২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরেই টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ হেরে যাওয়ার পর সাকিব আল হাসানকে সরিয়ে মুশফিককে অধিনায়কের দায়িত্ব দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বুধবার ওয়ানডে সিরিজ হেরে যাওয়ার পর মুশফিক বলেন, “টি-টোয়েন্টি দুটির পর আমি পদত্যাগ করবো।”
জিম্বাবুয়েতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি জিতলেও শেষ দুটি ম্যাচ হেরে গেছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ অবশ্য ড্র করেছে। এরপর দুটি টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল।
মুশফিকের আকস্মিক ঘোষণায় বিস্ময় প্রকাশ করে বিসিবির গণমাধ্যম ও যোগাযোগ কমিটির সভাপতি জালাল ইউনুস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অধিনায়ক হিসাবে মুশফিকের সামর্থ্য নিয়ে বিসিবির কোনো সন্দেহ নেই। শুরু থেকেই সে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।”
“মুশফিকের সঙ্গে আমাদের কোনো কথা হয়নি। তবে বিসিবি মুশফিকের অধিনায়কত্বে সন্তুষ্ট।”
২০১১ সালের অক্টোবরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠের দুটি সিরিজের জন্য অস্থায়ীভাবে মুশফিককে নেতৃত্ব দিয়েছিল বিসিবি। পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজ শেষে দায়িত্বটা পাকাপাকিভাবে পেয়ে যান তিনি।
মুশফিক টেস্টে বাংলাদেশের অষ্টম, ওয়ানডেতে ত্রয়োদশ এবং টি-টোয়েন্টিতে চতুর্থ অধিনায়ক। খালেদ মাসুদ পাইলটের পর তিনি দেশের দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক-অধিনায়ক।
টি-টোয়েন্টিতে মুশফিক দেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। তার নেতৃত্বে ১২টি টি-টোয়েন্টি খেলে ৫টিতে জিতেছে বাংলাদেশ, হেরেছে ৭টিতে। ২০১১ সালে মুশফিকের অধিনায়কত্বেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টিতে চার বছর পর জয়ের দেখা পেয়েছিল বাংলাদেশ। যে জয়ে তার নিজেরও ছিল বড় অবদান।
টেস্টে অবশ্য তেমন সাফল্য পাননি। তার অধিনায়কত্বে ১০টি টেস্টের ৭টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ, ড্র করেছে দুটি, একমাত্র জয় এবারের জিম্বাবুয়ে সফরে।
তবে ওয়ানডেতে অধিনায়ক মুশফিকের সাফল্য উল্লেখ করার মতোই। ওয়ানডেতে ২১ ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ৮টিতে দলকে জয় এনে দিয়েছেন, হেরেছেন ১২টিতে, অন্যটি পরিত্যক্ত।
গত বছরের মার্চে এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠা এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনালে জিততে-জিততেও মাত্র ২ রানে হেরে যাওয়া মুশফিকের দল পুরো দেশের ভালবাসা পেয়েছিল অকুণ্ঠে।
বাংলাদেশ ঐ হারের দুঃখ অনেকটাই ভুলতে পেরেছিল গত ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ওয়ানডে সিরিজে হারিয়ে। এরপর মার্চে শ্রীলঙ্কা সফরে ওয়ানডে সিরিজ অমীমাংসিত রাখাও বাংলাদেশের ক্রিকেটের একটি বড় অর্জন।