কথিত ৮০ ভাগ মুসলমানের দেশে নারী নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়াটা প্রতিটি মুসলমানের জন্যে লজ্জাজনক। কারন ইসলাম ধর্মে আল্লাহ তায়ালার পর যাকে সর্বোচ্চ প্রধান্য দেয়া হয় তিনি মা অর্থাৎ নারী। আর প্রতিটি পুরুষকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তার পরিবারের পাশাপাশি অন্য সব এমন কি বিধর্মী ও যুদ্ধের শত্রু পক্ষের নারীর রক্ষকের (দারোয়ান/বডিগার্ড/প্রহরী)। কিন্তু আমাদের এই মুসলিম দেশের পুরুষেরা রক্ষক না হয়ে ভক্ষক বনে গেছেন। পদে পদে অধিকার বঞ্চিত হচ্ছেন আমাদের মা বোনেরা। গত কয়েক দশকে প্রচেষ্টায় তারা আজ ভোগ্য পন্য। আজ তাদের সামাজিক মর্যাদাহীন ও নিরাপত্তা সঙ্কায় দিন কাটায়। স্কুল, কলেজ, রাস্তাঘাট, কর্মস্থল কোথাও নিরাপত্তা নেই। আজকের বাংলাদেশের বাস্তবতা দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত যৌন নির্যাতনের স্বীকার হয়। যেকোন মুসলমানের জন্যে এটি লজ্জাজনক কারন আমরা আমাদের মা বোনদের নিরাপত্তা দিতে ব্যার্থ হচ্ছি।
ঘর থেকে বেরুনোর পর জীবনের শুরুটা হয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম শুনতেই আৎকে উঠার মত কিছু নাম পরিমল জয়ধর, তারক চন্দ্র মন্ডল , হেলাল উদ্দিন পান্না , বাসুদেব কুমার রায়। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে এরা বোনদের জন্যে যৌন কারাগারে পরিনত করেছে। ব্লগার অনলাইন এক্টিভিস্টদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা সরকার এদের গ্রেফতার করতে বাধ্য হলেও বিচার হয় নি একটা কুলাঙ্গার নরপশুরও। এদের মধ্যে সবচেয়ে পুরানা পাপী পরিমল জয়ধরের জুলাই ২০১১তে গ্রেফতার হয়। ১৭ জুলাই ২০১১ প্রথম আলো প্রথম আলোর রিপো্র্ট অনুযায়ী পরিমল তার দোষ স্বীকার করেছে। (দুই বছরে পরিমল জয়ধরের মামলার অগ্রগতি এই।) গ্রেফতারের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও ঐ মামলা অগ্রগতি প্রাথমিক পর্যায়েই আছে। এই তালিরার সবশেষ এডিশন বাসুদেব কুমার রায় গ্রেফতারের একদিন পরই জামিনে মুক্তি পান। নারী ক্ষমতায়ন বা নারী স্বাধীনতার সর্ব প্রথম ধাপ শিক্ষা আর বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থার মাধ্যমিক ধাপের অবস্থা এটি। শিক্ষা যেন আজ সম্ভ্রমের সাথে মিনিময় হচ্ছে।
মাধ্যমিক পেরিয়ে কলেজে আসা পর পরিমলদের সাথে যোগদেয় ছাত্রলীগ। সম্প্রতিক বছরগুলিতে ছাত্রলীগের যৌন লালসা ও পর্ন ব্যাবসা স্বীকার হাজারো শিক্ষার্থী। কখনো বান্ধবী সাথে নগ্ন ছবি তুলে মোবাইলে ছড়িয়ে দেয়া। কখনো ছাত্রী হলে গিয়ে ধর্ষন চেষ্টা। সব ছাপিয়ে আতংকিত করে তুলে ১৩ মার্চ ২০১০ ইডেন কলেজ ছাত্র লীগ নিঝুম-তানিয়া গ্রুপ ও হ্যাপী-শর্মী গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে জুনিয়র ছাত্রীদের দিয়ে দেহ ব্যাবসা করানো অভি্যোগ তুলে। নিজবাসায়, রাস্তা, ছাত্রাবাস, ক্যাম্পাস সবখানেই ছাত্রলীগের গুন্ডাদের ভয়ে তটস্থ থাকতে হয়েছে।
সবমিলিয়ে বলা যায় সময়টা ক্যাম্পাসে ভাল যাচ্ছে না ছাত্রীদের জন্যে মোটেও নিরাপদ ছিল না। হাজারো বাধা বিপত্তি পেড়িয়ে যে কজন ভুক্তভোগী বিচারকের দরজায় পৌছেছেন তাদের অনেকেই বিচার পান নি। অনেকে বছরের পর বছর আদালতে হাজিরা দিয়ে ক্ষান্ত হয়েছেন। অর্থাৎ নারী স্বাধীনতা বা নারী ক্ষমতায়নের প্রথম ধাপ অতীতের যেকোন সময়ের চাইতে সংকীর্ন হয়েছে। রুদ্ধ হয়েছে নারী অগ্রযাত্রা।
কখনো প্রতিপক্ষকে ব্ল্যাকমেইল করতে
ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সাথে প্রায়ই যোগ দিয়েছে পুলিশও। ছবিটি বর্ধিত ফি বাতিলের দাবী আন্দোলনরত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের। আন্দলনে ছাত্র-ছাত্রী উভয়ই থাকলেও পুলিশি বর্বরতার টার্গেট ছিল সেদিন শুধুই ছাত্রীরা। পুলিশের লাঠি টিয়ার সেল সবই যেন সেদিন ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে ছুড়া হয়েছিল।
যুবলীগই বা পিছিয়ে থাকবে কেন? কলেজ ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষন, ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায়। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়া।
সময়টা ভালো যায় নি গৃহ পরিচারিকাদেরও। খাবারহীন ঘরে তালা বদ্ধ করে সপ্তাহের জন্যে গৃহ কর্তাদের বেড়াতে যাবার খবর পত্রিকায় এসেছে, কখনো যৌন নির্যাতন, শারিরিক নির্য়াতনের খবর এসেছে। তবে গত বিশ জানুয়ারী টিভি নিউজ দেখে শিহরিত হয়ে উঠলাম মনে হল সংবাদ পাঠিকা বর্বর নির্যাতনের বিভিন্ন তরিকা পাঠ নিচ্ছেন! ঘটনার খলনায়ক কাপাসিয়ার (গাজীপুর) এমপি সিমি হোসেন রিমির এপিএস কাজল মোল্লা। বর্বর নির্যাতনের বর্ননা শুনুন নির্যাতিতার মুখেই
নারী ক্ষমতায়ন ও নারী অধিকার নিশ্চিত করতে হলে প্রথমে নারীর অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা নিশ্চিত করতে হবে। এদিক থেকে দেশ ও নারী উভয়ের জন্যে আশা জাগনিয়া ছিল গার্মেন্টস সেক্টর। ৭০-৭৫ শতাংশ কর্মজীবি নারী যে সেক্টরে কর্মরত সে খাতটি আজ দ্রুত পতনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। নিম্ন মজুরী, অস্বাস্থকর ও যুকিপুর্ন কাজের পরিবেশ নিয়ে নিয়মিতই আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে। গত একবছরে উদ্ভব হয়েছে রহস্যময় আগুন। গার্মেন্টস ফেক্টরীতে আগুন এখন একটা নিয়মিত ঘটনা। এসব ঘটনায় অগ্নদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এসব ঘটনার কারন উদঘাটনে হয়নি কোন তদন্ত ফলে রহস্যজনকই থেকেছে এসব আগুনের কারন। উচ্চদ্রব্য মুল্য আর বাড়ী ভাড়ার যোগান দিতে গিয়ে হিসিম খায় শ্রমিকরা। একারনেই বারবার মজুরি বৃদ্ধির জন্যে আন্দোলনে নামে শ্রমিকরা। কি খায় গার্মেন্টস শ্রমিকরা।
এসব আন্দোলনে পুলিশের লাঠিপেটা খেলেও মজুরী বাড়ে নি। সমাজের নিম্ন শ্রেনীর হওয়ায় এদের শারীরিক ও যৌন হয়রানীর খবর মিডিয়ায় আসেনা বলেই আমার ধারন। অন্যথায় ধারে নিতে হবে ওখানে ও ধরনের লাঞ্চনার শিকার হয় না কোন নারী। ভালইতো.....
পশ্চিমা বিশ্বের যেকোন দেশের চাইতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রকৃয়ায় নারীর অংশ গ্রহন ও সাফল্য বেশী। ২০০৯ এ অসাম্প্রদায়ীক নারী ক্ষমতায়ন বান্ধব সরকার ক্ষমতায় আসে। তারপর এই সাড়ে চার বছর সম্ভবত এই সময়টা নারী রাজনীতিকদের জন্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট কেটেছে। বিএনপি বা তেল-জ্বালানী রক্ষা কমিটি বা জামাত যে কোন সংগঠনেরই হউক না কেন? রক্ষা পায় নি গার্মেন্টস শ্রমিক নেত্রী মোশারেফা মিশু (বিএনপি সরকারের সময়ে গার্মেন্টস অস্থিতিশীল করতে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করে মিশু)।
হাজারো নির্যাতনের ঘটনার মাঝে রেহানা আক্তার ডলীর উপর নির্যাতনের ঘটনা ছিল ন্যাক্কারজনক বর্বর। ২৮ এপ্রিল গ্রেফতারের পর পিটিয়ে থেতলে দেয়া হয়ে ছিল তার পুরো শরীর। ৩০ এপ্রিল ২০১২ চলাচলে অক্ষম ডলীকে চ্যাংদোলা করে দুই মহিলা কনস্টেবল আদালতে হাজির করে দুইদিনের রিমান্ডের জন্যে। মানবাধিকার সংস্থা অধিকার অনুসন্ধানী রিপুর্টে বলা হয় ডিবি পুলিশ তাকে উলঙ্গ করে পেটাতে চেয়েছিল। এ ছাড়া বিএনপির সংরক্ষিত মহিলা আসনের এম্পি সাম্মি আকতারকে চলতি গাড়ী থেকে ফেলে দেয়া হয়। বিএনপির কর্মসূচীতে অংশ নেয়া নেত্রী কর্মীদের শারীরিক লাঞ্চিত করার ঘটনা ছিল নিয়মিত। টেলিভিশন নিউজে এসবের ভিডিও দেখে মনে হয়েছে নারী কর্মীদের লাঞ্চিত করা পুলিশের প্রধান দায়ীত্ব।এখানে যান
নারী স্বাধীনতা, নারী ক্ষমতায়ন সবই বৃথা মনে হয় যখন নারী রাস্তায় নামে। এই বাংলার প্রতিটি রাস্তাই যেন নরকে গিয়ে ঠেকেছে। রাস্তা ঘাটে বখাটেদের উতৎপাত যেকোন সময়ের চাইতে বেশী এবং ভয়ংকর। রোমিও নেতা পাতিনেতাদের সাথে কোথাও কোথাও পুলিশও জড়িয়েছে। দিন দুপুরে ইভটিজিং, অপহরন, সম্ভমহানীর ঘটনা ঘটছে অহরহ। অপহৃতদে অনেকেই খোজ মিলে না। বিপরীতে বাড়ে বেওয়ারিশ লাশের সংখ্যা ।যাদের অনেককেই খুন করা হয়েছে ধর্ষনের পর। বখাটেদের দৌরাত্ব এতটাই বেড়েছে যে তারা এখন ফিল্মি স্টাইলে কাজ চালায়। বেশ কিছুদিন আগের ঘটনা যেখানে স্বামীর সাথে বের হন চাদনী খতুন বের হন আত্মীয়ের সাথে দেখা করতে। বাস খালী হওয়ায় বাসের কর্মচারীরা ঝাপিয়ে পড়ে চাদনীর উপর আর আত্মরক্ষা করতে বাস থেকে লাফিয়ে পড়ে নিহত হয়। এমন ঘটনা একটি নয়
আদালত চত্তরেই কিশোরীকে যৌন হয়রানী করল পুলিশ। নির্যাতিতাকে সহায়তায় সংবাদিকরা এগিয়ে আসলে তাদের লাঠিপেটা করে পুলিশ।
বিগত তিন বছরের পরিশংখ্যান অনু্যায়ী যৌতুকের কারনে নির্যাতন প্রতি বছর আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে।
দেশের নারী সমাজের অবমুল্যায়ন পিছিয়ে পড়ার জন্যে মিডিয়া হোল্ডার বুদ্ধিজীবি ও নারীবাদীরা সবসময়ই ইসলামিস্টদের দায়ী করেন। বিভিন্ন প্রগতিশীল নারীবাদী সংস্থা ফতুয়ায় নির্যাতিতাদের পরিসংখান আলাদা ভাবে কোট করে প্রকাশ করা হয়। অথচ পুরো বছর মিলিয়ে সে সংখা দাড়ায় ১০-১৫ জন। অথচ মোট নারী নির্যাতনের ৬০-৬৫ % নিপীরকের সংঘঠন ছাত্রলীগ কর্তৃক নির্যাতনের ঘটনার কোন হিসেব রাখা হয় না।
নারী স্বাধীনতা ও ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী একমাত্র রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ (বেশীর ভাগ নারীবাদী সংস্থা তাই মনে করে) সেই আওয়ামী লীগ গত সাড়ে চার বছর রাস্ট্র পরিচালনা করেছে। নারী ক্ষমতায়ন, নারী কর্মসংস্থান, নিরাপত্তা, যাতায়াত, সামাজিক মর্যাদা, যৌন নিপীরন ইত্যাদি মানদন্ডে কেমন ছিল এ সময়টা? সংসদ উপনেতাসহ সরকারের শীর্ষ চার মন্ত্রী (প্রধান, সরাস্ট্র, পররাস্ট্র, কৃষি) সম্ভলিত এই সরকারের কাছে নারী সমাজের চাহিদা খুব বেশী ছিল। তাই এখানে পজিটিভ চাহিদার বিপরীতে সমানুপাতিক পতন হয়েছে।
*যেকোন সমস্যা সমাধানের জন্যে সমস্যার উপস্থিতিকে স্বীকার করতে হয়। অথচ দেশের বেশীর ভাগ নারীবাদী সংঘঠন দেশের মন্ত্রীদের মতই বলেন এগুলা বিচ্ছন্ন ঘটনা।
*প্রতিটা ভিকটিমের বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। (আইন মন্ত্র শফিক আহমেদের মতে নারী নির্যাতনের মামলা গুলার ৮০% ভুয়া হয়রানীমূলক)।
*সামাজিক অবক্ষয় রোধ করতে হবে।
*যৌতুক বন্ধ করতে হবে।
নারী নির্যাতন বন্ধ করতে হবে, বন্ধ হউক। প্রতিটি নিযাতিতা মা-বোনের বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।
(শেষ কথা অহেতু ইসলামিস্টদের দায়ী না করে প্রত্যেক অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনুন)
আলোচিত ব্লগ
সচীবদের সম্পর্কে এখন কিছুটা ধারণা পাচ্ছেন?
সামুর ব্লগারদের মাঝে ১ জন সচীব আছেন,(বর্তমানে কর্তব্যরত ) তিনি বর্তমানে লিখছেন; আধামৃত সামুতে তিনি বেশ পাঠক পচ্ছেন; উৎসাহের ব্যাপার! এরচেয়ে আরো উৎসাহের ব্যাপার যে, তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন
কোথাও ছিলো না কেউ ....
কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।
আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন
নারীবাদ, ইসলাম এবং আইয়ামে জাহেলিয়া: ঐতিহাসিক ও আধুনিক প্রেক্ষাপট
আইয়ামে জাহিলিয়াত (আরবি: جَاهِلِيَّة) একটি ইসলামিক ধারণা যা ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর আবির্ভাবের পূর্ববর্তী আরবের যুগকে বোঝায়। ঐতিহাসিকদের মতে, এই সময়কাল ৬ষ্ঠ থেকে ৭ম শতাব্দী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।... ...বাকিটুকু পড়ুন
#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়
আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। VF 3 Mini: মাত্র 60 মিনিটে 27 হাজার বুকিং!
আমার ব্যাক্তিগত গাড়ি নেই কিন্তু কর্মসূত্রে বেঞ্জ , ক্যাডিলাক ইত্যাদি ব্যাবহার করার সুযোগ পেয়েছি । তাতেই আমার সুখ । আজ এই গাড়িটির ছবি দেখেই ভাল লাগলো তাই... ...বাকিটুকু পড়ুন