ক্লাস থ্রীর এক ছেলে প্রথম সাময়ীক পরীক্ষার সময় 'কুমির' রচনা শিখেছে; সমস্যা হল এর পর যে পরীক্ষাই আসুক সে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই কুমিরের রচনাই লেখে
যেমন একবার রচনা এলো বাবা মায়ের প্রতি সন্তানের কর্তব্য : তো সে লিখলো, বাবা মা আমাদের জন্ম দেয়; তারা আমাদের লালন পালন করে; কুমিররাও তাই করে; জেনে রাখা ভালো যে, কুমির একটি সরিসৃপ প্রানী; এটি জলে বসবাস করে; এর চোখ গোল গোল; কুমিরের পিঠ খাজ কাটা, খাজ কাটা, খাজ কাটা, খাজ কাটা...দশ পৃষ্ঠা শেষ
এরপরের পরীক্ষায় রচনা এলো আমার প্রিয় শিক্ষক : সে লিখল, আমার প্রিয় শিক্ষক এর নাম কবির আহমেদ কামাল; তার চোখ গুলো গোলগোল; কুমিরেরও চোখ গোল গোল; জেনে রাখা ভালো যে কুমির একটি সরিসৃপ প্রানী; এটি জলে বসবাস করে; কুমিরের পিঠ খাজ কাটা, খাজ কাটা, খাজ কাটা, খাজ কাটা...দশ পৃষ্ঠা শেষ
শিক্ষক দেখলেন এতো ভারী বিপদ; শেষে তিনি অনেক ভেবে চিন্তে রচনার বিষয় ঠিক করলেন পলাশীর যুদ্ধ; লেখ ব্যাটা, এই বার দেখি কি করে তুই কুমিরের রচনা লিখিস
তো ছাত্র লিখলো, ১৮৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজ এবং বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজুদ্দৌলার মধ্যে যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল; এই যুদ্ধে নবাব সিরজুদ্দৌলা তার সেনাপতি মীরজাফর এর উপর ভরসা করে খাল কেটে কুমির এনেছিলেন; জেনে রাখা ভালো যে, কুমির একটি সরিসৃপ প্রানী; এটি জলে বসবাস করে; এর চোখ গোল গোল; কুমিরের পিঠ খাজ কাটা, খাজ কাটা, খাজ কাটা, খাজ কাটা...দশ পৃষ্ঠা শেষ!!!