somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কলঙ্কিত ছাত্র সমাজ। পর্ব-২

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি আর নাসিম তখন একটা বাড়ির কাছ দিয়ে হেটে আসছিলাম। কলেজ চত্তর থেকে বের হয়ে মুল রাস্তা ধরে কতক্ষন হাটার পর ডান দিকের একটা ছোট্ট চিপা দিয়ে নাসিমদের ছাত্রাবাসে যেতে হয়। ওদের ছাত্রাবাসের নাম সোহাগ ছাত্রাবাস। এখন এই ছাত্রাবাসে অনেক গুলো রুম করা হইছে। কিন্তু যখন নাসিমরা থাকত তখন মাত্র একটা বিল্ডিং এ চারটা রুম ছিলো। কলেজ থেকে আসার পথে ডান দিকে ঘুরে উঠতেই একটি বাড়ি নাসিম আমাকে দেখাল । আর বললো এই বাড়ি সেই ছাত্র নেতার যারা এখন কলেজে মিসিল করতেছে। এই ছাত্র নেতার নাম জাহিদ । নাসিম এই ছাত্র নেতাকে খুব ভাল ভাবে চিনে। কারন এই ছাত্র নেতা মাঝে মাঝেই নাসিমদের ম্যাচে এসে আড্ডা দেয়। নাসিম আবার খুব মিসুক একটা ছেলে। ওর সাথে কোন মানুষ একবার দুইবার কথা বললেই তাদের বন্ধু বানায় ফেলে। এই ছাত্র নেতার সাথেও নাসিম সুকৌশলে বন্ধত্ব করে ফেলছে। কারন নাসিম চিন্তা করছে যে এখানে থাকতে হলে তাকে অবশ্যই এদের সাথে মিল দিয়ে থাকতে হবে। নয়তবা এরা নাসিমদের বিভিন্ন ভাবে ফাঁসায় দিতে পারে। মাঝে মাঝে এই ছাত্র নেতারা নাসিম দের বাসায় এসে মদ্য পান করত। নাসিম এই ছাত্র নেতাকে জাহিদ ভাই বলে ডাকে।
নাসিম বলে, শোভন শোন এই জাহিদ ভাইয়ের কাছে চাপাতি, চাইনিজ কুরাল, এবং পিস্তল সহ অনেক অস্ত্র সস্ত্র আছে। যে কোন সময় এরা হকিস্টিক নিয়ে মারামারি করতে বের হয়। আমি তো তখন হকিস্টিক চিনতাম না। আমি বললাম হকিস্টিক কি? নাসিম আমাকে হকিস্টিক কি তা সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে বললো। নাসিম, শোন এরা খুব খারাপ মানুষ। এদের সাথে তাই আমরা মিল দিয়ে থাকি। নইলে এরা কখন আমাদের ফাসাঁয় দেয় বলা তো যায় না। নাসিম বলতেই থাকলো, শোন এদের আরো ভয়ংকর কাহিনী। এরা কোন পড়াশুনা করে না। সব সব সময় মদ, গাজা, ফেন্সিডিল খায়। আর যেখানে সেখানে মাতলামি করে বেরায়। আমি বললাম এদেরকে পুলিশ ধরে না। নাসিম বললো, না, এদেরেকে পুলিশ ধরে না। আমি বললাম, এদেরকে কেন পুলিশ ধরে না। নাসিম, কারন এখানকার এম.পি পুলিশকে এদের ধরতে মানা করে দিছে। আমার এখন জানা মতে ওই সময় আমাদের দেশে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিলো্। নাসিম বললো, এই এলাকার এম.পির অনেক কাছের নেতা এই জাহিদ ভাই। তাই পুলিশ এদের কিছু করতে পারে না।

চলবে.............
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৫
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×