প্রাইমারি বৃত্তি পরীক্ষাঃ বিষয়- গণিত, পূর্ণমান ১০০। নির্দিষ্ট সময়ের দেড় ঘণ্টা আগে লিখা শেষ! বোর্ড থেকে নম্বর জানা গেলো- ৯৯।
স্কুলেঃ ক্লাস নাইন। ফুলমার্কস ৪০, জেনারেল ম্যাথ, ফার্স্ট টার্ম এক্সাম। প্রশ্ন এতো কঠিন! কেউ কিসসু পারে না। ফার্স্ট গার্লগুলির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। অনেকে ফেইল করল। টিচার যখন খাতা দেখালো- প্রাপ্ত নম্বর ৩৮, ২ নম্বর কাটা কারণ ৪০এ ৪০ দিলে কেমন দেখায় না? বেচারির রোল কিন্তু অনেক পিছনে।
কলেজেঃ ফুলমার্কস ৭৫, ফিজিক্স ফার্স্ট পেপার, ফার্স্ট টার্ম এক্সাম। এত্ত এত্তগুলা পড়া। কলেজে সিলেবাস কমপ্লিট না করেই এক্সাম নিবে, প্রথম ১৪ টা চ্যাপ্টার। সারারাত কষ্ট করে পড়া হল। সেইই প্রথমবারের মতো ৫ মিনিটও না ঘুমিয়ে রাত কাটানো। সকালে ফল ও সেইরকম সুন্দর! কিসসু মনে নাই। কোনমতে অল্প কয়েকটা লিখালিখি হল। বেচারি ৩৫ নম্বরের উত্তর লিখতে পারল মাত্র। বাকি সময়টা মনের দুঃখে বসে থাকল এই ভেবে যে এইবার নির্ঘাত ফেইল!!!রেজাল্টের পর- প্রাপ্ত নম্বর ৩৪ (পঁচাত্তরে)। মহাখুশি! সত্যিকথা হবে ৩৫এর মধ্যে ৩৪। মারাত্মক ফলাফল! কিন্তু বাকি ১ যে কেন কাটলো!!
গ্র্যাজুয়েশনঃ পড়াশুনা কিছুই মনে থাকে না। সারারাত জেগে কোন লাভ হয়না। মাথায় কিসসু ঢুকে না। খাতায় লিখার কিছু খুঁজে পাওয়া যায় না। খাতা লিখে ভরিয়ে ফেললেও টিচার দেয় "জিরো" ... Zero ...গোল্লা। গোল্লা চেনেন?
সারাংশঃ কেন এমন হয়?
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৯:১৭