somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সমুদ্রে অয়েল ট্যাংকারে লাইটার অপারেশন এবং কিছু ঘটনা ২।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
প্রথমটা এখানে View this link



সামুদ্রিক টর্নেডো বাঙ্গলায় এটাকে বলে হাতীশুড় কারন দেখলে মনে হয় যেন আকাশ হাতী তার মস্তবড় শুড় পানিতে নামিয়ে দিয়ে পানি পান করছে । আমি ব্রীজ থেকে নেমে এসে বো তে (জাহাজের সামনের অংশ) চলে এলাম । আসার সময় দেখলাম ক্রুরা ছবি তুলেই যাচ্ছে । আসলে এমন প্রাকৃতিক দৃশ্যের অবতারনা তো প্রতিদিন হয়না । বো থেকে সামনে তাকালাম আমাদের জাহাজটার সামনে (হেডে) নিরাপদ দুরত্বে আরেকটা জাহাজ এ্যাংকর করা ছিলো ওটার হেডের পোর্ট সাইড (বাম দিক) দিয়ে হাতীশুড়টি আমাদের জাহাজের দিকে এগিয়ে আসছে । জীবনেও এমন দৃশ্য দেখিনি । Twister এর কারনে কি ঘটে জানা থাকার ফলে আতঙ্কিত দৃশ্যটির দিকে সম্মোহিতের মত তাকিয়ে রইলাম । আমার মনে হলো আমি সম্মোহন করেই যেনো ওটাকে টেনে আনছি । যা হয় হবে ওটাকে আরও আমাদের জাহাজের দিকে এগিয়ে আসতে দেখে চোখ বন্ধকরে হাতের রেলিং আকড়ে ধরে ডেকের উপর বসে পড়লাম । ডেক ভর্তি সাদা সাদা লবনের দানা ।( সমুদ্রের ঢেউ ডেকের উপর দিয়ে চলে গেলে পরে ডেকের পানি যখন শুকিয়ে যায় তখন ডেকে এমন লবনের দানা ছড়িয়ে থাকে )
হঠাৎ শো শো শব্দ এবং একটু বাতাসের ধাক্কা টের পেলাম তেমন মারাত্নক নয় দেখে সাহস করে চোখ খুললাম এবং দেখলাম আমাদের জাহাজের পোর্ট সাইড দিয়ে প্রায় ৫০ গজ দূর দিয়ে হাতীশুড়টা পার হচ্ছে এবং দুর্বল হয়ে পড়েছে কারন দেখছিলাম পানি বেশ কিছু দূর উপরে উঠে আবার সমুদ্রেই পড়ে যাচ্ছে । পানি টেনে জলস্তম্ভ তৈরীর করার ক্ষমতা ওটা হারিয়েছে তবে যেদিক দিয়ে যাচ্ছে সেদিকের পানিতে প্রচন্ড ঘূর্নন সৃষ্টি করেই যাচ্ছে । ফিরে এলাম সেলুনে । ফেরার সময় ক্রুদের বললাম এটা যদি এই জাহাজের উপর দিয়ে পুর্ন শক্তিতে আঘাত হানতো তাহলে ফলাফলটা কেমন হতো ? জাহাজে ক্যাপ্টেনের নির্দেশই চুড়ান্ত নিজের ভাবনা চিন্তার তেমন একটা সুযোগ নেই । নির্দেশ পালনে অভ্যস্তরা এবার ভাবার সুযোগ পেয়ে ভেবে মুখ কাল করে ফেলল এবং বলল জাহাজের ক্ষতি হতে পারতো । ভাগ্যিস আগে ভাবেনি তাহলে ওদের ছবি তোলার আনন্দটাই হয়তো মাটি হয়ে যেতো ।


আমরা যখন জাহাজ নিয়ে লাইটারে যেতাম আমাদের জাহাজ পুরোপুরি খালি থাকতো । রিভার মাউথ পেড়িয়ে সমুদ্রে পড়লেই শুরু হয়ে যেতো ঢেউয়ের মাতম । দিনের বেলা গন্তব্য জাহাজ চিনতে তেমন একটা সমস্যা হতনা সমস্যা হত রাতে কারন অনেক জাহাজ আউটার এ্যাংকরেজে এ্যাংকর করা থাকতো তখন রেডিওতে ঐ নির্দিষ্ট জাহাজটিকে কোন একটি বাতি জ্বালিয়ে নিভিয়ে সিগনাল দিতে বলতাম । বড় জাহাজের পাশে আমাদের জাহাজ ভেড়ার পর কলার মোচার মত আমাদের জাহাজ দুলতে থাকতো । আমরা বড় জাহাজে অনবোর্ড হওয়ার জন্য রীতিমত এ্যাক্রোবেটিক পন্থা অবলম্বন করতাম অর্থাৎ আমাদের জাহাজ যখন ঢেউয়ের দোলায় নীচে নামতো তখন আমরা দুহাত তুলে রেডি থাকতাম যেই জহাজ ঢেউয়ের মাথায় চড়ে উচু হতো আমরা বড় জাহাজের রেলিং হাতদিয়ে ধরে একই সময়ে পা ছোট জাহাজ থেকে বড় জাহাজে শিফট করতাম । যখন লাইটার অপারেশন শেষ করতাম তখন উল্টো অবস্থা দাড়াতো আমাদের জাহাজ লোড নেওয়ার কারনে পানির নীচে অনেকখানি ডুবে যেতো এবং বড় জাহাজ খালী হওয়ার কারনে আরও অনেক উপরে ভেসে উঠতো তখন রোপ ল্যাডার
এগুলি ব্যবহার করে বড় জাহাজ থেকে নামতাম । দুই জাহাজের সংঘর্ষ এড়াতে এই ধরনের ফেন্ডার ব্যবহার করা হয় ।
এগুলো আবার জাহাজ দুটিকে অনেক দূরে রাখে তখনও দড়ির মই ব্যবহার করতে হয় ।


একবার একটা জাহাজে গিয়েছি ক্যাপ্টেন এই প্রথম বাংলাদেশে ভয়েজ নিয়ে এসেছে । ভাটার সময় আমাদের দেশে সাগরে যে গতিতে পানি নামতে থাকে সেই ব্যপারে তিনি যথেষ্ট সচেতন ছিলেননা । আমরা অন বোর্ড হওয়ার পর শুরু হল তুমুল ঝড়বৃষ্টি তখন রাত প্রায় দশটা ।দুই জাহাজের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমরা অপারেশন বন্ধ করে লাইটার জাহাজটাকে কাষ্টঅফ করে দিয়ে সেলুনে বসে সময় পার করছি আমাদের পিছনে প্রায় দেড় ন্যটিক্যাল মাইল দুরে একটা সিমেন্ট ক্লিঙ্কারের জাহাজ লাইটার করা হচ্ছিলো ।
তখন ভাটা চলছে । কিছুক্ষন পর লাইটার জাহাজের ক্যাপ্টেন আমাকে ফোন করে জানালো আমাদের জাহাজের এ্যাংকর ড্র্যাগ করে আমরা পিছন দিকে দ্রুত গতিতে ধাবিত হচ্ছি । আমাকে বাহিরে এসে পরিস্থিতি দেখতে অনুরোধ করলো । আমি বেড়িয়ে এসে পিছন দিকে গিয়ে যে দৃশ্য দেখলাম তাতে আমার হাত পা অবশ হয়ে আসলো । দেখলাম আমাদের জাহাজটা ক্লিঙ্কার জাহাজের দিকে দ্রুত ধাবমান এবং সংঘাৎ অনিবার্য । কারন ওটার গায়ে আরও তিনটা লাইটার জাহাজ ভীরানো ফলে আমাদের এস্কেপ রুট আরও সংকীর্ন হয়ে গেছে । তাড়াতাড়ী ক্যপ্টেনকে ডেকে ব্রীজে গেলাম দেখি ব্রীজ আনএটেন্ডেড একদম ফাকা কেউ নেই আর ভিএইচএফ এ অন্যান্য জাহাজরা

আমাদেরকে ডেকে ডেকে হয়রান হয়ে গেছে কিন্তু আমাদের তরফ থেকে কোন উত্তর না পেয়ে হতাশা ব্যক্ত করছে । জাহাজ তো আর গাড়ী নয় যে ইগনিশন চাপলেই ষ্টার্ট হয়ে যাবে । জাহাজ চালু করতে বেশ সময় লাগে । জাহাজের কার্গ ট্যাংক যদি ফুটো হয় তাহলে সমস্যা নেই তেল বেড়িয়ে গেলেও জাহাজ ডুববেনা কারন কার্গো ট্যাংক অনেকগুলি থাকে ।
ডায়লং নামের কোরিয়ায় তৈরী একটা ভিয়েতনামী জাহাজে এই কান্ড ঘটেছিলো ।
আমাদের লাইটার জাহাজ লোড নিয়ে চলে গেছে পরেরটা আসতে আরও চার ঘন্টা বাকি আমি লাউঞ্জে বসে কফি খাচ্ছি হঠাৎ মনে হলো জাহাজটা একটা ধাক্কা খেয়ে কেমন যেনো একটা মোচড় খেলো । বিষয়টা ভাবনা হয়ে আমার মাথায় গেড়ে বসলো । আমি বের হয়ে এসে জাহাজের চারপাশে চক্কর দিতে লাগলাম । কেমন যেনো পানির রং সামান্য পরিবর্তন হয়েছে কিছু ফেনাদেখা যাচ্ছে তার সাথে তেলের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে । মনের অস্থিরতা নিয়ে ব্রীজে গেলাম দেখি জিপিএস রিডিং সামান্য পরিবর্তন হয়েছে । তখন ভাটা চলছিলো জিজ্ঞাসু চোখে অন ডিউটি সেকেন্ড অফিসারের দিকে তাকালাম, দেখি সে ক্যাপ্টেনের সাথে কথা বলছে, ক্যাপ্টেন বললেন, তিনি আসছেন ইতিমধ্যে যেনো ইঞ্জিন standby করা হয় । ক্যাপ্টেন এসে জাহাজ চালিয়ে কিছুদূর সামনে এগিয়ে আবার এ্যাঙ্কর ড্রপ করলেন এবং ইঞ্জিন আর বন্ধ না করে চালুই রাখলেন । অর্থাৎ যে গতিতে পানি নামছে সেই একই গতিতে জাহাজ সামনে চালিয়ে রাখলেন । এতে শুধু এ্যাঙ্করের ভরসায় জাহাজ না রেখে ইঞ্জিন ও এ্যাঙ্করের যৌথ শক্তিতে জাহাজ পজিশনে রাখলেন । এতে তেলের ব্যায় বেড়ে যায় দেখে সাধারনত এই ব্যবস্থা avoid করার চেষ্টা করা হয় । যাই হোক ঘটনা যা ঘটার তা ইতিমধ্যেই ঘটে গেছে । আমাদের লাইটার জাহাজ আসার পর আমি লোড না নিয়ে বড় জাহাজের প্রতিটা ট্যাঙ্ক চেক করার কথা বললাম ক্যাপ্টেনকে । ক্যাপ্টেন আমার উপর মহা খাপ্পা হয়ে উঠলেন । তিনি চেক করবেননা কারন প্রথম লোড নেওয়ার সময় একবার চেক করা হয়েছিলো । আমিও নাছোড়বান্দা চেক না করে লোড নেবোনা । শিপিং এজেন্ট ও সার্ভেয়াররা আমাদের রশি টানাটানি দেখছেন । শেষ পর্যন্ত ক্যাপ্টেন বাধ্য হলেন চেক করতে ।এবং পোর্ট সাইড থেকে চেক করে করে স্টারবোর্ড সাইডে এসে চেক করতে শুরু করলাম ইতিমধ্যে কোন গড়মিল পাওয়া না যাওয়ায় ক্যাপ্টেনের মুখ হাসি হাসি এরপর আমাকে একহাত (দশহাত) নেবেন আর প্রটেষ্ট লেটারের বন্যা বইয়ে দেবেন আমিও মনে মনে উত্তর ঠিক করে রাখছি । একেবারে শেষ ট্যাংকে এসে ঘটনা ধরা পড়লো । এই ট্যাংকে হু হু করে পানি বাড়ছে ।এরপর তো ক্যাপটেনের অজ্ঞান হতে শুধু বাকি । আসলে বঙ্গোপসাগরে অনেক ডুবো জাহাজ আছে । ভাটায় পানির স্রোত এত থাকে যে লঙ্গর না মেনে জাহাজ ভেসে যেতে চায় তাই ইঞ্জিনও চালু রাখতে হয় । ডায়লং জাহাজটা ভেসে এসে ডুবো জাহাজের সাথে ধাক্কা খায় এবং ফলাফল জাহাজটা ছিদ্র হয়ে যায় । কার্গো ট্যাংক ফুটো না হয়ে যদি ইঞ্জিন রুম ছিদ্র হতো তাহলে জাহাজ ডুবে যেতো ।
আমাদের জাহাজটা ভেসে যাচ্ছে আমি আতঙ্কিত হয়ে ভাবছি কি করবো পিছনের জাহাজটার দিকে তাকিয়ে আছি এদিকে কোন ডুবো জাহাজের সাথে ধাক্কা খায় কিনা তাও ভাবছি । আমাদের জাহাজটা পিছনের জাহাজের উপর পড়তে যাচ্ছে তখন দেখলাম ওটার গায়ে ভিড়ানো লাইটার জাহাজ থেকে লোকজন সমুদ্রে ঝাপ দিচ্ছে ।
সংঘর্ষে আমাদের তেলের জাহাজে যদি আগুন ধরে যায় তাহলে কি করবো এসব ভাবতে ভাবতে দেখলাম আমরা ক্লিঙ্কার জাহাজের গায়ে ভীড়ানো সবচেয়ে বাহিরের ৩ নং লাইটার জাহাজটা থেকে মাত্র দশ ফুট দূর দিয়ে ভেসে চলে গেলাম । এভাবে আরও কিছুদূর যাওয়ার পর আমাদের জাহাজের ইঞ্জিন গর্জে উঠলো । তার কিছুক্ষন পরেই আমরা আবার আগের জায়গায় ফিরে এলাম । এবার ক্যাপ্টেন ব্রীজে একজনকে ডিউটিতে রাখলেন এবং ইঞ্জিনও চালু রাখলেন । আর আমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দিলেন বিষয়টা ওনার দৃষ্টিগোচরে আনার জন্য।

লোডিং আর্ম এর সাহায্যে জাহাজ খালী কর হচ্ছে ।

খালী জাহাজ ।

পোর্টে ভীরানো জাহাজ ।

চলমান জাহাজের স্কাই ভিউ ।

একবার একটা ফ্রান্সের জাহাজে গিয়েছি । লাঞ্চ টাইমে আমাদের দেশী কোন জাহাজ ছিলোনা । তাই বাধ্য হয়ে আমরা ডাইনিং এ গেলাম । খুব সুন্দর করে সাজানো । কাঠের প্যানেলিং করা দেয়াল, সিলিং, সুন্দর করে ঝাড়বাতি লাগানো এবং বড় বড় সিঙ্গেল সোফা একেকটা রাউন্ড টেবিল ঘিড়ে রেখেছে সম্পূর্ন মেঝে পুরু নরম কার্পেট দিয়ে ঢাকা একেবারে রাজকিয় হালচাল বলে মনে হলো । আজকের দুপুরের খাবার মেন্যু একটা ব্ল্যাকবোর্ডে চক দিয়ে লেখা । তত মনোযোগ দিয়ে দেখলাম না । সেলুনের রুচি সম্পন্ন মনোলোভা সাজগোজ কারুকার্য মন দখল করে রেখেছিলো ।আমরা চারজন একটা টেবিল দখল করলাম । কাছের আরেকটা টেবিলে ক্যাপ্টেন চীফ অফিসার, চীফ ইঞ্জিনিয়ার এই তিনজন বসে ছিলেন আমরা হাই হ্যালো করার পর হেড কুক এসে খাবার পরিবেশনের অনুমতি চাইলো ক্যাপ্টেন আমদের দিকে চেয়ে বললেন আর কেউ আসতে বাকি আছে কিনা আমরা না সূচক মাথা ঝাকালাম তিনি কুকের দিকে তাকিয়ে হ্যা সূচক মাথা ঝাকালেন । কুক প্রথমে আমাদের জন্য (বদান্যতা দেখিয়ে) একটা ডিশ নিয়ে এলেন । ডিম্বাকৃতি লালফুল শোভিত প্লেট, প্লেটের চারপাশে ( মাঝারি সাইজের গোল আলু স্লাইস করলে যেমন হবে সে রকম) ভেজে বাদামী করা স্লাইস মাংশ সাজানো মাঝে মাঝে লেটুস পাতা গুজে দেওয়া এবং প্লেটের মাঝখানে ডিজাইন করে কাটা টমেটো গাজর । খাবো কি ডিসের দিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে হলো । এর সাথে পরিবেশন করা হলো ফ্রান্সের রেড ওয়াইন কৃষ্টাল পান পাত্রে মেরুন রঙ্গের তরল দেখতেও সুন্দর লাগছিলো । অপরিচিত খাবার কেমন হয় কে জানে তাই আমি পরীক্ষা করার জন্য খুব সামান্য একটু নিলাম প্লেটে । অন্যরা আগপাচ না ভেবে অনেকখানি করে নিলো । এরপর মুখে দেওয়ার পর কেউ আর গেলে না খালি একে অপরের দিকে তাকিয়ে মুখ চাওয়া চওয়ি করতে লাগলো মুখে খাবার কিছু বলাও যাচ্ছেনা । ওদিকে আমাদের হোস্টরা আড় চোখে আমাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করছে । কি আর করা কোৎ করে গিলে ফেলে নিজেকে ধন্যবাদ দিলাম ভাগ্যিস অন্যদের মত বেশী করে নেইনি । স্বাদ ছিলো জঘন্য পচা শুটকীর মত। ব্ল্যাকবোর্ডে চক দিয়ে লেখার দিকে দৃষ্টি দিলাম ১নং এ লেখা আছে ফ্রাইড মাসল মুখের স্বাদ বদলাবার জন্য রেড ওয়াইনের সিপ নিলাম ধূর এটাও মারাত্নক টক। বুঝলাম বোকামির খেসারত দিয়েছি । এর পর এলো ফ্রান্সের বিখ্যাত দেড়ফুট দুইফুট লম্বা লম্বা বন রুটি তার সাথে স্মোকড বীফ সুন্দর স্লাইস করা, সাথে জন প্রতি আস্ত চিকেনের অর্ধেকটা করে রোষ্ট । লাঞ্চ শেষ করে বেরিয়ে এসে ভাবছিলাম রাজকীয় সেলুনে কি খেলাম ? প্রথমেই ছ্যাকা খাওয়াতে পরের খাবারগুলো সন্দেহ নিয়ে খাওয়ার ফলে আর উপভোগ্য হয়ে ওঠেনি ।

এডিট করার ধৈর্য নেই ভুল ভ্রান্তি পাঠক নিজগুনে ক্ষমা করে দেবেন ।







সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০৩
১৬টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নজরুলের চিন্তার কাবা প্রাচ্য নাকি পাশ্চাত্য?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে মে, ২০২৪ ভোর ৫:০৫


কাজী নজরুলের বড় বিপত্তি তিনি, না গোঁড়া ধর্মীয় লোকের কবি আর অতিমাত্রায় বামের কবি, না হোদাই প্রগতিশীলের কবি। তিনি সরাসরি মধ্যপন্থীর। অনেককেই দেখি নজরুলের কিছু কথা উল্লেখ করে বলেন কাফের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিলিস্তিনিদের আত্মদান ধর্মযুদ্ধ নয়; এটি স্বাধীকারের যুদ্ধ

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৬ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৬

বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা যেকোন বিষয়কে ধর্মীয় ফ্লেভার দিয়ে উপস্থাপন করে৷ ইসলামের সাথে কতটুকু সম্পৃক্ততা তার ভিত্তিতে কনভারজেন্স নির্ধারিত হয়৷ বাঙালি মুসলমানরা এক্ষেত্রে এক কাঠি ওপরে৷ পক্ষ বিপক্ষ বেছে নেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ওহাবী বাতিল মতবাদের স্বরূপ উন্মোচন

লিখেছেন মীর সাখওয়াত হোসেন, ২৬ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৭

নজদী ওহাবীদের সম্পর্কে আলােচনা করার পূর্বে নজদ দেশ সম্পর্কে আলােকপাত করতে চাই। আরবের মক্কা নগরীর সােজা পূর্ব দিকের একটি প্রদেশের নাম নজদ । এখন উক্ত নজদ দেশটি সৌদি আরবের রাজধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘূর্ণিঝড় রিমাল সর্তকতা।

লিখেছেন কাল্পনিক_ভালোবাসা, ২৬ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩

প্রিয় ব্লগারবৃন্দ,
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় রিমাল প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে এবং ইতিমধ্যে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলোর ব্লগারদের কাছে যদি স্থানীয় ঝড়ের অবস্থা এবং ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীতে চিরতরে যুদ্ধ বন্ধের একটা সুযোগ এসেছিল!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৬ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৩


মনে হয় শুধু মানুষের কল্পনাতেই এমন প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন সম্ভব- যদি বাস্তবে হত তবে কেমন হত ভাবুন তো?
প্রত্যেকটি দেশের সমস্ত রকমের সৈন্যদল ভেঙে দেওয়া; সমস্ত অস্ত্র এবং সমর-সম্ভার, দুর্গ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×