somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বৃষ্টির কবিতা,বৃষ্টির গান-এখনো মন ছুয়ে যায়

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

দিনের আলো নিবে এল,
সুয্যি ডোবে - ডোবে।
আকাশ ঘিরে মেঘ জুটেছে
চাঁদের লোভে লোভে।
মেঘের উপর মেঘ করেছে—
রঙের উপর রঙ,
মন্দিরেতে কাঁসর ঘন্টা।
বাজল ঠঙ ঠঙ।
ও পারেতে বিষ্টি এল,
ঝাপসা গাছপালা।
এ পারেতে মেঘের মাথায়
একশো মানিক জ্বালা।

বাদলা হাওয়ায় মনে পড়ে
ছেলেবেলার গান—
‘বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর,
নদেয় এল বান। '
আকাশ জুড়ে মেঘের খেলা,
কোথায় বা সীমানা!
দেশে দেশে খেলে বেড়ায়,
কেউ করে না মানা।
কত নতুন ফুলের বনে
বিষ্টি দিয়ে যায়,
পলে পলে নতুন খেলা
কোথায় ভেবে পায়।
মেঘের খেলা দেখে কত
খেলা পড়ে মনে,
কত দিনের নুকোচুরি
কত ঘরের কোণে।
তারি সঙ্গে মনে পড়ে
ছেলেবেলার গান—
‘বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর,
নদেয় এল বান। '

মনে পড়ে ঘরটি আলো
মায়ের হাসিমুখ,
মনে পড়ে মেঘের ডাকে
গুরুগুরু বুক।
বিছানাটির একটি পাশে
ঘুমিয়ে আছে খোকা,
মায়ের ‘পরে দৌরাত্মি সে
না যায় লেখাজোখা।
ঘরেতে দুরন্ত ছেলে
করে দাপাদাপি,
বাইরেতে মেঘ ডেকে ওঠে—
সৃষ্টি ওঠে কাঁপি।
মনে পড়ে মায়ের মুখে
শুনেছিলেম গান—
‘বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর,
নদেয় এল বান।
মনে পড়ে সুয়োরানী
দুয়োরানীর কথা,
মনে পড়ে অভিমানী
কঙ্কাবতীর ব্যথা।
মনে পড়ে ঘরের কোণে
মিটিমিটি আলো,
একটা দিকের দেয়ালেতে
ছায়া কালো কালো।
বাইরে কেবল জলের শব্দ
ঝুপ্‌ ঝুপ্‌ ঝুপ্‌—
দস্যি ছেলে গল্প শোনে
একেবারে চুপ।
তারি সঙ্গে মনে পড়ে
মেঘলা দিনের গান—
‘বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর,
নদেয় এল বান। '
কবে বিষ্টি পড়েছিল,
বান এল সে কোথা।
শিবঠাকুরের বিয়ে হল,
কবেকার সে কথা।
সেদিনও কি এম্‌নিতরো
মেঘের ঘটাখানা।
থেকে থেকে বাজ বিজুলি
দিচ্ছিল কি হানা।
তিন কন্যে বিয়ে করে
কী হল তার শেষে।
না জানি কোন্‌ নদীর ধারে,
না জানি কোন্‌ দেশে,
কোন্‌ ছেলেরে ঘুম পাড়াতে
কে গাহিল গান—
‘বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর,
নদেয় এল বান। ' -

এই কবিতাটা পড়লে এখনো মনের ভেতরটা হুহু করে ওঠে। আবার ফিরে যেতে ইচ্ছে হয় সেই দুরন্ত ছেলেবেলায়।কি দিন ছিলো!!!হুড়োহুড়ি ছুটোছু্টি কোন কিছুরই কমতি ছিলো না। দিনগুলো যেতো স্বপ্নের মত।

বৃষ্টির গান
-ফররুখ আহমদ

বৃষ্টি এলো কাশবনে
জাগলো সাড়া ঘাসবনে
বকের সারি কোথায় রে
লুকিয়ে গেলো বাঁশবনে।

নদীতে নাই খেয়া যে
ডাকলো দূরে দেয়া যে
কোন সে বনের আড়ালে
ফুটলো আবার কেয়া যে।

গাঁয়ের নামটি হাটখোলা
বৃষ্টি-বাদল দেয় দোলা
রাখাল ছেলে মেঘ দেখে
যায় দাঁড়িয়ে পথ ভোলা।

মেঘের আধার মন টানে
যায় সে ছুটে কোনখানে
আউস ধানের মাঠ ছেড়ে
আমন ধানের মাঠ পানে।

কখনো একটা নিপাট গ্রাম দেখিনি। কিন্তু এই কবিতাটি পড়ে নিজের অজান্তেই মনে মনে একটা গ্রাম কল্পনায় একে নিয়েছিলাম। কি সুন্দর ছিলো আমার ছেলেবেলা।

মেঘের 'পরে মেঘ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

মেঘের 'পরে মেঘ জমেছে, আঁধার
করে আসে।
আমায় কেন বসিয়ে রাখ একা দ্বারের
পাশে।
কাজের দিনে নানা কাজে থাকি নানা
লোকের মাঝে,
আজ আমি যে বসে আছি তোমারি
আশ্বাসে॥
তুমি যদি না দেখা দাও, কর আমায়
হেলা,
কেমন করে কাটে আমার এমন
বাদল-বেলা।
দূরের পানে মেলে আঁখি কেবল
আমি চেয়ে থাকি,
পরান আমার কেঁদে বেড়ায় দুরন্ত
বাতাসে॥

রেযওয়ানা চোধুরি বন্যার কন্ঠে 'মেঘের 'পরে মেঘ'


মেঘ বলেছে 'যাব যাব'
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মেঘ বলেছে 'যাব যাব', রাত বলেছে 'যাই',
সাগর বলে 'কূল মিলেছে-- আমি তো আর নাই' ॥
দুঃখ বলে 'রইনু চুপে তাঁহার পায়ের চিহ্নরূপে',
আমি বলে 'মিলাই আমি আর কিছু না চাই' ॥
ভুবন বলে 'তোমার তরে আছে বরণমালা',
গগন বলে 'তোমার তরে লক্ষ প্রদীপ জ্বালা'।
প্রেম বলে যে 'যুগে যুগে তোমার লাগি আছি জেগে',
মরণ বলে 'আমি তোমার জীবনতরী বাই' ॥

ইন্দ্রাণী সেন এর কন্ঠে মেঘ বলেছে 'যাব যাব'

শাওন গগনে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শাওন গগনে ঘোর ঘনঘটা, নিশীথযামিনী রে
কুঞ্জপথে, সখি, কৈসে যাওব অবলা কামিনী রে।

উন্মদ পবনে যমুনা তর্জিত, ঘন ঘন গর্জিত মেহ
দমকত বিদ্যুত, পথতরু লুন্ঠিত, থরহর কম্পিত দেহ
ঘন ঘন রিমঝিম, রিমঝিম রিমঝিম, বরখত নীরদপুঞ্জ
শাল-পিয়ালে তাল-তমালে নিবিড়তিমিরময় কুঞ্জ।

কহ রে সজনী, এ দুরুযোগে কুঞ্জে নিরদয় কান
দারুণ বাঁশী কাহে বজায়ত সকরুণ রাধা নাম
মোতিম হারে বেশ বনা দে, সীঁথি লগা দে ভালে
উরহি বিলুন্ঠিত লোল চিকুর মম বাঁধহ চম্পকমালে।

গহন রয়নমে ন যাও, বালা, নওলকিশোরক পাশ
গরজে ঘন ঘন, বহু ডর পাওব, কহে ভানু তব দাস।
রেযওয়ানা চোধুরি বন্যার কন্ঠে শাওন গগনে ঘোর ঘনঘটা


এপিটাফ
অর্থহীন

বৃষ্টি নেমেছে আজ আকাশ ভেঙ্গে
হাঁটছি আমি মেঠো পথে,
মনের ক্যানভাসে ভাসছে তোমার ছবি
বহুদিন তোমায় দেখি না যে।

তোমায় নিয়ে কত স্বপ্ন আজ কোথায় হারায়
পুরোনো গানটার সুর আজ মোরে কাঁদায়।

তুমি তো দিয়েছিলে মোরে কৃষ্ণচূড়া ফুল
আমি তো বসেছিলাম নিয়ে শুধু গানের সুর,
তুমি তো দিয়েছিলে মোরে কৃষ্ণচূড়া ফুল
চলে গেছ কোথায় আমায় ফেলে বহুদূর…….বহুদূর।

সাদা কালো এ জীবনের মাঝে
রঙ্গিন ছিলে তুমি শুধু,
তোমায় নিয়ে লেখা কত কবিতায়
দিয়েছিলাম কত সুর।

আজ আমার হাতের মুঠোয় নেই যে তোমার হাত
ভোরের আলো ফুটবে কখন,
ভেবেছি কত রাত।

তুমি তো দিয়েছিলে মোরে কৃষ্ণচূড়া ফুল
আমি তো বসেছিলাম নিয়ে শুধু গানের সুর,
তুমি তো দিয়েছিলে মোরে কৃষ্ণচূড়া ফুল
চলে গেছ কোথায় আমায় ফেলে বহুদূর……..বহুদূর।

যুদ্ধ শেষে আজ ঘরে ফিরে
দেখি নাই তুমি যে পাশে,
ভেবেছিলাম তুমি থাকবে
দাঁড়িয়ে কৃষ্ণচূড়া ফুল হাতে।

তবে কি যুদ্ধে গেলাম
তোমায় হারাতে,
এপিটাফ এর লেখা গুলো
পড়ি ঝাপসা চোখে।

আমি তো দিয়েছিলাম তোমায় কৃষ্ণচূড়া ফুল
তুমি তো গেয়েছিলে সেই নতুন গান এর সুর,
আমি তো দিয়েছিলাম তোমায় কৃষ্ণচূড়া ফুল
তবে কেন গেলাম আমি চলে তোমায় ফেলে বহুদূর।
………….বহুদূর
…………বহুদূর
………..বহুদূর।

অর্থহীন এর এপিটাফ।


ভালবাসা মেঘ
কথা: জিয়া-শিরোনামহীন

মেঘ ঝড়ে ঝড়ে বৃষ্টি নামে,
বৃষ্টির নাম জল হয়ে যায়
জল উড়ে উড়ে আকাশের গায়ে
ভালবাসা নিয়ে বৃষ্টি সাজায়
ইচ্ছে গুলো ভবঘুরে হয়ে, চেনা অচেনা হিসেব মেলায়
ভালবাসা তাই ভিজে একাকার, ভেজা মন থাকে রোদের আশায়

ইচ্ছে হলে ভালবাসিস, না হয় থাকিস
যেমন থাকে স্নিগ্ধ গাংচিল।

চুপি চুপি রোদ, উঁচু নীচু মেঘ, সারি সারি গাড়ি
দূরে দূরে বাড়ি......
নিভু নিভু আলো, চুপ চাপ সব কনকনে শীত
ছম ছমে ভয়......
সংলাপ সব পড়ে থাক, বৃষ্টিতে মন ভিজে যাক
ভালবাসা মেঘ হয়ে যাক।

ঘুরে ঘুরে যদি, দূরে দূরে তবু মেঘে মেঘে থাক ভালবাসা
ইচ্ছে হলে ভালবাসিস, না হয় থাকিস
যেমন থাকে স্নিগ্ধ গাংচিল।

মেঘ ঝড়ে ঝড়ে ...... জল উড়ে উড়ে .....
ভালবাসা তাই ...... ভেজা মন থাক .....

ঝিরি ঝিরি হাওয়া কৃষ্ণচূড়ায়, লাল লাল ফুলে,
ছুটে ছুটে চলা ......
আধো আলো ছায়া, গুণ গুণ গাওয়া
পুরনো দিনের গল্প বলা ......
সংলাপ সব পড়ে থাকে, বৃষ্টিতে মন ভিজে যাক
ভালবাসা মেঘ হয়ে থাক।

ঘরে ফেরা পথে, নিরবে নিভৃতে মেঘে মেঘে থাক ভালবাসা
ইচ্ছে হলে ভালবাসিস, না হয় থাকিস
যেমন থাকে স্নিগ্ধ গাংচিল।

.

চলো ভিজি আজ বৃষ্টিতে-আমার আছে জল-হাবিব

বাদলা দিনে মনে পড়ে ছেলেবেলার গান
বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান

যদি ডেকে বলি, এসো হাত ধরো.. চলো ভিজি আজ বৃষ্টিতে
এসো গান করি মেঘো মল্লারে.. করুনাধারা দৃষ্টিতে
আসবে না তুমি... জানি আমি জানি ।।

অকারনে তবু কেন কাছে ডাকি.. কেন মরে যাই তৃষ্ণাতে তে
এইই এসো.. চলো জলে ভিজি শ্রাবণ রাতের বৃষ্টিতে ।।

কত না প্রণয়.. ভালোবাসা বাসি
অশ্রু সজল কত হাসাহাসি

চোখে চোখ রাখা জলছবি আঁকা
বকুল কোন ধাগাতে
কাছে থেকেও তুমি কত দূরে
আমি মরে যাই তৃষ্ণাতে
চলো ভিজি আজ বৃষ্টিতে ।।

যদি ডেকে বলি, এসো হাত ধরো.. চলো ভিজি আজ বৃষ্টিতে
এসো গান করি মেঘো মল্লারে.. করুনাধারা দৃষ্টিতে
আসবে না তুমি... জানি আমি জানি ।।
অকারনে তবু কেন কাছে ডাকি.. কেন মরে যাই তৃষ্না তে
এইই এসো.. চলো জলে ভিজি শ্রাবণ রাতের বৃষ্টিতে ।।

বাদলা দিনে মনে পড়ে ছেলেবেলার গান
বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান ।।



যদি মন কাদে
হুমায়ুন আহমেদ

যদি মন কাঁদে
তুমি চলে এসো, চলে এসো
এক বরষায়…………….(।।)

এসো ঝর ঝর বৃষ্টিতে
জল ভরা দৃষ্টিতে
এসো কোমল শ্যামল ছায় ।

যদিও তখন আকাশ থাকবে বৈরি
কদম গুচ্ছ হাতে নিয়ে আমি তৈরি ।।
উতলা আকাশ মেঘে মেঘে হবে কালো
ছলকে ছলকে নাচিবে বিজলী আরো
তুমি চলে এসো, চলে এসো
এক বরষায়…………….(।।)

নামিবে আঁধার বেলা ফুরাবার ক্ষণে
মেঘ মাল্লা বৃষ্টিরও মনে মনে ।।
কদম গুচ্ছ খোঁপায়ে জড়ায়ে দিয়ে
জল ভরা মাঠে নাচিব তোমায় নিয়ে
তুমি চলে এসো, চলে এসো
এক বরষায়…………….(।।)

যদি মন কাঁদে
তুমি চলে এসো, চলে এসো
এক বরষায়…………

শাওনের কন্ঠে গানটি-


মেঘ পিয়নের ব্যাগ এর ভেতর
শ্রীকান্ত

মেঘ পিয়নের ব্যাগের ভিতর মন খারাপের দিস্তা
মন খারাপ হলে কুয়াশা হয় আর ব্যাকুল হলে তিস্তা।
মন খারাপের খবর আসে বন পাহাড়ের দেশে
চৌকোনা সব বাক্সে, যেথায় যেমন থাক সে
মন খারাপের খবর পড়ে দারুণ ভালবেসে।
মেঘের ব্যাগের ভিতর ম্যাপ রয়েছে মেঘ পিয়নের বাড়ী,
পাকদন্ডী পথ বেয়ে তার বাগান ঘেরা বাড়ী।
বাগান শেষে সদর দুয়ার,বারান্দাতে আরাম চেয়ার
গালচে পাতা বিছানাতে ছোট্ট রোদের ফালি
সেথায় এসে মেঘ পিয়নের সমস্ত ব্যাগ খালি।

দেয়াল জুড়ে ছোট্ট রোদের ছায়া বিশাল গায়
নিষ্পলকে ব্যাকুল চোখে তাকিয়ে আছে ঠায়।
কিসের অপেক্ষায়?
রোদের ছুরির ছায়ার শরীর কাটছে অবিরত
রোদের বুকের ভিতর ক্ষত,
সেই বুকের থেকে টুপটুপ টুপ নীল কুয়াশা ঝরে
আর মন খারাপের খবর আসে আকাশে মেঘ করে-
সারা আকাশ জুড়ে।

মেঘের দেশে রোদের বাড়ী,পাহাড় কিনারায়
যদি মেঘ পিয়নের ডাকে সেই ছায়ার হদিস থাকে
রোদের ফালি তাকিয়ে থাকে আকুল আকাঙ্খায়-
কবে মেঘ পিয়নের চিঠি আসবে খবর
বাড়ীর বারান্দায়, ছোট্ট বাগানটায়।

আষাঢ় মেঘে বৃষ্টি এল আকাশ জুড়ে গাঢ়
রোদের সাথে ছায়ার আড়ি মুখ দেখেনা কারো।
মেঘ করেছে পড়ার ঘরে বিছানাটা জুড়ে
উথাল পাতাল মেঘ করেছে নিঝুম হৃদয় ভরে।
বুঝি হঠাৎ করে মেঘ পিয়নের ক্ষণেক অসাবধানে
তার চিঠির বোঝা উড়ে গেছে কখন দূরের বনে।
গড়িয়ে গেছে ঝরনা জলে,ছড়িয়ে গেছে গাছের ডালে-
মন খারাপের পাতাগুলো গাছের পাতার মতো
নীল পাহাড়ে পড়ছে ঝরে,ঝরছে অবিরত।

মন খারাপের মেঘে গেল সারাটা বন ঢেকে
মেঘের ডাকে গুমড়ে ওঠা কষ্ট থেকে থেকে
ছায়া যেন ছায়ার মতো মেলায় পাহাড় বনে
ছায়াটি তার ফেলে গেছে কখন রোদের মনে।

এপাশ ওপাশ রাত্রি ফুরায় মন খারাপের ঘোরে
পশলা মেঘে বৃষ্টি পড়ে,বৃষ্টি পড়ে ঝরে।
আয় বৃষ্টি টাপুর টুপুর, আয় বৃষ্টি ঝেপে
মন খারাপের বৃষ্টি তোকে দু:খ দিব মেপে।

মেঘ পিয়নের কোথায় বাড়ী,কোথায় সে কোন দূরে
আষাঢ় হলেই কোথা থেকে আসে আকাশ জুড়ে?
মন খারাপের দিস্তিগুলি কখন বিলি করে
রাতজাগা কোন ভোরে,মেঘের দ্বিপ্রহরে
পাকদন্ডী পথের ধারে বাগান ঘেরা ঘরে।
এখন রোদ উঠেছে,মেঘ পিয়নের যাবার সময় প্রায়
যেসব চিঠি হয়নি বিলি পড়েছে ঝরনায়।

গড়িয়ে গেছে নদীর জলে, ছড়িয়ে আছে গাছের ডালে
টুপটুপ টুপ পড়বে ঝরে পাহাড়তলীর পথে
ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাবে শুকনো পাতার সাথে।
মনখারাপের সজলটুকু শুকিয়ে গিয়ে শেষে
মিলিয়ে যাবে তিরতিরে এক মন ক্যামনের দেশে-

মেঘ পিয়নের ব্যাগে এবার মন ক্যামনের দিস্তা
সেই মন ক্যামনের স্রোতের টানে চলছে বয়ে তিস্তা।

তিতলি সিনেমার এই গানটি শুনলেই কোথায় যেনো হারিয়ে যাই। মনে পড়ে গত বর্ষায় কক্সবাজার যাবার স্মৃতি। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি, আকাবাকা পাহাড়ি রাস্তা। মনে হয় আর কখনো যেনো ফিরে না আসি

সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫১
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×