বিএনপি নেতা ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার গোপীবাগের বাড়িতে ত্ল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।
Published : 08 May 2013, 05:38 PM
বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে একদল পুলিশ ওই বাড়িতে যায়, ১২টা পর্যন্ত তারা তল্লাশি চালিয়ে ফিরে যায় বলে ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতা মনির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
কী কারণে ওই তল্লাশি সে বিষয়ে পুলিশের কেউ মুখ খোলেননি। খোকাও ওই বাড়িতে ছিলেন না।
ওয়ারি থানার ওসি তপন চন্দ্র দাসের কাছে অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাড়ে ১১টার দিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। আমরা তাদের সহযোগিতা করছি মাত্র। এর বেশি কিছু জানি না।”
গোয়েন্দা পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাতে সাড়া পাওয়া যায়নি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমানকে টেলিফোন করা হলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি বিষয়টি জেনে তারপর জানাচ্ছেন।
কিন্তু এর এক ঘণ্টার মধ্যে তাকে অনেকবার কল করা হলেও তিনি তা ধরেননি।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ এবং যুগ্ম কমিশনার (পুলিশ কমিশনারের মুখপাত্র) মনিরুল ইসলামকে ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
বিএনপির সহসভাপতি ও ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক খোকাকে গত ১১ মার্চ দলীয় কার্যালয় থেকে আটক করেছিলো পুলিশ।
পরদিন তাকেসহ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে ছেড়ে দেয়া হয়।
গত কিছুদিন ধরে বিভিন্ন বক্তব্যে সরকারের কড়া সমালোচনা করে আসছিলেন খোকা। হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের মতিঝিল থেকে তুলে দেয়ার অভিযানে তিন হাজার জনকে হত্যা করা হয় বলেও দাবি করেন তিনি; যদিও পুলিশ বলছে, একজনও নিহত হয়নি।
খোকার বাড়িতে অভিযানের সময় বারিধারায় বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থের বাড়ির সামনেও পুলিশ অবস্থান নেয়। সেখানেও তল্লাশি শেষ করে ফিরে যায় পুলিশ।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের একটি দল বিজেপি।
এদিকে যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বুধবার রাতে গাজীপুরে কাশিমপুর কারাগার থেকে বের হওয়ার পর সাদা পোশাকধারী পুলিশ তাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতারা।
এদিন কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, মাহাবুবুল হক নান্নু এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি মুনির হোসেন।
আলালের সহকারী জাহাঙ্গীর জানান, রাত ১০টা ৫০ মিনিটে কারাগার থেকে মুক্তির পর ফটকের সামনে দাঁড়ানো সাদা মাইক্রোবাসে আলালকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।
বর্তমান সরকারের আমলে এনিয়ে যুবদল সভাপতি মোট চারবার গ্রেপ্তার হলেন।
জাহাঙ্গীর জানান, আলালকে বেইলি রোডে গোয়েন্দা পুলিশের সদর দপ্তরে নেয়া হয়েছে।
গত ৭ এপ্রিল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সঙ্গে আলালকেও কারাগারে পাঠায় আদালত। তার বিরুদ্ধে গাড়ি পোড়ানোসহ সাতটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
উচ্চ আদালত থেকে সব মামলায় জামিন পাওয়ার পর ফখরুল দুদিন আগে মুক্তি পান। মুক্তি পান মির্জা আব্বাস, আবদুল্লাহ আল নোমানও। এর আগে মুক্তি পান মওদুদ আহমদ, জয়নুল আবদিন ফারুক, বরকতউল্লাহ বুলু প্রমুখ।