দৃশ্যপটঃ ১
ধানমন্ডির পাঁনসী রেস্তোরার পাশ দিয়ে একটি সেতু মিলিত হয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের সাথে। আর একটি সেতু কলাবাগান ক্রীড়াচক্র মাঠ থেকে মিলিত হয়েছে। অপর সেতুটি চলে গেছে লেকের ভিতরে। বিকেলে এই দ্বীপরাষ্ট্র গিয়ে দেখা যায়, একদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের সংগঠনের কজ নিয়ে আড্ডা দিচ্ছে। দ্বীপ রাষ্ট্রের এই ছোট্ট দ্বীপে বসে কয়েকজন বড়লোকের ছেলে হাতে গাঁজা ডলছে।
আর একজন সিগারেটের ভিতর সেটা প্রবেশ করাচ্ছে। পুর্বে তৈরি করা আরেকটায় টান দিচ্ছে। গোটা এলাকায় বিকট গন্ধে ছেয়ে যাচ্ছে। সেদিকে তাদের ভ্রুক্ষেপ নেই। পোশাক পরিচ্ছদ অত্যন্ত মুল্যবান কিন্তু উগ্রতার ছাপ। পর পাশে বসে আছে লেকে হাটটে আসা মধ্যবয়স্ক এক দম্পতি। গাঁজা সেবন কারীদের বলার কেউ। শুধু নাক সিঁটকানোর মধ্যেই তাদের কাজ সীমাবদ্ধ।
এরপর তাদের আরো একটি দল আসে যথারীতি গাঁজার গন্ধে এলাকা বিকট আকার ধারন করছে। পাশ দিয়ে কোচিং ফেরত ছেলেমেয়েদের নিয়ে যাচ্ছে তাদের বাবা অথবা মা।
দৃশপট-২
ধানমন্ডি ৩২ এবং ৮ নম্বরের মাঝামঝি জায়গা। ধারাবাহিক ভাবে পথিকদের জন্য বিশ্রাম নেয়ার জন্য ছোট ছোট ছাউনি দেয়া ঘর। সন্ধ্যার পর অন্ধকারে সেখানে অবস্থানকারীদের বোঝার কোন উপায় নেই। মাঝে মাঝে দুর্বোধ্য গানের লাইন ভেসে আসে। পথচারীরা হেটে গেলে নাক চেপে যেতে হয়।
ধানমন্ডি লেকের দুটো স্থানের দৃশ্যপট এটি। ধানমন্ডি লেকের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে একই দৃশ্য দেখা যায়। অধিকাংশ স্থানেই এইসব মাদকসেবীদের দেখা যায়। প্রকাশ্যেই তারা মাদক সেবন করে। এতে প্রতিনিয়ত লেকে আসা দর্শনার্থী কিংব পরিবার নিয়ে আসা মানুষেরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছে। আর এইসব মাদক সেবীরা অধিকাংশই বড়লোকের ঘরের ছেলে।
লেকে নিরাপত্তা কর্মীরা থাকলেও তাদের সংখ্যা সীমিত। তাদের একজনের সাথে কথা হলে জানান মাদক সেবীরা একটি সংঘবদ্ধ দল। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা ঝামেলার ব্যাপার।
লেকে কথা হয় ধানমন্ডির বাসীন্দা লোকমান হাকিম বলেন, এখানে আডা দিতে আসা অধিকাংশরাই ধানমন্ডি এলাকার নয়, এরা আশেপাশের এলাকা থেকে আসে। ধানমন্ডির বাসিন্দা কোন ছেলেমেয়েরা এখানে আড্ডা দেয় না। তিনি বলেন ধানমন্ডির ছেলেমেয়েরা হয়তো এখানে সকালে অথবা বিকেলে হাটটে বের হয়।
পত্রিকা লিঙ্ক- ধানমন্ডি লেক: বড়লোকের নষ্ট ছেলেদের দ্বারা কলুষিত হচ্ছে