somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

Parliament of Students in Bangladesh

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পড়ালেখা করে যে অনাহারে মরে সে, হীরকরাজার দেশের সেই বিখ্যাত শ্লোগানটি যে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা ভালোভাবেই আত্বস্ত করেছিল, আর সেই জন্যই দুটো খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার জন্য তারা কি না করতে পারে, একের পর একেকটা যুগ যায় তাদের ক্রমশ লোমশ হাত বেড়িয়ে পড়ে, শ্রদ্ধেয়(!!!) শিক্ষকমন্ডলীদের পায়ের নীচেই আমাদের বেহেশত, সম্মানিত পাস আউট ও ফেইলুর নেতা বড় ভাইদের সম্মান না করলে যে বেহেশত্ অনিশ্চিত, আর তাই ক্রমাগত তাদের পায়ে তৈলমর্দনে রত গুটিকয়েক মাথামোটা, ক্র্যাক, পাগল-ছাগলের কথায় নেচে উঠে, ধমকে নুয়ে পড়ে, বড় ভাইনামক অন্নদাতারা বেচেঁ থাকলেই না আমরা বেচেঁ থাকব, তাদের লেজের আগায় ধনুক থাকুক, বা মিছরীরর ফলা থাকুক, তা যে ধরে ধরেই এগুতে হবে, কারণ তাদের শিয়াল দেবীদের যে অস্ত্রধারী সোয়ামীরা আছেন, তারা যে প্রচন্ড ক্ষমতাধর তা আমরা জানি, অনাহারে মরার আগে আরেকবার না হয় বড় ভাইটির পা ধুইয়ে দেই, অসৎ শিক্ষকটির আন্ডারওয়্যারটি ধুয়ে দেই, তাতে একটু বদনামই বা হবে, নিরীহ বা আধা নিরীহ হয়ে তো বেচেঁ থাকব না!, দু একটা ডিগ্রী জোগাড় কেরতে পারলেই দেখিয়ে দিব আমরা কি, আমরা কতটা শব্দ ও শব্দার্থ ধারন করি, আমাদের মোটা মোটা মেমসাহেবরা কি পরিমান অহংকারে ভাসতে পারে, দেখো মা তোমার ছেলের কেমন খ্যাতি হবে, দেশজোড়া, দেখো কেমন রক্তাক্ত পশ্চাৎদেশ নিয়েও হাঁসিমুখে পার্টিতে উপস্থিত থাকি, আর আমার যত সহপাঠিরা ওই খ্যাপাটে বখে যাওয়া, লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির উত্তরাধীকারদের খেয়ালের বলি হয়েছে তাদের নিয়ে একটা দুইটা কবিতা বা লাইন লিখে বিখ্যাত হয়ে বলে যাব, অনুগ্রহ করে এসব নিয়ে কথা বলো না৤
-------------------- নিশ্চয়ই অন্যায়কারী ও অন্যায় প্রশ্রয়দাতা উভয়ে সমান দোষে দোষী৤
------------ অবশ্য চোরায় না শুনে ধর্মের কাহিনী৤
আমাদের জাতীয় রাজনৈতিক নেতারা বলবেন কি, আপনাদের পোষা কয়েকটি গুন্ডা ও তাদের গুন্ডা বাহিনীরা যেভাবে সমস্ত ছাত্রসমাজকে কলুষিত করেছে, ও তাদের ছাত্রত্বের প্রতিদান স্বরূপ প্রতিনিয়ত জীবন নিয়ে টানা হেচঁড়া করে চলেছে, তা আর কতদিন জিইয়ে রাখবেন, জানি আপনাদের সন্তানরা অন্যদেশে মানুষ হচ্ছে, জানি এসমস্ত ঘটনাপ্রবাহ আপনার ঘরতক পৌছে না, তবে কি ধরে নিব পার্লামেন্টে বাংলাদেশের জনগণ কতগুলো দেশদ্রোহীকে পুষে রেখেছে, যারা ক্রমাগত সমস্তকিছুকে পঙ্কিলতায় ঢাকতে ঢাকতে এখন কেন ভবিষ্যতে ১০০ বা ১০০০ বছরেও এই সাধারণ জনতা হতে কেউ যেন মাথা তুলে দাড়াতে না পারে তার পায়তাড়া করছেন, আমরা বেশ ঘটা করেই ২৬ মার্চ, ২১ ফেব্রুয়ারী, ১৬ ই ডিসেম্বার পালন করি, তবে কি ধরে নিব, এগুলোর বদলে আমরা আরও কয়েকটি দিন পালন করতে পারি, প্রতিটি সংসদ নির্বাচনের দিনটিকে, জাতীয় শোক দিবস ঘোষনা করা হোক, আর বুদ্ধিজীবি হত্যাদিবসে রাজাকাররা যা করেছে আমাদের বর্তমান রাজনীতিবিদরা তারচেয়েও বড় মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে বসে আছেন, পরিবারতান্ত্রিক ক্ষমতা জীইয়ে রাখার প্রবণতায় ভবিষ্যৎ মেধাদের দাড় করিয়ে রেখেছেন উত্তপ্ত ক্যাম্পাসে যা কোন কারণ ছাড়াই টগবগ করে ফুটে চলেছে, একজন গুন্ডার/রাজাকারের মুক্তির দাবীতে, একজন চোরের প্রত্যাবর্তনের দাবীতে, একজন দূর্নীতিবাজকে ক্ষমতায় বহাল রাখার আন্দোলনে, একজন কে বেদম ধোলাইয়ের দাবীতে, একজনকে একটু আদরের দাবীতে, ছাত্রদের রাজনীতি ছাত্রদের ছাত্রত্বের মৌলিক অধিকারের প্রতি করতে দেন, তাদের যথেচ্চ ব্যবহার করে আপনার ফায়দা লুটলেও আমি বুঝতে পারছি না আর কত বছর আপনারা অর্থ , সম্পত্তির পাহাড় গড়তে চান, আপনাদের পায়ে আমাদের আর কত বলি দিতে হবে, আপনারা আর কত রক্ত চান, এভাবে কৌশলে না খেলিয়ে সরাসরি বলুন আপনারা মা-কালীর মতই তৃষ্ণার্ত, আপনাদের পুরো ১৭ কোটি জনতার রক্ত দরকার, ঈশানকে যারা মারল তাদের হয়তো অল্পকিছুদিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেখা যাবে, কারণ আমাদের রাজনৈতিকরা কখনওই মেধাবী ছাত্র চাননি, তাদের প্রয়োজন ছিল একগাদা গুন্ডা, যা তারা ক্রমাগত বানিয়ে চলেছেন, পরবর্তি রাজনৈতিক ক্ষমতা লড়াইয়ের জন্য, আমি ধরেই নিচ্ছি এগুলো থামবে না, আমি আমার রাজনৈতিক কলাম এখানেই শেষ করলাম, শুধু এটুকু বলে রাখি মানসিক রোগীদের ভালো কথা শুণিয়ে লাভ নেই কারণ তারা নিজেরাই জানেনা তারা আসলে কি করছে, নিজের পায়ে কুড়াল মারলেও একটা কথা ছিল, আমার ক্ষমতা থাকলে জাতীয় সংসদ ভবনের বাইরে একটা সাইনবোর্ড, লাগাতাম জাতীয় সাইকো ভবন, কারন কোটি কোটি টাকা খরচ করে সংসদে বসে যাদের পরচর্চা করার মত রুচী থাকে, মান-অভিমানের নাটক করার মানসিকতা থাকে, বছরের পর বছর ওয়াকওভার, ফাইল ছোরাছুরি, অনুপস্থিতি, মাইক কেরে নেওয়া ইত্যাদি করার মত রুচী থাকে, তাদেরকে জুতাপেটা করলেও ঠিক হবে না, কারণ ওদের দরকার ছিল কিছু পুতুল ও ক্ষমতা, ক্ষমতা যেহেতু তারা পেয়েই গেল তবে পুতুলদের নাচঁ দেখতে সমস্যা কি, যারা এইমাত্র রেগে উঠলেন, কালো পোষাকধারী এক মানুষকে কল দিয়ে বললেন আমাকে ট্রেস করতে তাদের বলছি একটু ধৈর্য ধরে বসুন আপনার ইয়াবার নেশা কাটার পর অর্ডারটা দিন, নেশা কাটলেই বুঝতে পারবেন যা বলা হলো তা আপনার মানসিক সীমাবদ্ধতার কথা৤ পারলে ডাক্তার দেখাবেন, না হলে নেই, তবে বিদেশী ডাক্তার-ই দেখাবেন কারণ জানেনইতো আমাদের দেশের ডাক্তাররা আপনাদের চেয়েও বড় সাইকো৤ আপনারা সুস্থ হলে আমার সন্তান অবশ্যই আপনাদের জন্য একগোছাঁ রজনীগন্ধা নিয়ে সংসদ ভবনে যাবে, সেই দিনটির প্রতীক্ষায় আছি..৤
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কোরআন কী পোড়ানো যায়!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৮

আমি বেশ কয়েকজন আরবীভাষী সহপাঠি পেয়েছি । তাদের মধ্যে দু'এক জন আবার নাস্তিক। একজনের সাথে কোরআন নিয়ে কথা হয়েছিল। সে আমাকে জানালো, কোরআনে অনেক ভুল আছে। তাকে বললাম, দেখাও কোথায় কোথায় ভুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেঞ্চুরী’তম

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


লাকী দার ৫০তম জন্মদিনের লাল গোপালের শুভেচ্ছা

দক্ষিণা জানালাটা খুলে গেছে আজ
৫০তম বছর উকি ঝুকি, যাকে বলে
হাফ সেঞ্চুরি-হাফ সেঞ্চুরি;
রোজ বট ছায়া তলে বসে থাকতাম
আর ভিন্ন বাতাসের গন্ধ
নাকের এক স্বাদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরানের প্রেসিডেন্ট কি ইসরায়েলি হামলার শিকার? নাকি এর পিছে অতৃপ্ত আত্মা?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯


ইরানের প্রেসিডেন্ট হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত!?

বাঙালি মুমিনরা যেমন সারাদিন ইহুদিদের গালি দেয়, তাও আবার ইহুদির ফেসবুকে এসেই! ইসরায়েল আর।আমেরিকাকে হুমকি দেয়া ইরানের প্রেসিডেন্টও তেমন ৪৫+ বছরের পুরাতন আমেরিকান হেলিকপ্টারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসবে তুমি কবে ?

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪২



আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×