somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

'নয়া দিগন্ত পত্রিকা' এবং 'দিগন্ত টেলিভিশনে'র সাংবাদিকের ধৃষ্টতা।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কায়রোতে অধ্যায়নরত ছাত্র ''আবুল কালাম আজাদ'' দীর্ঘদিন যাবত নয়াদিগন্ত পত্রিকায় বিভিন্ন সময় নিউজ পাঠিয়ে এবং মাস ছয়েক আগে দিগন্ত টেলিভশনের এক লোগো নিয়ে এসে কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে একটি স্থান দখল করে নেয়।

এমনকি গত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে আকষ্মিকভাবে চ্যানেল-আই এর মাইক্রোফোন সহকারে হাজির হয়ে নিজেকে চ্যানেল আই এর সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে এক্সট্রা স্পেস নিতে থাকে। এমনকি সে সিরিয়ালে না থাকা সত্তেও মাস্টার্সের একটি স্কলারশিপ দখল করে বসে। এ নিয়ে কায়রোস্থ ছাত্রদের মাঝে চড়ম অসন্তোস এবং দূতাবাসের প্রতি তাদের বিরুপ মনোভাবের সৃষ্টি হয়।

ঘটনার শুরু বছর দুই আগে। তখন থেকে সে মাঝে মাঝে ছাত্রদের এবং দূতাবাসের বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়ে রস কস মাখিয়ে তার এক বন্ধুর সহযোগিতায় নয়াদিগন্ত পত্রিকায় পাঠাতে থাকে। পরবর্তিতে সে নয়াদিগন্তের রেজিস্টার্ড সাংবাদিক হিসেবে নিয়োগ পায়।

ইজিপ্টে হুসনি মোবারকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের পর সে বেশ কিছু মিথ্যা নিউজ কর থাকে। বিভিন্ন মাধ্যাম থেকে অনেক বড় বড় ব্যাক্তিদের সাক্ষাতকার নিজের নেয়া সাক্ষাতকার বলে পত্রিকায় ছাপিয়ে দেয়। ঐ সময় তার মত সাংবাদিকদের ঐ সমস্ত ব্যাক্তিদের নাগাল পাওয়া একেবারেই সম্ভব ছিল না।

পরবর্তিতে সে দিগন্ত টিভি চ্যানেলের এক লোগো নিয়ে কায়রোতে আসে। এবং বাংলাদেশ দূতাবাসে নিজের স্পেস বানাতে থাকে। এবং কিছুটা সক্ষমও হয়।

এদিকে গত ১৬ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠানে হটাৎ সে ''চ্যানেল আই'' এর মাইক্রোফোন ও একটি এনালগ ভিডিও ক্যামেরা নিয়ে সকলের সামনে হাজির হয়, এবং নিজেকে ''চ্যানেল আই'' এর সাংবাদিক বলে পরিচয় দিয়ে অনেক সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে থাকে। এমনকি সাম্প্রতিক তাকে রাষ্ট্রদূতের গাড়িতেও বিভিন্ন সময় দেখা যায়।

নয়া দিগন্ত এবং দিগন্ত টেলিভিশন থেকে হটাৎ ''চ্যানেল আই''র সাংবাদিক বিষয়টি অনেকের দৃষ্টিতে স্বাভাবিক মনে হয় নি। তার চালচলন, কায়রোতে ছাত্রদের মাঝে তার গ্রহণযোগ্যতা সবকিছু বিবেচনা করে ঘটনা তদন্ত শুরু হয়।

এবং চ্যানেল আই এর ''শায়খ সিরাজ' সাহেবের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি 'মি. আজাদ''কে চিনেন না এবং কায়রোতে তাদের কোন প্রতিনিধি পাঠান নি বলে জানান। পরবর্তিতে 'চ্যানেল আই' এর Natitonal Desk Editor & Programme Researcher আদিত্য সাহিন বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নেন এবং তদন্ত করে জানতে পারেন যে, সে চ্যানেল আই এর এক অনুষ্ঠান থেকে কৌশলে না বলে 'চ্যানেল আই'' এর লগো হাতিয়ে নেয়। এবং ওখান থেকে কেটে পরে।

পরবর্তিতে চ্যানেল আই কতৃপক্ষ বাংলাদেশ দূতাবাস বরাবর একটি কম্লেইন ইমেইল পাঠায়, এবং উক্ত কালাম আজাদকে ওয়াচে রাখতে বলে, এবং তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যাবস্থা নিতে রিকোয়েষ্ট করে।

বিষয়টি এখানেই থেমে নেই। প্রতি বছর মিসর সরকার বাংলাদেশীদের মাস্টার্স এর জন্য ৮ টি স্কলারশিপের ব্যাবস্থা করে থাকে। এই বছর তিনটি স্কলারশিপ অনার্স লেভেলে দিয়ে দেয়া হয় এবং নতুন পাঁচজনকে দূতাবাসের পক্ষথেকে সিলেক্ট করা হয়। দুর্ভাগ্যভাবে ঐ
সাংবাদিক সিরিয়ালে অনেক পরে থাকা সত্বেও পাঁচের মধ্যে চলে আসে।
শতকরা ৮৪% মার্ক পাওয়া ছাত্র বাদ পরে যায় অথচ ৭০% মার্ক নিয়েই কালাম আজাদ গুরুত্বপুর্ণ এই স্কলারশিপ দখল করে বসে।

এ বিষয়ে ভুক্তভুগিরা দূতাবাসের নিকট জানতে চাইলে এটি ছাত্রদের জানার বিষয়না বলে উড়িয়ে দেয়া হয়, এবং এক অফিসার বলেন যে, এটি কেবল রেজাল্টের ভিক্তিতে দেয়া হয় না। এটা একজন ছাত্রের টুটাল এ্যাক্টিভিটিজ এর উপর বিচার করে দেয়া হয়। কালাম আজাদ একজন সাংবাদিক তাই তাকে এই স্কলারশিপ দেয়া হয়েছে বলেই বুঝা যায়।

কিন্তু, আবুল কালাম আজাদ দেশের জন্য এমন কি করল যে আরেকজনের স্কলারশিপ কেটে নিয়ে তাকে দেয়া হলো। মিসরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া প্রায় ৩৫০ জন ছাত্রের মনেই এখন একটিই প্রশ্ন।


বি. দ্র: চ্যানেল আই এর হেড অফিস থেকে দূতাবাস বরাবর পাঠানো ইমেইলটি আমার নিকটও পাঠানো হয়েছে। সেখানে শায়েখ সিরাজের ব্যাক্তিগত ইনফরমেশন থাকায় সেটা সবার সামনে প্রকাশ করা সমিচিন মনে হলো না। যিনি প্রয়োজন মনে করেন তিনি আমার নিকট ইমেই করতে পারেন, কিংবা চ্যানেল-আই এর হেড অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।

নোট: আমি নয়াদিগন্তের অফিসে ফোন দিলে তারা কালাম আজাদকে তাদের রেজিস্টার্ড সাংবাদিক বলে স্বিকার করেন।

পয়েন্ট: তিনি কিছুদিন আগে একটি বই প্রকাশ করেন, বইটির মোড়ক উন্মোচন নিয়েও দেশে তিনি বিশাল মিথ্যাচার করেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:২৫
২১টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে দেখা - ১৩ মে

লিখেছেন জোবাইর, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:০৩

১৩ মে ২০০৬


দমননীতির অদ্ভুত কৌশল
সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলের ওপর দমন নীতির আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্রুত বিচার আইন ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে দমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×