বাংলাদেশে একটা সাধারণ ব্যাপার মেধাবীরা বিদেশ চলে যায়, হয়ত আর কখনই ফেরে না। অথবা ফিরতে দেয়া হয় না। কিন্তু প্রশ্ন হল, কেন এমন হয়? সবাই কি টাকা পয়সা আর মউজ-মাস্তি করতে যায়। একদমই না, সাধারণ ভাবে বলা যায়, বাংলাদেশের সবচেয়ে মেধাবীরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়; সেখানে তারা কি দেখে? আসলে তারা সেটা সরাসরি দেখে যা অন্যরা পত্রিকায় কিংবা টিভিতে দেখে।
আসলে সামনা-সামনি দেখলে যতটা অনুভব করা যায়, দূর থেকে দেখে তা যায় না। আসলে সিদ্ধান্ত তখনই নিয়ে নেয়, নীলক্ষেত থেকে GRE এর বই কিনে নিয়া আসে; তারপর যা হবার তাই। আসলে আপনি তাদের কাপুরুষ বলবেন? অপরাধী বলবেন? কোন যুক্তিতে, কেন? যেদিন তারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিল, মার খেয়েছিল সেদিন তো আপনি এগিয়ে আসেননি! আজ এতো বুলি কেন? সে কার কাছে বিচার চাইবে? চোরের কাছে চুরির বিচার?
তারপর সারাজীবন অনেক অর্জন করল, কিন্তু সে কী একটু ভালো কিছু আশা করতে পারে না? সে কী চাইতে পারে না যে দেশটাকে একটু ভালবাসবে। কিন্তু কী হয় তাকে এমন সব লোকের অধীনে কাজ করতে হবে সে হয়ত অকাল কূষ্মাণ্ড কোন কোটা প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পাওয়া। সেখানে তাকে দ্বারা খারাপ করতে বাধ্য করা হয়, সে কেন থাকবে?
তো মন্দের ভাল কোনটা?
আরেকটি অভিযোগ আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দেশে ফেরেন না। অবশ্যই ভাল কাজ নয়। কিন্তু দেশে এসে সে কী পায়? দলীয় ভিসি , প্রশাসন ; সে ভাল কিছু করতে পারে না। আর গবেষণা, ওরে বাবা! টাকা নাই, বাংলাদেশ গরীব দেশ........... নানা অজুহাত। সন্দেহ নাই, কিন্তু কোন সামরিক বাহিনী চাইলে টাকার তো অভাব হয় না!
কেঊ কি চাইবে নিজের দক্ষতা অকারণে নষ্ট হোক। তো তাকে একটু দেশকে ভালবাসার সুযোগ দিন। মালয়শিয়া আজ অনেক উন্নত, কারন তারা তাদের মেধাবীদের রাখতে পেরেছিল, শুধু তাই নয় অন্যদের ফিরিয়েও এনেছিল । শুনেছি মাহাতীর মোহাম্মদ এমনি বলেছিল যে “ তোমাদের আমি হয়ত কাড়ি কাড়ি দিতে পারব না, কিন্তু সম্মান দিব; দেশে ফিরে এসো” । তিনি সফল হয়েছিলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা আপনাদের কি এতটুকু সাহস কোন দিন হবে?
তাহলে কি আমরা হতাশ হব?
বিড়ালের গলায় ঘণ্টা কে বাঁধবে?
আসলে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা অনেক তো খেয়েছেন। এবার একটুকু চেষ্টা করে দেখুন।
দয়া করে অজুহাত দেখাবেন না, অতীতমুখি হবেন না।