somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রক ক্যাডেট : গারদখানার আমলনামা-১ (ক্যাডেট কলেজের জীবন নিয়ে মজা করে লেখা একটি প্রামাণ্য উপন্যাস)

১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রক ক্যাডেট : গারদখানার আমলনামা

দুই ঘাড়ের উপর বসে মোনকার-নাকীর এমন জোরে ঝাকাঝাকি শুরু করল যে রিজভীর ঘুম ভেঙে গেল। রাত তিনটার সময় ঘুম ঘুম চোখ মেলে- মশারির ফুটো দিয়ে ঘরের অন্ধকার দেখল সে কিছুক্ষণ। বারান্দায় আলো জ্বলছিল। আর এদিকে বিছানার পাশের জানালা দিয়ে বাইরের ফ্লাড-লাইটের আলোকে কিছুটা হলেও ঢেকে দিয়েছে আড়াই তলার সমান উচু যুবতী জামরুল গাছ।

প্রসাব করতে বাইরে যাওয়াটা কি ঠিক হবে এখন! সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সময় লাগছে। দরজা খুলেই হয়তো দেখা যাবে কড়িডোরের মাথায় আজরাইল সদ্শৃ কোন বড় ভাই দাড়িয়ে আছে । কিংবা টয়লেটের দিকে কয়েক পা এগিয়ে যাওয়ার পর হয়তো হঠ্যাৎ করে পেছন থেকে এক জান্তব হুংকার আসবে- হোল্ড অন!!

তাহলেই হয়েছে । প্রসাব করে যে আরাম পাওয়া যেত তার চেয়ে কয়েক হাজার গুন বেশী যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে বাকিটা রাতভর অথবা কালকের সারাটা দিন। রাস্তার পাশের ওই চুনকাম করা শাপলা-বক আর পানির ফোয়ারার পাশে সাত-সকালে মুরগী হয়ে বসে থাকতে হবে । দুই পায়ের হাটুর নিচ দিয়ে হাত পেচিয়ে এনে কান ধরে- পাছাটা উচু করে আর মাথাটা নিচু করে- মুরগীর মতো হয়ে থাকতে হবে। নাহ ! শান্ত সকালে এই জঘন্য শাস্তির কথা আর ভাবতে পারল না রিজভী।

নির্জন রাতের মাত্র ছয় ঘন্টা নিজের জন্য পাওয়া যায় এখানে। একান্ত নিজের এই সময়ে বড় ভাইদের অশরীরি অস্তিত্ব কোনভাবেই মেনে নিতে পারলনা সে। তড়াক করে বিছানা থেকে উঠে জানালার গ্রীলের সাথে গা ঘেষে দাড়িয়ে গেল রিজভী। জামরুল গাছের পাতা ভিজিয়ে ভিজিয়ে চোখ বন্ধ করে দুই তলার জানালা দিয়ে হিস্যু করতে শুরু করল মনের সুখে।

নিচতলার রুমের কোন রসিক বাসিন্দা চিতকার করে উঠল একটু পরেই- 'কোন বাইনচুদ মোতে রে ।' থতমত খেয়ে গেল রিজভী। মেজাজটা একটু খিটে গেল। একগাল নিঃশব্দ হাসি দিয়ে অর্ধ-প্রসাবের বাকিটুকুও ছেড়ে দিল সে ভয়ে ভয়ে। তারপর লকার খুলে চকলেটের কৌটা থেকে একটা চকলেট মুখে পুরে দিয়ে সাদা বিছানায় শুয়ে পড়ল সুখ সুখ মনে।

রাতের অন্ধকার আর টিউব লাইটের আলোয় যে সাদাভ-আঁধার হয় সেখানে চোখ মেলে রাখলেও জীবনকে স্বপ্নছায়ায় মতো মনে হয় । কখনো তীব্র-আশার তীক্ষ-আলো আবার কখনো অন্ধকার-ভেজা ছলাত ছলাত। ভেজা মন ফিরে যায় নানার বাড়িতে গিয়ে দৌড়ঝাপে- বর্ষা কিংবা রৌদ্রে পুকুরের ঝাপাঝাপিতে। অদূর সামনেই শোনা যায় মুখরিত করতালির কলতান আর সফলতার কী অভিজাত সংবর্ধণা। স্বপ্ন ভেঁজা চোখের তীব্র দীপ্ততায় এসবই হয় তখন টিকে থাকার অনুপ্রেরণা।

স্বপ্নমায়ায় তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছিল রিজভী। কোন গভীর স্রোতটানের তলদেশ থেকে জোড় করে তুলে আনল তাকে একটি বিদ্রুপ মাখা কন্ঠস্বর।
-কি রে !
পাশের বিছানা থেকে মাথাটা রিজভীর দিকে এগিয়ে দিয়ে শরীফ তার সব রস কন্ঠে মেখে বলে উঠল- কি রে ! তুইও জানালা দিয়ে মেরে দিলি !

রিজভীর মনটাই খারাপ হয়ে গেল। বন্ধুদের মধ্যে টোটকা-মোটকা নেতা হিসেবে খাতির পায় বলে একটু ভাব নিয়েই চলত সে। কিন্তু জানালা দিয়ে প্রসাব করার ব্যাপারটা এরা জেনে গেলে প্রেস্টিজ আর থাকে কই! কোন উত্তর না পেয়ে শরীফ আবার বলল, কাল তো নিচতলা থেকে বিচার দেবে ওরা । নিচে থেকে তো চ্যাচাল শুনলাম।

হুম- বলেই দাঁত চিবোতে লাগল রিজভী।

তিনতলা থেকে যখন উপরওয়ালারা রাত দুপুরে বিষ্টি নামায় তখন কি হয় ! আর আমরা করলেই দোষ ! নিচতলার ওরাও তো এই কাজই করে। আমরা করি জামরুল গাছের পাতায় আর ওরা করে জামরুল গাছের গোড়ায় । গাছের জন্য ওদের কাজটাই বেশী ক্ষতিকর। বুঝলি।

অবাক হয়ে রিজভীর কথা শুনে যাচ্ছে শরীফ। আসলেই তো এভাবে চিন্তা করে নাই সে কখনো। এজন্যেই রিজভীকে মাঝে মাঝে জিনিয়াস মনে হয় শরীফের।

শোন। এখনো শেষ হয় নাই কথা। বিষ্টি হলে কি ওরা থামাতে পারে ! পারে না। তখনো তো শব্দ হয়। তখন ওরা ঘুমায় ক্যামনে ! অযথা এগলা নিয়া চিন্তা করে লাভ নাই। তুই ঘুমা- বলেই শরীফের দিকে তাকালো রিজভী।

অন্ধকার-আলোতে শরীফকে দেখে খুব খুশি খুশি মনে হল। ধীরে ধীরে মশারী ছেড়ে বের হয়ে আসল শরীফ। বিছানা থেকে উঠে গিয়ে দাড়ালো জানালা ঘেষে। পিছনে ঘাড় ফিরিয়ে দেখল একবার। নাহ রিজভী তাকাচ্ছে না আর। এবার বাইরে তাকিয়ে ওজন কমালো শরীফ মনের সুখে।


রক ক্যাডেট : গারদখানার আমলনামা

ক্যাডেট কলেজের এই নির্মম বন্দীশালায় কেউ কারো বন্ধু নয়। নিজেকেও বিশ্বাস করা যায় না মাঝে মাঝে। বিশেষ করে জুনিয়র সময়টাতে। সময় বাড়ার সাথে সাথে কিছু অন্তরঙ্গতা বাড়ে। ঘটনায় ঘটনায় কিছু সম্পর্ক ঝুলে যায় একই সূতোয় বারবার।

রাত এগারটার পরের নিষিদ্ধ রাতে বারান্দার অন্ধকারে হেটে হেটে বিষাদ বিলাস কথন কিংবা রুমে শুয়ে শুয়ে রাত্রির শেষ যাম পর্যন্ত নষ্টালজিয়া ভাগাভাগি করা সম্পর্কগুলো সব কিছুকে ছাপিয়ে আজীবন বদ্ধনে জড়িয়ে যায় কখনো কখনো।

রাত এগারোটার সময় ক্যাডেট কলেজ আইন অনুসারে সব ক্যাডেটের রুমের আলো নেভাতে হয়। এ নিয়মের সামান্য ত্রুটি হলে পরের দিন শাস্তি হিসেবে হয়ে যেতে পারে একটা একস্ট্রা ড্রিল।

শেষ দুপুরের পড়ন্ত রোদে বাধ্যতামূলক একঘন্টা খেলার সময়ে সেদিন আর খেলাই হয়ে ওঠে না। বুট, আর্মি বেল্ট, ক্যাপ আর খাকি ইউনিফর্ম পড়ে দেখা করতে হয় আর্মির স্টাফদের সাথে। তারপর ষ্টোররুম থেকে এনে- আধামণ ওজনের একটা বালুর বস্তা চাপাতে হয় পিঠের উপর। কিছুক্ষণ গাধার মত দৌড়াতে হয়। তারপর বাস্কেটবল গ্রাউন্ডের পাশে আলাদা একটা সরু মাঠে শুরু হয় শারীরিক শাস্তি।

কখনো কখনো বালুর ব্যাগ পিঠ থেকে নামিয়ে সিমেন্ট-রডের তৈরী সেল তুলে দেয়া হয় ঘাড়ের উপর। তারপর হাটু দিয়ে হাটতে হয় অমসৃণ পিচঢালা রাস্তায় অথবা বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে। কখনো কখনো উপুর হয়ে শুয়ে হাতের কনুই এর উপর ভর করে পঞ্চাশ কিংবা এক’শ মিটার রাস্তা ক্রলিং করে করে এসে মাথা নিচে আর পা উপরে দিয়ে লং আপ হয়ে থাকতে হয়- দুম করে মাটিতে পড়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত।

আবার কখনো ড্রেনের নোংরা পানি অথবা বালুতে মাখামাখি হয়ে চামড়া ফাটানো শব্দে শরীরের উপর পড়ে- শপাং শপাং, চাবুকের মত লাগে দেবদারু গাছের সরু ডালের আঘাত। একঘন্টা সময় ধরে শাস্তি হিসেবে এমন একটা ‘একস্ট্রা ড্রিল’ সহ্য করে অনেকেই বমি করে দেয়। অথবা প্রচন্ডভাবে ঘেমে মাথা ঘুরে পড়ে যায় ঠাস করে। তারপর তাকে বন্ধুরা নিয়ে যায় হাসপাতালে অথবা বাথরুমের শাওয়ারের নিচে।

আর্মির স্টাফদের কাছে নিচতলার শফিউর বিচার না দিলে লঘু পাপে এমন কড়া শাস্তি ওদের হতো না কখনো। জানালা দিয়ে প্রসাব করার অপরাধে রিজভী আর শরীফ টানা তিনদিন এক্সট্রা ড্রিল ভোগ করে একদম চুপ হয়ে গেছে। একেবারে একদম চুপ। টু শব্দটিও বের হয়না আর মুখ থেকে। শরীরের প্রত্যেকটা বাঁকে বাঁকে ব্যাথা। একবিন্দু নড়াচড়া বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে অসহ্য যন্ত্রণাকাতর সময়গুলো।


রক ক্যাডেট : গারদখানার আমলনামা

শুক্রবার সকালটা আর নষ্ট করতে চাইল না শরীফ। রিজভীর দিকে তাকিয়ে বলল- চল দুপুর পর্যন্ত বাস্কেটবল খেলে আসি। আশেপাশের রুমের বাসিন্দারাও খেলতে যেতে চাইছে। সাদা হাফ প্যান্ট-শাট আর কেডস পড়ে সাদায় সাদায় সাদাবাবু সেজে রুম থেকে উঁকি-ঝুঁকি দিচ্ছে। অনেকেই বলছে- চল কিছুক্ষণ খেলে আসি। তাহলে শরীরের ব্যাথাটা নড়ে যাবে। চুপচাপ শুয়ে থাকলে ব্যাথা বাড়তেই থাকবে।

সবাই একসাথে খেলতে যাবার জন্য রেডি হয়ে বারান্দায় বেরোতেই দেখল- চোখের সামনে মূর্তিমান আতঙ্ক মিষ্টার মোস্তাফিজুর রহমান। ছেলেরা তাকে মাস্তান, মোস্তান, মালু এসব বিভিন্ন নামে ডেকে থাকে আড়ালে আবডালে।

সবাইকে একসাথে দেখেই চিতকার করে উঠল মালু স্যার। সবাই রুমে রুমে চলে যা। কেউ খেলতে যাবি না। টেবিল চেয়ারে গিয়ে পড়তে বস। রুমের বাইরে কাউকে দেখলে চামড়া তুলে নেব সবগুলার। ব্যাস আর কি লাগে! মালু স্যারের চেহারাটাও মধ্যবয়স্ক বাঘের মতোই অভিজাত আর ভয়ংকর। হুংকার শেষ হবার আগেই ডানে-বামে ধাক্কা খেয়ে ধুম-ধাম, বুম-বাম, দুম-দাম করে বিচ্ছুর দল ঢুকে গেল নিজ নিজ রুমে।

কয়েক সেকেন্ড পরেই দরজা দিয়ে উঁকি দিয়ে মাথা বের করল সবাই। বারান্দায় দাড়িয়ে ইটভাটার মতো লাল আগুন চোখে মালু স্যার তাকিয়ে আছে সবার দিকে।

এক সেকেন্ড মাত্র সময়। সবাই সবার চোখের ভাষা পড়ে নিল শুধু। তারপর হুড়মুড় করে একসাথে সবগুলো রুম থেকে বের হয়ে মালু স্যারের সামনে দিয়েই হৈ হৈ করতে করতে এক ছুট দিল ছেলেরা। একেবারে ভোঁদৌড়। এক দৌড়ে মাঠ। খেলতে আসার আনন্দটা দ্বিগুণ হয়ে গেল। অনেকে আবার খেলা বাদ দিয়ে ছায়ায় বসে বাতাসে শিষ কেটে কেটে দুষ্টামি শুরু করল।


রক ক্যাডেট : গারদখানার আমলনামা

ইংরেজী বিভাগের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান স্যার। তিতুমীর হাউসের হাউস মাষ্টার। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর মতো ক্যাডেট কলেজের হলগুলোকে বলে হাউস। সেরকম তিনটি হাউসের একটি হলো তিতুমীর হাউস। আর সেই হাউসের সর্বময় কর্তা হলেন মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে মালু স্যার। ইংরেজীতে অভিজাতরকম দক্ষতার কারণে কলেজের বড় বড় যমদূতরাও বদ মেজাজী মালু স্যারকে সামলে চলেন সবসময়। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত প্রভোষ্টদের চাইতেও অনেক বেশী দাপট থাকে ক্যাডেট কলেজের হাউজ মাস্টারদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর প্রভোষ্ট, ক্যাডেট কলেজের হাউজ মাস্টার, আর ছেলে বা মেয়েদের থাকার জন্য বিভিন্ন ইশকুল-কলেজের আবাসিক হোষ্টেলের সুপারভাইজার একই জিনিস।

একবার রেগে গেলে ইংরেজীতে খিস্তি মেরে লঙকাকান্ড বাঁধিয়ে দিতে বেশী সময় লাগে না তার। আর কোন ক্যাডেটকে সুযোগমতো পেলে তো কথাই নেই। বুকে-মুখে কোথাও বেত চালাতে দ্বিধা করে না বিন্দুমাত্র। এই অর্ধপাগল মালু স্যার ক্লাস এইটের একদল পুচকে ছেলের কাছে এভাবে পরাজিত হয়ে- তীব্র রাগে গোঙ্গাতে গোঙ্গাতে চলে গেলেন অফিসের দিকে। আর অফিসের বেয়ারা গোমেদ আলীকে বলে গেলেন রাতের বেলা একডজন ভালো বেত রেডি রাখতে। ক্লাস এইটের ছেলেদেরকে দশটার সময় অফিসের সামনে কান ধরে নিল ডাউন হয়ে থাকার আদেশও দিয়ে গেলেন গোমেদ আলীর কাছে।

টানা দুই ঘন্টা কার্তিকের কড়া রোদে খেলা শেষে- মাঠ থেকে ক্লান্ত হয়ে ফিরে এলো সবাই। শরীরের ঘাঁম শুকানোর আগেই বেরসিক গোমেদ আলী সবাইকে জানিয়ে দিল মালু স্যারের ফরমান। আনন্দ, উত্তেজনা আর অসাধ্য সাধনের রেশ কাটেনি এখনো সবার। বন্দী জীবনে বুনো স্বাধীণতার স্বাদ নিয়ে এই ভয়ংকর খবরটাতেও মলিন হলো না কেউ। ধমক দিয়ে বিদায় করে দিল বেয়ারাকে। তারপর হাসাহাসি আর গড়াগড়ি দিতে লাগল সবাই।

রাত দশটার একটু আগে থেকেই শার্ট-প্যান্ট-টাই পড়ে ঘুরতে থাকল সবাই সবার রুমে। অনেকে আবার জুতোটাও পলিশ করে নিল ভালো করে। প্রথম শেণীর চাকুরীজীবীদের মতো করে স্যুটেড-বুটেড হয়ে দশটায় চলে গেল সবাই মালু স্যারের অফিসের সামনে। আড় চোখে শেষবার একে ওকে দেখে নিয়ে চোরা হাসি চাপিয়ে মুখটা গম্ভীর করে কান ধরে হাটুর উপর বসে গেল সবাই।

পিছনে বিশাল বাগান। হেমন্তের আলতো বাতাস আর ফুলের সুবাস কোনটাই কোন আমেজ আনতে পারছে না শরীফের মনে। অন্যদিন হলে শরীফ হয়তো তুলিকে ভেবে ভেবে বুকভরে রজনীগন্ধার সুবাস নিয়ে নিত মনের সুখে। অথবা নিচে গিয়ে পপি ফুলের সবুজ কলিতে জোড়ে ফু দিয়ে ফুটিয়ে দিত কয়েকটি লালচে পপি। এখন মনে কোন প্রেম নেই, কোন বিষাদ বিলাস নেই। অজানা আতঙ্ক অপেক্ষা করছে সামনে।

..................................(২য় পর্ব নিচের লিংকে, জাষ্ট ক্লিক টু সি )
|রক ক্যাডেট : গারদখানার আমলনামা-২
Click This Link


-Aleem Haider,
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:১১
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×