somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দূষণের শিকার পর্যটন স্পট

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


দূষণের শিকার পর্যটন স্পটগুলো। দেশে প্রয়োজনীয় পর্যটন বর্জ্যব্যববস্থাপনা গড়ে ওঠেনি। এতে পর্যটন স্পটগুলো দূষণের শিকার। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন দায়টা দিতে চায় স্থানীয় জেলা প্রশাসনকে। তারা তাদের নিজস্ব স্থাপনাগুলো বর্জ্যব্যবস্থাপনায় ত্রুটি রাখছে না বলেই দাবি করে।
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো: হেমায়েত উদ্দিন তালুকদার বলেছেন, যেসব পর্যটন স্পট স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় রয়েছে সেগুলোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বও তাদের। যেসব স্পট ও স্থাপনা পর্যটন করপোরেশনের অধীনে রয়েছে তার বর্জ্যব্যবস্থাপনা আমাদের।
তবে দায়িত্ব যারই হোক না কেন, দেশের বেশির ভাগ পর্যটন স্পট এখন দূষণের কবলে। দেশের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপ, সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগর, টেকনাফ সমুদ্রসৈকত, কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত ও সুন্দরবনের জামতলী সমুদ্রসৈকত সবচেয়ে বেশি দূষণের কবলে। এসব স'ানে পানীয় সরবরাহ করা প্লাস্টিকের বোতল, চিপস, বিস্কুটের প্যাকেটসহ বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক বর্জ্য ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকছে। এতে স'ানীয় জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে। আবার অন্য দিকে পর্যটন স্পটের সৌন্দর্য নষ্ট করছে।
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা মো: ইলিয়াস বলেন, পর্যটকরা অসচেতন। তারা যেখানে-সেখানে প্লাস্টিকের জিনিসপত্র ফেলেন। এতে সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। প্রবালের ফাঁকে এসব প্লাস্টিক জমে এক ধরনের নোংরা পরিবেশ সৃষ্টি করছে। এটা প্রবাল ঘিরে যেসব জীববৈচিত্র্য রয়েছে তার জন্য ক্ষতিকর।
সেন্টমার্টিন পর্যটন মওসুমে প্রতিদিন তিন থেকে চারটি জাহাজ পর্যটকদের বহন করে থাকে। এসব জাহাজে চড়ে যেসব পর্যটক যাওয়া-আসা করেন তাদের ৯০ শতাংশেরও বেশি খাবার পানি, পানীয়র বোতল ও চিপস এবং বিস্কুট ও খাবারের প্লাস্টিকের প্যাকেট সমুদ্রে ফেলে দূষণ করছেন। এ জন্য জাহাজগুলোতে নির্ধারিত স্থানে ময়লা ফেলার ব্যবস্থা থাকলেও পর্যটকরা তা মানছেন না বলে জাহাজের কর্মীদের অভিযোগ।
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি করে সেখানে বর্জ্যব্যবস'াপনায় সাফল্য অর্জন করেছে স'ানীয় প্রশাসন। কিন' অন্যসব স্পটে তা নেই। পাহাড়ের রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলায় যান সবচেয়ে বেশি পযটক। অথচ রাঙ্গামাটি জেলার শুভলং ঝর্ণা এবং বান্দরবানের শৈলপ্রপাত ও বগালেক প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্যের কারণে দূষণের শিকার। শৈলপ্রপাতে পানির প্রবাহ ব্যাহত ও ঝর্ণার বেশির ভাগজুড়ে ময়লা আবর্জনায় ভরে আছে। এটি মূলত পরিত্যক্ত প্লাস্টিক দ্রব্যের সাথে পানি এবং পাহাড় থেকে নেমে আসা বর্জ্য আটকে ঝর্ণার সৌন্দর্য হানি করছে। আবার পানির স্রোতধারায় ভিন্নতা সৃষ্টি করছে। একই অবস'া বগালেকে। সেখানে পরিত্যক্ত বোতল ও প্লাস্টিকের প্যাকেটে সয়লাব। এতে লেকের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। রাঙ্গামাটির শুভলং ঝর্ণাসহ অন্যসব স্পটেরও একই অবস্থা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ রাশিদুল হাসান বলেন, এটা থেকে মুক্তির দু’টি পথ আছে। একটি হলো প্রতিটি পর্যটন স্পটেই পর্যটনবর্জ্য নির্দিষ্ট স'ানে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে; দ্বিতীয়ত, এ জন্য গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তবে দ্বিতীয়টা বেশি জরুরি বলেই তিনি মনে করেন।
তিনি বলেন, পর্যটন বর্জ্য বলতে কেবল পর্যটকদের বিভিন্ন স্পটে পরিত্যক্ত পানি ও খাবারের প্যাকেটই নয়, তাদের অন্যসব আবর্জনা ও পয়ঃনিষ্কাশনও বোঝায়। আমরা এখনো দেশের সব পর্যটন স্পটে ভালো পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারিনি।
কারা এসব বিষয় দেখবেন তা সরকারকে নির্ধারণ করে এখনই উদ্যোগ নেয়া উচিত বলেই মনে করেন তিনি।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

টুইস্টেড মাইন্ড অফ আ সিরিয়াল কিলারঃ কবি কালিদাস স্পেশাল

লিখেছেন এইচ তালুকদার, ২৭ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



সিরিয়াল কিলারদের নিয়ে আমার আগ্রহ শুরু হয় এই ব্লগেরই একজন অসাধারন ব্লগার ''ডক্টর এক্স'' এর লেখা পড়তে যেয়ে। বাংলা ভাষায় সাইকোলজির দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সেলফ হেল্প ধরনের অসাধারন কিছু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিলিস্তিনে কী শান্তি সম্ভব!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৭ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:২১

এক.
প্রতিদিন ঘুমানোর আগে আলজাজিরা দেখি৷ গাজার যুদ্ধ দেখি৷ রক্ত দেখি৷ লাল লাল৷ ছোপ ছোপ৷ সদ্য জন্মানো শিশুর৷ নারীর৷ কিশোর কিশোরীর৷ বৃদ্ধের৷ সারি সারি লাশ৷ সাদা কাফনে মোড়ানো৷ ভবনে চাপা পড়া৷... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রাকৃতিক দূর্যোগে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন?

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫

আমার জীবনে আমি সরাসরি প্রাকৃতিক দূর্যোগের ভেতরে পড়েছি বলে আমার মনে পড়ে না । ২০১৯ সালের ঘটনা। ঘূর্ণিঝড়ের নাম সেবার ছিল সম্ভবত বুলবুল ! সেটা যখন আসছিল তখন আমি ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

উপকূলের ভাই-বোনদের প্রতি গভীর সমবেদনা

লিখেছেন বিষাদ সময়, ২৭ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৭




আমরা ঢাকার পাকা দালানে বসে যখন আয়েস করে চায়ে চুমুক দিয়ে বৃষ্টি বিলাসে বিভোর, ঠিক সেই সময় আমাদের উপকূেলের ভাই-বোনেরা হয়তো কেউ স্বজন, কেউ ঘর, কেউ ফসল, কেউবা গবাদী... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা: অশ্লীলতা কি পোশাক দিয়ে নির্ধারণ করা উচিৎ নাকি মানসিকতা ও চরিত্র দিয়ে?

লিখেছেন লেখার খাতা, ২৭ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫২


ছবিটি -ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।

কহিনুরের, ফ্লোরা ওরিয়েন্টাল বিউটি সোপ।১৯৭৮ সালের বিজ্ঞাপন। ছবিটি ফেসবুকে পেয়েছি। ব্লগার সোনাগাজী, ব্লগার কামাল ১৮ সহ যারা মুরুব্বি ব্লগার রয়েছেন তারা হয়তো এই বিজ্ঞাপনটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×