মৌ এর চিরকুট
আদিত্য অনীক
অনীক, বিকেল হলেই তুমি আর ও পাড়ায় যেয়ো না মধুবন্তির কাছে,
আমাদের ছাদে এসো ভীষন দরকারী কিছু কথা তোমাকে বলার আছে।
আপুর জন্মদিনে অনেক ভাইয়া আর আপুরা এসেছিল আমাদের বাড়ি,
আমি সেজেগুজে কুচি দিয়ে পরেছিলাম মা’র একটা জামদানি শাড়ি।
আমি সেই ছোট্টটি নেই আর, আগের মত এখন আর করি না বোকামি
শাড়ি-ব্লাউজ পরা দেখলে বুঝতে পারতে কত বড় হয়ে গেছি আমি।
এখন যা খুশি বলতে পার আমাকে, মা’র কাছে আর নালিশ দেব না,
তোমার চোখে হঠাৎ চোখ পড়ে গেলে এই চোখ আর সরিয়ে নেব না।
ভুলে টিফিন ফেলে স্কুলে যেতে পারি, দুপুরে যদি ডেকে নাও খেতে
দু’একটা ক্লাস না হয় মিস হবে, তোমার সাথে খানিকটা দুরে যেতে।
ইউনিফর্ম ছেড়ে আপুর লেহেঙ্গা পরে পরশু যাবো তোমাদের বাড়িতে,
আন্টিকে বলে রেখো, আমি ভালো মেয়ে, ঠিক পারবো সব মানিয়ে নিতে।
অংকগুলো মিলতে চায় না, মাথার মধ্যে শুধু ফুলের উপর প্রজাপতি ঘুরে,
অমিল অংক মিলিয়ে দিতে আসবে কি আমাদের বাড়ি এক বন্ধের দুপুরে ?
তখন ভালো করে দেখে নিও আমাকে মেলে দিয়ে তোমার আকাশ দুটি চোখ,
দেখাবো তোমার জন্য নেইলপলিশে কেমন রাঙিয়েছি আমার পদ্ম-পলাশ নোখ।