মাথাব্যাথা নিয়ে মাথাব্যাথা করতে গিয়ে মাথাব্যাথার শেষ নেই।
মাথাব্যাথার একমাত্র নেতিবাচক দিক হল "ব্যাথার যন্ত্রনা"(কম অথবা বেশি)। কিন্তু একটু খুজলেই এর অনেক ইতিবাচক দিক বের করা যায় ।
আসুন এক নজরে মাথাব্যাথার কিছু ইতিবাচক দিক দেখে নিই
*মানুষকে জাগতিক ভাবনা থেকে দূরে রাখে (মাথাব্যাথার ঠ্যালায় জগত বলে কিছু আছে ভুলে যাবেন, কাজেই ভাবনার প্রশ্নই আসেনা )
*চিন্তামুক্ত থাকতে সাহায্য করে (নিশ্চিত থাকেন ব্যাথা থাকলে চিন্তা করার টাইমই পাবেন না এতে অবশ্যই চিন্তামুক্ত থাকবেন)
*প্রেমের ছ্যাকার যন্ত্রনা ভুলিয়ে দেয় (মাথাব্যাথার সামনে ছ্যাকা কোন যন্ত্রনা হৈল? এইডা কোন ব্যাপারই না )
*প্রেমে ছ্যাকা খেতে উত্সাহ দেয় (ছ্যাকাযন্ত্রনা টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি = মাথাব্যাথাযন্ত্রনা, তাই বেশি বেশি ছ্যাকা খান মাথাব্যাথার চাপ কমান )
*স্বজনপ্রীতি বৃদ্ধি করে (মাথাব্যাথাধারী সবাইকে আপন মনে হবে, ফলে সমজাতীয় স্বজনপ্রীতি বাড়বে। অনেকটা চোরে চোরে মাসতুত ভাই টাইপ )
*মাথাব্যাথা থাকলে অন্য কোন ব্যাথাকে ব্যাথাই মনে হবেনা (ঠ্যাং ভাইঙ্গা কাধে নিয়া ঘুরতে পারবেন, কোন ব্যাপারই না বস )
*মাথাব্যাথা আপনার কাটাকুটি ইচ্ছাশক্তি বাড়িয়ে দেয় (মাথা কেটে ফেলতে ইচ্ছে করবে, এই ইচ্ছাশক্তি কোরবানীর ঈদে কাজে লাগাতে পারবেন :p)
সুতরাং বলা যায়,
মাথাব্যাথা অপকারের চেয়ে উপকার বেশি করে ।
বিঃ দ্রঃ ইহা মাথাব্যাথাধারীদের জন্য একটি আত্নশান্তনামূলক পোষ্ট।