somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সেলিম আনোয়ার
পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

প্রেমে মরা জলে ডুবে না।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পোস্ট ডক্টরেট-School of Medicine, Harvard University
Boston, Massachusetts

পি এইচ ডি-Gunma University, Japan
Maebashi-shi, Gunma, Japan
--মাইক্রোবায়োলজী-Dhaka University
Dhaka, Bangladesh
HSC-Dhaka College
SSC-Monipur High School

এই পৃথিবীতে এত ভালো মানুষ আছে কি না সন্দেহ।আমার প্রিয় মানুষ।আফজাল -ফরীদির বন্ধুত্ব আর আমার আর ওর বন্ধুত্ব সমান লেভেলের।একসঙ্গে খেলেছি পড়েছি সব কিছুই করেছি। বন্ধু আমার অসাধারণ। আমার চেয়ে ভালো ক্রিকেট আর ফুটবল খেলত।ও ছিলো হার্ড হিটার । ম্যাচ উইনিং প্লেয়ার।বোলার হিসেবে অনেক ভাল।এটা অবশ্যই পাড়ার লেভেলের। আমার সঙ্গে পড়ালেখায়ও প্রায় একই অবস্থা।আমি ওর চেয়ে টেলেন্টছিলাম। ও ভূগোলে আমার চেয়ে মার্ক বেশি পেত। পারলে আমার পড়া পড়ে দিয়ে ও আমাকে ফাস্ট বানিয়ে দিত। এই বন্ধু আর আমি পড়াশুনা শেয়ার করতাম। আমি বেশি ভালো করলেই ও বেশি খুশি। ওর আফসোস আমি পড়ালেখা খুব কম করি। আমি দাবায় ক্যারামবোর্ডে ব্যাডমিন্টনে ওকে অনায়াসে
হারিয়ে দিতাম। আমরা দুইজন একসঙ্গে ঘুরতাম। যদিও সুযোগ কম। চিড়িয়াখানায় যেতাম। স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে যেতাম।আমি আর ও চিড়িয়াখানায় গেলে পুরোদিন চিড়িয়াখানায় থাকতাম।বান্দরের বান্দরামী দেখতাম ঘন্টাব্যপী।

বন্ধুর জন্য আমার ত্যাগ

আমার বন্ধু নটরডেম এ পরীক্ষা দিতে পারে নি।তাই এডমিশন নেয়া হলনা। আমাদের স্কুল থেকে ৬৫ জনের মত চান্স পেলাম। তাতে কি ইউসুফের তো এডমিশন হলোনা। বিজ্ঞান কলেজে হয়েছে। আমি আবার চরম অহংকারী। ঢাকা কলেজ আর নটরডেম ছাড়া অন্য কলেজে পরীক্ষাই দেব না।ঢাকা কলেজে পরীক্ষা পরে হলো।দুইজনই টিকে গেলাম। বাবার, ফ্যামিলির সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নটরডেম থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ওখানেই ভর্তি হলাম।


ওর প্রতি আমার ক্ষোভ!

সে প্রেম করে বিয়ে করে ফেলেছে। আমাকে জানায় নি।তখন সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩য় বর্ষে পড়ে!! পরে আমাকে বলল দোস্ত তোকে বলতে ভয় পেয়েছি।অনেক ভয় পেয়েছি!! মনে আছে একদিন ছবি দেখিয়েছিলাম। মনে পড়ল সেই মাধুরী দীক্ষিত তাইনা্ ?আমাকে তার ছবি দেখানোর পর ঠিক মত তাকাইওনি! যাক মাধুরীর উপর একটু অভিমানই হলো।আমি প্রেম ট্রেমের কাছেও ঘেষতাম না।তাদের কোন বাসায় যায়গা হলো না।একটা বাসা নিল।ভাবী আমার কোন রান্নাই জানেনা।আমি বন্ধু আর ভাবী রান্না করি।মাহমুদ শরীফ সালেক এরাও তার এই সময়ের সহায়।নতুন উদ্যমে টিউশনি নিলাম। আমার বাসাকে জানানোর সাহস পাইনি।ওদের বিয়ের কথা।মা ওকে অনেক স্নেহ করতেন।ভাবীও বলত ও আর আমি নাকি দেখতে একইরকম।ওর বাসায় ছিলো আমার অবাধ যাতায়াত।ও তখন বাষায় অবাঞ্ছিত আমাকে ঠিকই আংকেল আন্টি খুব আদর করতেন।ওর কিন্তু বাসায় জায়গা হয়নি অনেক দিন! আমাকে আন্টি আদর করতেন ইউসুফের অনুপস্থিতিতে একটু বেশিই করতেন।হয়তো আমাকেই ইউসুফ ভেবে আদর করতেন। ছেলেকে কাছে পায় না তাই ওর বড় ভাই বিয়ে করে নাই তখনো!তিনি অতি মেধাবী।বের্ড স্ট্যান্ড করা।আর এক ভাই ছোট।আন্টির কোন মেয়ে নাই এই নিয়ে তার ব্যপক আফসোস।আঙ্কেল ছিলেন খেলার ভক্ত।ফুটবল এন্ড ক্রিকেট।
ভাবী পরে দারুন মজার রান্না শিখে যান।বন্ধুর পেটে সব খাবার হজম হতো না।বলতে গেলে ওর চেয়ে ওর শ্বশুরবাড়ী আমি বেশি খেয়েছি।রান্নার বিশাল আয়োজন হতো ও আমাকে ডাকতো ।এটাও বলতো আমি তো খেতে পারি না। আমার শ্বশুরবাড়ী তুই খা!
শুধু আমি ভালবাসা মোটেই ভালবাসিনা বিধায় ঘনিষ্ঠতম বন্ধু আমার বিয়ে করার ব্যাপারটা জানায়নি। ইস তখন বুঝি নাই প্রেম কত মূল্যবান।তাহলে বন্ধুর বিয়ে প্রেগ্রাম মিস হত না। ও আমার অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে। কত কষ্ট নিয়ে তা করেছে তা উপলব্ধি করে আমি অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম।

ছাত্র অবস্থায় বিয়ে করেও ও এখন একজন পোস্ট ডক ফেলো ইন হার্ভাড।
ওর গল্প করতে গেলে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা শেষ হয়ে যাবে। বন্ধু যেখানেই থাকিস ভালো থাকিস। একটাই কথা আছে বাংলাতে মুখ আর বুক বলে একসাথে সে হলো বন্ধু। সেই বন্ধু আমার হলেন ইউসুফ।প্রেমে মরা জলে ডুবে না।
--------------------------------------------
উৎসর্গ-অন্য প্রিয় বন্ধুরা শিপু ভাই,ঘুড্ডির পাইলট, গিয়াস লিটন ভাই, একজন আরমান,কান্ডারী অথর্ব,মাক্স,আরজুপনি,সায়েম মুন,অপূর্ণ,শরৎ,কেভি ইখতামিন ............সহ আর কে কে যে আমার বন্ধু দাবী করেন:D মাহমুদুল হাসান কায়রো,*কুনোব্যাঙ*বোকামন,মেহেদী হাসান মানিক,,,অনীনদিতা ,রহস্যময়ী কন্যা,স্নিগ্ধ শোভন
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬
২২টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রোড জ্যাম ইন ভিয়েতনাম

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭



আমার ধারনা ছিল জটিল জ্যাম শুধু বাংলাদেশেই লাগে । কিন্তু আমার ধারনা ভুল ছিল । ভিয়েতনামে এরকম জটিলতর জ্যাম নিত্য দিনের ঘটনা । ছবিটি খেয়াল করলে দেখবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×