somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্ষমাপ্রার্থী (তখন আমি সেফ ছিলাম না। তাই হয়তো অনেকেই পড়েন নাই)

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দয়া করে ক্ষমা করবেন। ক্ষমা করবেন আমায়। অকারণে ক্ষমা চাইছি না। অন্যায় করেছি বলেই ক্ষমা চাইছি। হ্যা, আপনার সাথে আমি দু’ধরণের অন্যায় করেছি। এখনও বুঝতে পারেননি? তবে খোলাসা করা যাক। গল্প ভেবে যা আপনি পড়া শুরু করেছে তা মোটেও কোনো গল্প নয়। অর্থাৎ আপনাকে আমি কোনো গল্প বলছি না। অথচ গল্প ভেবে এখনো কিনা আপনি লেখাটি পড়ে চলেছেন, আর আমিও এমন ভাব দেখাচ্ছি যে আমি আপনাকে একটা ফাটাফাটি ধরণের গল্প শুনাব। মোট কথা, আমি আপনার সাথে প্রতারণা করেছি।

আপনি যে এ লেখাটিকে গল্প ভাবছেন সে বিষয়ে নিঃসন্দেহ এজন্য যে, আমি গল্প লেখার সবগুলো নিয়মই মেনে চলার চেষ্টা করেছি। প্রথমত এর একটি চমৎকার নাম দিয়েছি, তারপর শুরু করেছি নাটকীয়ভাবে। কেউ একজন আপনার কাছে ক্ষমা চাইছে- এইটুকু জানলে স্বভাবতঃই তার কারণ জানার আগ্রহ জাগবে আপনার মনে। সেই কারণটি জানার জন্য আপনি এগুতে থাকবেন এবং আমি নিশ্চিত লেখাটি শেষ না করে আপনি উঠতে পারবেন না। সো, এতণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন যে, আপনাকে গল্প শোনাবার কোন সৎ অভিপ্রায় আমার নেই। অথচ এই অক্ষরগুলোর উপর আপনার চোখ দু’টি হেটে চলেছে দুর্বার গতিতে!

এবার আসা যাক ক্ষমা চাইবার অন্য কারণটিতে। দ্বিতীয় যে অন্যায়টি করেছি তা হলো আমি বৃথাই আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করেছি। এই সময়টাতে আপনি লেট হয়ে যাওয়া ঘড়ির সময়টা ঠিক করে নিতে পারতেন। পাশের ছাদে কাপড় শুকাতে দিতে আসা তরুণীকে দু’চোখ ভরে দেখে নিতে পারতেন। আপনার প্রেমিকার দেয়া প্রেমপত্রটি চতুর্থবারের মতো পড়ে নিতে পারতেন। আগামী নির্বাচনে বিএনপি না আওয়ামীলীগের সম্ভাবনা বেশি - এ নিয়ে সহকর্মীর সাথে গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠক সেরে নিতে পারতেন। পাশের বাড়ির মহিলার এক ডজন খুঁত বের করে নিতে পারবেন, বিকেলের আড্ডাতে আপনার বান্ধবীদের শুনানোর জন্য। রিশতা কেয়া কেহলাতা হে’র আগামীর পর্বে কি করতে ঘটতে পারে। এনিয়ে জল্পনা-কল্পনায় বিভোর হতে পারতেন। অথচ সময়টা কিনা বৃথাই কাটাতে হলো। বুকে হাত দিয়ে বলুন তো এখন কি আপনার মনে হচ্ছে না দূর ছাই! কী ছাই পাশ লিখেছে! মধ্যিখান দিয়ে আমার অনেকখানি সময় নষ্ট হয়ে গেল!...
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অপরূপের সাথে হলো দেখা

লিখেছেন রোকসানা লেইস, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৫



আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×