৭



সামুর ব্লগারদের মাঝে ১ জন সচীব আছেন,(বর্তমানে কর্তব্যরত ) তিনি বর্তমানে লিখছেন; আধামৃত সামুতে তিনি বেশ পাঠক পচ্ছেন; উৎসাহের ব্যাপার! এরচেয়ে আরো উৎসাহের ব্যাপার যে, তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

নারীবাদ, ইসলাম এবং আইয়ামে জাহেলিয়া: ঐতিহাসিক ও আধুনিক প্রেক্ষাপট

লিখেছেন মি. বিকেল, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৪



আইয়ামে জাহিলিয়াত (আরবি: ‏جَاهِلِيَّة‎) একটি ইসলামিক ধারণা যা ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর আবির্ভাবের পূর্ববর্তী আরবের যুগকে বোঝায়। ঐতিহাসিকদের মতে, এই সময়কাল ৬ষ্ঠ থেকে ৭ম শতাব্দী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়

লিখেছেন নীল মনি, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫১


আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। VF 3 Mini: মাত্র 60 মিনিটে 27 হাজার বুকিং!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২১ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:০৪



আমার ব্যাক্তিগত গাড়ি নেই কিন্তু কর্মসূত্রে বেঞ্জ , ক্যাডিলাক ইত্যাদি ব্যাবহার করার সুযোগ পেয়েছি । তাতেই আমার সুখ । আজ এই গাড়িটির ছবি দেখেই ভাল লাগলো তাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×