somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অমুসলিমদের চোখে আমাদের নবী

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা পেয়ারা নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উম্মত। তিনি কিয়ামত পর্যন্ত সকলের জন্য নবী। তাঁর শুভাগমনের মাধ্যমে সুসমাপ্ত হয়েছে নবী-আগমনের ধারা। তিনি ‘খাতামুন্নাবিয়ীন’ ও ‘রহমাতুল্লিল আলামীন’। তাঁর সুমহান আদর্শে ও অতুলনীয় চরিত্র-সুষমায় জগৎবাসী মুগ্ধ ও অভিভূত হয়েছে। তিনি ছিলেন আল্লাহ তাআলার বান্দা ও রাসূল, মানবতার পূর্ণ বিকশিত রূপ। তাই গোটা মানবজাতির জন্য তিনি আদর্শ। আপনজনেরা তাঁর প্রতি ঈমান এনে জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। আর অন্যেরা তাঁর মানবীয় গুণাবলিতে মুগ্ধ হয়ে মুক্ত কণ্ঠে প্রশংসা করেছেন। এই সংক্ষিপ্ত লেখায় তাদেরই কিছু অনুভূতি তুলে ধরছি।
ভারতের বিখ্যাত লেখক গুরুদত্ত সিং নবীজীর প্রতি তার গভীর ভালবাসা জানিয়েছেন এভাবে-‘সত্যের আলো ছড়াতে, পুণ্যের পথ দেখাতে এক মহামানবের আবির্ভাব হল। তাঁর শুভদর্শনে দৃষ্টি যাদের প্রেমমুগ্ধ হল এবং হৃদয় যাদের ভালবাসায় স্নিগ্ধ হল জনম তাদের সার্থক হল। এ পরশমণির পরশ-সৌভাগ্য যারা লাভ করল খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি তারা হল। এ স্বর্গ-পুষ্পের সান্নিধ্য-সৌরভ যারা পেল বিশ্ববাগানে তারা গোলাপের খোশবু ছড়াল।’
এডওয়ার্ড গীবন ছিলেন বড় ঐতিহাসিক। তিনি লিখেছেন, ‘মুহাম্মাদ এত ভালো ছিলেন যে, যারা তার কাছে আশ্রয় নিত, তিনি তাদের রক্ষা করতেন। তাঁর মুখের কথা ছিল মধুর মতো। যারা তাঁকে দেখেছে তারা ভক্তি করেছে এবং যারা তাঁর কাছে গিয়েছে তারা তাঁকে ভালবেসেছে। ... এত বড় হয়েও তিনি নিজের কাজ নিজে করতেন। ঘর ঝাড়ু দিতেন এবং নিজের কাপড় নিজেই সেলাই করতেন।’
ফিলিপ কে হিট্টি ছিলেন বড় জ্ঞানী। তিনি বলেন, ‘উত্তম চরিত্র ও সুন্দর ব্যবহার দ্বারা তিনি মানুষের হৃদয় জয় করেছেন। সব সময় তিনি ন্যায়ের পথে চলেছেন। কখনো কোনো অন্যায় করেননি এবং ওয়াদা ভঙ্গ করেননি। যারা তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছিল, যারা তাঁকে দেশছাড়া করেছিল তাদেরও তিনি ক্ষমা করেছেন। মক্কাবিজয়ের সময় কোনো প্রতিশোধ নেননি।’
ল্যামার্টিন ছিলেন ফরাসী দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী। তিনি বলেন, ‘মুহাম্মাদের চেয়ে উত্তম মানুষ পৃথিবীতে আর কে আছে? তিনি যেমন ছিলেন নম্র, ভদ্র ও বিনয়ী তেমনি ছিলেন সাহসী, সৎ ও সত্যবাদী। যেমন ছিলেন দয়ালু ও দানশীল তেমনি ছিলেন ধৈর্য্যশীল ও ক্ষমাশীল। মানবজাতির ইতিহাসে তার তুলনা কোথাও খুঁজে পাবে না তুমি।’
ডক্টর গুস্তাভ উইল ছিলেন জার্মানির বিখ্যাত পণ্ডিত ব্যক্তি। তিনি বলেছেন, ‘মুহাম্মাদের চরিত্র ছিল পবিত্র। সকল অঞ্চল থেকে তাঁর কাছে বিপুল সম্পদ আসত, কিন্তু তিনি নিজের জন্য কিছুই রাখতেন না। মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিতেন। তাঁর বাসস্থান, পোশাক ও পানাহার ছিল খুব সাধারণ। তিনি অসুস্থদের দেখতে যেতেন এবং নিজ হাতে তাদের সেবা করতেন। অসহায়-দরিদ্র, বিধবা ও এতীমদের জন্য তিনি ছিলেন পিতার মতো স্নেহশীল।’
জর্জ বার্নার্ড শ ইউরোপের সুপ্রসিদ্ধ দার্শনিক ও সাহিত্যিক। তিনি লিখেছেন, ‘মুহাম্মাদের ধর্মকে আমি সবসময় শ্রদ্ধা করেছি। মুহাম্মাদ-জীবনী আমি গভীর মনোযোগের সঙ্গে পড়েছি। আমার বিশ্বাস, তিনি ছিলেন মানবজাতির ত্রাণকর্তা। পৃথিবীতে আজ এত যে সমস্যা, এত যে অশান্তি, আমি মনে করি, তাঁর মতো ব্যক্তি সারাবিশ্বের শাসনভার গ্রহণ করলে সব সমস্যার সমাধান হত এবং পৃথিবীতে সুখ-শান্তি ফিরে আসত।’
ডক্টর মার্কোস উড নামে একজন বড় জ্ঞানী ছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘ন্যায় ও সত্যের প্রতিষ্ঠার জন্য মুহাম্মাদ যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে, এমনকি জীবন বিসর্জন দিতেও প্রস'ত ছিলেন। তাঁকে বড় বড় প্রলোভন দেওয়া হয়েছে, কঠিন কঠিন নির্যাতন চালানো হয়েছে, আপনজনেরা তাঁকে দেশছাড়া করেছে, কিন্তু তিনি মাথা নত করেননি, লোভ ও প্রলোভন তাঁকে সত্যের পথ থেকে সরাতে পারেনি এবং নির্যাতন ও নিপীড়ন তাঁর কণ্ঠ স-ব্ধ করতে পারেনি।’ বন্ধুরা, এসো আমরা সবাই দুরূদ পাঠ করি।
গবেষণামূলক উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মারকাযুদ্ দাওয়াহ আলইসলামিয়া ঢাকা-এর মুখপত্র মাসিক আলকাউসার এর মে ২০১০ সংখ্যা থেকে।

বি. দ্র. প্রথম আলোদের কত মিথ্যা বিশ্বাস করে ফেল তুমি, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিশ্বাস হয়না!!
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×