somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আর কতদিন মার খাবেন!?

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কাজে ব্যস্ত থাকার সুবাদে অনেকদিন অনলাইন হওয়ার ফুরসত জোটেনি। আজ সকালে স্যামু খুলেই স্টিকি করা পোষ্টের উপর চোখ আটকে গেল। লেখক এমনভাবে বিষয়টি ফুটিয়ে তুলেছেন যে, মনে হচ্ছে ঘটনাটি লাইভ ঘটছে। বাকরুদ্ধ হয়ে গেলা ছাত্রলীগের পোষা কুকুরগুরোর নৃশংসতার বিবরণ পড়ে। আর তাই দু’টো কথা না লিখে পারলাম না।
আপনি মুক্তিযুদ্ধের উদাহরণ টেনেছেন যথাযথই। কিন্তু একটা কথা বলতে ভুলে গেছেন যে, এই অত্যাচারিত মুক্তিযোদ্ধারাই একদিন কিন্তু রুখে দাড়িয়েছিলেন। তারা খালী হাতে হানাদার বাহিনী'র বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছিলেন এবং বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন।
আপনারা ছাত্র, আপনারা দেশের সর্বোচ্চ শক্তি। আপনারাই যদি দিনের পর দিন অত্যাচার সহ্য করেন এবং নিজেদেরকে শুধুমাত্র সমালোচনার মাঝে লুকিয়ে রাখেন তবে দেশের অন্যান্য মানুষের নিকট পরিবর্তনের লক্ষ্যে পদক্ষেপের আশা করা বৃথা।
আপনার জাগলে দেশ জাগবে। আর আপনারা সমালোচনা করলে দেশও সমালোচনা করবে। আর আপনারা যদি মার খেয়ে বসে থাকেন তবে দেশও তাই হবে।
তাই যদি দেশের কোন উপকার করতে চান তবে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ান। এদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ হোন এবং অসহায় ও নির্যাতিতের পাশে দাড়ান। ছাত্র সংঘ গঠন করার আহবান জানান প্রতিটি ভার্সিটিতে। যাতে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল ও শিবিরের কুকুরেরা নিজেদের ক্ষমতার সময় আপনাদের মত নিরীহ ছাত্রদের উপর চড়াও হয়ে আপনাদের দেশসেবার ব্রত হতে দূরে সরিয়ে না দিতে পারে।
আর কতদিন মার খাবেন? প্রত্যেক সরকারের আমলেই তো আপনারা নিস্পেষিত। একটা কিছু করুন, যেটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য। যার বদৌলতে আগামী প্রজন্ম কোন রকম হুমকি-ধামকি, ভয়-ত্রাস ছাড়াই শিক্ষাঙ্গনে উপস্থিত হবে এবং দেশ সেবার মহান লক্ষ্যে পড়াশুনা করবে।
জোট বাধুন, যদি বাইরের কেউ এসে আপনাদের উপর আক্রমন করতে চায় তবে সাধারণ ছাত্ররা একজোটে তাদেরকে এমনভাবে পেটাবেন যাতে অন্যান্য শিক্ষাঙ্গনে আগ্রাসী ছাত্রদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে যায়।
কেউ কেউ হয়তবা বলবেন, মারের শোধ মারে! আমি বলবো অত্যাচারীকে কখনই ভাল মুখে তার অত্যাচার হতে দূরে সরিয়ে রাখা যায় না। তাই তারা একটা ইট মারলে আপনারা দু’টো মারুন। আপনাদের পড়াশুনার ক্ষতি করতে চাইলে তাদেরকে বয়কট করুন।
আল্লাহ সকল অত্যাচারীকে ধ্বংস করুন।
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যাড গাই গুড গাই

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

টান

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২


কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকা‌তে ছু‌টির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছ‌বি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বা‌ড়ে গ‌তি‌বেগ
ভাবনা‌দের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজ‌লে ঢেউ এ‌সে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্প‌তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরী

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরীঃ


১। নিজের সিভি নিজে লেখা শিখবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টোমাইজ করার অভ্যাস থাকতে হবে। কম্পিউটারের দোকান থেকে সিভি বানাবেন না। তবে চাইলে, প্রফেশনাল সিভি মেকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি

অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×