ফাগুন আসে প্রতি বছর আসে ঋতুরাজ বসন্তও
ঝড়েপরে বৃক্ষরাজিতে আসে নতুন পাতা
মুক্ত হয় বার্ধাক্যের শৃংখল হতে
সাজে নব সাজে যৌবনের রঙিন সাজ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলো সাজে রাঙা কপোত কপোতীতে
প্রাণ ফিরে পায় নিস্প্রাণ প্রান্তরগুলো নবজ্যোতির উদয়ে
লাল গোলাপী পাড়ের জমকালো শাড়ী
কপালে লাল টুক টুকে টিপ
গালে নানা পংক্তি মালা একেসুবাস ছড়ায়,
নটবরের হাতে হাত রেখে ভাস্করের বুকে মাথা রেখে
বিধাতার পর যে ভাস্কর তাকে সাজাবে সুন্দর সুনিপনভাবে,
পরম মমতায়।
কোকিল ডাকে, ভরে ওঠে তার কলতানে সকলের হৃদয় মন
স্বপ্ন দেখে অষ্টাদশী কত কথা সাজিয়ে রেখেছে ডালি ভরে
খইয়ের মত ফুটবে ফুল সজ্জার কোন ক্ষনে
প্রতিবন্ধীরাও আসে
তবে সাজে না নব সাজে, সাজ যে বড় বেমানান
`দুধের স্বাদ যদি ঘোলে মেটে`
খারাপ কি? নাইবা হলো প্রেম বিধাতা তো সৃজিয়াছে
খেলুক...তৃপ্তি তো খানিকটা দরকার।
এ আর নতুন কি
আমরা রমণীকুল তো পৃথিবীতে বারবার আসি সাজাতে
নব সাজে সাজবে ধরনী ঝংকার উঠবে তার পদতলে
আন্দোলিত হবে সে, পুরুষও তৃপ্তি নেয়
বাহ...
তবে হা জানি থেমে যাবে একদিন এই নব সাজ
বধুরা এলিয়ে পড়বেনা বরের কাধে
তবে এলিয়ে যাবে সবি গলাকাটা নাবালিগার ন্যায়
শুনতে পাওনি বুঝি? আমারও যে ঘন্টা বেজে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে
অকালে যাবে বুঝি ঝড়ে আমার এই দেহ মন লালিত নির্ঘুম স্বপ্ন
কে নেবে ঝড়ায়ে বুকে কে দেবে দেহ মনের দাম
কি নাই এ হৃদয়ে হারায়েছি বুঝি ভালোবাসা সব
আহারে শূণ্য হৃদয়... কেন তুই বেঁচে ছিলি এতকাল?
কেন আজ ভেসে ওঠে স্মৃতি কেন আজ মনে পরে সে কথা....
তুমি না বলেছিলে
যদি হাটতে গিয়ে হোচট খাই প্রকাশ্য দিবালোকে ঘোলাটে দেখি
টান লেগে নড়ে ওঠে যদি হৃদয়ের বন্ধন চোখে না আসে ঘুম
যেন দুহাত বাড়িয়ে ডাকি তোমায়
আজ যে আমার হৃদয়ে টান পড়েছে
সারারাত ভেসে ওঠ তুমি স্বপ্নের গভীরে
পুলকিত হয় এই মন...
আজ ডাকছি তোমায়
আজ শূণ্য হৃদয়ে দুহাত বাড়িয়ে অবারিত ডাকছি ...